কপ–২৮ সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন বন্ধে আলোচনা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০: ২১
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১: ১৫

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে চলমান জলবায়ু সম্মেলনে (কপ২৮) অংশ নেওয়া দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন পর্যায়ক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য জাতিসংঘের শীর্ষ সম্মেলনের চূড়ান্ত চুক্তিতে বিষয়টি রাখা নিয়ে আলোচনা চলছে। গতকাল মঙ্গলবার এসংক্রান্ত আলোচনার একটি খসড়া চুক্তির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

কপ২৮ সম্মেলনের সম্ভাব্য চূড়ান্ত চুক্তির একটি খসড়া প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের জলবায়ু সংস্থা। চুক্তিতে বিবেচনায় নেওয়ার জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির বিষয় রয়েছে। দেশগুলো শেষ পর্যন্ত জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন বন্ধ করতে সম্মত হবে, নাকি এ বিষয়ে একটি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে, সে বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

খসড়া চুক্তিতে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। প্রথমটি হলো সুশৃঙ্খলভাবে পর্যায়ক্রমে জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন বন্ধ করা; দ্বিতীয়টি হলো অপ্রতিরোধ্য জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকে পর্যায়ক্রমে বন্ধের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানানো; আর তৃতীয়টি হলো, বিকল্প জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন বন্ধের বিষটি এড়াতে হবে। প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা বিকল্পগুলোর বিষয়ে বিবেচনা করবেন। 
কপ২৮-এর মূল আলোচনায় প্রধান কয়েকটি জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা তেল ও গ্যাসের পক্ষে তাঁদের যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের ব্যবহার কমানোর মতো জলবায়ুবান্ধব পদক্ষেপগুলোর ওপর জোর দেন তাঁরা।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার গ্লোবাল কার্বন বাজেট প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, জীবাশ্ম জ্বালানি জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে এবং ধ্বংসাত্মক চরম আবহাওয়ার জন্য দায়ী। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন এ বছর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। আর এতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে ভারত ও চীনে কয়লা, তেল ও গ্যাসের ব্যবহার। 

প্রতিবেদনে বিশ্বের ৯০টি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা অংশ নিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্বে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ৩৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত