
ইকুয়েডরের চকো ক্লাউড ফরেস্ট বিখ্যাত তার বৈচিত্র্যময় বন্য প্রাণী আর উদ্ভিদের জন্য। উঁচু উঁচু সব গাছপালার ওপরে ঝুলে থাকা মেঘেদের জন্য এ ধরনের জঙ্গল ‘মেঘ অরণ্য’ বা ক্লাউড ফরেস্ট নাম পায়। ক্লাউড ফরেস্টে প্রচুর বৃষ্টিপাতও হয়। চকো ক্লাউড ফরেস্ট সম্প্রতি আরেকটি কারণে মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। সেটি বনের মধ্যে তৈরি করা বিলাসবহুল এক হোটেল।
চকো ক্লাউড ফরেস্টের মাত্র ২ শতাংশ প্রাকৃতিক বন অবশিষ্ট আছে এখন। এমন পরিস্থিতিতে মাশপি লজ বিলাসবহুল কিন্তু জঙ্গল ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উদ্ভাবনী এক পদক্ষেপ নিয়েছে। রোমাঞ্চপ্রেমী অতিথিদের জঙ্গল অভিযানে এখানকার বন্য প্রাণী সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেওয়া হয়। ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো থেকে হোটেলটির দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের আশপাশে।
সকালের সূর্যের আলো যখন ঘন কুয়াশার পর্দায় ঢাকা চকো ক্লাউড ফরেস্টের গাছপালার মাঝখান দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে বের হচ্ছে, তখন মাশপি লজের একজন পর্যটক হয়তো গাছের শাখায় শাখায় উড়ে বেড়ানো রঙিন প্রজাপতি দেখছেন মুগ্ধ চোখে। এটা তিনি করছেন তাঁর শয্যায় শরীর এলিয়ে দিয়ে। বাইরের জগৎ এবং তাঁর মধ্যে ব্যবধান বলতে একটি কাচের দেয়াল। ‘ইকো-ট্যুরিজম’ নামের যে শব্দটির সঙ্গে আমরা পরিচিত, ইকুয়েডরের জঙ্গলের মাঝখানে অবস্থিত মাশপি লজের চেয়ে এর বড় উদাহরণ আর কিছু হতে পারে না।
জঙ্গলের মধ্যে অনেক উঁচু কোনো দালান নয় এটি। বিশাল সব কাচের জানালাসহ এর নকশা এভাবে করা হয়েছে, যেন জঙ্গল ও লজটির মধ্যে একটি নিবিড় সম্পর্ক থাকে।
হোটেলটি হয়তো ধনী পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে। তবে এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে স্থানীয় অধিবাসীদের জীবন। মাশপির শতকরা ৮০ শতাংশ কর্মচারী আশপাশের অঞ্চলের বাসিন্দা। পর্যটনের বিকাশ মানেই এখনকার মানুষের বেঁচে থাকার একটি অবলম্বন তৈরি হওয়া। এর বিকল্প পেশা তাঁদের কাছে বনের গাছ কাটা ও খনি থেকে স্বর্ণ আহরণ। আর এগুলো করেই এখানকার মূল প্রাকৃতিক অরণ্যের কেবল ২ শতাংশ অবশিষ্ট আছে আর। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
এই হতাশাজনক পরিসংখ্যানই কুইটোর সাবেক মেয়র রোক সেভিয়াকে ২০০১ সালে চকো ক্লাউড ফরেস্টের এক টুকরো জমি কিনতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এটা তিনি করেন শুধু সংরক্ষণের স্বার্থেই। তারপর তিনি ক্রমাগত জমি কিনতে থাকেন। এর ফলাফল ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি সংরক্ষিত বন, ৬ হাজার ১৭৮ একরের মাশপি রিজার্ভ।
একটি গাছও কাটা পড়েনি গোটা লজটি বানাতে। তবে এটি তৈরির উপকরণ সংগ্রহ করা হয়েছে আশপাশের এলাকা থেকে, যেন গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসারণ কম হয়।
গত এক দশকে মাশপি রিজার্ভের গবেষণায় ১৬টি নতুন প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা চকো ক্লাউড ফরেস্ট সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
লজের রেস্তোরাঁটিতে ব্যবহার করা বেশির ভাগ উপাদানের উৎস ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকা। এটি ১৫টি স্থানীয় পরিবারের জীবিকা নির্বাহে এবং নারী উদ্যোক্তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সাহায্য করে।

অরণ্যটি রক্ষায় এবং টেকসই পর্যটনের শক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় সম্প্রদায়কে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনার মিশন নিয়ে কাজ শুরু করা সেভিয়া একটি পুরোনো করাতকলের জায়গায় মাশপি লজ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। ‘আমি দেখতে চাই যে মাশপির অতিথিরা এই বিস্ময়কর বন সংরক্ষণের উৎসাহী একজন মানুষ হিসেবে তাঁদের বাড়িতে ফিরে যাবেন।’ তিনি বলেন। সেভিয়া আশা করেন, এখানকার জঙ্গল ভ্রমণে যে অভিজ্ঞতা হয়, তা-ই অতিথিদের অরণ্যের প্রতি ভালোবাসার জন্ম নেয়।
মাশপির একজন আবাসিক জীববিজ্ঞানীর নেতৃত্বে চকো ক্লাউড ফরেস্ট সম্পর্কে পরিচিতিমূলক কিছু আলোচনার পর পর্যটকদের একটি দলের সঙ্গে হয়তো আপনি মাশপির প্রধান আকর্ষণ ‘ড্রাগনফ্লাই ক্যানোপি গন্দোলা’য় চেপে বসবেন। এটি আসলে জঙ্গলের ওপর দিয়ে দুই কিলোমিটারের একটি কেব্ল কার রাইড।
ছাদ ছাড়া ধাতুর তৈরি কেব্ল কারটিতে ভ্রমণের সময় উঁচু উঁচু গাছগুলোর মাঝখান দিয়ে যাবেন। চাইলেই কোনো গাছের পাতা ছুঁয়ে দেখতে পারবেন। হয়তো বৃক্ষ শিখরে উঠে পড়া কোনো কাঠবিড়ালির দেখা মিলে যাবে। পাশ দিয়ে রঙিন ডানা মেলে উড়ে যাবে কোনো পাখি। ওপর থেকে নিচের অরণ্যও অন্য এক সৌন্দর্য নিয়ে ধরা দেবে আপনার চোখে। এত ওপরের আশ্চর্য শান্ত পরিবেশও আনন্দিত করবে আপনাকে।
এই যাত্রাপথে সঙ্গে থাকা গাইড হয়তো আপনাকে সংরক্ষণে মাশপি লজের নেওয়া নানা পদক্ষেপের বিষয় জানাবে। এখানকার বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষার উদ্দেশ্য নিয়েই এর পুরো নকশা করা হয়েছে। ‘বনের রক্ষক’ নামে পরিচয় করিয়ে দেওয়া সৌরশক্তিচালিত ১০টি অডিও রেকর্ডার বসিয়েছে মাশপি লজ কর্তৃপক্ষ সংরক্ষিত বনটির বিভিন্ন অংশে। এটি করাতের শব্দ শনাক্ত করতে এবং এই অবৈধ কার্যকলাপের বিষয়ে পার্কের রেঞ্জারদের সতর্ক করতে সক্ষম।
প্রাণীদের গতিবিধি ও চলাফেরা পরীক্ষার জন্য ক্যামেরা ট্র্যাপও বসানো হয়েছে জঙ্গলের নানা অংশে। লজের পাশের একটি ছোট পরীক্ষাগারে মাশপিস রিসার্চ সেন্টারের গবেষকেরা ক্যামেরাবন্দী হওয়া ছবিগুলো বিশ্লেষণ করেন। সংরক্ষিত বনটিতে ১৬টি নতুন প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মাশপি ম্যাগনোলিয়া নামের একটি উদ্ভিদ। এর কাণ্ডে বেড়ে ওঠে অর্কিডের মতো কয়েক ডজন পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ।
‘এ কারণেই এখানে গবেষণা করা এত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অনেক নতুন প্রজাতি আবিষ্কারের অপেক্ষায় আছে।’ বলেন মাশপির আবাসিক জীববিজ্ঞানী চিয়ারা করেরা। তিনি সংরক্ষিত এলাকাটির বন্য প্রাণী নিয়ে গবেষণা করছেন এবং লজের ধারেই বিজ্ঞানের কাছে নতুন এক জাতের অর্কিড আবিষ্কার করেছেন।
মেঘ-অরণ্যের বন্য প্রাণী, গাছপালা ও সংরক্ষণের প্রচেষ্টা সম্পর্কে জানতে পর্যটকদের জঙ্গলের গভীরে নিয়ে যাওয়ার কেবল একটি পদ্ধতি ক্যানোপি গন্দোলা। এ ছাড়া লজের ‘লাইফ সেন্টারে’ প্রজাপতি এবং এদের আচরণ সম্পর্কে জানানো হয়। আবার দুজন উঠতে পারেন গন্দোলার এমন একটি পা-চালিত সংস্করণ স্কাই বাইকে চেপেও জঙ্গলের অন্ধি-সন্ধিতে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়। এ সময় হয়তো দেখা হয়ে যেতে পারে খুদে পাখি হামিংবার্ডদের সঙ্গে।
শুধু জঙ্গলে ঘুরে বেড়ালে তো হবে না, খেতেও হবে। লজের ডাইনিং রুমে চারপাশের অরণ্যের দৃশ্য উপভোগ করতে করতে তিন বেলা খেতে পারবেন। মেন্যু ঋতুভেদে বদলায় এবং জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন উদ্ভিদ স্বাদে, গন্ধে খাবারগুলোকে করে তুলে অনন্য। যেমন বন্য রসুন এবং চিল্লাগুয়া (ধনেপাতার মতো) ব্যবহার করা হয় এখানকার নানা পদের খাবারে।
হয়তো সবজিতে ভরপুর একটি ‘মাউন্টেন স্টু’ ভাজা কাঁচা কলার পাশে প্লেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে আপনার। এতে শোভা বর্ধক হিসেবে থাকবে খাওয়ার উপযোগী ফুল। আখের রসের সঙ্গে মিষ্টি আনারস দিয়েও একটি পদ পরিবেশন করা হতে পারে।
বেশির ভাগ উপাদানই লজের ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়। ইকুয়েডরের নারীদের একটি নিয়মিত আয়ের উৎস তৈরির জন্য নারী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে কেনা হয় মধু, জ্যামসহ অনেক জিনিসই।
রাতেও গাইড জঙ্গল ভ্রমণে নিয়ে যাবে আপনাকে। হেডল্যাম্পের আলোয় দেখবেন নানা ধরনের গাছ। হয়তো কোনো গাছে দেখা পেয়ে যাবেন একটি অপোসামের (বৃক্ষচর স্তন্যপায়ী প্রাণী), কিংবা চোখ আটকে যাবে বিশ্রামরত কোনো ট্যারান্টুলা মাকড়সায়। সকালে লজের কাছের ৮৫ ফুট উঁচু অবজারভেশন টাওয়ারে দাঁড়ালেই চোখ জুড়িয়ে যাবে, দেখবেন মেঘেরা কীভাবে উঁচু গাছপালার ওপরে আর পাহাড়চূড়ায় জেঁকে বসেছে। তারপর যখন আশ্চর্য এই অরণ্য ও মাশপি লজ থেকে ফিরে আসবেন, আপনার মন চাইবে সেখানে কিংবা এমন কোনো মনোমুগ্ধকর রাজ্যে ফিরে যেতে এখনই তল্পিতল্পা গুছানো শুরু করতে।
সূত্র: বিবিসি

ইকুয়েডরের চকো ক্লাউড ফরেস্ট বিখ্যাত তার বৈচিত্র্যময় বন্য প্রাণী আর উদ্ভিদের জন্য। উঁচু উঁচু সব গাছপালার ওপরে ঝুলে থাকা মেঘেদের জন্য এ ধরনের জঙ্গল ‘মেঘ অরণ্য’ বা ক্লাউড ফরেস্ট নাম পায়। ক্লাউড ফরেস্টে প্রচুর বৃষ্টিপাতও হয়। চকো ক্লাউড ফরেস্ট সম্প্রতি আরেকটি কারণে মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। সেটি বনের মধ্যে তৈরি করা বিলাসবহুল এক হোটেল।
চকো ক্লাউড ফরেস্টের মাত্র ২ শতাংশ প্রাকৃতিক বন অবশিষ্ট আছে এখন। এমন পরিস্থিতিতে মাশপি লজ বিলাসবহুল কিন্তু জঙ্গল ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উদ্ভাবনী এক পদক্ষেপ নিয়েছে। রোমাঞ্চপ্রেমী অতিথিদের জঙ্গল অভিযানে এখানকার বন্য প্রাণী সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেওয়া হয়। ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো থেকে হোটেলটির দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের আশপাশে।
সকালের সূর্যের আলো যখন ঘন কুয়াশার পর্দায় ঢাকা চকো ক্লাউড ফরেস্টের গাছপালার মাঝখান দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে বের হচ্ছে, তখন মাশপি লজের একজন পর্যটক হয়তো গাছের শাখায় শাখায় উড়ে বেড়ানো রঙিন প্রজাপতি দেখছেন মুগ্ধ চোখে। এটা তিনি করছেন তাঁর শয্যায় শরীর এলিয়ে দিয়ে। বাইরের জগৎ এবং তাঁর মধ্যে ব্যবধান বলতে একটি কাচের দেয়াল। ‘ইকো-ট্যুরিজম’ নামের যে শব্দটির সঙ্গে আমরা পরিচিত, ইকুয়েডরের জঙ্গলের মাঝখানে অবস্থিত মাশপি লজের চেয়ে এর বড় উদাহরণ আর কিছু হতে পারে না।
জঙ্গলের মধ্যে অনেক উঁচু কোনো দালান নয় এটি। বিশাল সব কাচের জানালাসহ এর নকশা এভাবে করা হয়েছে, যেন জঙ্গল ও লজটির মধ্যে একটি নিবিড় সম্পর্ক থাকে।
হোটেলটি হয়তো ধনী পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে। তবে এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে স্থানীয় অধিবাসীদের জীবন। মাশপির শতকরা ৮০ শতাংশ কর্মচারী আশপাশের অঞ্চলের বাসিন্দা। পর্যটনের বিকাশ মানেই এখনকার মানুষের বেঁচে থাকার একটি অবলম্বন তৈরি হওয়া। এর বিকল্প পেশা তাঁদের কাছে বনের গাছ কাটা ও খনি থেকে স্বর্ণ আহরণ। আর এগুলো করেই এখানকার মূল প্রাকৃতিক অরণ্যের কেবল ২ শতাংশ অবশিষ্ট আছে আর। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
এই হতাশাজনক পরিসংখ্যানই কুইটোর সাবেক মেয়র রোক সেভিয়াকে ২০০১ সালে চকো ক্লাউড ফরেস্টের এক টুকরো জমি কিনতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এটা তিনি করেন শুধু সংরক্ষণের স্বার্থেই। তারপর তিনি ক্রমাগত জমি কিনতে থাকেন। এর ফলাফল ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি সংরক্ষিত বন, ৬ হাজার ১৭৮ একরের মাশপি রিজার্ভ।
একটি গাছও কাটা পড়েনি গোটা লজটি বানাতে। তবে এটি তৈরির উপকরণ সংগ্রহ করা হয়েছে আশপাশের এলাকা থেকে, যেন গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসারণ কম হয়।
গত এক দশকে মাশপি রিজার্ভের গবেষণায় ১৬টি নতুন প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা চকো ক্লাউড ফরেস্ট সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
লজের রেস্তোরাঁটিতে ব্যবহার করা বেশির ভাগ উপাদানের উৎস ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকা। এটি ১৫টি স্থানীয় পরিবারের জীবিকা নির্বাহে এবং নারী উদ্যোক্তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সাহায্য করে।

অরণ্যটি রক্ষায় এবং টেকসই পর্যটনের শক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় সম্প্রদায়কে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনার মিশন নিয়ে কাজ শুরু করা সেভিয়া একটি পুরোনো করাতকলের জায়গায় মাশপি লজ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। ‘আমি দেখতে চাই যে মাশপির অতিথিরা এই বিস্ময়কর বন সংরক্ষণের উৎসাহী একজন মানুষ হিসেবে তাঁদের বাড়িতে ফিরে যাবেন।’ তিনি বলেন। সেভিয়া আশা করেন, এখানকার জঙ্গল ভ্রমণে যে অভিজ্ঞতা হয়, তা-ই অতিথিদের অরণ্যের প্রতি ভালোবাসার জন্ম নেয়।
মাশপির একজন আবাসিক জীববিজ্ঞানীর নেতৃত্বে চকো ক্লাউড ফরেস্ট সম্পর্কে পরিচিতিমূলক কিছু আলোচনার পর পর্যটকদের একটি দলের সঙ্গে হয়তো আপনি মাশপির প্রধান আকর্ষণ ‘ড্রাগনফ্লাই ক্যানোপি গন্দোলা’য় চেপে বসবেন। এটি আসলে জঙ্গলের ওপর দিয়ে দুই কিলোমিটারের একটি কেব্ল কার রাইড।
ছাদ ছাড়া ধাতুর তৈরি কেব্ল কারটিতে ভ্রমণের সময় উঁচু উঁচু গাছগুলোর মাঝখান দিয়ে যাবেন। চাইলেই কোনো গাছের পাতা ছুঁয়ে দেখতে পারবেন। হয়তো বৃক্ষ শিখরে উঠে পড়া কোনো কাঠবিড়ালির দেখা মিলে যাবে। পাশ দিয়ে রঙিন ডানা মেলে উড়ে যাবে কোনো পাখি। ওপর থেকে নিচের অরণ্যও অন্য এক সৌন্দর্য নিয়ে ধরা দেবে আপনার চোখে। এত ওপরের আশ্চর্য শান্ত পরিবেশও আনন্দিত করবে আপনাকে।
এই যাত্রাপথে সঙ্গে থাকা গাইড হয়তো আপনাকে সংরক্ষণে মাশপি লজের নেওয়া নানা পদক্ষেপের বিষয় জানাবে। এখানকার বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষার উদ্দেশ্য নিয়েই এর পুরো নকশা করা হয়েছে। ‘বনের রক্ষক’ নামে পরিচয় করিয়ে দেওয়া সৌরশক্তিচালিত ১০টি অডিও রেকর্ডার বসিয়েছে মাশপি লজ কর্তৃপক্ষ সংরক্ষিত বনটির বিভিন্ন অংশে। এটি করাতের শব্দ শনাক্ত করতে এবং এই অবৈধ কার্যকলাপের বিষয়ে পার্কের রেঞ্জারদের সতর্ক করতে সক্ষম।
প্রাণীদের গতিবিধি ও চলাফেরা পরীক্ষার জন্য ক্যামেরা ট্র্যাপও বসানো হয়েছে জঙ্গলের নানা অংশে। লজের পাশের একটি ছোট পরীক্ষাগারে মাশপিস রিসার্চ সেন্টারের গবেষকেরা ক্যামেরাবন্দী হওয়া ছবিগুলো বিশ্লেষণ করেন। সংরক্ষিত বনটিতে ১৬টি নতুন প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মাশপি ম্যাগনোলিয়া নামের একটি উদ্ভিদ। এর কাণ্ডে বেড়ে ওঠে অর্কিডের মতো কয়েক ডজন পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ।
‘এ কারণেই এখানে গবেষণা করা এত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অনেক নতুন প্রজাতি আবিষ্কারের অপেক্ষায় আছে।’ বলেন মাশপির আবাসিক জীববিজ্ঞানী চিয়ারা করেরা। তিনি সংরক্ষিত এলাকাটির বন্য প্রাণী নিয়ে গবেষণা করছেন এবং লজের ধারেই বিজ্ঞানের কাছে নতুন এক জাতের অর্কিড আবিষ্কার করেছেন।
মেঘ-অরণ্যের বন্য প্রাণী, গাছপালা ও সংরক্ষণের প্রচেষ্টা সম্পর্কে জানতে পর্যটকদের জঙ্গলের গভীরে নিয়ে যাওয়ার কেবল একটি পদ্ধতি ক্যানোপি গন্দোলা। এ ছাড়া লজের ‘লাইফ সেন্টারে’ প্রজাপতি এবং এদের আচরণ সম্পর্কে জানানো হয়। আবার দুজন উঠতে পারেন গন্দোলার এমন একটি পা-চালিত সংস্করণ স্কাই বাইকে চেপেও জঙ্গলের অন্ধি-সন্ধিতে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়। এ সময় হয়তো দেখা হয়ে যেতে পারে খুদে পাখি হামিংবার্ডদের সঙ্গে।
শুধু জঙ্গলে ঘুরে বেড়ালে তো হবে না, খেতেও হবে। লজের ডাইনিং রুমে চারপাশের অরণ্যের দৃশ্য উপভোগ করতে করতে তিন বেলা খেতে পারবেন। মেন্যু ঋতুভেদে বদলায় এবং জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন উদ্ভিদ স্বাদে, গন্ধে খাবারগুলোকে করে তুলে অনন্য। যেমন বন্য রসুন এবং চিল্লাগুয়া (ধনেপাতার মতো) ব্যবহার করা হয় এখানকার নানা পদের খাবারে।
হয়তো সবজিতে ভরপুর একটি ‘মাউন্টেন স্টু’ ভাজা কাঁচা কলার পাশে প্লেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে আপনার। এতে শোভা বর্ধক হিসেবে থাকবে খাওয়ার উপযোগী ফুল। আখের রসের সঙ্গে মিষ্টি আনারস দিয়েও একটি পদ পরিবেশন করা হতে পারে।
বেশির ভাগ উপাদানই লজের ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়। ইকুয়েডরের নারীদের একটি নিয়মিত আয়ের উৎস তৈরির জন্য নারী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে কেনা হয় মধু, জ্যামসহ অনেক জিনিসই।
রাতেও গাইড জঙ্গল ভ্রমণে নিয়ে যাবে আপনাকে। হেডল্যাম্পের আলোয় দেখবেন নানা ধরনের গাছ। হয়তো কোনো গাছে দেখা পেয়ে যাবেন একটি অপোসামের (বৃক্ষচর স্তন্যপায়ী প্রাণী), কিংবা চোখ আটকে যাবে বিশ্রামরত কোনো ট্যারান্টুলা মাকড়সায়। সকালে লজের কাছের ৮৫ ফুট উঁচু অবজারভেশন টাওয়ারে দাঁড়ালেই চোখ জুড়িয়ে যাবে, দেখবেন মেঘেরা কীভাবে উঁচু গাছপালার ওপরে আর পাহাড়চূড়ায় জেঁকে বসেছে। তারপর যখন আশ্চর্য এই অরণ্য ও মাশপি লজ থেকে ফিরে আসবেন, আপনার মন চাইবে সেখানে কিংবা এমন কোনো মনোমুগ্ধকর রাজ্যে ফিরে যেতে এখনই তল্পিতল্পা গুছানো শুরু করতে।
সূত্র: বিবিসি

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

ইকুয়েডরের চকো ক্লাউড ফরেস্ট বিখ্যাত তার বৈচিত্র্যময় বন্য প্রাণী আর উদ্ভিদের জন্য। এখানকার উঁচু উঁচু সব গাছপালার ওপরে ঝুলে থাকে মেঘেরা। সম্প্রতি আরেকটি কারণে মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে অরণ্যটি। সেটি বনের মধ্যে তৈরি করা বিলাসবহুল এক হোটেল। জঙ্গলে সংরক্ষণেও কাজ করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
১২ অক্টোবর ২০২৩
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

ইকুয়েডরের চকো ক্লাউড ফরেস্ট বিখ্যাত তার বৈচিত্র্যময় বন্য প্রাণী আর উদ্ভিদের জন্য। এখানকার উঁচু উঁচু সব গাছপালার ওপরে ঝুলে থাকে মেঘেরা। সম্প্রতি আরেকটি কারণে মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে অরণ্যটি। সেটি বনের মধ্যে তৈরি করা বিলাসবহুল এক হোটেল। জঙ্গলে সংরক্ষণেও কাজ করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
১২ অক্টোবর ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

ইকুয়েডরের চকো ক্লাউড ফরেস্ট বিখ্যাত তার বৈচিত্র্যময় বন্য প্রাণী আর উদ্ভিদের জন্য। এখানকার উঁচু উঁচু সব গাছপালার ওপরে ঝুলে থাকে মেঘেরা। সম্প্রতি আরেকটি কারণে মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে অরণ্যটি। সেটি বনের মধ্যে তৈরি করা বিলাসবহুল এক হোটেল। জঙ্গলে সংরক্ষণেও কাজ করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
১২ অক্টোবর ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

ইকুয়েডরের চকো ক্লাউড ফরেস্ট বিখ্যাত তার বৈচিত্র্যময় বন্য প্রাণী আর উদ্ভিদের জন্য। এখানকার উঁচু উঁচু সব গাছপালার ওপরে ঝুলে থাকে মেঘেরা। সম্প্রতি আরেকটি কারণে মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে অরণ্যটি। সেটি বনের মধ্যে তৈরি করা বিলাসবহুল এক হোটেল। জঙ্গলে সংরক্ষণেও কাজ করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
১২ অক্টোবর ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে