ইউরোপে ফিরে এল ৩০০ বছর আগের বিলুপ্ত পাখি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯: ১১
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯: ৪৪

পৃথিবী থেকে অনেক প্রাচীন যুগের প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। নানা সময়ে তারা বিলুপ্ত হয়েছে। তেমনই ধরে নেওয়া হয়েছিল নর্দার্ন ব্যাল্ড আইবিসের ক্ষেত্রেও। ৩০০ বছরে এ পাখির দেখা ইউরোপে পাওয়া যায়নি। ধরেই নেওয়া হয়েছিল যে এরাও বিলুপ্ত হয়ে গেছে। 

কিন্তু ১৯৯০-এর দশকে এই পাখির ফের দেখা মেলে। তবে তা ইউরোপে নয়। আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে। সেখানে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ৫৯ জোড়া পাখির খোঁজ পান বিশেষজ্ঞেরা। আর দেরি না করে শুরু হয় এদের সংরক্ষণের কাজ। ১৯৯৪ সালে পাখিটি নিয়ে গবেষণাও শুরু হয়। যা ক্রমে এদের সংখ্যাকে বাড়াবে। সেটাই হয়। 

২০১৮ সালে এদের সংখ্যা ৫০০-তে গিয়ে ঠেকে। ওই বছর ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন) বিপদগ্রস্ত প্রজাতির অতি-বিপন্ন থেকে বিপন্ন ক্যাটাগরিতে স্থান দেয়। যা অবশ্যই খুশির খবর ছিল। আরও বড় খবর হলো এরপর এরা ফের ফিরতে শুরু করে ইউরোপে। 

নর্দার্ন ব্যাল্ড আইবিসের লম্বা চঞ্চু, মাথায় কোনো পালক নেই। দেখেই বোঝা যায়, এ পাখির মধ্যে একটা প্রাচীন পাখিদের ছোঁয়া রয়েছে। বাস্তবেও তাঁরা ইউরোপে মধ্যযুগের অবসানের সঙ্গে নিজেরাও বিলুপ্ত হয়েছিল। ৩০০ বছর হারিয়ে থাকার পর ফের তাঁরা ফিরছে ইউরোপে। বর্তমানে ২৭০টি আইবিস ইউরোপে বিচরণ করছে। 

একসময় এই পাখি প্রচুর শিকার হওয়ায় এরা হারিয়ে যায় ইউরোপ থেকে। ৩০০ বছর তাদের না দেখা পেয়ে তাদের কথা ভুলেই গিয়েছিলেন সকলে। পরে মরক্কোতে তাদের আত্মপ্রকাশ পুরো চিত্র বদলে দেয়। 

এই প্রজাতিকে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় পাওয়া যেত। কিন্তু এখন তাদের বড় অংশটি আফ্রিকায় রয়েছে। আইবিস মূলত পোকামাকড়, কৃমি এবং লার্ভা খায়। যা হোক, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসের কারণে খাবারের জন্য তাদের হন্য হয়ে লড়তে হয়। 

বিলুপ্তপ্রায় পাখি আইবিস। ছবি: মেরিল্যান্ড চিড়িয়াখানাইউরোপে প্রজাতিটিকে ফিরিয়ে আনার নানা প্রকল্প চলছে। ২০০৪ সালে স্পেনের আন্দালুসিয়া অঞ্চলে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছিল, যা সফলভাবে পাখিটিকে বনে ছাড়তে সক্ষম হয়েছিল। পাখিটির ছানা হাতে বড় করে ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক আবাসস্থলে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

এদিকে, অস্ট্রিয়া এবং জার্মানিতে এই পাখি ফেরাতে আরেকটি প্রচেষ্টা চলছে। অস্ট্রিয়ান জীববিজ্ঞানী জোহানেস ফ্রিটজ এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সংরক্ষণের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আইবিস এখনো হুমকির মুখে রয়েছে। শিকার, কীটনাশক ব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে পাখিটি হুমকির মুখে আছে। 

শুধুমাত্র ২০২৩ সালে শিকারের কারণে ইউরোপে অভিবাসী পাখিদের ১৭ শতাংশ মারা পড়েছে। এমতাবস্থায় আইবিসের টিকে থাকা নিশ্চিত করতে সংরক্ষণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা জরুরি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত