অনলাইন ডেস্ক
কাজাখস্তানের জঙ্গল থেকে বাঘ হারিয়ে গেছে অন্তত সাত দশক আগে। তবে এখন আবার এদের ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দেশটির একটি সংরক্ষিত অঞ্চলে দুটি বাঘ নিয়েও আসা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে বুনো বাঘ ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে দেশটি?
কাজাখস্তানের ইলে বলখাশ স্টেট নেচার রিজার্ভ এক দশক আগে যা ছিল তার চেয়ে অনেকটাই বদলে গেছে। দেশটির আলমাতি এবং বলখাশ অঞ্চলের চার হাজার ১৫১ বর্গকিলোমিটারের (১ হাজার ৬০৩ বর্গমাইল) ব-দ্বীপ অঞ্চল এটি। এখানে কোনো বড় শিকারি প্রাণী ছিল না। জলাভূমি, গুল্ম এবং বড় গাছের জঙ্গলও ছিল বিপর্যস্ত।
তবে এই ২০২৪ সালের কথা যদি বলি, পরিস্থিতির অনেকটাই বদল হয়েছে। পুনরুদ্ধার করা ৫০ একর বনে ঘুরে বেড়াচ্ছে বুখারা হরিণ এবং বুনো গাধা কুলানের মতো বিরল বন্যপ্রাণী।
এখন, অঞ্চলটি এমন একটি প্রাণীকে স্বাগত জানাতে চলেছে, যা এই অঞ্চলে ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্য পরিবেশে দেখা যায়নি, সেটা বাঘ।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
কাজাখস্তানের ইলে বলখাশ স্টেট নেচার রিজার্ভ এক দশক আগে যা ছিল তার চেয়ে অনেকটাই বদলে গেছে। দেশটির আলমাতি এবং বলখাশ অঞ্চলের চার হাজার ১৫১ বর্গকিলোমিটারের (১ হাজার ৬০৩ বর্গমাইল) ব-দ্বীপ অঞ্চল এটি। এখানে কোনো বড় শিকারি প্রাণী ছিল না। জলাভূমি, গুল্ম এবং বড় গাছের জঙ্গলও ছিল বিপর্যস্ত।
তবে এই ২০২৪ সালের কথা যদি বলি, পরিস্থিতির অনেকটাই বদল হয়েছে। পুনরুদ্ধার করা ৫০ একর বনে ঘুরে বেড়াচ্ছে বুখারা হরিণ এবং বুনো গাধা কুলানের মতো বিরল বন্যপ্রাণী।
এখন, অঞ্চলটি এমন একটি প্রাণীকে স্বাগত জানাতে চলেছে, যা এই অঞ্চলে ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্য পরিবেশে দেখা যায়নি, সেটা বাঘ।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
একসময় মধ্য এশিয়া জুড়ে বিচরণ করত রাজকীয় এই প্রাণীরা। এটি তাদের ঐতিহাসিক রেঞ্জের অংশ। বাঘ বিচরণের এলাকা একসময় বিস্তৃত ছিল পশ্চিমে তুরস্ক থেকে পূর্বে কোরিয়ান উপদ্বীপ এবং রাশিয়ার উত্তর সাইবেরিয়ান অঞ্চল থেকে ইন্দোনেশিয়ার নিরক্ষীয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দ্বীপ পর্যন্ত।
বাঘের মূল বিচরণের এলাকার কেবল সাত শতাংশেই এখন আর ঘুরে বেড়ায় এরা। ব্যাপক শিকার এবং এদের শিকার করা প্রাণীর অস্বাভাবিক কমে যাওয়া এখান থেকে বিশ শতকের মাঝামাঝিই বাঘকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
গত সেপ্টেম্বরে নেদারল্যান্ডসের বিগ ক্যাট স্যাংচুয়েরি স্টিকটিং লিও থেকে দুটি বন্দী আমুর বাঘকে স্থানান্তর করা হয় ইলে বলখাশ স্টেট নেচার রিজার্ভে। এখন তাদের জায়গা হয়েছে রিজার্ভের মধ্যে তিন হেক্টরের আধা-প্রাকৃতিক একটি ঘেরে। এই আশায় যে তাদের সন্তানেরা দেশের কয়েক দশকের বুনো বাঘের খরা কাটাবে।
‘এই বাঘগুলোকে বাছাই করার কারণ বিলুপ্তির আগে কাস্পিয়ান অঞ্চলে যে বাঘের বিচরণ ছিল এগুলো অনেকটাই সেরকম।’ বলেন ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের টাইগার অ্যালাইভ ইনিশিয়েটিভের প্রধান স্টুয়ার্ট চ্যাপম্যান।
আমুর বাঘ, সাধারণত রাশিয়ার সবচেয়ে পূর্বদিকে পাওয়া যায়, উচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি প্রবল ঠান্ডায়ও টিকে থাকতে পারে। বলখাশ অঞ্চলের জলবায়ুও একই ধরনের।
বোধনা এবং কুমা নামের বাঘ দুটিকে নেদারল্যান্ডস থেকে জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে একটি বাণিজ্যিক বিমানে চেপে ছয় ঘণ্টার ফ্লাইটে কাজাখস্তান পৌঁছে। তারপরে ২০ মিনিটের হেলিকপ্টার যাত্রায় পৌঁছে সংরক্ষিত অঞ্চলটিতে।
চ্যাপম্যান একে সংরক্ষণের জন্য একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর মতে এটি শুধু এই অঞ্চলে নয়, বিশ্বব্যাপী বাঘের ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বাঘ দেশের সীমানার মধ্যে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং চিড়িয়াখানার বাঘ নিয়মিত আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে। তবে এটি তাদের বন্দী অবস্থায় থাকার জন্য। এই প্রথম বাঘ আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়েছে বনের পরিবেশে ফিরে যাওয়ার জন্য।’
কাজাখস্তান প্রথম ২০১০ সালে বাঘ ফিরিয়ে আনার তার আগ্রহের কথা ঘোষণা করে। দেশটির সরকার ২০১৮ সালে ইলে-বলখাশ স্টেট রিজার্ভ গড়ে তুলে। ডব্লিউডব্লিউএফ এবং জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি দ্বারা সমর্থিত প্রচেষ্টায় বিপন্ন বুখারা হরিণ এবং কুলানের মতো বাঘের শিকার ছেড়ে দেওয়া হয় এখানে। বুখারা হরিণ গত এক শতাব্দীতে এই অঞ্চলে দেখা যায়নি। শিকারের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধও জারি করা হয়। এতে অরণ্যটিতে বন্য শূকরের সংখ্যাও বেশ ভালো সংখ্যায় বেড়েছে।
ভ্রমণের আগে বোধানা এবং কুমাকে কয়েক মাস ধরে, যে কাঠের বাক্সে স্থানান্তর করা হয় সেখানে লম্বা সময় কাটানোর এবং ঘেরের মধ্যে শিকারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যেন আকাশ পথে কাজাখস্তান যেতে এবং সংরক্ষণ এলাকার আধ-বুনো পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে কোনো সমস্যা না হয়।
বাঘগুলিকে কাজাখস্তানে প্রথম ৩০ দিন একটি কোয়ারেন্টাইন ঘেরে রাখা হয়। সেখানে পশুচিকিৎসকেরা নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এ মাসের শুরুতে, বোধন এবং কুমাকে একসঙ্গে আধা বন্য এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। বন্যপ্রাণী সংরক্ষকদের আশা তারা বংশবৃদ্ধি করবে।
‘জন্মের পর বাঘ শিশুও মার সঙ্গেই থাকে। বাচ্চা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষ বাঘকে ঘের থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর এদের বুনো পরিবেশে ছেড়ে দেওয়ার একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে, যেখানে কোনো মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে না।’ বলেন চ্যাপম্যান।
বনে সাধারণত বয়স দুই বছর হলে বাঘের বাচ্চা মাকে ছেড়ে যায়। তবে এ ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় ধরে রেখেছেন তাঁরা। কারণ ওই পরিবেশে খাপ খাওয়াতে একটু বেশি সময় লাগবে প্রাণীগুলোর। যখন সদ্য তরুণ বাঘেদের বনে ছাড়া হবে, তখন এদের গলায় রেডিও কলার পড়ানো হবে এবং গবেষকেরা সতর্কতার সঙ্গে এদের পর্যবেক্ষণ করবেন।
বোধনা এবং কুমা কেবল শুরু। আগামী বছরগুলিতে অন্তত আরও আটটি বাঘ এই জোড়ার সঙ্গে যোগ দেওয়ার আশা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য ২০৩৫ সালে সংরক্ষিত অরণ্যটিতে ৫০টি বুনো বাঘের বিচরণ।
তবে কাজ এখানেই শেষ হবে না। বন্যপ্রাণী গবেষক এবং সংরক্ষকদের মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘাতও এড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। রিজার্ভ এলাকার ভেতরে বসতি না থাকলেও অরণ্যটি ঘেঁষে চারটি গ্রামে ছয় শ মানুষের বাস।
বিশ্বব্যাপী বুনো বাঘের সংখ্যা ২০১০ সালে তিন হাজার ২০০ থেকে ২০২৩ সালে বেড়ে পাঁচ হাজার ৫৭৩ হয়েছে। এর মধ্যে নেপালে বাঘের সংখ্যা তিন গুণ হলেও লাওস থেকে বিলুপ্ত হয়েছে প্রাণীটি। তেমনি মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং মিয়ানমারে বাঘের সংখ্যা কমা অব্যাহত আছে। আইইউসিএনের দেওয়া তথ্য বলছে বাঘ তার বিচরণে ৯৩ শতাংশ এলাকাই হারিয়েছে। কিছু কিছু অরণ্যে এদের অবস্থা ভালো হলেও বেশ কয়েকটি সংরক্ষিত এলাকার সংযোগ নষ্ট হয়ে খণ্ড খণ্ড বনে টিকে থাকা বাঘেরা আছে বড় হুমকিতে।
কাজাখস্তানের জঙ্গল থেকে বাঘ হারিয়ে গেছে অন্তত সাত দশক আগে। তবে এখন আবার এদের ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দেশটির একটি সংরক্ষিত অঞ্চলে দুটি বাঘ নিয়েও আসা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে বুনো বাঘ ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে দেশটি?
কাজাখস্তানের ইলে বলখাশ স্টেট নেচার রিজার্ভ এক দশক আগে যা ছিল তার চেয়ে অনেকটাই বদলে গেছে। দেশটির আলমাতি এবং বলখাশ অঞ্চলের চার হাজার ১৫১ বর্গকিলোমিটারের (১ হাজার ৬০৩ বর্গমাইল) ব-দ্বীপ অঞ্চল এটি। এখানে কোনো বড় শিকারি প্রাণী ছিল না। জলাভূমি, গুল্ম এবং বড় গাছের জঙ্গলও ছিল বিপর্যস্ত।
তবে এই ২০২৪ সালের কথা যদি বলি, পরিস্থিতির অনেকটাই বদল হয়েছে। পুনরুদ্ধার করা ৫০ একর বনে ঘুরে বেড়াচ্ছে বুখারা হরিণ এবং বুনো গাধা কুলানের মতো বিরল বন্যপ্রাণী।
এখন, অঞ্চলটি এমন একটি প্রাণীকে স্বাগত জানাতে চলেছে, যা এই অঞ্চলে ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্য পরিবেশে দেখা যায়নি, সেটা বাঘ।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
কাজাখস্তানের ইলে বলখাশ স্টেট নেচার রিজার্ভ এক দশক আগে যা ছিল তার চেয়ে অনেকটাই বদলে গেছে। দেশটির আলমাতি এবং বলখাশ অঞ্চলের চার হাজার ১৫১ বর্গকিলোমিটারের (১ হাজার ৬০৩ বর্গমাইল) ব-দ্বীপ অঞ্চল এটি। এখানে কোনো বড় শিকারি প্রাণী ছিল না। জলাভূমি, গুল্ম এবং বড় গাছের জঙ্গলও ছিল বিপর্যস্ত।
তবে এই ২০২৪ সালের কথা যদি বলি, পরিস্থিতির অনেকটাই বদল হয়েছে। পুনরুদ্ধার করা ৫০ একর বনে ঘুরে বেড়াচ্ছে বুখারা হরিণ এবং বুনো গাধা কুলানের মতো বিরল বন্যপ্রাণী।
এখন, অঞ্চলটি এমন একটি প্রাণীকে স্বাগত জানাতে চলেছে, যা এই অঞ্চলে ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্য পরিবেশে দেখা যায়নি, সেটা বাঘ।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
একসময় মধ্য এশিয়া জুড়ে বিচরণ করত রাজকীয় এই প্রাণীরা। এটি তাদের ঐতিহাসিক রেঞ্জের অংশ। বাঘ বিচরণের এলাকা একসময় বিস্তৃত ছিল পশ্চিমে তুরস্ক থেকে পূর্বে কোরিয়ান উপদ্বীপ এবং রাশিয়ার উত্তর সাইবেরিয়ান অঞ্চল থেকে ইন্দোনেশিয়ার নিরক্ষীয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দ্বীপ পর্যন্ত।
বাঘের মূল বিচরণের এলাকার কেবল সাত শতাংশেই এখন আর ঘুরে বেড়ায় এরা। ব্যাপক শিকার এবং এদের শিকার করা প্রাণীর অস্বাভাবিক কমে যাওয়া এখান থেকে বিশ শতকের মাঝামাঝিই বাঘকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
গত সেপ্টেম্বরে নেদারল্যান্ডসের বিগ ক্যাট স্যাংচুয়েরি স্টিকটিং লিও থেকে দুটি বন্দী আমুর বাঘকে স্থানান্তর করা হয় ইলে বলখাশ স্টেট নেচার রিজার্ভে। এখন তাদের জায়গা হয়েছে রিজার্ভের মধ্যে তিন হেক্টরের আধা-প্রাকৃতিক একটি ঘেরে। এই আশায় যে তাদের সন্তানেরা দেশের কয়েক দশকের বুনো বাঘের খরা কাটাবে।
‘এই বাঘগুলোকে বাছাই করার কারণ বিলুপ্তির আগে কাস্পিয়ান অঞ্চলে যে বাঘের বিচরণ ছিল এগুলো অনেকটাই সেরকম।’ বলেন ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের টাইগার অ্যালাইভ ইনিশিয়েটিভের প্রধান স্টুয়ার্ট চ্যাপম্যান।
আমুর বাঘ, সাধারণত রাশিয়ার সবচেয়ে পূর্বদিকে পাওয়া যায়, উচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি প্রবল ঠান্ডায়ও টিকে থাকতে পারে। বলখাশ অঞ্চলের জলবায়ুও একই ধরনের।
বোধনা এবং কুমা নামের বাঘ দুটিকে নেদারল্যান্ডস থেকে জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে একটি বাণিজ্যিক বিমানে চেপে ছয় ঘণ্টার ফ্লাইটে কাজাখস্তান পৌঁছে। তারপরে ২০ মিনিটের হেলিকপ্টার যাত্রায় পৌঁছে সংরক্ষিত অঞ্চলটিতে।
চ্যাপম্যান একে সংরক্ষণের জন্য একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর মতে এটি শুধু এই অঞ্চলে নয়, বিশ্বব্যাপী বাঘের ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বাঘ দেশের সীমানার মধ্যে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং চিড়িয়াখানার বাঘ নিয়মিত আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে। তবে এটি তাদের বন্দী অবস্থায় থাকার জন্য। এই প্রথম বাঘ আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়েছে বনের পরিবেশে ফিরে যাওয়ার জন্য।’
কাজাখস্তান প্রথম ২০১০ সালে বাঘ ফিরিয়ে আনার তার আগ্রহের কথা ঘোষণা করে। দেশটির সরকার ২০১৮ সালে ইলে-বলখাশ স্টেট রিজার্ভ গড়ে তুলে। ডব্লিউডব্লিউএফ এবং জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি দ্বারা সমর্থিত প্রচেষ্টায় বিপন্ন বুখারা হরিণ এবং কুলানের মতো বাঘের শিকার ছেড়ে দেওয়া হয় এখানে। বুখারা হরিণ গত এক শতাব্দীতে এই অঞ্চলে দেখা যায়নি। শিকারের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধও জারি করা হয়। এতে অরণ্যটিতে বন্য শূকরের সংখ্যাও বেশ ভালো সংখ্যায় বেড়েছে।
ভ্রমণের আগে বোধানা এবং কুমাকে কয়েক মাস ধরে, যে কাঠের বাক্সে স্থানান্তর করা হয় সেখানে লম্বা সময় কাটানোর এবং ঘেরের মধ্যে শিকারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যেন আকাশ পথে কাজাখস্তান যেতে এবং সংরক্ষণ এলাকার আধ-বুনো পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে কোনো সমস্যা না হয়।
বাঘগুলিকে কাজাখস্তানে প্রথম ৩০ দিন একটি কোয়ারেন্টাইন ঘেরে রাখা হয়। সেখানে পশুচিকিৎসকেরা নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এ মাসের শুরুতে, বোধন এবং কুমাকে একসঙ্গে আধা বন্য এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। বন্যপ্রাণী সংরক্ষকদের আশা তারা বংশবৃদ্ধি করবে।
‘জন্মের পর বাঘ শিশুও মার সঙ্গেই থাকে। বাচ্চা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষ বাঘকে ঘের থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর এদের বুনো পরিবেশে ছেড়ে দেওয়ার একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে, যেখানে কোনো মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে না।’ বলেন চ্যাপম্যান।
বনে সাধারণত বয়স দুই বছর হলে বাঘের বাচ্চা মাকে ছেড়ে যায়। তবে এ ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় ধরে রেখেছেন তাঁরা। কারণ ওই পরিবেশে খাপ খাওয়াতে একটু বেশি সময় লাগবে প্রাণীগুলোর। যখন সদ্য তরুণ বাঘেদের বনে ছাড়া হবে, তখন এদের গলায় রেডিও কলার পড়ানো হবে এবং গবেষকেরা সতর্কতার সঙ্গে এদের পর্যবেক্ষণ করবেন।
বোধনা এবং কুমা কেবল শুরু। আগামী বছরগুলিতে অন্তত আরও আটটি বাঘ এই জোড়ার সঙ্গে যোগ দেওয়ার আশা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য ২০৩৫ সালে সংরক্ষিত অরণ্যটিতে ৫০টি বুনো বাঘের বিচরণ।
তবে কাজ এখানেই শেষ হবে না। বন্যপ্রাণী গবেষক এবং সংরক্ষকদের মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘাতও এড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। রিজার্ভ এলাকার ভেতরে বসতি না থাকলেও অরণ্যটি ঘেঁষে চারটি গ্রামে ছয় শ মানুষের বাস।
বিশ্বব্যাপী বুনো বাঘের সংখ্যা ২০১০ সালে তিন হাজার ২০০ থেকে ২০২৩ সালে বেড়ে পাঁচ হাজার ৫৭৩ হয়েছে। এর মধ্যে নেপালে বাঘের সংখ্যা তিন গুণ হলেও লাওস থেকে বিলুপ্ত হয়েছে প্রাণীটি। তেমনি মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং মিয়ানমারে বাঘের সংখ্যা কমা অব্যাহত আছে। আইইউসিএনের দেওয়া তথ্য বলছে বাঘ তার বিচরণে ৯৩ শতাংশ এলাকাই হারিয়েছে। কিছু কিছু অরণ্যে এদের অবস্থা ভালো হলেও বেশ কয়েকটি সংরক্ষিত এলাকার সংযোগ নষ্ট হয়ে খণ্ড খণ্ড বনে টিকে থাকা বাঘেরা আছে বড় হুমকিতে।
অতি মুনাফা ও বাজার অর্থনীতিই পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে সবার আগে এ বিষয়ে করণীয়...
৬ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বায়ুদূষণের সূচকে বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান আজ দ্বিতীয়। সকাল ৬টায় ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয় ২৯১। মানসূচকে ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়...
৮ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে নতুনভাবে বনায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
২০ ঘণ্টা আগেঅবিলম্বে প্রাণ-প্রকৃতি পুনরুদ্ধার ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৭০-২০৯০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজ এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প
১ দিন আগে