সুন্দরবনে কুমির পিলপিলের ডিমে ৩৮টি বাচ্চা ফুটেছে

দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২২, ১৩: ৪৫
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২২, ১৪: ০৪

পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্রে প্রায় বিলুপ্ত লবণপানি প্রজাতির কুমির পিলপিলের দেওয়া ডিম থেকে ৩৮টি বাচ্চা ফুটেছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টা থেকে এক ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ডিমের খোলস ভেঙে কুমিরের এই বাচ্চাগুলো জন্ম নেয়। 

করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

এই কর্মকর্তা বলেন, প্রজননকেন্দ্রে গত ১ জুন পুকুরপাড়ে কুমির পিলপিল ৩৮টি ডিম দেয়। পরে ডিমগুলো সেখান থেকে সংগ্রহ করে ইনকিউবেটরে রাখা হয়। সেখানে দীর্ঘ ৮৩ দিনের মাথায় ৩৮টি বাচ্চা ফুটে বের হয়েছে। বাচ্চাগুলো বর্তমানে প্রজননকেন্দ্রের নির্দিষ্ট প্যানে রাখা হয়েছে। এবারই প্রথম করমজলে কুমিরের ডিম থেকে শতভাগ বাচ্চা ফুটেছে। এর আগে ২০০০ সালে পিলপিলের দেওয়া ৪৬টি ডিমের মধ্য মাত্র ৪টি বাচ্চা ফুটেছিল। আর ২০২১ সালে পিলপিল কোনো ডিমই দেয়নি। পূর্বের ছোট-বড় ৯১টি আর এবার নতুন ৩৮টি বাচ্চা মিলে এই প্রজননকেন্দ্রে মোট কুমিরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৯। আর এ পর্যন্ত পিলপিল ডিম দিয়েছে ১১ বার। 

প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, এবার ডিজিটাল ইনকিউবেটরে ডিম সংরক্ষণ করায় ৩৮টি ডিমে ৩৮টিই বাচ্চা ফুটেছে। এই প্রথম প্রজননকেন্দ্রে কুমিরের ডিম থেকে শতভাগ বাচ্চা ফুটেছে। এর আগে অ্যানালগ পদ্ধতিতে ডিম সংরক্ষণ করা হতো। 

উল্লেখ্য, ২০০০ সালে বন বিভাগ করমজলে আট একর জমির ওপর কুমির প্রজননকেন্দ্র গড়ে তোলে। মূলত প্রায় বিলুপ্ত লবণপানি প্রজাতির এই কুমিরের সংরক্ষণ, প্রজনন ও বংশবিস্তারের লক্ষ্যেই কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছিল। তখন কেন্দ্রে প্রথম কার্যক্রম শুরু হয় রোমিও ও জুলিয়েট দিয়ে। বর্তমানে রোমিও ও জুলিয়েট বয়স্ক এবং দুর্বল হয়ে পড়ায় ডিম দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এখন একমাত্র পিলপিলই রয়েছে ডিম দেওয়ার মতো। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত