প্রতিনিধি
জৈন্তাপুর (সিলেট): ‘পান ও পানি’খ্যাত ছয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা। এই উপজেলায় রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোলিয়াম, পাথর, বালু, কয়লা, ইউরেনিয়াম, তেজপাতা, কমলালেবু, চা-বাগান, লাল শাপলা বিল এবং বেশ কয়েকটি পুরাকীর্তি। সম্পদ আর ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ জৈন্তাপুর পর্যটন উপজেলা হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে। মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশ হওয়ায় প্রাকৃতিক ঝরনাও রয়েছে অনেক। সম্প্রতি জৈন্তাপুর ইউনিয়নে তিনটি ঝরনার কথা জানা গেছে। স্থানীয়রা ছাড়া কেউই এগুলো সম্পর্কে জানত না। ঝরনাগুলো হলো শ্রীপুর চা-বাগান ঝরনা, শ্রীপুর মরা ঝরনা ও খড়মপুর আদুরি ঝরনা।
স্থানীয়রা জানান, অনেক দিন ধরেই ঝরনাগুলো আছে। কিন্তু লোকালয় থেকে দূরে হওয়ায় এত দিন বাইরের কারও চোখে পড়েনি। স্থানীয় গ্রামবাসী ও চা–বাগানের শ্রমিকেরা ছাড়া কেউ জানতেন না। এখন অনেকেই বেড়াতে যান। গ্রামের লোকজন, কৃষকেরা ঝরনার পানি ব্যবহার করেন। এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত এ তিনটি ঝরনা। এর মধ্যে সারা বছর পানির প্রবাহ থাকে শুধু খড়মপুর আদুরি ঝরনায়। স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন আদুরি ঝরনার পানি নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করেন।
স্থানীয় কয়েকজন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী বলেন, তাঁদের উপজেলায় ঝরনা রয়েছে তা তাঁদের জানা ছিল না। পরে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার ফাঁকে ঝরনা নিয়ে কথা বলার সময় জানতে পারেন চা-বাগানে এবং খড়মপুরে দুটি ঝরনা আছে। তাঁরা সেগুলো দেখতে যান, ছবি তোলেন ও পানিতে নেমে গোসল করেন। তাঁদের কাছে ঝরনাগুলো ভালো লেগেছে। দূর–দূরান্তে গিয়ে তাঁরা ঝরনা দেখতেন। বাড়ির পাশে ঝরনা আছে অথচ তা জানাই ছিল না তাঁদের। তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝরনার ছবি পোস্ট করার পর প্রতিদিন বন্ধুবান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী ঝরনার কথা জানতে চান। ঠিকানা দিচ্ছেন, তাঁরা ঘুরে এসে অনেক প্রশংসা করছেন।
বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি সোসাইটির সদস্য, ইমরান আহমদ সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, `ঝরনাগুলোর সন্ধান পেয়ে ছবি তুলতে চলে যাই। আমার কাছে ঝরনাগুলো অসাধারণ মনে হয়েছে। ঝরনাগুলো আমাদের উপজেলার পর্যটন খাতকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।'
বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত আজমেরী হক বলেন, এ সম্পর্কে তিনি এখনো কিছু জানেন না। সত্যিই যদি ঝরনাগুলো পর্যটন উপযোগী হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।
জৈন্তাপুর (সিলেট): ‘পান ও পানি’খ্যাত ছয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা। এই উপজেলায় রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোলিয়াম, পাথর, বালু, কয়লা, ইউরেনিয়াম, তেজপাতা, কমলালেবু, চা-বাগান, লাল শাপলা বিল এবং বেশ কয়েকটি পুরাকীর্তি। সম্পদ আর ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ জৈন্তাপুর পর্যটন উপজেলা হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে। মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশ হওয়ায় প্রাকৃতিক ঝরনাও রয়েছে অনেক। সম্প্রতি জৈন্তাপুর ইউনিয়নে তিনটি ঝরনার কথা জানা গেছে। স্থানীয়রা ছাড়া কেউই এগুলো সম্পর্কে জানত না। ঝরনাগুলো হলো শ্রীপুর চা-বাগান ঝরনা, শ্রীপুর মরা ঝরনা ও খড়মপুর আদুরি ঝরনা।
স্থানীয়রা জানান, অনেক দিন ধরেই ঝরনাগুলো আছে। কিন্তু লোকালয় থেকে দূরে হওয়ায় এত দিন বাইরের কারও চোখে পড়েনি। স্থানীয় গ্রামবাসী ও চা–বাগানের শ্রমিকেরা ছাড়া কেউ জানতেন না। এখন অনেকেই বেড়াতে যান। গ্রামের লোকজন, কৃষকেরা ঝরনার পানি ব্যবহার করেন। এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত এ তিনটি ঝরনা। এর মধ্যে সারা বছর পানির প্রবাহ থাকে শুধু খড়মপুর আদুরি ঝরনায়। স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন আদুরি ঝরনার পানি নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করেন।
স্থানীয় কয়েকজন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী বলেন, তাঁদের উপজেলায় ঝরনা রয়েছে তা তাঁদের জানা ছিল না। পরে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার ফাঁকে ঝরনা নিয়ে কথা বলার সময় জানতে পারেন চা-বাগানে এবং খড়মপুরে দুটি ঝরনা আছে। তাঁরা সেগুলো দেখতে যান, ছবি তোলেন ও পানিতে নেমে গোসল করেন। তাঁদের কাছে ঝরনাগুলো ভালো লেগেছে। দূর–দূরান্তে গিয়ে তাঁরা ঝরনা দেখতেন। বাড়ির পাশে ঝরনা আছে অথচ তা জানাই ছিল না তাঁদের। তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝরনার ছবি পোস্ট করার পর প্রতিদিন বন্ধুবান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী ঝরনার কথা জানতে চান। ঠিকানা দিচ্ছেন, তাঁরা ঘুরে এসে অনেক প্রশংসা করছেন।
বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি সোসাইটির সদস্য, ইমরান আহমদ সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, `ঝরনাগুলোর সন্ধান পেয়ে ছবি তুলতে চলে যাই। আমার কাছে ঝরনাগুলো অসাধারণ মনে হয়েছে। ঝরনাগুলো আমাদের উপজেলার পর্যটন খাতকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।'
বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত আজমেরী হক বলেন, এ সম্পর্কে তিনি এখনো কিছু জানেন না। সত্যিই যদি ঝরনাগুলো পর্যটন উপযোগী হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।
অতি মুনাফা ও বাজার অর্থনীতিই পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে সবার আগে এ বিষয়ে করণীয়...
১৮ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বায়ুদূষণের সূচকে বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান আজ দ্বিতীয়। সকাল ৬টায় ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয় ২৯১। মানসূচকে ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়...
২১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে নতুনভাবে বনায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
১ দিন আগেঅবিলম্বে প্রাণ-প্রকৃতি পুনরুদ্ধার ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৭০-২০৯০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজ এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প
২ দিন আগে