নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সপ্তাহের শেষ দিন গতকাল শুক্রবার ঢাকায় বর্ষা (আষাঢ়–শ্রাবণ) মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত দেখেছেন রাজধানীবাসী। ১৩১ মিলিমিটার বা পাঁচ ইঞ্চির কিছু বেশি বৃষ্টিতে নগরীর বেশির ভাগ অংশে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কম থাকবে। তবে জুলাই জুড়েই সারা দেশে কম বেশি বৃষ্টি হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ঢাকায় ১৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই বর্ষা মৌসুমে এখন পর্যন্ত এক দিনে এটিই সর্বোচ্চ বৃষ্টি।
তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসবে। আর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে এলে স্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা একটু বাড়বে। সামনের সপ্তাহে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তি থাকবে। এতে করে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হবে।’
এর আগে ঘূর্ণিঝড় রিমালের মধ্যে রাজধানীতে এক দিনে ২২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। তখন ছিল জ্যৈষ্ঠ মাস। আর ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী নিম্নচাপের কারণে সেই বৃষ্টি হয়েছিল।
শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সন্দীপে, ১৮৮ মিলিমিটার বা ৭ ইঞ্চি। গত বৃহস্পতিবার মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৩০৯ মিলিমিটার বা ১২ ইঞ্চি, কক্সবাজারে। জেলাটিতে শুক্রবার ৮৬ মিলিমিটার বা ৩ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শনিবার রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, জুলাই মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই মাসে গড়ে ১৮ থেকে ২৫ দিন বিভাগ ভেদে বৃষ্টিপাত হতে পারে। রাজধানীতে এই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হতে পারে ৩৩০ থেকে ৪০৫ মিলিমিটার বা সর্বোচ্চ ১৫ ইঞ্চি।
এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে ৩ থেকে ৪ দিন বিজলিসহ মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে ৫ থেকে ৬ দিন বিজলিসহ হালকা বজ্রঝড় হতে পারে।
চলতি মাসে মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলে, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের কতিপয় স্থানে স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। অপরদিকে দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকার কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
তবে জুলাই মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি থাকলেও দু–একটি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু তাপপ্রবাহ (৩৬–৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে এবং দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা ও ভুগাই-কংস নদীর পানিও বাড়ছে যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল থাকতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদী সংলগ্ন কুড়িগ্রাম, জামালপুর ও গাইবান্ধা জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। অপরদিকে বগুড়া, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায়, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আত্রাই নদী সংলগ্ন সিরাজগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
সপ্তাহের শেষ দিন গতকাল শুক্রবার ঢাকায় বর্ষা (আষাঢ়–শ্রাবণ) মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত দেখেছেন রাজধানীবাসী। ১৩১ মিলিমিটার বা পাঁচ ইঞ্চির কিছু বেশি বৃষ্টিতে নগরীর বেশির ভাগ অংশে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কম থাকবে। তবে জুলাই জুড়েই সারা দেশে কম বেশি বৃষ্টি হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ঢাকায় ১৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই বর্ষা মৌসুমে এখন পর্যন্ত এক দিনে এটিই সর্বোচ্চ বৃষ্টি।
তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসবে। আর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে এলে স্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা একটু বাড়বে। সামনের সপ্তাহে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তি থাকবে। এতে করে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হবে।’
এর আগে ঘূর্ণিঝড় রিমালের মধ্যে রাজধানীতে এক দিনে ২২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। তখন ছিল জ্যৈষ্ঠ মাস। আর ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী নিম্নচাপের কারণে সেই বৃষ্টি হয়েছিল।
শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সন্দীপে, ১৮৮ মিলিমিটার বা ৭ ইঞ্চি। গত বৃহস্পতিবার মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৩০৯ মিলিমিটার বা ১২ ইঞ্চি, কক্সবাজারে। জেলাটিতে শুক্রবার ৮৬ মিলিমিটার বা ৩ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শনিবার রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, জুলাই মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই মাসে গড়ে ১৮ থেকে ২৫ দিন বিভাগ ভেদে বৃষ্টিপাত হতে পারে। রাজধানীতে এই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হতে পারে ৩৩০ থেকে ৪০৫ মিলিমিটার বা সর্বোচ্চ ১৫ ইঞ্চি।
এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে ৩ থেকে ৪ দিন বিজলিসহ মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে ৫ থেকে ৬ দিন বিজলিসহ হালকা বজ্রঝড় হতে পারে।
চলতি মাসে মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলে, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের কতিপয় স্থানে স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। অপরদিকে দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকার কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
তবে জুলাই মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি থাকলেও দু–একটি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু তাপপ্রবাহ (৩৬–৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে এবং দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা ও ভুগাই-কংস নদীর পানিও বাড়ছে যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল থাকতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদী সংলগ্ন কুড়িগ্রাম, জামালপুর ও গাইবান্ধা জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। অপরদিকে বগুড়া, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায়, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আত্রাই নদী সংলগ্ন সিরাজগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
অতি মুনাফা ও বাজার অর্থনীতিই পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে সবার আগে এ বিষয়ে করণীয়...
৫ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বায়ুদূষণের সূচকে বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান আজ দ্বিতীয়। সকাল ৬টায় ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয় ২৯১। মানসূচকে ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়...
৭ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে নতুনভাবে বনায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
২০ ঘণ্টা আগেঅবিলম্বে প্রাণ-প্রকৃতি পুনরুদ্ধার ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৭০-২০৯০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজ এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প
১ দিন আগে