Ajker Patrika

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালার দাবি

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) এক গবেষণা বলছে, রাজধানীতে দৈনিক ১০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে মাত্র ছয় হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা আছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। বাকি ৪ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য প্রতিদিন রাজধানীর অলিতে-গলিতে, খাল বা নদীতে পড়ছে। এভাবে দূষণে বড় ভূমিকা রাখছে ঢাকার বর্জ্য। এমন এক পরিস্থিতিতে আজ রোববার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে গণশুনানি।

এতে নগরবাসী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার তথা সিটি করপোরেশনকে আরও আন্তরিক হওয়ার তাগিদ দেন। ঢাকা দূষণের জন্য বর্জ্যকে বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তারা। বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক করা না গেলে ঢাকার দূষণ কমবে না। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শহরের দূষণে প্রধান ভূমিকা রাখলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সরকার এখনো উদাসীন। এমনকি বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো  আইন আজও তৈরি হয়নি। ঢাকাকে বাসযোগ্য ও দূষণমুক্ত করতে সবার আগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা তৈরির জোর দাবি জানান গণশুনানিতে অংশ নেওয়া বক্তারা। 

রাজধানীর মিরপুরের কারিতাস মিলনায়তনে এই গণশুনানির আয়োজন করে কোয়ালিশন ফর দ্য আরবান পুওর (কাপ)। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াতের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে অতিথি হিসেবে অংশ নেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সহকারী বর্জ্য ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল করীম। উত্তর সিটির ৬ নম্বর জোনের সুপার ভাইজার আনোয়ার হোসেন, জোন ২ এর সমাজসেবা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম বাপ্পিসহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। 

গণশুনানিতে আরও অংশ নেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মোল্লার বস্তি ও ঝিলপাড় বস্তির প্রতিনিধিরা। ঢাকার বস্তিবাসীদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার দাবিতে কাজ করছে কাপ নামক এই সংগঠন। ইউএস এইড-এর অর্থায়নে পরিচালিত প্রজেক্টের অংশ হিসেবে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত