
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনিবার কয়েক মিলিয়ন মানুষ দাবদাহে ভুগেছে। ইউরোপ ও জাপানে রেকর্ড তাপমাত্রার পূর্বাভাসের পর যুক্তরাষ্ট্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই সপ্তাহের ছুটির দিনে তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকবে। দিনের তাপমাত্রা পশ্চিমে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ থেকে ২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেশি হতে পারে। এ ছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসে তাপপ্রবাহ শীর্ষে উঠবে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
এই দাবদাহের মাত্রা সবচেয়ে বেশি অ্যারিজোনায়। অঙ্গরাজ্যটির বাসিন্দারা প্রতিদিন সূর্যের অগ্নিশর্মায় পুড়ে নাকাল হচ্ছে। রাজ্যের রাজধানী ফিনিক্সে গত ১৬ দিন ধরে তাপমাত্রা ১০৯ ফারেনহাইট (৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস)-এর ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এটি ছিল ১১৫ ফারেনহাইট, যা আজ রোববার ১৩০ ফারেনহাইট হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ‘ডেথ ভ্যালি’ পৃথিবীর উষ্ণতম স্থানগুলোর মধ্যে একটি। আজ রোববার এখানে নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভবত ১৩০ ফারেনহাইটে (৫৪ সেলসিয়াসে) উঠতে পারে। গতকাল শনিবার মধ্যাহ্ন নাগাদ এখানে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল এবং এমনকি রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ভাঙতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ সতর্কবার্তা দিয়ে মানুষকে দিনের বেলা বাইরের কাজে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি শরীরে পানিশূন্যতার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।
এই দাবদাহের মধ্যেও টেক্সাসের বাইরে নির্মাণ সাইট হাস্টনে জুয়ান নামের (২৮) এক শ্রমিককে কাজ করতে দেখা গেছে। প্রাচীর নির্মাণকাজের ফাঁকে তিনি এএফপিকে বলেন, ‘এতই গরম যে পানি খেলেও মাথা ঘোরে, গরমে আমার বমি আসে।’
লাস ভেগাস আবহাওয়া পরিষেবা সতর্ক করে জানিয়েছে, উচ্চ তাপমাত্রা পাশের মরুভূমির তাপ ধরে নেওয়া বিপজ্জনক মানসিকতা। এই তাপপ্রবাহ সাধারণ মরুভূমির তাপ নয়।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া অসংখ্য দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে রিভারসাইড কাউন্টি, যেখানে ৩ হাজার একরেরও বেশি (১ হাজার ২১৪ হেক্টর) বনানঞ্চল পুড়ে গেছে।
এদিকে কানাডা সরকার জানিয়েছে, এ বছরের দাবানল আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। ১০ মিলিয়ন হেক্টর পুড়িয়ে দিয়েছে। গ্রীষ্মে আরও ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দাবদাহের পূর্বাভাস
ইউরোপের দেশ ইতালির রোম, বোলোগনা, ফ্লোরেন্সসহ ১৬টি শহরের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। আবহাওয়া কেন্দ্র ইতালীয়দের গ্রীষ্মের এই সময়কালে নিরাপদে ও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।
থার্মোমিটারটি রোমে আগামীকাল সোমবারের মধ্যে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এবং মঙ্গলবার ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। এটা হলে ২০০৭ সালের আগস্টের ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ভেঙে যাবে।
সিসিলি ও সার্ডিনিয়া দ্বীপপুঞ্জে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠতে পারে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, এটি ইউরোপে রেকর্ড করা সর্বকালের উষ্ণ তাপমাত্রা।
গ্রিসের অন্যতম শীর্ষ পর্যটন আকর্ষণ অ্যাথেন্স অ্যাক্রোপলিস। কিন্তু ছুটির দিন রোববার দাবদাহের কারণে বন্ধ থাকবে। এ নিয়ে টানা তিন দিন বন্ধ থাকছে কেন্দ্রটি।
এদিকে ফ্রান্সে উচ্চ তাপমাত্রা এবং খরা কৃষিশিল্পের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল শনিবার কৃষিমন্ত্রী মার্ক ফেসন্যু জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতামতের সমালোচনা করেছেন। এর আগে ফ্রান্সের জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, গ্রীষ্মে এমন তাপমাত্রা স্বাভাবিক।
ফ্রান্সের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা অনুসারে, গত জুন ফ্রান্সের ইতিহাসে দ্বিতীয় উষ্ণতম মাস ছিল। আগামী মঙ্গলবার থেকে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দাবদাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
স্পেনের আবহাওয়া সংস্থা গতকাল শনিবার সতর্ক করে জানিয়েছে, আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত একটি তাপপ্রবাহ ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ আন্দালুসিয়া অঞ্চলে বয়ে যাবে, যা ৪০ ডিগ্রির ওপরে হতে পারে।
পূর্ব জাপানে রবি ও সোমবার তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, তাপমাত্রা আগের রেকর্ড ভাঙতে পারে।
দাবদাহের পর মরণঘাতী বৃষ্টি
এদিকে ভারতে টানা কয়েক দিনের দাবদাহের পর ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বন্যায় হিমাচল ও দিল্লিতে ভূমিধস হয়েছে। এতে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
নয়াদিল্লির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে, যা যমুনার পূর্বের রেকর্ড ভেঙেছে। এই মেগাসিটির নিচু এলাকাগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
বর্ষাকালে বড় ধরনের বন্যা ও ভূমিধস সাধারণ ঘটনা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ও তীব্রতা বাড়ছে।
মরক্কোতে এই সপ্তাহান্তে কিছু প্রদেশে গড় তাপমাত্রা ছিল ৪৭ সেলসিয়াস। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এমন তাপমাত্রা সাধারণত আগস্টে হয়ে থাকে, কিন্তু এবার জুলাইয়ে এটি দেখা দিয়েছে। এতে জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সঙ্কুচিত হচ্ছে তাইগ্রিস নদী
অপ্রতুল জলের দেশ জর্ডান এ বছর দাবানল নিয়ন্ত্রণে নিতে ২১৪ টন জল খরচ করতে বাধ্য হয়েছে। কেননা, দাবদাহের মধ্যে দেশটির উত্তরের আজলুন বনে আগুন ধরেছিল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরাকে জ্বলন্ত গ্রীষ্ম যেন অনেকটাই স্বাভাবিক। উইসাম আবেদ নামের এক নাগরিক জানান, গ্রীষ্ম তিনি সাধারণত টাইগ্রিস নদীতে সাঁতার কেটে কিছুটা স্বস্তি পেতেন। কিন্তু নদীতে আর আগের মতো পানি নেই, নেই স্বস্তির সাঁতারও।
বাগদাদ শহরে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে তাপমাত্রা আর শুষ্ক। এর মধ্য আবেদ নদীর মাঝখানে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু জল তার কোমর পর্যন্তই উঠেছিল সর্বোচ্চ।
উইসাম আবেদ (৩৭) এএফপিকে বলেন, ‘বছরের পর বছর টাইগ্রিসের পানির পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।’
যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি নির্দিষ্ট আবহাওয়ার ঘটনাকে দায়ী করা কঠিন, তবু বিজ্ঞানীরা জোর দিয়েই বলছেন, এই বৈশ্বিক উষ্ণতার পেছনে বড় কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা। এতে দাবদাহের মাত্রাও হচ্ছে লাগামহীন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ পরিষেবা বলেছে, গত জুন ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম মাস।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনিবার কয়েক মিলিয়ন মানুষ দাবদাহে ভুগেছে। ইউরোপ ও জাপানে রেকর্ড তাপমাত্রার পূর্বাভাসের পর যুক্তরাষ্ট্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই সপ্তাহের ছুটির দিনে তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকবে। দিনের তাপমাত্রা পশ্চিমে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ থেকে ২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেশি হতে পারে। এ ছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসে তাপপ্রবাহ শীর্ষে উঠবে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
এই দাবদাহের মাত্রা সবচেয়ে বেশি অ্যারিজোনায়। অঙ্গরাজ্যটির বাসিন্দারা প্রতিদিন সূর্যের অগ্নিশর্মায় পুড়ে নাকাল হচ্ছে। রাজ্যের রাজধানী ফিনিক্সে গত ১৬ দিন ধরে তাপমাত্রা ১০৯ ফারেনহাইট (৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস)-এর ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এটি ছিল ১১৫ ফারেনহাইট, যা আজ রোববার ১৩০ ফারেনহাইট হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ‘ডেথ ভ্যালি’ পৃথিবীর উষ্ণতম স্থানগুলোর মধ্যে একটি। আজ রোববার এখানে নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভবত ১৩০ ফারেনহাইটে (৫৪ সেলসিয়াসে) উঠতে পারে। গতকাল শনিবার মধ্যাহ্ন নাগাদ এখানে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল এবং এমনকি রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ভাঙতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ সতর্কবার্তা দিয়ে মানুষকে দিনের বেলা বাইরের কাজে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি শরীরে পানিশূন্যতার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।
এই দাবদাহের মধ্যেও টেক্সাসের বাইরে নির্মাণ সাইট হাস্টনে জুয়ান নামের (২৮) এক শ্রমিককে কাজ করতে দেখা গেছে। প্রাচীর নির্মাণকাজের ফাঁকে তিনি এএফপিকে বলেন, ‘এতই গরম যে পানি খেলেও মাথা ঘোরে, গরমে আমার বমি আসে।’
লাস ভেগাস আবহাওয়া পরিষেবা সতর্ক করে জানিয়েছে, উচ্চ তাপমাত্রা পাশের মরুভূমির তাপ ধরে নেওয়া বিপজ্জনক মানসিকতা। এই তাপপ্রবাহ সাধারণ মরুভূমির তাপ নয়।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া অসংখ্য দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে রিভারসাইড কাউন্টি, যেখানে ৩ হাজার একরেরও বেশি (১ হাজার ২১৪ হেক্টর) বনানঞ্চল পুড়ে গেছে।
এদিকে কানাডা সরকার জানিয়েছে, এ বছরের দাবানল আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। ১০ মিলিয়ন হেক্টর পুড়িয়ে দিয়েছে। গ্রীষ্মে আরও ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দাবদাহের পূর্বাভাস
ইউরোপের দেশ ইতালির রোম, বোলোগনা, ফ্লোরেন্সসহ ১৬টি শহরের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। আবহাওয়া কেন্দ্র ইতালীয়দের গ্রীষ্মের এই সময়কালে নিরাপদে ও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।
থার্মোমিটারটি রোমে আগামীকাল সোমবারের মধ্যে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এবং মঙ্গলবার ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। এটা হলে ২০০৭ সালের আগস্টের ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ভেঙে যাবে।
সিসিলি ও সার্ডিনিয়া দ্বীপপুঞ্জে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠতে পারে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, এটি ইউরোপে রেকর্ড করা সর্বকালের উষ্ণ তাপমাত্রা।
গ্রিসের অন্যতম শীর্ষ পর্যটন আকর্ষণ অ্যাথেন্স অ্যাক্রোপলিস। কিন্তু ছুটির দিন রোববার দাবদাহের কারণে বন্ধ থাকবে। এ নিয়ে টানা তিন দিন বন্ধ থাকছে কেন্দ্রটি।
এদিকে ফ্রান্সে উচ্চ তাপমাত্রা এবং খরা কৃষিশিল্পের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল শনিবার কৃষিমন্ত্রী মার্ক ফেসন্যু জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতামতের সমালোচনা করেছেন। এর আগে ফ্রান্সের জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, গ্রীষ্মে এমন তাপমাত্রা স্বাভাবিক।
ফ্রান্সের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা অনুসারে, গত জুন ফ্রান্সের ইতিহাসে দ্বিতীয় উষ্ণতম মাস ছিল। আগামী মঙ্গলবার থেকে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দাবদাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
স্পেনের আবহাওয়া সংস্থা গতকাল শনিবার সতর্ক করে জানিয়েছে, আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত একটি তাপপ্রবাহ ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ আন্দালুসিয়া অঞ্চলে বয়ে যাবে, যা ৪০ ডিগ্রির ওপরে হতে পারে।
পূর্ব জাপানে রবি ও সোমবার তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, তাপমাত্রা আগের রেকর্ড ভাঙতে পারে।
দাবদাহের পর মরণঘাতী বৃষ্টি
এদিকে ভারতে টানা কয়েক দিনের দাবদাহের পর ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বন্যায় হিমাচল ও দিল্লিতে ভূমিধস হয়েছে। এতে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
নয়াদিল্লির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে, যা যমুনার পূর্বের রেকর্ড ভেঙেছে। এই মেগাসিটির নিচু এলাকাগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
বর্ষাকালে বড় ধরনের বন্যা ও ভূমিধস সাধারণ ঘটনা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ও তীব্রতা বাড়ছে।
মরক্কোতে এই সপ্তাহান্তে কিছু প্রদেশে গড় তাপমাত্রা ছিল ৪৭ সেলসিয়াস। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এমন তাপমাত্রা সাধারণত আগস্টে হয়ে থাকে, কিন্তু এবার জুলাইয়ে এটি দেখা দিয়েছে। এতে জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সঙ্কুচিত হচ্ছে তাইগ্রিস নদী
অপ্রতুল জলের দেশ জর্ডান এ বছর দাবানল নিয়ন্ত্রণে নিতে ২১৪ টন জল খরচ করতে বাধ্য হয়েছে। কেননা, দাবদাহের মধ্যে দেশটির উত্তরের আজলুন বনে আগুন ধরেছিল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরাকে জ্বলন্ত গ্রীষ্ম যেন অনেকটাই স্বাভাবিক। উইসাম আবেদ নামের এক নাগরিক জানান, গ্রীষ্ম তিনি সাধারণত টাইগ্রিস নদীতে সাঁতার কেটে কিছুটা স্বস্তি পেতেন। কিন্তু নদীতে আর আগের মতো পানি নেই, নেই স্বস্তির সাঁতারও।
বাগদাদ শহরে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে তাপমাত্রা আর শুষ্ক। এর মধ্য আবেদ নদীর মাঝখানে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু জল তার কোমর পর্যন্তই উঠেছিল সর্বোচ্চ।
উইসাম আবেদ (৩৭) এএফপিকে বলেন, ‘বছরের পর বছর টাইগ্রিসের পানির পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।’
যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি নির্দিষ্ট আবহাওয়ার ঘটনাকে দায়ী করা কঠিন, তবু বিজ্ঞানীরা জোর দিয়েই বলছেন, এই বৈশ্বিক উষ্ণতার পেছনে বড় কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা। এতে দাবদাহের মাত্রাও হচ্ছে লাগামহীন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ পরিষেবা বলেছে, গত জুন ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম মাস।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনিবার কয়েক মিলিয়ন মানুষ দাবদাহে ভুগেছে। ইউরোপ ও জাপানে রেকর্ড তাপমাত্রার পূর্বাভাসের পর যুক্তরাষ্ট্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৬ জুলাই ২০২৩
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনিবার কয়েক মিলিয়ন মানুষ দাবদাহে ভুগেছে। ইউরোপ ও জাপানে রেকর্ড তাপমাত্রার পূর্বাভাসের পর যুক্তরাষ্ট্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৬ জুলাই ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনিবার কয়েক মিলিয়ন মানুষ দাবদাহে ভুগেছে। ইউরোপ ও জাপানে রেকর্ড তাপমাত্রার পূর্বাভাসের পর যুক্তরাষ্ট্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৬ জুলাই ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনিবার কয়েক মিলিয়ন মানুষ দাবদাহে ভুগেছে। ইউরোপ ও জাপানে রেকর্ড তাপমাত্রার পূর্বাভাসের পর যুক্তরাষ্ট্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৬ জুলাই ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে