
আজ এভারেস্ট জয়ের ৭০ বছর পূর্তি। ১৯৫৩ সালের এই দিনে এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে প্রথম মানুষ হিসেবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়াটিতে পা রাখেন। আর পর্বতারোহীদের এভারেস্ট জয়ের অভিযান শুরু হয় বেস ক্যাম্প থেকে। এভারেস্টের বেস ক্যাম্প এখনই কেন সরানো হচ্ছে না তাই জানাব আজ পাঠকদের।
নেপালের পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত বছরের জুনে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়াটির বেস ক্যাম্প আরও নিচের দিকে সরিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানায়। কারণ জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের নানা কর্মকাণ্ড একে অনিরাপদ করে তুলেছে।
ক্যাম্পটির অবস্থান খুম্বু হিমবাহ এলাকায় যেটি ক্রমেই পাতলা হয়ে যাচ্ছে। এটা প্রতি বছর এটি অতিক্রম করা শত শত পর্বতারোহীর জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
তবে শেরপা ও পর্বতারোহণ নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার বিরোধিতায় এটি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। এদিকে শেরপা নেতারা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, সরানোর সিদ্ধান্তটি বাস্তবসম্মত নয় এবং এর ভালো কোনো বিকল্প জায়গাও নেই।
পর্বতারোহণ শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে পরিচিত শেরপাদের চিন্তা–ভাবনাটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। পর্বতারোহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনায় ৯৫ শতাংশই বেস ক্যাম্পে সরানোর ব্যাপারে আপত্তির কথা জানিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে, নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ও নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন।
অর্থাৎ আপাতত বেস ক্যাম্প সরানোর পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে, বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ চলমান আছে বলেও জানানো হয়।
বেস ক্যাম্প সরানোর পরিকল্পনা সমর্থন করেন না শেরপারা
‘আমাদের সম্প্রদায়ের এমন একজনকেও পাইনি যে এভারেস্টের বেস ক্যাম্প সরানোয় পরিকল্পনাকে সমর্থন করে,’ বলেন বেস ক্যাম্পসহ এভারেস্টের বেশির ভাগ অংশ খুম্বু পাসাংলহামু নামের যে অঞ্চলের অংশ তার প্রধান মিনগামা শেরপা, ‘নিকট ভবিষ্যতে বেস ক্যাম্প সরানোর কোনো কারণ আমরা দেখি না।’
নেপাল ন্যাশনাল মাউন্টেন গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান আং নরবু শেরপার কণ্ঠেও একই সুর। তিনি বলেন, ‘গত ৭০ বছর ধরে এখানে আছে এটি। তারা কেন এখন এটা সরাবে? আর যদি এটা করতে চায়ও বিকল্প কোনো জায়গার ব্যাপারে কি কোনো সমীক্ষা হয়েছে?’
নেপালের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যটন মন্ত্রী সুদান কিরাতি জানান, এটা এখনই করার মতো কিছু নয়। ‘বেস ক্যাম্প সরানোর ব্যাপারে কোনো দিক থেকেই কারও আগ্রহ দেখছি না।’ বলেন তিনি।
পাতলা হচ্ছে হিমবাহ, তৈরি হচ্ছে ঝুঁকি
যখন গত বছর সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা পরিকল্পনার কথা জানান, তখন বলেছিলেন নতুন বেস ক্যাম্প বর্তমান বেস ক্যাম্প থেকে ২০০ থেকে ৪০০ মিটার (৬৫৬ থেকে ১৩১২ ফুট) নিচে হবে। বর্তমান বেস ক্যাম্পের উচ্চতা ৫৩৬৪ মিটার (১৭,৫৯৮ ফুট)।
পরিকল্পনা ছিল এটাকে এমন এক জায়গায় সরানো যেখানে কোনো হিমবাহ নেই। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে হিমবাহ গলার কারণে তৈরি হওয়া ঝুঁকি এড়ানোই ছিল এর উদ্দেশ্য।
বিজ্ঞানীদের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে হিমালয়ের আরও অনেক হিমবাহের মতো খুম্বু হিমবাহও ক্রমেই গলছে। লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ২০১৮ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে হিমবাহের বেস ক্যাম্পের কাছের অংশটি প্রতি বছর এক মিটার করে পাতলা হচ্ছে।
মাঠপর্যায়ের পরীক্ষায় আরও দেখা গেছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ হিমবাহের পুকুর ও হ্রদগুলো একত্র হচ্ছে এবং ছড়িয়ে পড়ছে। যা পর্বতারোহীদের জন্য নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।
পর্বতারোহী ও কর্মকর্তারা জানান, বেস ক্যাম্পের পাশ দিয়েই এখন ঝরনাগুলো প্রবাহিত হচ্ছে, আর হিমবাহের ফাটলগুলো দ্রুত ও বিপজ্জনকভাবে চওড়া হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন হ্রদ ও পুকুরগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে জোড়া লাগছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে।
নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নিমা নুরু শেরপা জানান বৈশ্বিক উষ্ণ বৃদ্ধির কারণে যে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে সে সম্পর্কে তিনি সচেতন। ‘তবে সরিয়ে কোথায় আমরা বেস ক্যাম্পটা নেব সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি, আর তাই এর পক্ষে সে রকম সারা পাওয়া যাচ্ছে না।’ বলেন তিনি।
খুম্বু হিমবাহ ফ্যাক্টর
শেরপা সম্প্রদায়ের অনেক পর্বতারোহীই বলছেন সকালে যাত্রা শুরুর জন্য হিমবাহের বর্তমান অবস্থানটাই আদর্শ। কারণ এর পাশেই খুম্বু হিমবাহ, এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছানোর অভিযানে যেটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি।
শেরপা পর্বতারোহীরা বলেন খুম্বু হিমবাহ সকালের দিকে পেরোনোটা জরুরি, কারণ দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূর্য উত্তাপ ছড়ানোয় হিমবাহ ধস ও পাথর পতনের পরিমাণ বাড়ে।
‘ক্যাম্পটাকে নিচের দিকে নামিয়ে আনা মানে, তার মানে পর্বতারোহীদের আরও তিন ঘণ্টা বাড়তি যাত্রা, অর্থাৎ এটা বিপজ্জনক খুম্বুর দিকে তাদের যাত্রা দেরি করিয়ে দেবে।’ বলেন মিনগামা শেরপা।
গত ১২ এপ্রিল হিমবাহ পতনের কারণে খুম্বু হিমবাহে তিনজন শেরপা মারা যান।
মিনগামা শেরপা বলেন, এমনকি যদি বেস ক্যাম্প নিচে নামানোও হয় বেশিরভাগ অভিযাত্রী দল আগের জায়গাটিকে অ্যাডভান্স ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করবে খুম্বুর দিকে সকালে যাত্রা শুরুর জন্য।
প্রতি বছর এভারেস্টে পর্বতারোহী নিয়ে আসা অস্ট্রিয়ান ট্যুর অপারেটর লুকাস ফার্টেনব্যাচ মন্তব্য করেন, বেস ক্যাম্প সরিয়ে আনাটা যাত্রার প্রথম অংশটি অনেক দীর্ঘ করে ফেলবে।
বেস ক্যাম্পে ভিড়
তবে পর্বতারোহণের সঙ্গে জড়িত সবাই একটি বিষয়ে একমত, তা হলো বেস ক্যাম্পে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হচ্ছে।
এ মৌসুমে নেপাল পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহণের জন্য রেকর্ড ৪৭৮টি পারমিট দেয়। তার মানে সাহায্যকারীরাসহ পর্বতের ১৫০০–র বেশি মানুষ থাকবেন। পর্যটন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন অনুমতি দেওয়ার আগের রেকর্ড ছিল ৪০৩, সেটা ২০২১ সালে। নেপালের সরকার এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণের জন্য প্রত্যেক পর্বতারোহী থেকে ১১ হাজার ডলার নেয়। আর এভারেস্টের অভিযান শেরপা সম্প্রদায়ের লোকজন ও পর্বত পর্যটনের সঙ্গে জড়িত অন্যদের আয়ের বড় উৎস।
‘বিগত বছরগুলোতে বেস ক্যাম্পের আকার দ্বিগুণ হয়ে গেছে বলে জানান এক্সপিডিশন অপারেটর’স অ্যাসোসিয়েশন নেপালের প্রেসিডেন্ট দাম্বার পারাজুলি। এটি ইতিমধ্যে নাজুক হয়ে পড়া পরিবেশের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
‘এখানে আধুনিক সব সার্ভিস দেখতে পাবেন এখন, যেমন ম্যাসেজ পার্লারসহ বিনোদনের আরও নানা ব্যবস্থা। এ জন্য বিশাল তাঁবুসহ আরও নানা কাঠামো তৈরি হয়। কিন্তু এটা বিলাসিতার জায়গা নয়। আমরা সরকারকে বলব বেস ক্যাম্পে কোনটা বৈধ আর কোনটা করা যাবে না তার কঠোর গাইড লাইন তৈরি করতে।’ বলেন তিনি।
পর্যটন মন্ত্রী কিরাতি বলেন এ বিষয়গুলো সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। বলেন ‘কাঠমান্ডুতে যেমন দেখি তেমন একটি টুরিস্ট মার্কেটের মতো হয়ে গেছে বেস ক্যাম্প। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা দ্রুতই যাচাই করে এগুলো বন্ধ করে দেব। এ মুহূর্তে এ বিষয়টিই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’

আজ এভারেস্ট জয়ের ৭০ বছর পূর্তি। ১৯৫৩ সালের এই দিনে এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে প্রথম মানুষ হিসেবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়াটিতে পা রাখেন। আর পর্বতারোহীদের এভারেস্ট জয়ের অভিযান শুরু হয় বেস ক্যাম্প থেকে। এভারেস্টের বেস ক্যাম্প এখনই কেন সরানো হচ্ছে না তাই জানাব আজ পাঠকদের।
নেপালের পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত বছরের জুনে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়াটির বেস ক্যাম্প আরও নিচের দিকে সরিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানায়। কারণ জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের নানা কর্মকাণ্ড একে অনিরাপদ করে তুলেছে।
ক্যাম্পটির অবস্থান খুম্বু হিমবাহ এলাকায় যেটি ক্রমেই পাতলা হয়ে যাচ্ছে। এটা প্রতি বছর এটি অতিক্রম করা শত শত পর্বতারোহীর জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
তবে শেরপা ও পর্বতারোহণ নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার বিরোধিতায় এটি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। এদিকে শেরপা নেতারা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, সরানোর সিদ্ধান্তটি বাস্তবসম্মত নয় এবং এর ভালো কোনো বিকল্প জায়গাও নেই।
পর্বতারোহণ শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে পরিচিত শেরপাদের চিন্তা–ভাবনাটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। পর্বতারোহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনায় ৯৫ শতাংশই বেস ক্যাম্পে সরানোর ব্যাপারে আপত্তির কথা জানিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে, নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ও নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন।
অর্থাৎ আপাতত বেস ক্যাম্প সরানোর পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে, বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ চলমান আছে বলেও জানানো হয়।
বেস ক্যাম্প সরানোর পরিকল্পনা সমর্থন করেন না শেরপারা
‘আমাদের সম্প্রদায়ের এমন একজনকেও পাইনি যে এভারেস্টের বেস ক্যাম্প সরানোয় পরিকল্পনাকে সমর্থন করে,’ বলেন বেস ক্যাম্পসহ এভারেস্টের বেশির ভাগ অংশ খুম্বু পাসাংলহামু নামের যে অঞ্চলের অংশ তার প্রধান মিনগামা শেরপা, ‘নিকট ভবিষ্যতে বেস ক্যাম্প সরানোর কোনো কারণ আমরা দেখি না।’
নেপাল ন্যাশনাল মাউন্টেন গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান আং নরবু শেরপার কণ্ঠেও একই সুর। তিনি বলেন, ‘গত ৭০ বছর ধরে এখানে আছে এটি। তারা কেন এখন এটা সরাবে? আর যদি এটা করতে চায়ও বিকল্প কোনো জায়গার ব্যাপারে কি কোনো সমীক্ষা হয়েছে?’
নেপালের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যটন মন্ত্রী সুদান কিরাতি জানান, এটা এখনই করার মতো কিছু নয়। ‘বেস ক্যাম্প সরানোর ব্যাপারে কোনো দিক থেকেই কারও আগ্রহ দেখছি না।’ বলেন তিনি।
পাতলা হচ্ছে হিমবাহ, তৈরি হচ্ছে ঝুঁকি
যখন গত বছর সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা পরিকল্পনার কথা জানান, তখন বলেছিলেন নতুন বেস ক্যাম্প বর্তমান বেস ক্যাম্প থেকে ২০০ থেকে ৪০০ মিটার (৬৫৬ থেকে ১৩১২ ফুট) নিচে হবে। বর্তমান বেস ক্যাম্পের উচ্চতা ৫৩৬৪ মিটার (১৭,৫৯৮ ফুট)।
পরিকল্পনা ছিল এটাকে এমন এক জায়গায় সরানো যেখানে কোনো হিমবাহ নেই। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে হিমবাহ গলার কারণে তৈরি হওয়া ঝুঁকি এড়ানোই ছিল এর উদ্দেশ্য।
বিজ্ঞানীদের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে হিমালয়ের আরও অনেক হিমবাহের মতো খুম্বু হিমবাহও ক্রমেই গলছে। লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ২০১৮ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে হিমবাহের বেস ক্যাম্পের কাছের অংশটি প্রতি বছর এক মিটার করে পাতলা হচ্ছে।
মাঠপর্যায়ের পরীক্ষায় আরও দেখা গেছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ হিমবাহের পুকুর ও হ্রদগুলো একত্র হচ্ছে এবং ছড়িয়ে পড়ছে। যা পর্বতারোহীদের জন্য নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।
পর্বতারোহী ও কর্মকর্তারা জানান, বেস ক্যাম্পের পাশ দিয়েই এখন ঝরনাগুলো প্রবাহিত হচ্ছে, আর হিমবাহের ফাটলগুলো দ্রুত ও বিপজ্জনকভাবে চওড়া হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন হ্রদ ও পুকুরগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে জোড়া লাগছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে।
নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নিমা নুরু শেরপা জানান বৈশ্বিক উষ্ণ বৃদ্ধির কারণে যে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে সে সম্পর্কে তিনি সচেতন। ‘তবে সরিয়ে কোথায় আমরা বেস ক্যাম্পটা নেব সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি, আর তাই এর পক্ষে সে রকম সারা পাওয়া যাচ্ছে না।’ বলেন তিনি।
খুম্বু হিমবাহ ফ্যাক্টর
শেরপা সম্প্রদায়ের অনেক পর্বতারোহীই বলছেন সকালে যাত্রা শুরুর জন্য হিমবাহের বর্তমান অবস্থানটাই আদর্শ। কারণ এর পাশেই খুম্বু হিমবাহ, এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছানোর অভিযানে যেটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি।
শেরপা পর্বতারোহীরা বলেন খুম্বু হিমবাহ সকালের দিকে পেরোনোটা জরুরি, কারণ দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূর্য উত্তাপ ছড়ানোয় হিমবাহ ধস ও পাথর পতনের পরিমাণ বাড়ে।
‘ক্যাম্পটাকে নিচের দিকে নামিয়ে আনা মানে, তার মানে পর্বতারোহীদের আরও তিন ঘণ্টা বাড়তি যাত্রা, অর্থাৎ এটা বিপজ্জনক খুম্বুর দিকে তাদের যাত্রা দেরি করিয়ে দেবে।’ বলেন মিনগামা শেরপা।
গত ১২ এপ্রিল হিমবাহ পতনের কারণে খুম্বু হিমবাহে তিনজন শেরপা মারা যান।
মিনগামা শেরপা বলেন, এমনকি যদি বেস ক্যাম্প নিচে নামানোও হয় বেশিরভাগ অভিযাত্রী দল আগের জায়গাটিকে অ্যাডভান্স ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করবে খুম্বুর দিকে সকালে যাত্রা শুরুর জন্য।
প্রতি বছর এভারেস্টে পর্বতারোহী নিয়ে আসা অস্ট্রিয়ান ট্যুর অপারেটর লুকাস ফার্টেনব্যাচ মন্তব্য করেন, বেস ক্যাম্প সরিয়ে আনাটা যাত্রার প্রথম অংশটি অনেক দীর্ঘ করে ফেলবে।
বেস ক্যাম্পে ভিড়
তবে পর্বতারোহণের সঙ্গে জড়িত সবাই একটি বিষয়ে একমত, তা হলো বেস ক্যাম্পে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হচ্ছে।
এ মৌসুমে নেপাল পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহণের জন্য রেকর্ড ৪৭৮টি পারমিট দেয়। তার মানে সাহায্যকারীরাসহ পর্বতের ১৫০০–র বেশি মানুষ থাকবেন। পর্যটন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন অনুমতি দেওয়ার আগের রেকর্ড ছিল ৪০৩, সেটা ২০২১ সালে। নেপালের সরকার এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণের জন্য প্রত্যেক পর্বতারোহী থেকে ১১ হাজার ডলার নেয়। আর এভারেস্টের অভিযান শেরপা সম্প্রদায়ের লোকজন ও পর্বত পর্যটনের সঙ্গে জড়িত অন্যদের আয়ের বড় উৎস।
‘বিগত বছরগুলোতে বেস ক্যাম্পের আকার দ্বিগুণ হয়ে গেছে বলে জানান এক্সপিডিশন অপারেটর’স অ্যাসোসিয়েশন নেপালের প্রেসিডেন্ট দাম্বার পারাজুলি। এটি ইতিমধ্যে নাজুক হয়ে পড়া পরিবেশের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
‘এখানে আধুনিক সব সার্ভিস দেখতে পাবেন এখন, যেমন ম্যাসেজ পার্লারসহ বিনোদনের আরও নানা ব্যবস্থা। এ জন্য বিশাল তাঁবুসহ আরও নানা কাঠামো তৈরি হয়। কিন্তু এটা বিলাসিতার জায়গা নয়। আমরা সরকারকে বলব বেস ক্যাম্পে কোনটা বৈধ আর কোনটা করা যাবে না তার কঠোর গাইড লাইন তৈরি করতে।’ বলেন তিনি।
পর্যটন মন্ত্রী কিরাতি বলেন এ বিষয়গুলো সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। বলেন ‘কাঠমান্ডুতে যেমন দেখি তেমন একটি টুরিস্ট মার্কেটের মতো হয়ে গেছে বেস ক্যাম্প। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা দ্রুতই যাচাই করে এগুলো বন্ধ করে দেব। এ মুহূর্তে এ বিষয়টিই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

আজ এভারেস্ট জয়ের ৭০ বছর পূর্তি। ১৯৫৩ সালের এই দিনে এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে প্রথম মানুষ হিসেবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়াটিতে পা রাখেন। আর পর্বতারোহীদের এভারেস্ট জয়ের অভিযান শুরু হয় বেস ক্যাম্প থেকে। এভারেস্টের বেস ক্যাম্প এখনই কেন সরানো হচ্ছে না তাই জানাব আজ পাঠকদের।
২৯ মে ২০২৩
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

আজ এভারেস্ট জয়ের ৭০ বছর পূর্তি। ১৯৫৩ সালের এই দিনে এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে প্রথম মানুষ হিসেবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়াটিতে পা রাখেন। আর পর্বতারোহীদের এভারেস্ট জয়ের অভিযান শুরু হয় বেস ক্যাম্প থেকে। এভারেস্টের বেস ক্যাম্প এখনই কেন সরানো হচ্ছে না তাই জানাব আজ পাঠকদের।
২৯ মে ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

আজ এভারেস্ট জয়ের ৭০ বছর পূর্তি। ১৯৫৩ সালের এই দিনে এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে প্রথম মানুষ হিসেবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়াটিতে পা রাখেন। আর পর্বতারোহীদের এভারেস্ট জয়ের অভিযান শুরু হয় বেস ক্যাম্প থেকে। এভারেস্টের বেস ক্যাম্প এখনই কেন সরানো হচ্ছে না তাই জানাব আজ পাঠকদের।
২৯ মে ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

আজ এভারেস্ট জয়ের ৭০ বছর পূর্তি। ১৯৫৩ সালের এই দিনে এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে প্রথম মানুষ হিসেবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়াটিতে পা রাখেন। আর পর্বতারোহীদের এভারেস্ট জয়ের অভিযান শুরু হয় বেস ক্যাম্প থেকে। এভারেস্টের বেস ক্যাম্প এখনই কেন সরানো হচ্ছে না তাই জানাব আজ পাঠকদের।
২৯ মে ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে