
প্রচণ্ড গরমে কাজ করার কারণে গর্ভবতী নারীদের মৃত সন্তান প্রসব ও গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে। এমনটিই বলছে ভারতের নারীদের নিয়ে নতুন এক সমীক্ষা। প্রতিবেদন অনুসারে, কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড গরমে গর্ভবতী নারীদের ঝুঁকির পরিমাণ আগের ধারণার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
গবেষকেরা বলছেন, গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি কেবল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ুর দেশের নারীদেরই নয়, যুক্তরাজ্যের মতো শীতপ্রধান দেশগুলোতেও প্রভাব ফেলতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বৈশ্বিকভাবে গর্ভবতী কর্মজীবী নারীদের জন্য স্বাস্থ্য উপদেশ জারির পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা।
ভারতের দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুর ৮০০ গর্ভবতী নারী এই গবেষণায় অংশ নেন। চেন্নাইয়ের শ্রী রামচন্দ্র ইনস্টিটিউট অব হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (এসআরআইএইচইআর) পাবলিক হেলথ ফ্যাকাল্টি ২০১৭ সালে এ গবেষণার উদ্যোগ নেয়।
গবেষণায় অংশ নেওয়া অর্ধেক নারীই এমনসব কাজ করেন যেখানে তাঁদের উচ্চমাত্রার উষ্ণ পরিবেশে দীর্ঘ সময় থাকতে হয়। যেমন—কৃষি, ইটভাটা এবং লবণের মাঠ। বাকিরা স্কুল ও হাসপাতালের মতো তুলনামূলক ঠান্ডা পরিবেশে কাজ করেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যেও অনেকে উচ্চ তাপমাত্রায় কাজ করে থাকেন।
মানবশরীরের জন্য সর্বোচ্চ সহনীয় তাপমাত্রার কোনো সর্বজনীন মাপকাঠি নেই। গবেষণার সঙ্গে জড়িত এক বিজ্ঞানী অধ্যাপক জেন হার্স্ট বলেন, ‘ (তাপের প্রভাব) আপনি যেটিতে অভ্যস্ত এবং আপনার দেহ যেটিতে অভ্যস্ত এর সঙ্গে সম্পর্কিত।’
তামিলনাড়ুর একটি শহর তিরুবন্নমলাইয়ে শসার খেতে কাজ করেন সুমতী। জরিপে অংশগ্রহণকারী গর্ভবতী নারীদের মধ্যে তিনি একজন। সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় সুমতি জানান, তিনি দুই ঘণ্টা ধরে খেত থেকে শসা তুলছেন। হাতের মোটা দস্তানা খুলে আঙুলের ডগায় হাত বুলিয়ে তিনি বলেন, ‘এই গরমে আমার হাত জ্বলে।’ শসার ছোট ছোট কাঁটা থেকে ত্বক রক্ষা করতে দস্তানা পরেন তিনি। তবে গরমে হাত ঘেমে একাকার হয়ে যায়, অত্যন্ত অস্বস্তি লাগে।
অথচ গ্রীষ্মকাল তখনো সে অর্থে শুরুই হয়নি। এরপরও তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কোঠা ছাড়িয়ে গেছে। আর আর্দ্রতার কারণে গরম অনুভূত হচ্ছেও বেশি। সুমতি বলেন, ‘আমার মুখও জ্বালা করে।’
স্কুলে রাঁধুনি হিসেবে কাজ করেই মূলত জীবিকা নির্বাহ করেন সুমতি। এরপর শসার খেতে কাজ করতে যান। স্কুলের রান্না করে দৈনিক মাত্র ২০০ রুপি পান তিনি। এ দিয়ে জীবনযাপনের ব্যয় মেটানো যায় না।
গবেষণায় অংশ নেওয়া নারীদের মধ্যে সুমতির গর্ভের সন্তান সবার আগে মারা গেছে। তিনি বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এত গরমে কাজ করে আমার অনেক ক্লান্ত লাগত।’ একদিন স্বামীর দুপুরের খাবার দিয়ে আসার সময় শরীর খারাপ করে। ওই সন্ধ্যায় চিকিৎসকের কাছে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, গর্ভে ১২ সপ্তাহের ভ্রূণটি আর জীবিত নেই!
সুমতির মতো পরিবেশে যেসব নারী কাজ করেন তাঁদের তুলনামূলক ঠান্ডা পরিবেশে কাজ করা নারীদের চেয়ে মৃত সন্তান জন্ম দেওয়া ও গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রসূতি বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা দ্য জর্জ ইনস্টিটিউটের গ্লোবাল উইমেনস হেলথের অধ্যাপক হার্স্ট বলেন, ‘গবেষণায় অংশ নেওয়া ভারতীয় নারীরা প্রকৃতপক্ষেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের মুখোমুখি হচ্ছেন।’
চলতি শতকের শেষ নাগাদ পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রাক–শিল্পযুগের চেয়ে প্রায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গর্ভবতী নারীদের বিপজ্জনক পরিণতির মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি মানুষের অস্তিত্বের হুমকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
পূর্ববর্তী গবেষণায় দীর্ঘ দাবদাহের কারণে অপরিণত শিশুর জন্ম এবং মৃত শিশুর জন্মের ঝুঁকি প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ গবেষণাগুলো সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে পরিচালনা করা হয়েছিল।
ভারতের এ গবেষণার ফলাফল বেশ উদ্বেগজনক বলে জানান অধ্যাপক হার্স্ট। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের গ্রীষ্মকাল আগের চেয়ে আরও উষ্ণ হয়ে উঠছে, যদিও সেখানে ভারতের মতো গরম পড়ে না। যুক্তরাজ্যের মতো অন্যান্য শীতপ্রধান অঞ্চলে অনেক কম তাপমাত্রা বৃদ্ধিতেও গর্ভাবস্থার ওপর এই প্রতিকূল প্রভাবগুলো দেখা যাচ্ছে।’
প্রচণ্ড গরমে কর্মজীবী নারীদের জন্য এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আন্তর্জাতিক পরামর্শ দেওয়া হয়নি।
এদিকে এসআরআইএইচইআর–এর জনস্বাস্থ্য অনুষদের অধ্যাপক বিদ্যা বেণু গোপাল, যিনি ভারতে গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন, বলেন, গরমে কাজ করা গর্ভবতী নারীরা নিজেকে রক্ষা করতে কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন:
ভারত সরকারের অর্থায়নে এ গবেষণায় তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ু প্রবাহ ও মানবদেহে তাপমাত্রার প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
তাপ কীভাবে এবং কেন গর্ভবতী নারীদের এবং গর্ভে বেড়ে ওঠা ভ্রূণের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে তা এখনো স্পষ্ট করে জানা যায়নি। আগের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, উচ্চ তাপমাত্রা ভ্রূণের হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে দিতে পারে এবং নাড়ির মাধ্যমে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দিতে পারে।
মায়ের দেহের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে, সেটি প্রশমিত করতে ভ্রূণ থেকে মায়ের শরীরে রক্ত ফিরে আসতে পারে।
সাবেক নার্স এবং এসআরআইএইচইআরের গবেষণার একজন গবেষক রেখা শানমুগামের ধারণা, এ ক্ষেত্রে শৌচাগারের অভাবও প্রভাব ফেলে থাকতে পারে।
আগের এক গবেষণায় দেখা গেছে, অনেকে খোলামাঠে প্রাকৃতিক কাজ সারতে চান না বলে পানি কম খান। এতে তাঁদের নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। তিনি বলেন, ‘ঝোপঝাড়ে নারীরা পোকামাকড় ও সাপের ভয় পান বা পুরুষেরা উঁকি দিতে পারে এ আশঙ্কা করেন। বাইরে নিরাপদ বোধ না করায় তাঁরা সারা দিন প্রস্রাব–পায়খানার বেগ আটকে রেখে বাড়িতে গিয়ে শৌচাগার ব্যবহার করেন।’
তামিলনাড়ুর জনস্বাস্থ্য বিষয়ক মহাপরিচালক ড. টিএস সেলবাবিনয়াগাম বলেন, এই গবেষণার ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে গর্ভবতী নারীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। তবে সম্ভবত আমাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার বিকল্পগুলোও দেখতে হবে।’
গর্ভাবস্থা ১২ সপ্তাহে পৌঁছালে কিছুটা আর্থিক চাপ লাঘব করতে রাজ্য সরকার দরিদ্র নারীদের ১৮ হাজার রুপি ভাতা দেয়। এই স্বল্প বেতনের কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি মূলত কর্মক্ষেত্রের কর্তাদের ওপর নির্ভর করে।

প্রচণ্ড গরমে কাজ করার কারণে গর্ভবতী নারীদের মৃত সন্তান প্রসব ও গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে। এমনটিই বলছে ভারতের নারীদের নিয়ে নতুন এক সমীক্ষা। প্রতিবেদন অনুসারে, কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড গরমে গর্ভবতী নারীদের ঝুঁকির পরিমাণ আগের ধারণার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
গবেষকেরা বলছেন, গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি কেবল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ুর দেশের নারীদেরই নয়, যুক্তরাজ্যের মতো শীতপ্রধান দেশগুলোতেও প্রভাব ফেলতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বৈশ্বিকভাবে গর্ভবতী কর্মজীবী নারীদের জন্য স্বাস্থ্য উপদেশ জারির পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা।
ভারতের দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুর ৮০০ গর্ভবতী নারী এই গবেষণায় অংশ নেন। চেন্নাইয়ের শ্রী রামচন্দ্র ইনস্টিটিউট অব হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (এসআরআইএইচইআর) পাবলিক হেলথ ফ্যাকাল্টি ২০১৭ সালে এ গবেষণার উদ্যোগ নেয়।
গবেষণায় অংশ নেওয়া অর্ধেক নারীই এমনসব কাজ করেন যেখানে তাঁদের উচ্চমাত্রার উষ্ণ পরিবেশে দীর্ঘ সময় থাকতে হয়। যেমন—কৃষি, ইটভাটা এবং লবণের মাঠ। বাকিরা স্কুল ও হাসপাতালের মতো তুলনামূলক ঠান্ডা পরিবেশে কাজ করেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যেও অনেকে উচ্চ তাপমাত্রায় কাজ করে থাকেন।
মানবশরীরের জন্য সর্বোচ্চ সহনীয় তাপমাত্রার কোনো সর্বজনীন মাপকাঠি নেই। গবেষণার সঙ্গে জড়িত এক বিজ্ঞানী অধ্যাপক জেন হার্স্ট বলেন, ‘ (তাপের প্রভাব) আপনি যেটিতে অভ্যস্ত এবং আপনার দেহ যেটিতে অভ্যস্ত এর সঙ্গে সম্পর্কিত।’
তামিলনাড়ুর একটি শহর তিরুবন্নমলাইয়ে শসার খেতে কাজ করেন সুমতী। জরিপে অংশগ্রহণকারী গর্ভবতী নারীদের মধ্যে তিনি একজন। সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় সুমতি জানান, তিনি দুই ঘণ্টা ধরে খেত থেকে শসা তুলছেন। হাতের মোটা দস্তানা খুলে আঙুলের ডগায় হাত বুলিয়ে তিনি বলেন, ‘এই গরমে আমার হাত জ্বলে।’ শসার ছোট ছোট কাঁটা থেকে ত্বক রক্ষা করতে দস্তানা পরেন তিনি। তবে গরমে হাত ঘেমে একাকার হয়ে যায়, অত্যন্ত অস্বস্তি লাগে।
অথচ গ্রীষ্মকাল তখনো সে অর্থে শুরুই হয়নি। এরপরও তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কোঠা ছাড়িয়ে গেছে। আর আর্দ্রতার কারণে গরম অনুভূত হচ্ছেও বেশি। সুমতি বলেন, ‘আমার মুখও জ্বালা করে।’
স্কুলে রাঁধুনি হিসেবে কাজ করেই মূলত জীবিকা নির্বাহ করেন সুমতি। এরপর শসার খেতে কাজ করতে যান। স্কুলের রান্না করে দৈনিক মাত্র ২০০ রুপি পান তিনি। এ দিয়ে জীবনযাপনের ব্যয় মেটানো যায় না।
গবেষণায় অংশ নেওয়া নারীদের মধ্যে সুমতির গর্ভের সন্তান সবার আগে মারা গেছে। তিনি বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এত গরমে কাজ করে আমার অনেক ক্লান্ত লাগত।’ একদিন স্বামীর দুপুরের খাবার দিয়ে আসার সময় শরীর খারাপ করে। ওই সন্ধ্যায় চিকিৎসকের কাছে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, গর্ভে ১২ সপ্তাহের ভ্রূণটি আর জীবিত নেই!
সুমতির মতো পরিবেশে যেসব নারী কাজ করেন তাঁদের তুলনামূলক ঠান্ডা পরিবেশে কাজ করা নারীদের চেয়ে মৃত সন্তান জন্ম দেওয়া ও গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রসূতি বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা দ্য জর্জ ইনস্টিটিউটের গ্লোবাল উইমেনস হেলথের অধ্যাপক হার্স্ট বলেন, ‘গবেষণায় অংশ নেওয়া ভারতীয় নারীরা প্রকৃতপক্ষেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের মুখোমুখি হচ্ছেন।’
চলতি শতকের শেষ নাগাদ পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রাক–শিল্পযুগের চেয়ে প্রায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গর্ভবতী নারীদের বিপজ্জনক পরিণতির মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি মানুষের অস্তিত্বের হুমকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
পূর্ববর্তী গবেষণায় দীর্ঘ দাবদাহের কারণে অপরিণত শিশুর জন্ম এবং মৃত শিশুর জন্মের ঝুঁকি প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ গবেষণাগুলো সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে পরিচালনা করা হয়েছিল।
ভারতের এ গবেষণার ফলাফল বেশ উদ্বেগজনক বলে জানান অধ্যাপক হার্স্ট। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের গ্রীষ্মকাল আগের চেয়ে আরও উষ্ণ হয়ে উঠছে, যদিও সেখানে ভারতের মতো গরম পড়ে না। যুক্তরাজ্যের মতো অন্যান্য শীতপ্রধান অঞ্চলে অনেক কম তাপমাত্রা বৃদ্ধিতেও গর্ভাবস্থার ওপর এই প্রতিকূল প্রভাবগুলো দেখা যাচ্ছে।’
প্রচণ্ড গরমে কর্মজীবী নারীদের জন্য এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আন্তর্জাতিক পরামর্শ দেওয়া হয়নি।
এদিকে এসআরআইএইচইআর–এর জনস্বাস্থ্য অনুষদের অধ্যাপক বিদ্যা বেণু গোপাল, যিনি ভারতে গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন, বলেন, গরমে কাজ করা গর্ভবতী নারীরা নিজেকে রক্ষা করতে কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন:
ভারত সরকারের অর্থায়নে এ গবেষণায় তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ু প্রবাহ ও মানবদেহে তাপমাত্রার প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
তাপ কীভাবে এবং কেন গর্ভবতী নারীদের এবং গর্ভে বেড়ে ওঠা ভ্রূণের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে তা এখনো স্পষ্ট করে জানা যায়নি। আগের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, উচ্চ তাপমাত্রা ভ্রূণের হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে দিতে পারে এবং নাড়ির মাধ্যমে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দিতে পারে।
মায়ের দেহের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে, সেটি প্রশমিত করতে ভ্রূণ থেকে মায়ের শরীরে রক্ত ফিরে আসতে পারে।
সাবেক নার্স এবং এসআরআইএইচইআরের গবেষণার একজন গবেষক রেখা শানমুগামের ধারণা, এ ক্ষেত্রে শৌচাগারের অভাবও প্রভাব ফেলে থাকতে পারে।
আগের এক গবেষণায় দেখা গেছে, অনেকে খোলামাঠে প্রাকৃতিক কাজ সারতে চান না বলে পানি কম খান। এতে তাঁদের নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। তিনি বলেন, ‘ঝোপঝাড়ে নারীরা পোকামাকড় ও সাপের ভয় পান বা পুরুষেরা উঁকি দিতে পারে এ আশঙ্কা করেন। বাইরে নিরাপদ বোধ না করায় তাঁরা সারা দিন প্রস্রাব–পায়খানার বেগ আটকে রেখে বাড়িতে গিয়ে শৌচাগার ব্যবহার করেন।’
তামিলনাড়ুর জনস্বাস্থ্য বিষয়ক মহাপরিচালক ড. টিএস সেলবাবিনয়াগাম বলেন, এই গবেষণার ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে গর্ভবতী নারীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। তবে সম্ভবত আমাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার বিকল্পগুলোও দেখতে হবে।’
গর্ভাবস্থা ১২ সপ্তাহে পৌঁছালে কিছুটা আর্থিক চাপ লাঘব করতে রাজ্য সরকার দরিদ্র নারীদের ১৮ হাজার রুপি ভাতা দেয়। এই স্বল্প বেতনের কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি মূলত কর্মক্ষেত্রের কর্তাদের ওপর নির্ভর করে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

প্রচণ্ড গরমে কাজ করার কারণে গর্ভবতী নারীদের মৃত সন্তান প্রসব ও গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে। এমনটিই বলছে ভারতের নারীদের নিয়ে নতুন এক সমীক্ষা। প্রতিবেদন অনুসারে, কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড গরমে গর্ভবতী নারীদের ঝুঁকির পরিমাণ আগের ধারণার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
২৪ মার্চ ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

প্রচণ্ড গরমে কাজ করার কারণে গর্ভবতী নারীদের মৃত সন্তান প্রসব ও গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে। এমনটিই বলছে ভারতের নারীদের নিয়ে নতুন এক সমীক্ষা। প্রতিবেদন অনুসারে, কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড গরমে গর্ভবতী নারীদের ঝুঁকির পরিমাণ আগের ধারণার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
২৪ মার্চ ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

প্রচণ্ড গরমে কাজ করার কারণে গর্ভবতী নারীদের মৃত সন্তান প্রসব ও গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে। এমনটিই বলছে ভারতের নারীদের নিয়ে নতুন এক সমীক্ষা। প্রতিবেদন অনুসারে, কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড গরমে গর্ভবতী নারীদের ঝুঁকির পরিমাণ আগের ধারণার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
২৪ মার্চ ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

প্রচণ্ড গরমে কাজ করার কারণে গর্ভবতী নারীদের মৃত সন্তান প্রসব ও গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে। এমনটিই বলছে ভারতের নারীদের নিয়ে নতুন এক সমীক্ষা। প্রতিবেদন অনুসারে, কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড গরমে গর্ভবতী নারীদের ঝুঁকির পরিমাণ আগের ধারণার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
২৪ মার্চ ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে