নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শব্দ ও বায়ু দূষণে বাংলাদেশ এক নম্বরে। এ দেশের শতকরা ৬৮ ভাগ বাস বা ট্রাকের চালক কানে শোনেন না। এমন মন্তব্য করে আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া যেখানে সেখানে হর্ন দেওয়া বন্ধের ক্যাম্পেইনে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা চেয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘ঢাকা শহরের মতো এত আওয়াজের শহর পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। শব্দ দূষণ ও বায়ু দূষণে আমরা এক নম্বর। বাংলাদেশের বাস বা ট্রাকের ৬৮ ভাগ ড্রাইভার কানে শোনে না। এখন আপনি সফল, আপনি ব্যর্থ এইটা বলার চাইতে আমরা যদি এটাকে জাতিগত প্রাধিকার মনে করতাম এবং সামষ্টিক কাজ মনে করি। তাহলে আমার মনে হয়, সফলতাটা খুব দূরে থাকবে না। আগামী মাস থেকে আমরা হর্নের ক্যাম্পেইন শুরু করব। সেখানে ছাত্র–ছাত্রীদের পাশে চাই।’
আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে পলিথিন, পলিপ্রোপাইলিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘পলিথিন বন্ধের কাজ ২০০২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এরপর যখন ২০২৪ সালে আমরা আবার কাজটি শুরু করলাম। অনেকেই আমাদের উৎসাহ দিচ্ছেন, অনেকেই আবার মনে করছেন, কাজটি কেন এক্ষুনি হয়ে যাচ্ছে না। একটু অধৈর্য হয়ে যাচ্ছেন। অনেক নেতিবাচক কথা আমাদের শুনতে হয়। এটি কোনো সমস্যা নয়।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, ‘তোমরা দেখনি, আমরা দেখেছি, আমাদের বাবাদের পাটের চটের ব্যাগ নিয়ে বাজারে যেতে। বাংলাদেশে একটি তর্ক শুরু হয়ে গেছে যে বিকল্প নেই। এটি ঠিক না। প্রথাগতভাবেই পলিথিনের বিকল্প বহুকাল আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আমদের বাবারা যেটা নিয়ে বাজার করতে গেছেন, সেটিই আমাদের বিকল্প।’
সবাই সচেতন হলে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘পলিথিন উৎপাদন শ্রমিকেরা মানবেতর পরিবেশে কাজ করলেও তা নিয়ে সোচ্চার নয় পলিথিন কারখানার মালিকেরা। তাঁদের স্বার্থে আঘাত লাগছে বলেই পলিথিন নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপে তাঁরা সমালোচনা করছেন। পলিথিন ব্যবহারে সবাইকে মানা করার আগে, নিজেদের এর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।’
শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক সমালোচনায় কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। কারণ তাঁদের (পলিথিন কারখানা মালিক) একটি ন্যস্ত স্বার্থ আছে। আমরা যখন পলিথিন উৎপাদন বন্ধ করতে যাচ্ছি, তখন সব জায়গায় না, কোথাও কোথাও বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। পলিথিন ঢাকায় উৎপাদন করে অন্যান্য শহরে যাতে না যায়, ওসি ট্রাফিকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এ কাজগুলো আমাদের করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু পলিথিন শপিং ব্যাগ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এটি সবার স্বার্থে বন্ধ করতে হবে। না হলে আমরা আমাদের মাটি, নদী, লেক, বাঁচাতে পারব না।’
পলিথিন বন্ধে ব্যক্তিগত উদ্যোগের একটি দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাজারে পলিথিন ব্যাগ দিলে আপনি নেবেন না। বলবেন, আমি বাসা থেকে ব্যাগ নিয়ে এসেছি। সেটিও তো প্রয়োগের একটি রাস্তা হতে পারে।’
অনুষ্ঠানে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল, সেন্ট জোসেফ হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুল, বনানী বিদ্যা নিকেতন, এসওএস হারমান মেইনার, হলিক্রস, ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ মোট টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (দূষণ নিয়ন্ত্রণ) তপন কুমার বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শব্দ ও বায়ু দূষণে বাংলাদেশ এক নম্বরে। এ দেশের শতকরা ৬৮ ভাগ বাস বা ট্রাকের চালক কানে শোনেন না। এমন মন্তব্য করে আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া যেখানে সেখানে হর্ন দেওয়া বন্ধের ক্যাম্পেইনে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা চেয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘ঢাকা শহরের মতো এত আওয়াজের শহর পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। শব্দ দূষণ ও বায়ু দূষণে আমরা এক নম্বর। বাংলাদেশের বাস বা ট্রাকের ৬৮ ভাগ ড্রাইভার কানে শোনে না। এখন আপনি সফল, আপনি ব্যর্থ এইটা বলার চাইতে আমরা যদি এটাকে জাতিগত প্রাধিকার মনে করতাম এবং সামষ্টিক কাজ মনে করি। তাহলে আমার মনে হয়, সফলতাটা খুব দূরে থাকবে না। আগামী মাস থেকে আমরা হর্নের ক্যাম্পেইন শুরু করব। সেখানে ছাত্র–ছাত্রীদের পাশে চাই।’
আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে পলিথিন, পলিপ্রোপাইলিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘পলিথিন বন্ধের কাজ ২০০২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এরপর যখন ২০২৪ সালে আমরা আবার কাজটি শুরু করলাম। অনেকেই আমাদের উৎসাহ দিচ্ছেন, অনেকেই আবার মনে করছেন, কাজটি কেন এক্ষুনি হয়ে যাচ্ছে না। একটু অধৈর্য হয়ে যাচ্ছেন। অনেক নেতিবাচক কথা আমাদের শুনতে হয়। এটি কোনো সমস্যা নয়।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, ‘তোমরা দেখনি, আমরা দেখেছি, আমাদের বাবাদের পাটের চটের ব্যাগ নিয়ে বাজারে যেতে। বাংলাদেশে একটি তর্ক শুরু হয়ে গেছে যে বিকল্প নেই। এটি ঠিক না। প্রথাগতভাবেই পলিথিনের বিকল্প বহুকাল আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আমদের বাবারা যেটা নিয়ে বাজার করতে গেছেন, সেটিই আমাদের বিকল্প।’
সবাই সচেতন হলে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘পলিথিন উৎপাদন শ্রমিকেরা মানবেতর পরিবেশে কাজ করলেও তা নিয়ে সোচ্চার নয় পলিথিন কারখানার মালিকেরা। তাঁদের স্বার্থে আঘাত লাগছে বলেই পলিথিন নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপে তাঁরা সমালোচনা করছেন। পলিথিন ব্যবহারে সবাইকে মানা করার আগে, নিজেদের এর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।’
শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক সমালোচনায় কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। কারণ তাঁদের (পলিথিন কারখানা মালিক) একটি ন্যস্ত স্বার্থ আছে। আমরা যখন পলিথিন উৎপাদন বন্ধ করতে যাচ্ছি, তখন সব জায়গায় না, কোথাও কোথাও বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। পলিথিন ঢাকায় উৎপাদন করে অন্যান্য শহরে যাতে না যায়, ওসি ট্রাফিকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এ কাজগুলো আমাদের করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু পলিথিন শপিং ব্যাগ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এটি সবার স্বার্থে বন্ধ করতে হবে। না হলে আমরা আমাদের মাটি, নদী, লেক, বাঁচাতে পারব না।’
পলিথিন বন্ধে ব্যক্তিগত উদ্যোগের একটি দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাজারে পলিথিন ব্যাগ দিলে আপনি নেবেন না। বলবেন, আমি বাসা থেকে ব্যাগ নিয়ে এসেছি। সেটিও তো প্রয়োগের একটি রাস্তা হতে পারে।’
অনুষ্ঠানে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল, সেন্ট জোসেফ হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুল, বনানী বিদ্যা নিকেতন, এসওএস হারমান মেইনার, হলিক্রস, ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ মোট টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (দূষণ নিয়ন্ত্রণ) তপন কুমার বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে...
১০ ঘণ্টা আগেউচ্চমাত্রার সার ব্যবহারের ফলে তৃণভূমিতে পরাগায়নকারী পোকামাকড়ের সংখ্যা শুধু অর্ধেকে নেমে আসাই নয়, এর পাশাপাশি ফুলের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বের দীর্ঘতম সময় ধরে চলা একটি গবেষণার ফলাফল সম্প্রতি এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হাইল হাওর। আর এই হাওরের একটা বিলের নাম বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের নাম শুনলেই হাজারো পাখির মেলা ভেসে ওঠে এই অঞ্চলের মানুষের চোখে।
১ দিন আগেসামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও সমুদ্রের তাপমাত্রার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে জানতে তরুণ জেলেদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে জাপান। এই গবেষণার জন্য আগামী এপ্রিলে একটি প্রকল্প শুরু কথা ভাবছে তিনটি জাপানি সংগঠন।
১ দিন আগে