রাকিবুল ইসলাম (গাংনী) মেহেরপুর
নগরায়ণসহ নানা কারণে কাটা পড়ছে রাস্তার, বাড়ির পাশের, বাগানসহ বিভিন্ন জায়গার গাছ। ছোট-বড় সব ধরনের গাছ কাটা হচ্ছে। এতে প্রকৃতি যেমন হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য, তেমনি পাখিরা হারাচ্ছে আশ্রয়স্থল। পাখিদের বড় বিপদ হয় ঝড়-বৃষ্টির সময়। রাস্তা, বাড়ির পাশ ও বাগানের যেসব গাছের ডালে পাখিদের আশ্রয়স্থল, তার অনেকগুলোই কাটা পড়ায় নিজের ও ছানাপোনাদের জন্য নিরাপদ জায়গা খুঁজে পেতে বেগ হতে হচ্ছে তাদের।
এই চিত্র এখন মোটামুটি গোটা দেশের। ব্যতিক্রম নয় মেহেরপুরের গাংনীও। পাখি ও পরিবেশপ্রেমীদের মতে, বর্তমানে যেভাবে গাছ কাটা হচ্ছে, সেই হারে রোপণ করা হচ্ছে না। এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য দিনে দিনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পাখিরা আছে বিপদে।
দেবীপুর গ্রামের পাখিপ্রেমী জোনায়েদ আহমেদ বলেন, ‘মানুষ এখন না বুঝে অবাধে গাছ কেটে ফেলছে। এ জন্য ভবিষ্যতে বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে যাচ্ছি আমরা। তা ছাড়া গাছগুলোতে যেসব পাখির বাসা ছিল, তারা নতুন আশ্রয়ের জন্য ছুটে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন দিকে। আমার বাড়িতেও কিছু ছোট ছোট পাখি রয়েছে। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মোটা বাঁশ কেটে ফোকর করে দিয়েছি। এ ছাড়া অনেক জায়গায় ঝুড়ি বেঁধে দিয়েছি, যাতে ঝড়-ঝাপটার সময় পাখিরা নিরাপদ আশ্রয় পায়।’
পথচারী মো. আবুল বাশার বলেন, ‘কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কে ছোট-বড় অনেক গাছ ছিল। দেখতে চমৎকার লাগত। রাস্তা প্রশস্ত করার কারণে সেখানকার সমস্ত গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আশ্রয় হারিয়ে পাখিগুলো হয়তো দূরে কোথাও চলে গেছে। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, এই রাস্তার পাশে যেন গাছ লাগিয়ে আবার আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা হয়। আর যেসব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বৃক্ষ রোপণ করছে, তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।’
উপজেলার চককল্যাণপুর গ্রামের রানা আহমেদ বলেন, ‘ছোটবেলায় বাড়ির আশপাশে ও বাগান গাছগাছালি পরিপূর্ণ দেখেছি। কিন্তু এখন যেভাবে গাছ নিধন চলছে, সেই পরিমাণ গাছ লাগানো হচ্ছে না। এ জন্যই পাখিরা হারাচ্ছে তাদের নিরাপদ আশ্রয়। গাছে গাছে কত বাবুই পাখির বাসা দেখতাম। কিন্তু সেসব আজ প্রায় বিলীনের পথে। মাঝে মাঝে হঠাৎ নারিকেল বা তালগাছে একটি-দুটি বাসা চোখে পড়ে।’
বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল বলেন, ‘যে পরিমাণ গাছ কাটা হয়, সেই সংখ্যার যদি আবার রোপণ করা হয়, তাহলে এই ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। তা ছাড়া গাছ কাটায় পাখিরা হারায় তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। আমাদের সবার উচিত গাছ লাগানো। আমার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেসব ফাঁকা রাস্তা রয়েছে, সেখানে রাস্তার ধারে গাছ লাগানো হবে। গাছগুলো বড় হলে পাখিরা আবার নতুন করে বাসা বেঁধে থাকতে পারবে।’
গাংনী উপজেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসটি হামীম হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিবছরই বৃক্ষ রোপণ করে থাকি। চলতি বছরের জুন ও জুলাই মাসে ৬ হাজার চারা রোপণ করা হবে। বড় গাছগুলো কাটার কারণে পাখিরা তাদের নিরাপদ আশ্রয় হারাচ্ছে। তাই অধিক চারা রোপণ করতে হবে। আর চারাগুলো বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের পাখি বাসা বেঁধে নিজেদের আশ্রয় তৈরি করবে।’
নগরায়ণসহ নানা কারণে কাটা পড়ছে রাস্তার, বাড়ির পাশের, বাগানসহ বিভিন্ন জায়গার গাছ। ছোট-বড় সব ধরনের গাছ কাটা হচ্ছে। এতে প্রকৃতি যেমন হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য, তেমনি পাখিরা হারাচ্ছে আশ্রয়স্থল। পাখিদের বড় বিপদ হয় ঝড়-বৃষ্টির সময়। রাস্তা, বাড়ির পাশ ও বাগানের যেসব গাছের ডালে পাখিদের আশ্রয়স্থল, তার অনেকগুলোই কাটা পড়ায় নিজের ও ছানাপোনাদের জন্য নিরাপদ জায়গা খুঁজে পেতে বেগ হতে হচ্ছে তাদের।
এই চিত্র এখন মোটামুটি গোটা দেশের। ব্যতিক্রম নয় মেহেরপুরের গাংনীও। পাখি ও পরিবেশপ্রেমীদের মতে, বর্তমানে যেভাবে গাছ কাটা হচ্ছে, সেই হারে রোপণ করা হচ্ছে না। এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য দিনে দিনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পাখিরা আছে বিপদে।
দেবীপুর গ্রামের পাখিপ্রেমী জোনায়েদ আহমেদ বলেন, ‘মানুষ এখন না বুঝে অবাধে গাছ কেটে ফেলছে। এ জন্য ভবিষ্যতে বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে যাচ্ছি আমরা। তা ছাড়া গাছগুলোতে যেসব পাখির বাসা ছিল, তারা নতুন আশ্রয়ের জন্য ছুটে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন দিকে। আমার বাড়িতেও কিছু ছোট ছোট পাখি রয়েছে। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মোটা বাঁশ কেটে ফোকর করে দিয়েছি। এ ছাড়া অনেক জায়গায় ঝুড়ি বেঁধে দিয়েছি, যাতে ঝড়-ঝাপটার সময় পাখিরা নিরাপদ আশ্রয় পায়।’
পথচারী মো. আবুল বাশার বলেন, ‘কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কে ছোট-বড় অনেক গাছ ছিল। দেখতে চমৎকার লাগত। রাস্তা প্রশস্ত করার কারণে সেখানকার সমস্ত গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আশ্রয় হারিয়ে পাখিগুলো হয়তো দূরে কোথাও চলে গেছে। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, এই রাস্তার পাশে যেন গাছ লাগিয়ে আবার আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা হয়। আর যেসব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বৃক্ষ রোপণ করছে, তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।’
উপজেলার চককল্যাণপুর গ্রামের রানা আহমেদ বলেন, ‘ছোটবেলায় বাড়ির আশপাশে ও বাগান গাছগাছালি পরিপূর্ণ দেখেছি। কিন্তু এখন যেভাবে গাছ নিধন চলছে, সেই পরিমাণ গাছ লাগানো হচ্ছে না। এ জন্যই পাখিরা হারাচ্ছে তাদের নিরাপদ আশ্রয়। গাছে গাছে কত বাবুই পাখির বাসা দেখতাম। কিন্তু সেসব আজ প্রায় বিলীনের পথে। মাঝে মাঝে হঠাৎ নারিকেল বা তালগাছে একটি-দুটি বাসা চোখে পড়ে।’
বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল বলেন, ‘যে পরিমাণ গাছ কাটা হয়, সেই সংখ্যার যদি আবার রোপণ করা হয়, তাহলে এই ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। তা ছাড়া গাছ কাটায় পাখিরা হারায় তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। আমাদের সবার উচিত গাছ লাগানো। আমার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেসব ফাঁকা রাস্তা রয়েছে, সেখানে রাস্তার ধারে গাছ লাগানো হবে। গাছগুলো বড় হলে পাখিরা আবার নতুন করে বাসা বেঁধে থাকতে পারবে।’
গাংনী উপজেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসটি হামীম হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিবছরই বৃক্ষ রোপণ করে থাকি। চলতি বছরের জুন ও জুলাই মাসে ৬ হাজার চারা রোপণ করা হবে। বড় গাছগুলো কাটার কারণে পাখিরা তাদের নিরাপদ আশ্রয় হারাচ্ছে। তাই অধিক চারা রোপণ করতে হবে। আর চারাগুলো বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের পাখি বাসা বেঁধে নিজেদের আশ্রয় তৈরি করবে।’
পাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১৩ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কমলেও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৮১, অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দুদিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানের লাহোর বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। এরপরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া ও ই
২১ ঘণ্টা আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ আজও ভয়াবহ মাত্রায় রয়েছে। আজ বুধবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি শহর, দৃশ্যময়তা কমে যাওয়ার ফলে পরিবহন ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়েছে। এর পরে আছে পাকিস্তানের শহর লাহোর...
২ দিন আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। এটি চলতি মরসুমে সর্বোচ্চ এবং ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে রয়েছে।
৩ দিন আগে