জাহাঙ্গীর আলম

সাধারণত চৈত্র ও বৈশাখ মাসে দেশে শিলাবৃষ্টি হয়। এই সময় তাপমাত্রা থাকে অনেক বেশি। ফলে ভূপৃষ্ঠের গরম বাতাস জলীয়বাষ্প নিয়ে দ্রুত ওপরের দিকে উঠতে থাকে। এতে ঊর্ধ্বমুখী একটা চাপ তৈরি হয়। এই চাপের কারণেই উল্লম্ব, বিস্তৃত ও ভারী মেঘমালা সৃষ্টি হতে দেখা যায়। বেশি তাপমাত্রার কারণে বিপুল পরিমাণ জলীয়বাষ্প ঊর্ধ্বমুখে ছুটতে থাকে। এতে নিচের বায়ুস্তরে দ্রুত তাপমাত্রা নেমে যায়। বিপুল স্তরীভূত মেঘ এবং চাপ ও তাপের ব্যাপক তারতম্যের কারণে চৈত্র–বৈশাখেই বজ্রপাত হয় বেশি। আকাশে ঘন ঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। বজ্রপাত সৃষ্টিকারী মেঘই কিন্তু শিল তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখে।
এককথায়, প্রবল বজ্রঝড়ের মেঘ থেকে শিলাবৃষ্টি হয়। বিশেষ করে যেই মেঘের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা, বিপুল তরল পানি, উল্লম্ব বিস্তৃতি, বড় পানির ফোঁটা এবং মেঘের স্তরের একটি বড় অংশের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে (শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস) থাকে সেই মেঘ থেকেই হয় শিলাবৃষ্টি।
বরফের টুকরার সঙ্গে শিলের বড় পার্থক্য রয়েছে। শীতের দেশে তুষার পাত দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু শিল হলো বরফের অনিয়মিত পিণ্ড বা পিণ্ডের সমষ্টি। বরফের টুকরা বা তুষার সাধারণত ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে। শীতকালের বরফ পিণ্ডগুলো সাধারণত ২–৫ মিলিমিটার ব্যাসের হয়। আর তুষার হয় গুঁড়োগুঁড়ো অথবা সুচাল। আর শিলের আকার হয় ৫ মিলিমিটার থেকে ১৫ সেন্টিমিটার।
শিলাবৃষ্টি নিয়ে নথিভুক্ত ইতিহাসে সবচেয়ে ভারী শিলটি পড়েছিল বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায়। ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভারী শিলটি পড়েছিল ১৯৮৬ সালের ১৪ এপ্রিল, বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায়। যেটির ওজন ছিল ১ দশমিক ০২ কেজি।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালের ১৪ এপ্রিল গোপালগঞ্জে ভয়াবহ শিলাবৃষ্টিতে সরকারি হিসাবে ৪০ জনের প্রাণহানি ঘটে, আহত হন আরও ৪০০ জন। পরে একাধিক প্রতিবেদনে নিহত ৯২ জন বলে জানানো হয়।
১৯৮৬ সালের ১৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী এক একটি শিলের আকার ছিল গ্রেইপফ্রুটের (জাম্বুরার মতো ফল) সমান। ৪০ জনের বেশি নিহত এবং ৪০০ জন আহত হয়েছেন। রাতের ওই শিলাবৃষ্টিতে শত শত বাড়ি, ফসলের খেত তছনছ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে এবং বিপুল পরিমাণ গাছ উপড়ে যায়।
আজ শনিবার রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা পরিষদ চত্বরের পাশে চান্দুর মোড় এলাকায় যে শিলটি পড়েছে সেটি ৫ কেজি ওজনের বলে দাবি করছেন স্থানীয় মুদি দোকানি হালিম বিশ্বাস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে শিলটি হাতে ধরা অবস্থায় তাঁকে বলতে শোনা গেছে, শিলটি পড়ে একটি অংশ ভেঙে গেছে। তখনই ছিল পাঁচ কেজি। যখন ভিডিওটি করা হয় ততক্ষণে এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। এরপরও তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি অনুভূত হচ্ছে বলে জানান হালিম বিশ্বাস।
ছবি ও ভিডিওতে দেখে অনুমান করা যায়, আয়তাকার শিলটির দৈর্ঘ্য হতে পারে প্রায় ৮ ইঞ্চি, আর প্রস্থে এর অর্ধেক। তবে আবহাওয়া অফিস বা কৃষি বিভাগ শিলটির আকার আকৃতির বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
এদিকে সবচেয়ে বড় ব্যাসযুক্ত শিলটি পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটার ভিভিয়ানে, ২০০৩ সালের ২২ জুন। সেটির ব্যাস ছিল ৭ দশমিক ৯ ইঞ্চি বা ২০ সেন্টিমিটার। এর পরিধি পরিমাপ করা হয় ১৭ দশমিক ৬২ ইঞ্চি বা ৪৭ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার।
বৃহত্তম পরিধির শিল পড়েছিল ২০০৩ সালের ২২ জুনে। যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের অরোরায়। এর পরিধি ছিল ১৮ দশমিক ৭৪ ইঞ্চি বা ৪৭ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার। আর এর ব্যাস ছিল ৭ ইঞ্চি বা ১৭ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার।
সবচেয়ে বেশি শিলাবৃষ্টি হয় কেনিয়ার কেরিচো এলাকায়। এখানে বছরে গড়ে ৫০ দিন শিলাবৃষ্টি হয়। এই এলাকাটি বিষুবরেখার খুব কাছাকাছি এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ২০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত হওয়ার কারণে তাপমাত্রা খুব বেশি থাকে। কেরিচোতে এক বছরে সর্বোচ্চ ১৩২ দিন শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত বিশ্ব রেকর্ড।

সাধারণত চৈত্র ও বৈশাখ মাসে দেশে শিলাবৃষ্টি হয়। এই সময় তাপমাত্রা থাকে অনেক বেশি। ফলে ভূপৃষ্ঠের গরম বাতাস জলীয়বাষ্প নিয়ে দ্রুত ওপরের দিকে উঠতে থাকে। এতে ঊর্ধ্বমুখী একটা চাপ তৈরি হয়। এই চাপের কারণেই উল্লম্ব, বিস্তৃত ও ভারী মেঘমালা সৃষ্টি হতে দেখা যায়। বেশি তাপমাত্রার কারণে বিপুল পরিমাণ জলীয়বাষ্প ঊর্ধ্বমুখে ছুটতে থাকে। এতে নিচের বায়ুস্তরে দ্রুত তাপমাত্রা নেমে যায়। বিপুল স্তরীভূত মেঘ এবং চাপ ও তাপের ব্যাপক তারতম্যের কারণে চৈত্র–বৈশাখেই বজ্রপাত হয় বেশি। আকাশে ঘন ঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। বজ্রপাত সৃষ্টিকারী মেঘই কিন্তু শিল তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখে।
এককথায়, প্রবল বজ্রঝড়ের মেঘ থেকে শিলাবৃষ্টি হয়। বিশেষ করে যেই মেঘের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা, বিপুল তরল পানি, উল্লম্ব বিস্তৃতি, বড় পানির ফোঁটা এবং মেঘের স্তরের একটি বড় অংশের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে (শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস) থাকে সেই মেঘ থেকেই হয় শিলাবৃষ্টি।
বরফের টুকরার সঙ্গে শিলের বড় পার্থক্য রয়েছে। শীতের দেশে তুষার পাত দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু শিল হলো বরফের অনিয়মিত পিণ্ড বা পিণ্ডের সমষ্টি। বরফের টুকরা বা তুষার সাধারণত ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে। শীতকালের বরফ পিণ্ডগুলো সাধারণত ২–৫ মিলিমিটার ব্যাসের হয়। আর তুষার হয় গুঁড়োগুঁড়ো অথবা সুচাল। আর শিলের আকার হয় ৫ মিলিমিটার থেকে ১৫ সেন্টিমিটার।
শিলাবৃষ্টি নিয়ে নথিভুক্ত ইতিহাসে সবচেয়ে ভারী শিলটি পড়েছিল বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায়। ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভারী শিলটি পড়েছিল ১৯৮৬ সালের ১৪ এপ্রিল, বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায়। যেটির ওজন ছিল ১ দশমিক ০২ কেজি।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালের ১৪ এপ্রিল গোপালগঞ্জে ভয়াবহ শিলাবৃষ্টিতে সরকারি হিসাবে ৪০ জনের প্রাণহানি ঘটে, আহত হন আরও ৪০০ জন। পরে একাধিক প্রতিবেদনে নিহত ৯২ জন বলে জানানো হয়।
১৯৮৬ সালের ১৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী এক একটি শিলের আকার ছিল গ্রেইপফ্রুটের (জাম্বুরার মতো ফল) সমান। ৪০ জনের বেশি নিহত এবং ৪০০ জন আহত হয়েছেন। রাতের ওই শিলাবৃষ্টিতে শত শত বাড়ি, ফসলের খেত তছনছ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে এবং বিপুল পরিমাণ গাছ উপড়ে যায়।
আজ শনিবার রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা পরিষদ চত্বরের পাশে চান্দুর মোড় এলাকায় যে শিলটি পড়েছে সেটি ৫ কেজি ওজনের বলে দাবি করছেন স্থানীয় মুদি দোকানি হালিম বিশ্বাস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে শিলটি হাতে ধরা অবস্থায় তাঁকে বলতে শোনা গেছে, শিলটি পড়ে একটি অংশ ভেঙে গেছে। তখনই ছিল পাঁচ কেজি। যখন ভিডিওটি করা হয় ততক্ষণে এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। এরপরও তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি অনুভূত হচ্ছে বলে জানান হালিম বিশ্বাস।
ছবি ও ভিডিওতে দেখে অনুমান করা যায়, আয়তাকার শিলটির দৈর্ঘ্য হতে পারে প্রায় ৮ ইঞ্চি, আর প্রস্থে এর অর্ধেক। তবে আবহাওয়া অফিস বা কৃষি বিভাগ শিলটির আকার আকৃতির বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
এদিকে সবচেয়ে বড় ব্যাসযুক্ত শিলটি পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটার ভিভিয়ানে, ২০০৩ সালের ২২ জুন। সেটির ব্যাস ছিল ৭ দশমিক ৯ ইঞ্চি বা ২০ সেন্টিমিটার। এর পরিধি পরিমাপ করা হয় ১৭ দশমিক ৬২ ইঞ্চি বা ৪৭ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার।
বৃহত্তম পরিধির শিল পড়েছিল ২০০৩ সালের ২২ জুনে। যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের অরোরায়। এর পরিধি ছিল ১৮ দশমিক ৭৪ ইঞ্চি বা ৪৭ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার। আর এর ব্যাস ছিল ৭ ইঞ্চি বা ১৭ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার।
সবচেয়ে বেশি শিলাবৃষ্টি হয় কেনিয়ার কেরিচো এলাকায়। এখানে বছরে গড়ে ৫০ দিন শিলাবৃষ্টি হয়। এই এলাকাটি বিষুবরেখার খুব কাছাকাছি এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ২০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত হওয়ার কারণে তাপমাত্রা খুব বেশি থাকে। কেরিচোতে এক বছরে সর্বোচ্চ ১৩২ দিন শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত বিশ্ব রেকর্ড।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

বরফের টুকরার সঙ্গে শিলের বড় পার্থক্য রয়েছে। শীতের দেশে তুষার পাত দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু শিল হলো বরফের অনিয়মিত পিণ্ড বা পিণ্ডের সমষ্টি। বরফের টুকরা বা তুষার সাধারণত ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে। শীতকালের বরফ পিণ্ডগুলো সাধারণত ২–৫ মিলিমিটার ব্যাসের হয়। আর তুষার হয় গুঁড়োগুঁড়ো অথবা সুচাল।
২৯ এপ্রিল ২০২৩
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

বরফের টুকরার সঙ্গে শিলের বড় পার্থক্য রয়েছে। শীতের দেশে তুষার পাত দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু শিল হলো বরফের অনিয়মিত পিণ্ড বা পিণ্ডের সমষ্টি। বরফের টুকরা বা তুষার সাধারণত ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে। শীতকালের বরফ পিণ্ডগুলো সাধারণত ২–৫ মিলিমিটার ব্যাসের হয়। আর তুষার হয় গুঁড়োগুঁড়ো অথবা সুচাল।
২৯ এপ্রিল ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

বরফের টুকরার সঙ্গে শিলের বড় পার্থক্য রয়েছে। শীতের দেশে তুষার পাত দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু শিল হলো বরফের অনিয়মিত পিণ্ড বা পিণ্ডের সমষ্টি। বরফের টুকরা বা তুষার সাধারণত ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে। শীতকালের বরফ পিণ্ডগুলো সাধারণত ২–৫ মিলিমিটার ব্যাসের হয়। আর তুষার হয় গুঁড়োগুঁড়ো অথবা সুচাল।
২৯ এপ্রিল ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

বরফের টুকরার সঙ্গে শিলের বড় পার্থক্য রয়েছে। শীতের দেশে তুষার পাত দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু শিল হলো বরফের অনিয়মিত পিণ্ড বা পিণ্ডের সমষ্টি। বরফের টুকরা বা তুষার সাধারণত ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে। শীতকালের বরফ পিণ্ডগুলো সাধারণত ২–৫ মিলিমিটার ব্যাসের হয়। আর তুষার হয় গুঁড়োগুঁড়ো অথবা সুচাল।
২৯ এপ্রিল ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে