অনলাইন ডেস্ক
চরম আবহাওয়ার কারণে অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগছে ২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি শিশু। ২০২২ সালে জলবায়ু সংকটের তীব্র প্রভাবে আগের বছরের তুলনায় ১৩৫ শতাংশ বেশি শিশু অনাহার ও অপুষ্টির শিকার হয়েছে। কপ–২৮ সম্মেলনের আগে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২০২২ সালের চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনাগুলোর কারণে প্রায় ১২টি দেশের ৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে পড়ে। সেভ দ্য চিলড্রেনের বিশ্লেষণ অনুসারে, সংকটে থাকা মানুষগুলোর প্রায় অর্ধেকই শিশু। এ উপাত্ত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ক্ল্যাসিফিকেশন বা আইপিসি স্কেলের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এটি ৫৮টি দেশের জরুরি ক্ষুধা পরিস্থিতি মূল্যায়নের একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা।
আইপিসি বলছে, খাদ্য সংকটে ভোগা দেশগুলোতে চরম আবহাওয়ার কারণে গত পাঁচ বছরে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৯ লাখ, ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৭০ লাখ।
গত বছর বিশেষ করে আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলের দেশগুলোতে চরম আবহাওয়া দেখা দেয়। এতে ২ কোটি ৭০ লাখ শিশু অনাহারের ঝুঁকিতে পড়ে।
আইপিসির তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে চরম আবহাওয়ার কারণে যে ১২টি দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেয়, তার মধ্যে রয়েছে— ইরাক, পাকিস্তান ও সোমালিয়া।
বেশ কয়েকবারই জলবায়ু সংকটের সবচেয়ে সংকটাপন্ন ছিল সোমালিয়া। দেশটিতে পরপর পাঁচটি বর্ষা মৌসুমে কোনো বৃষ্টি হয়নি। এবারও সোমালিয়ায় ব্যাপক বন্যার মতো চরম আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে ৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকই শিশু। এতে পরিবারগুলো খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এবারের বন্যা সোমালিয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে খরার মতোই বিধ্বংসী হতে পারে এবং এর কারণে লাখ লাখ শিশু অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগতে পারে।
গত বছর পাকিস্তানেও চরম আবহাওয়া ব্যাপক প্রভাব ফেলে এবং এর জন্য অনাহার দেখা দেয়। চরম আবহাওয়ার প্রভাবে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা হয়। এতে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর অর্ধেকই শিশু। এক বছর পর দেখা যাচ্ছে, বন্যা কবলিত ২০ লাখেরও বেশি শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে ৬ লাখই ভয়াবহ অপুষ্টির শিকার।
সেভ দ্য চিলড্রেনের বর্ন ইনটু দ্য ক্লাইমেট ক্রাইসিস প্রতিবেদনটি অনুসারে, বৈশ্বিকভাবে প্রায় ৭৭ কোটি ৪০ লাখ শিশু বা বিশ্বের মোট শিশুর তিন ভাগের একভাগই দারিদ্র্য ও উচ্চ জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঙ্গার অ্যাশিং বলেন, ‘এমন একটি বিশ্বে যেখানে দাবানল, বন্যা, খরা এবং হারিকেন ভয়ংকর নতুন স্বাভাবিক হয়ে উঠছে, শিশুরা আজ শুধু জলবায়ু জরুরি অবস্থার মুখোমুখিই হয় না, বরং ক্রমবর্ধমান বৈষম্য পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়।’
‘জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ঘটনাগুলো যত বেশি প্রকট হবে, শিশুদের জীবনে আমরা ততই এর ক্ষতিকর প্রভাব দেখতে পাব। চরম আবহাওয়ার কারণে ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় আরও ১৩৫ শতাংশ শিশু অনাহারের ঝুঁকিতে পড়েছে।’ যোগ করেন ইঙ্গার অ্যাশিং।
ইঙ্গার অ্যাশিং বলেন, ‘কপ–২৮ সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের অবশ্যই শিশুদের চাহিদা শুনতে হবে এবং তাঁদের প্রস্তাবিত সমাধানের অংশ হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা ছাড়া বৈশ্বিক অনাহারের সংকট কেবল খারাপই হবে এবং আরও লাখো মানুষ অনাহারের তালিকায় যুক্ত হবে।’
চরম আবহাওয়ার কারণে অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগছে ২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি শিশু। ২০২২ সালে জলবায়ু সংকটের তীব্র প্রভাবে আগের বছরের তুলনায় ১৩৫ শতাংশ বেশি শিশু অনাহার ও অপুষ্টির শিকার হয়েছে। কপ–২৮ সম্মেলনের আগে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২০২২ সালের চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনাগুলোর কারণে প্রায় ১২টি দেশের ৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে পড়ে। সেভ দ্য চিলড্রেনের বিশ্লেষণ অনুসারে, সংকটে থাকা মানুষগুলোর প্রায় অর্ধেকই শিশু। এ উপাত্ত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ক্ল্যাসিফিকেশন বা আইপিসি স্কেলের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এটি ৫৮টি দেশের জরুরি ক্ষুধা পরিস্থিতি মূল্যায়নের একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা।
আইপিসি বলছে, খাদ্য সংকটে ভোগা দেশগুলোতে চরম আবহাওয়ার কারণে গত পাঁচ বছরে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৯ লাখ, ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৭০ লাখ।
গত বছর বিশেষ করে আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলের দেশগুলোতে চরম আবহাওয়া দেখা দেয়। এতে ২ কোটি ৭০ লাখ শিশু অনাহারের ঝুঁকিতে পড়ে।
আইপিসির তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে চরম আবহাওয়ার কারণে যে ১২টি দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেয়, তার মধ্যে রয়েছে— ইরাক, পাকিস্তান ও সোমালিয়া।
বেশ কয়েকবারই জলবায়ু সংকটের সবচেয়ে সংকটাপন্ন ছিল সোমালিয়া। দেশটিতে পরপর পাঁচটি বর্ষা মৌসুমে কোনো বৃষ্টি হয়নি। এবারও সোমালিয়ায় ব্যাপক বন্যার মতো চরম আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে ৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকই শিশু। এতে পরিবারগুলো খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এবারের বন্যা সোমালিয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে খরার মতোই বিধ্বংসী হতে পারে এবং এর কারণে লাখ লাখ শিশু অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগতে পারে।
গত বছর পাকিস্তানেও চরম আবহাওয়া ব্যাপক প্রভাব ফেলে এবং এর জন্য অনাহার দেখা দেয়। চরম আবহাওয়ার প্রভাবে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা হয়। এতে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর অর্ধেকই শিশু। এক বছর পর দেখা যাচ্ছে, বন্যা কবলিত ২০ লাখেরও বেশি শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে ৬ লাখই ভয়াবহ অপুষ্টির শিকার।
সেভ দ্য চিলড্রেনের বর্ন ইনটু দ্য ক্লাইমেট ক্রাইসিস প্রতিবেদনটি অনুসারে, বৈশ্বিকভাবে প্রায় ৭৭ কোটি ৪০ লাখ শিশু বা বিশ্বের মোট শিশুর তিন ভাগের একভাগই দারিদ্র্য ও উচ্চ জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঙ্গার অ্যাশিং বলেন, ‘এমন একটি বিশ্বে যেখানে দাবানল, বন্যা, খরা এবং হারিকেন ভয়ংকর নতুন স্বাভাবিক হয়ে উঠছে, শিশুরা আজ শুধু জলবায়ু জরুরি অবস্থার মুখোমুখিই হয় না, বরং ক্রমবর্ধমান বৈষম্য পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়।’
‘জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ঘটনাগুলো যত বেশি প্রকট হবে, শিশুদের জীবনে আমরা ততই এর ক্ষতিকর প্রভাব দেখতে পাব। চরম আবহাওয়ার কারণে ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় আরও ১৩৫ শতাংশ শিশু অনাহারের ঝুঁকিতে পড়েছে।’ যোগ করেন ইঙ্গার অ্যাশিং।
ইঙ্গার অ্যাশিং বলেন, ‘কপ–২৮ সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের অবশ্যই শিশুদের চাহিদা শুনতে হবে এবং তাঁদের প্রস্তাবিত সমাধানের অংশ হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা ছাড়া বৈশ্বিক অনাহারের সংকট কেবল খারাপই হবে এবং আরও লাখো মানুষ অনাহারের তালিকায় যুক্ত হবে।’
পাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
৯ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কমলেও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৮১, অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দুদিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানের লাহোর বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। এরপরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া ও ই
১৭ ঘণ্টা আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ আজও ভয়াবহ মাত্রায় রয়েছে। আজ বুধবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি শহর, দৃশ্যময়তা কমে যাওয়ার ফলে পরিবহন ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়েছে। এর পরে আছে পাকিস্তানের শহর লাহোর...
২ দিন আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। এটি চলতি মরসুমে সর্বোচ্চ এবং ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে রয়েছে।
৩ দিন আগে