
বিশ্বের যে দেশগুলো ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহার করে থাকে সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহার কীভাবে বন্যা প্রবণতা কমাতে ভূমিকা রাখে সেই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি নিউ সায়েন্টিস্ট সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক কাজী মতিন আহমেদ ও তাঁর সহকর্মীরা গবেষণাটি করেছেন। এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স’ বিজ্ঞান সাময়িকীতে।
গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের কৃষকেরা সেচ কাজে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল। ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহারের কারণে একদিকে যেমন প্রধানত ধানের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বাড়ছে, সেই সঙ্গে বর্ষাকালে বন্যা হ্রাসেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। মূলত অতি পরিমানে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যায়। গ্রীষ্মকালে পানির স্তর অনেকটা নিচে নেমে গেলেও বর্ষাকালে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে। অর্থাৎ শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেকখানি নেমে যাওয়ার পর বর্ষাকালে প্রবল বর্ষণে ভূ-উপরিস্থ বিপুল পানি ভৌম-জলাধার বা জলবাহীস্তরে চলে যায়। এতে বৃষ্টির ফলে জমে যাওয়া অতিরিক্ত পানি শোষিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি প্রশমিত করে।
উল্লেখ্য, অ্যাকুইফার, বাংলায় ভৌম-জলাধার বা জলবাহীস্তর হলো—ভূগর্ভের একটি স্তর যেখানে থাকে পানি ধারণে সক্ষম প্রবেশ্য শিলা, শিলাখণ্ড অথবা অসংহত বস্তু। কোনো প্রবেশ্য শিলাস্তরের নিচে অপ্রবেশ্য শিলাস্তর অবস্থান করলে, ওই প্রবেশ্য শিলাস্তরের মধ্য দিয়ে বৃষ্টির পানি অপ্রবেশ্য শিলাস্তরে পৌঁছার পর পানির নিম্নগতি বন্ধ হয়ে যায়। তখন ওপরের প্রবেশ্য শিলাস্তরটি পানি ধরে রাখতে সক্ষম হয় এবং সম্পৃক্ত হয়। এই পানি ধারণকারী প্রবেশ্য শিলাস্তরকে অ্যাকুইফার বলে। এই স্তুর থেকেই ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হয়।
ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার এবং কৃষিক্ষেত্রে অন্যান্য উন্নয়নের ফলে ১৯৮০ সালের পর থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন করতে পারছে এবং খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠছে বলেও গবেষণায় উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক কাজী মতিন আহমেদ নিউ সায়েন্টিস্টকে বলেন, ‘সেচ কাজে বাংলাদেশ ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে প্রচুর পরিমানে ভূগর্ভস্থ পানি রয়েছে। তবে এটির সংকট শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশের ৪৬৫টি স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক নমুনা সংগ্রহ করে ১৯৮৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১ কোটি ৬০ লাখ কৃষক কী পরিমান ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করেছেন সেটির একটি ধারণা পেয়েছেন কাজী মতিন ও তাঁর সহকর্মীরা। শুষ্ক মৌসুমে ধান উৎপাদনে (ইরি-বোরো) কৃষকেরা একসঙ্গে ১০ লাখের বেশি ডিজেলচালিত ও বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্র ব্যবহার করেন। এর ফলে দেশে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। ১৯৭০ সালের তুলনায় ২০১৮-১৯ সালে ধান উৎপাদন তিন গুনের বেশি বেড়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, গবেষণা এলাকার ২৫ শতাংশে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেছে। আর ৪০ শতাংশ এলাকায় শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমে পানির স্তর স্থিতিশীল থাকে। বাকি ৩৫ শতাংশে শুষ্ক মৌসুমে ব্যাপক সেচের কারণে স্তর নেমে যায়। তবে বর্ষাকালে অ্যাকুইফারগুলো আবার (পানি) ভর্তি হয়ে যায়।
কাজী মতিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এখানে প্রচুর নদ-নদী রয়েছে। ভৌম জলাধার যদি আগে থেকেই পূর্ণ থাকে তাহলে বর্ষাকালে পানি ভৌম জলাধারে যাওয়ার পথ খুঁজে পায় না। পানি ভৌম জলাধারে তখনই প্রবেশ করতে পারে যখন জলাধারে জায়গা থাকে। আর ভৌম জলাধারে জায়গা তখনই তৈরি হয় যখন কৃষক ভূগর্ভস্থের পানি ব্যবহার করেন।’
১৯৮৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এই অতিরিক্ত মিঠা পানি ভূগর্ভে জমার হওয়ার পরিমাণ ৭৫ থেকে ৯০ ঘন কিলোমিটার। এটি যুক্তরাষ্ট্রের হুভার ড্যামে ৩০ বছরে ধারণ করা পানির দ্বিগুণের বেশি। আর বছরে যে পরিমাণ অতিরিক্ত পানি বাংলাদেশের ভূগর্ভে প্রবেশ করে সেটির পরিমান যুক্তরাজ্যের মোট বাৎসরিক পানির ব্যবহারের চেয়ে বেশি। এ তথ্য জানান ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষক মোহাম্মদ শামসুদ্দুহা।
গবেষক কাজী মতিন আহমেদ বলেন, ‘ফসলের ফলন বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত এই “বাংলা পানি যন্ত্র” (অ্যাকুইফার খালি ও পূর্ণ হওয়ার প্রক্রিয়া) বর্ষা মৌসুমে বন্যার প্রকোপ কমাতেও সহায়তা করে থাকতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘ভূগর্ভে ভৌম জলাধারে যদি কোনো পানিই প্রবেশ না করতে পারে তাহলে সেটি তো ভূপৃষ্ঠে থেকে যাবে। এতে বড় আকারের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে।’
অবশ্য সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বিশ্বের অনেক স্থানেই টেকসই সমাধান নয়। উত্তর ভারত, পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর চীন এবং অন্যান্য শুষ্ক স্থানে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারণে ভৌম জলাধার কমে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী যেসব স্থানে ভূগর্ভে যথেষ্ট পরিমানে পানি নেই সেখানে গত দুই দশকে সেচের কারণে শেষ পর্যন্ত অধিকাংশ শুষ্ক ভূমিতে পরিণত হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশ এবং একই রকম ভূপ্রকৃতি ও মৌসুমী বর্ষা প্রবণ এলাকা যেমন—পূর্ব ভারত, নেপাল এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশ, ভূগর্ভস্থ পানির অধিক সেচ থেকে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বন্যা সুরক্ষা—এই দ্বৈত সুবিধা পেয়ে থাকতে পারে। এমনটিই বলেছেন ভারতের আন্তর্জাতিক পানি ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের গবেষক অদিতি মুখার্জি।
অদিতি বলেন, ‘আমরা এর কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবটা এখনো ভালোভাবে জানি না। সেচ কৃষকদের জলবায়ুর পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে হয়তো সহায়তা করছে। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী খরা বা আরও অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের সমস্যাগুলো সেচযন্ত্রের কারণে যেই সুবিধাগুলো আপাত পাওয়া যাচ্ছে সেটির গতিপ্রকৃতি বদলে দিতে পারে।’

বিশ্বের যে দেশগুলো ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহার করে থাকে সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহার কীভাবে বন্যা প্রবণতা কমাতে ভূমিকা রাখে সেই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি নিউ সায়েন্টিস্ট সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক কাজী মতিন আহমেদ ও তাঁর সহকর্মীরা গবেষণাটি করেছেন। এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স’ বিজ্ঞান সাময়িকীতে।
গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের কৃষকেরা সেচ কাজে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল। ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহারের কারণে একদিকে যেমন প্রধানত ধানের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বাড়ছে, সেই সঙ্গে বর্ষাকালে বন্যা হ্রাসেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। মূলত অতি পরিমানে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যায়। গ্রীষ্মকালে পানির স্তর অনেকটা নিচে নেমে গেলেও বর্ষাকালে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে। অর্থাৎ শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেকখানি নেমে যাওয়ার পর বর্ষাকালে প্রবল বর্ষণে ভূ-উপরিস্থ বিপুল পানি ভৌম-জলাধার বা জলবাহীস্তরে চলে যায়। এতে বৃষ্টির ফলে জমে যাওয়া অতিরিক্ত পানি শোষিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি প্রশমিত করে।
উল্লেখ্য, অ্যাকুইফার, বাংলায় ভৌম-জলাধার বা জলবাহীস্তর হলো—ভূগর্ভের একটি স্তর যেখানে থাকে পানি ধারণে সক্ষম প্রবেশ্য শিলা, শিলাখণ্ড অথবা অসংহত বস্তু। কোনো প্রবেশ্য শিলাস্তরের নিচে অপ্রবেশ্য শিলাস্তর অবস্থান করলে, ওই প্রবেশ্য শিলাস্তরের মধ্য দিয়ে বৃষ্টির পানি অপ্রবেশ্য শিলাস্তরে পৌঁছার পর পানির নিম্নগতি বন্ধ হয়ে যায়। তখন ওপরের প্রবেশ্য শিলাস্তরটি পানি ধরে রাখতে সক্ষম হয় এবং সম্পৃক্ত হয়। এই পানি ধারণকারী প্রবেশ্য শিলাস্তরকে অ্যাকুইফার বলে। এই স্তুর থেকেই ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হয়।
ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার এবং কৃষিক্ষেত্রে অন্যান্য উন্নয়নের ফলে ১৯৮০ সালের পর থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন করতে পারছে এবং খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠছে বলেও গবেষণায় উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক কাজী মতিন আহমেদ নিউ সায়েন্টিস্টকে বলেন, ‘সেচ কাজে বাংলাদেশ ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে প্রচুর পরিমানে ভূগর্ভস্থ পানি রয়েছে। তবে এটির সংকট শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশের ৪৬৫টি স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক নমুনা সংগ্রহ করে ১৯৮৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১ কোটি ৬০ লাখ কৃষক কী পরিমান ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করেছেন সেটির একটি ধারণা পেয়েছেন কাজী মতিন ও তাঁর সহকর্মীরা। শুষ্ক মৌসুমে ধান উৎপাদনে (ইরি-বোরো) কৃষকেরা একসঙ্গে ১০ লাখের বেশি ডিজেলচালিত ও বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্র ব্যবহার করেন। এর ফলে দেশে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। ১৯৭০ সালের তুলনায় ২০১৮-১৯ সালে ধান উৎপাদন তিন গুনের বেশি বেড়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, গবেষণা এলাকার ২৫ শতাংশে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেছে। আর ৪০ শতাংশ এলাকায় শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমে পানির স্তর স্থিতিশীল থাকে। বাকি ৩৫ শতাংশে শুষ্ক মৌসুমে ব্যাপক সেচের কারণে স্তর নেমে যায়। তবে বর্ষাকালে অ্যাকুইফারগুলো আবার (পানি) ভর্তি হয়ে যায়।
কাজী মতিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এখানে প্রচুর নদ-নদী রয়েছে। ভৌম জলাধার যদি আগে থেকেই পূর্ণ থাকে তাহলে বর্ষাকালে পানি ভৌম জলাধারে যাওয়ার পথ খুঁজে পায় না। পানি ভৌম জলাধারে তখনই প্রবেশ করতে পারে যখন জলাধারে জায়গা থাকে। আর ভৌম জলাধারে জায়গা তখনই তৈরি হয় যখন কৃষক ভূগর্ভস্থের পানি ব্যবহার করেন।’
১৯৮৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এই অতিরিক্ত মিঠা পানি ভূগর্ভে জমার হওয়ার পরিমাণ ৭৫ থেকে ৯০ ঘন কিলোমিটার। এটি যুক্তরাষ্ট্রের হুভার ড্যামে ৩০ বছরে ধারণ করা পানির দ্বিগুণের বেশি। আর বছরে যে পরিমাণ অতিরিক্ত পানি বাংলাদেশের ভূগর্ভে প্রবেশ করে সেটির পরিমান যুক্তরাজ্যের মোট বাৎসরিক পানির ব্যবহারের চেয়ে বেশি। এ তথ্য জানান ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষক মোহাম্মদ শামসুদ্দুহা।
গবেষক কাজী মতিন আহমেদ বলেন, ‘ফসলের ফলন বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত এই “বাংলা পানি যন্ত্র” (অ্যাকুইফার খালি ও পূর্ণ হওয়ার প্রক্রিয়া) বর্ষা মৌসুমে বন্যার প্রকোপ কমাতেও সহায়তা করে থাকতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘ভূগর্ভে ভৌম জলাধারে যদি কোনো পানিই প্রবেশ না করতে পারে তাহলে সেটি তো ভূপৃষ্ঠে থেকে যাবে। এতে বড় আকারের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে।’
অবশ্য সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বিশ্বের অনেক স্থানেই টেকসই সমাধান নয়। উত্তর ভারত, পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর চীন এবং অন্যান্য শুষ্ক স্থানে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারণে ভৌম জলাধার কমে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী যেসব স্থানে ভূগর্ভে যথেষ্ট পরিমানে পানি নেই সেখানে গত দুই দশকে সেচের কারণে শেষ পর্যন্ত অধিকাংশ শুষ্ক ভূমিতে পরিণত হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশ এবং একই রকম ভূপ্রকৃতি ও মৌসুমী বর্ষা প্রবণ এলাকা যেমন—পূর্ব ভারত, নেপাল এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশ, ভূগর্ভস্থ পানির অধিক সেচ থেকে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বন্যা সুরক্ষা—এই দ্বৈত সুবিধা পেয়ে থাকতে পারে। এমনটিই বলেছেন ভারতের আন্তর্জাতিক পানি ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের গবেষক অদিতি মুখার্জি।
অদিতি বলেন, ‘আমরা এর কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবটা এখনো ভালোভাবে জানি না। সেচ কৃষকদের জলবায়ুর পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে হয়তো সহায়তা করছে। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী খরা বা আরও অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের সমস্যাগুলো সেচযন্ত্রের কারণে যেই সুবিধাগুলো আপাত পাওয়া যাচ্ছে সেটির গতিপ্রকৃতি বদলে দিতে পারে।’

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

বিশ্বের যে দেশগুলো ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহার করে থাকে সেই দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহার কীভাবে বন্যা প্রবণতা কমাতে ভূমিকা রাখে সেই সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন সম্প্রতি নিউ সায়েন্টিস্ট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক ক
১০ অক্টোবর ২০২২
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

বিশ্বের যে দেশগুলো ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহার করে থাকে সেই দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহার কীভাবে বন্যা প্রবণতা কমাতে ভূমিকা রাখে সেই সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন সম্প্রতি নিউ সায়েন্টিস্ট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক ক
১০ অক্টোবর ২০২২
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

বিশ্বের যে দেশগুলো ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহার করে থাকে সেই দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহার কীভাবে বন্যা প্রবণতা কমাতে ভূমিকা রাখে সেই সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন সম্প্রতি নিউ সায়েন্টিস্ট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক ক
১০ অক্টোবর ২০২২
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

বিশ্বের যে দেশগুলো ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহার করে থাকে সেই দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহার কীভাবে বন্যা প্রবণতা কমাতে ভূমিকা রাখে সেই সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন সম্প্রতি নিউ সায়েন্টিস্ট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক ক
১০ অক্টোবর ২০২২
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে