অনলাইন ডেস্ক
কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এই ব্যক্তি হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল জাবের। তিনি গার্ডিয়ানকে সোজাসাপ্টা বলেছেন, তাঁর কোম্পানিকে জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা মেটাতে হবে।
আল জাবের বলেন , ‘আমার পদ্ধতি খুবই সহজ। আমরা কম কার্বন শক্তির একটি দায়িত্বশীল, নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাব। কারণ, বিশ্বে সর্বনিম্ন খরচে সর্বনিম্ন কার্বন ব্যারেলের প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি অ্যাডনকের হাইড্রোকার্বন নিম্নশ্রেণির কার্বন, এসব দক্ষতার সঙ্গে এবং অন্যান্য উৎপাদকের চেয়ে নিরাপদে উত্তোলন করা হয় দাবি করে বলেন, ‘মনে রাখবেন, দিনের শেষে চাহিদাই নির্ধারণ করবে কোন ধরনের শক্তির উৎস ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে।’
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেলের ফলাফল উল্লেখ করে জানান, ২০৫০ সালেও বিশ্বে স্বল্প পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হবে, এমনকি নিট শূন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের স্তরে পৌঁছানোর পরেও।
শূন্য গ্রিনহাউসের যুগে প্রবেশ করতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসে রাখতে হবে, যা শিল্পবিপ্লবের আগের সময়ের বৈশ্বিক তাপমাত্রার চেয়ে কম।
নিজের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের মধ্যে কার্যকর ছিল জানিয়ে আল জাবের বলেন, ‘বিশ্বে কম দামে স্বল্প কার্বনসমৃদ্ধ তেল এবং গ্যাসের প্রয়োজন অব্যাহত রয়েছে। যখন চাহিদা থেমে যায়, তখন এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প। নতুন শক্তি ব্যবস্থা তৈরির আগপর্যন্ত আমাদের এই মুহূর্তে বর্তমান শক্তিব্যবস্থাকে ডিকার্বনাইজ করতে হবে।
অ্যাডনক তেল ও গ্যাসে আগামী সাত বছরে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই বিনিয়োগ তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নয়, বরং বর্তমান উৎপাদনের মাত্রা বজায় রাখবে জানিয়ে আল জাবের বলেন, তেল উৎপাদনে নিজের সক্ষমতা থেকে অ্যাডনক সরে যাচ্ছে।
শীর্ষ সম্মেলনের পরে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তেলের মজুত রয়েছে। তবে আমরা এই সম্পদগুলো কাজে লাগাচ্ছি না।
গত ৩০ বছরের জলবায়ু সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎকে চিহ্নিত করে একটি বৈশ্বিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে চুক্তিটি জলবায়ুসংকটের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো বন্ধের জন্য কাছাকাছিও নেই এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অপ্রয়োজনীয় অর্থ আয়ের পেছনে ন্যায়সংগত কারণ দেখাতে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ সমালোচিত হয়েছে। এরপরেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
কপ২৮ ও অ্যাডনকের প্রধান হওয়ায় এই বছরের শুরুর দিকে ব্যাপক আশঙ্কা সত্ত্বেও আল জাবের একজন জনপ্রিয় কপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলো বলেছে, আল জাবের তাঁদের উদ্বেগের কথা শুনছেন এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যখন ধনী দেশগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চুক্তির জন্য নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
অ্যাডনকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে আল জাবের ২০০৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারসমর্থিত পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমি পরিবর্তনের [নিম্ন কার্বনের বিশ্ব] জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য আমি ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছি। আমি শক্তি গতিবিদ্যা এবং শক্তি অর্থনীতি জানি। আমি একজন প্রকৌশলী।’
একজন ব্যবসায়ী এবং তেল কোম্পানির প্রধান হিসেবে অবাক করা চুক্তিটি বন্ধ করতে সহায়তা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শাসনকালে প্রমাণ করেছি এবং বিশ্বকে দেখিয়েছি, শিল্পপতির কপ সম্মেলনের সভাপতি হওয়া দুর্বলতা নয়। আসলে, এটি একটি শক্তি ছিল, এটি একটি সুবিধা ছিল।’
জলবায়ুকর্মীরা অ্যাডনকের জন্য আল জাবেরের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। ফসিল ফুয়েল ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের গ্লোবাল এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর হারজিৎ সিং বলেছেন, ‘কপ২০-এর সভাপতিত্বকারী দেশ হিসেবে আরব আমিরাতকে অবশ্যই একটি নজির স্থাপন করতে হবে। ধনী দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির চেতনাকে সম্মান করতে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। তা ছাড়া অন্য যেকোনো কিছু দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জিত খসড়ার ওপর সন্দেহের ছায়া ফেলবে।’
অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের ডেভিড টং বলেন, ‘আল জাবের এটা স্পষ্ট করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কপ২৮ সম্মেলনে ঐকমত্য (চুক্তি) আনতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। এখন তাঁর নেতৃত্বাধীন কোম্পানিতে এটি বাস্তবায়ন এবং তেল ও গ্যাস থেকে দূরে সরে যেতে হবে, অথবা এই প্রক্রিয়াকে মনে মনে উপহাস করতে হবে।’
থিঙ্কট্যাঙ্ক ইথ্রিজির একজন সিনিয়র সহযোগী ক্যাথরিন অ্যাব্রেউ তেল ও গ্যাসের চাহিদা শিগগির কমার পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদক মনে করে, তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি অতিমূল্যবান বস্তু এবং এসব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ নয়। কয়েক দশক ধরে তাঁরা একটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চুক্তির আড়ালে লুকিয়ে থেকেছেন, যা বোঝাপড়া তৈরি করতে ব্যর্থতা এনেছে। কিন্তু অবশেষে সেই ঘোমটা ছিঁড়ে গেছে এবং খুব ধীরে হলেও অবশ্যই পরিস্থিতি বদলে যাবে।’
আল জাবের কপ২৮ তে হওয়া চুক্তিটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এবং ‘ঐতিহাসিক’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। আলোচনার সম্ভাব্য চুক্তির প্রথম খসড়া জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আলোচনাটি টেনে নেওয়ার সময় তিনি কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।
না ঘুমিয়ে কয়েক ঘণ্টার কূটনৈতিক আলাপের পরে তিনি আলোচনায় প্রতিটি দেশের গ্রুপ এবং অনেক স্বতন্ত্র দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, একটি নতুন খসড়া পাঠ ও গৃহীত হওয়ার আশায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকেও আলোচনার কক্ষ লোকে ভর্তি ছিল।
জাবের বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি বোধ করছিলাম, ঐকমত্য জীবন পাচ্ছে। এখানে কিছু সত্যিকারের কিছু ঘটছে। একে অপরের মন ও চিন্তার মিলন ঘটছে, আমি তাঁদের মনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছি। তাঁরা পরিকল্পনাটিকে আরও ভালো আকার দিতে সাহায্য করছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমরা ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি। আমি তখন সব অনুপ্রেরণা নিয়ে আলোচনায় আরও গভীরভাবে নিমগ্ন হই।’
কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এই ব্যক্তি হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল জাবের। তিনি গার্ডিয়ানকে সোজাসাপ্টা বলেছেন, তাঁর কোম্পানিকে জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা মেটাতে হবে।
আল জাবের বলেন , ‘আমার পদ্ধতি খুবই সহজ। আমরা কম কার্বন শক্তির একটি দায়িত্বশীল, নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাব। কারণ, বিশ্বে সর্বনিম্ন খরচে সর্বনিম্ন কার্বন ব্যারেলের প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি অ্যাডনকের হাইড্রোকার্বন নিম্নশ্রেণির কার্বন, এসব দক্ষতার সঙ্গে এবং অন্যান্য উৎপাদকের চেয়ে নিরাপদে উত্তোলন করা হয় দাবি করে বলেন, ‘মনে রাখবেন, দিনের শেষে চাহিদাই নির্ধারণ করবে কোন ধরনের শক্তির উৎস ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে।’
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেলের ফলাফল উল্লেখ করে জানান, ২০৫০ সালেও বিশ্বে স্বল্প পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হবে, এমনকি নিট শূন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের স্তরে পৌঁছানোর পরেও।
শূন্য গ্রিনহাউসের যুগে প্রবেশ করতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসে রাখতে হবে, যা শিল্পবিপ্লবের আগের সময়ের বৈশ্বিক তাপমাত্রার চেয়ে কম।
নিজের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের মধ্যে কার্যকর ছিল জানিয়ে আল জাবের বলেন, ‘বিশ্বে কম দামে স্বল্প কার্বনসমৃদ্ধ তেল এবং গ্যাসের প্রয়োজন অব্যাহত রয়েছে। যখন চাহিদা থেমে যায়, তখন এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প। নতুন শক্তি ব্যবস্থা তৈরির আগপর্যন্ত আমাদের এই মুহূর্তে বর্তমান শক্তিব্যবস্থাকে ডিকার্বনাইজ করতে হবে।
অ্যাডনক তেল ও গ্যাসে আগামী সাত বছরে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই বিনিয়োগ তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নয়, বরং বর্তমান উৎপাদনের মাত্রা বজায় রাখবে জানিয়ে আল জাবের বলেন, তেল উৎপাদনে নিজের সক্ষমতা থেকে অ্যাডনক সরে যাচ্ছে।
শীর্ষ সম্মেলনের পরে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তেলের মজুত রয়েছে। তবে আমরা এই সম্পদগুলো কাজে লাগাচ্ছি না।
গত ৩০ বছরের জলবায়ু সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎকে চিহ্নিত করে একটি বৈশ্বিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে চুক্তিটি জলবায়ুসংকটের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো বন্ধের জন্য কাছাকাছিও নেই এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অপ্রয়োজনীয় অর্থ আয়ের পেছনে ন্যায়সংগত কারণ দেখাতে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ সমালোচিত হয়েছে। এরপরেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
কপ২৮ ও অ্যাডনকের প্রধান হওয়ায় এই বছরের শুরুর দিকে ব্যাপক আশঙ্কা সত্ত্বেও আল জাবের একজন জনপ্রিয় কপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলো বলেছে, আল জাবের তাঁদের উদ্বেগের কথা শুনছেন এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যখন ধনী দেশগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চুক্তির জন্য নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
অ্যাডনকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে আল জাবের ২০০৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারসমর্থিত পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমি পরিবর্তনের [নিম্ন কার্বনের বিশ্ব] জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য আমি ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছি। আমি শক্তি গতিবিদ্যা এবং শক্তি অর্থনীতি জানি। আমি একজন প্রকৌশলী।’
একজন ব্যবসায়ী এবং তেল কোম্পানির প্রধান হিসেবে অবাক করা চুক্তিটি বন্ধ করতে সহায়তা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শাসনকালে প্রমাণ করেছি এবং বিশ্বকে দেখিয়েছি, শিল্পপতির কপ সম্মেলনের সভাপতি হওয়া দুর্বলতা নয়। আসলে, এটি একটি শক্তি ছিল, এটি একটি সুবিধা ছিল।’
জলবায়ুকর্মীরা অ্যাডনকের জন্য আল জাবেরের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। ফসিল ফুয়েল ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের গ্লোবাল এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর হারজিৎ সিং বলেছেন, ‘কপ২০-এর সভাপতিত্বকারী দেশ হিসেবে আরব আমিরাতকে অবশ্যই একটি নজির স্থাপন করতে হবে। ধনী দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির চেতনাকে সম্মান করতে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। তা ছাড়া অন্য যেকোনো কিছু দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জিত খসড়ার ওপর সন্দেহের ছায়া ফেলবে।’
অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের ডেভিড টং বলেন, ‘আল জাবের এটা স্পষ্ট করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কপ২৮ সম্মেলনে ঐকমত্য (চুক্তি) আনতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। এখন তাঁর নেতৃত্বাধীন কোম্পানিতে এটি বাস্তবায়ন এবং তেল ও গ্যাস থেকে দূরে সরে যেতে হবে, অথবা এই প্রক্রিয়াকে মনে মনে উপহাস করতে হবে।’
থিঙ্কট্যাঙ্ক ইথ্রিজির একজন সিনিয়র সহযোগী ক্যাথরিন অ্যাব্রেউ তেল ও গ্যাসের চাহিদা শিগগির কমার পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদক মনে করে, তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি অতিমূল্যবান বস্তু এবং এসব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ নয়। কয়েক দশক ধরে তাঁরা একটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চুক্তির আড়ালে লুকিয়ে থেকেছেন, যা বোঝাপড়া তৈরি করতে ব্যর্থতা এনেছে। কিন্তু অবশেষে সেই ঘোমটা ছিঁড়ে গেছে এবং খুব ধীরে হলেও অবশ্যই পরিস্থিতি বদলে যাবে।’
আল জাবের কপ২৮ তে হওয়া চুক্তিটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এবং ‘ঐতিহাসিক’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। আলোচনার সম্ভাব্য চুক্তির প্রথম খসড়া জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আলোচনাটি টেনে নেওয়ার সময় তিনি কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।
না ঘুমিয়ে কয়েক ঘণ্টার কূটনৈতিক আলাপের পরে তিনি আলোচনায় প্রতিটি দেশের গ্রুপ এবং অনেক স্বতন্ত্র দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, একটি নতুন খসড়া পাঠ ও গৃহীত হওয়ার আশায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকেও আলোচনার কক্ষ লোকে ভর্তি ছিল।
জাবের বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি বোধ করছিলাম, ঐকমত্য জীবন পাচ্ছে। এখানে কিছু সত্যিকারের কিছু ঘটছে। একে অপরের মন ও চিন্তার মিলন ঘটছে, আমি তাঁদের মনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছি। তাঁরা পরিকল্পনাটিকে আরও ভালো আকার দিতে সাহায্য করছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমরা ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি। আমি তখন সব অনুপ্রেরণা নিয়ে আলোচনায় আরও গভীরভাবে নিমগ্ন হই।’
এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী তাপ ধারণকারী গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষে রয়েছে। নতুন তথ্য অনুযায়ী, চীনের সাংহাই এ তালিকার শীর্ষে। সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্তকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বিশ্লেষণ করে এই বিষয়টি জানা গেছে। তথ্য প্রকাশ করেছে সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল
২ ঘণ্টা আগেবার্ষিক শত বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের শর্ত পূরণ হয়নি গত এক দশকেও। এর মধ্যেই জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর কাছে বছরে এক ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের দাবি উঠেছে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশগুলোর পক্ষ থেকে।
৮ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
১ দিন আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
২ দিন আগে