সাইফুল মাসুম, ঢাকা
করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর মধ্যে পর্যটন খাতকে অন্যতম খাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আজ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) পর্যটন খাতের হোটেল–মোটেল, থিম পার্কের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৪ শতাংশ সুদে এক হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হোটেল মোটেল থিম পার্ক সুবিধা পেলেও, পর্যটন সেক্টরের বড়ই অংশই এই প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হবে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হোটেল মোটেল পর্যটনের উপ খাতগুলোর একটি। ট্যুর অপারেটর হচ্ছে পর্যটনের ব্যবসায়ী। শুধু হোটেল মোটেল থিম পার্কে দিলে তো পর্যটনের অন্য খাতগুলোর কোন কাজে আসবে না। আমরা দাবি জানিয়েছি, পর্যটন ট্যুর অপারেটরদের সরাসরি ঋণ সুবিধা দেওয়া হোক। সাহায্য, রেশন, প্রণোদনা দিলেই ট্যুর অপারেটরা উপকৃত হবে। যে কোন দেশের পর্যটন শিল্পে প্রধান স্টেক হোল্ডার হচ্ছে ট্যুর অপারেটর। বিশেষ করে ট্যুর অপারেটরেরা যাতে সুবিধা পায় সেই বিষয়ে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।’
প্রণোদনা থেকে পর্যটনের বড় অংশ বাদ পড়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ টুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর বলেন, ‘এখানে মার্ক করে দিয়েছে কারা প্রণোদনা পাবে। এর বাইরে ট্যুর অপারেটর ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর গাইডসহ পর্যটনের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যারা আছে তাদের বিষয়ে কিছু বলা নেই। তারাই করোনাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বিশাল অংশকে বাদ দিয়ে পর্যটনের একটা অংশকে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের প্রস্তাব পর্যটনের সকল সেক্টরকে প্রণোদনার আওতায় আনা হোক।’
তবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাম উল্লেখ না করলেও পর্যটন খাতের সব সেক্টর এই প্রণোদনার সুবিধা পাবে। আজ কেবল ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, দেখা যাক কী হয়। তবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত সবাই যেন এই সুবিধা পায় সেটা আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো।’
এদিকে সরকারের এই প্রণোদনা ঘোষণাকে স্বাগতম জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিহা)। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মহাসিন হক হিমেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছর সেবা খাতের আওতায় হোটেল মোটেল জন্যও প্রণোদনা ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংক থেকে হোটেল মোটেল কেউই ঋণ পায়নি। এই বছর প্রণোদনা ঘোষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। এখন এটার বাস্তবায়ন কীভাবে হবে জানি না। বিষয়টা আমরা আবেদন করার পর বুঝতে পারবো। এক হাজার না, পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েও লাভ নেই। যদি আমরা প্রণোদনার এক পয়সাও না পেয়ে থাকি।’
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) তথ্যমতে, ২০২০ সালে করোনার কারণে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের ক্ষতির পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। শুধু টোয়াব সদস্যদের ক্ষতি হয়েছে পাঁচ হাজার সাত শত কোটি টাকা। আর চলতি বছরের মার্চ থেকে সবকিছু স্থবির হওয়ায় পর্যটন খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ছে। চলমান পরিস্থিতি আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকলে টোয়াব সদস্যদের ক্ষতির পরিমান প্রায় নয় হাজার কোটি টাকার বেশি হতে পারে। বাংলাদেশ টুরিজম অ্যান্ড হোটেলস ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ ফেডারেশন জানিয়েছেন, করোনায় পর্যটন খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। আর এই খাতের প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কর্মচারী কর্মহীন হয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর মধ্যে পর্যটন খাতকে অন্যতম খাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আজ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) পর্যটন খাতের হোটেল–মোটেল, থিম পার্কের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৪ শতাংশ সুদে এক হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হোটেল মোটেল থিম পার্ক সুবিধা পেলেও, পর্যটন সেক্টরের বড়ই অংশই এই প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হবে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হোটেল মোটেল পর্যটনের উপ খাতগুলোর একটি। ট্যুর অপারেটর হচ্ছে পর্যটনের ব্যবসায়ী। শুধু হোটেল মোটেল থিম পার্কে দিলে তো পর্যটনের অন্য খাতগুলোর কোন কাজে আসবে না। আমরা দাবি জানিয়েছি, পর্যটন ট্যুর অপারেটরদের সরাসরি ঋণ সুবিধা দেওয়া হোক। সাহায্য, রেশন, প্রণোদনা দিলেই ট্যুর অপারেটরা উপকৃত হবে। যে কোন দেশের পর্যটন শিল্পে প্রধান স্টেক হোল্ডার হচ্ছে ট্যুর অপারেটর। বিশেষ করে ট্যুর অপারেটরেরা যাতে সুবিধা পায় সেই বিষয়ে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।’
প্রণোদনা থেকে পর্যটনের বড় অংশ বাদ পড়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ টুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর বলেন, ‘এখানে মার্ক করে দিয়েছে কারা প্রণোদনা পাবে। এর বাইরে ট্যুর অপারেটর ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর গাইডসহ পর্যটনের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যারা আছে তাদের বিষয়ে কিছু বলা নেই। তারাই করোনাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বিশাল অংশকে বাদ দিয়ে পর্যটনের একটা অংশকে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের প্রস্তাব পর্যটনের সকল সেক্টরকে প্রণোদনার আওতায় আনা হোক।’
তবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাম উল্লেখ না করলেও পর্যটন খাতের সব সেক্টর এই প্রণোদনার সুবিধা পাবে। আজ কেবল ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, দেখা যাক কী হয়। তবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত সবাই যেন এই সুবিধা পায় সেটা আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো।’
এদিকে সরকারের এই প্রণোদনা ঘোষণাকে স্বাগতম জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিহা)। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মহাসিন হক হিমেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছর সেবা খাতের আওতায় হোটেল মোটেল জন্যও প্রণোদনা ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংক থেকে হোটেল মোটেল কেউই ঋণ পায়নি। এই বছর প্রণোদনা ঘোষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। এখন এটার বাস্তবায়ন কীভাবে হবে জানি না। বিষয়টা আমরা আবেদন করার পর বুঝতে পারবো। এক হাজার না, পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েও লাভ নেই। যদি আমরা প্রণোদনার এক পয়সাও না পেয়ে থাকি।’
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) তথ্যমতে, ২০২০ সালে করোনার কারণে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের ক্ষতির পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। শুধু টোয়াব সদস্যদের ক্ষতি হয়েছে পাঁচ হাজার সাত শত কোটি টাকা। আর চলতি বছরের মার্চ থেকে সবকিছু স্থবির হওয়ায় পর্যটন খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ছে। চলমান পরিস্থিতি আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকলে টোয়াব সদস্যদের ক্ষতির পরিমান প্রায় নয় হাজার কোটি টাকার বেশি হতে পারে। বাংলাদেশ টুরিজম অ্যান্ড হোটেলস ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ ফেডারেশন জানিয়েছেন, করোনায় পর্যটন খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। আর এই খাতের প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কর্মচারী কর্মহীন হয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
১২ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
২০ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
২১ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে