অনলাইন ডেস্ক
পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী হিসেবে আফ্রিকার নীল নদকে চেনেন সবাই। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এবং এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার দেওয়া তথ্যও তাই বলছে। তবে শিগগিরই আমাজন নদীতে হতে চলা একটি অভিযান এত দিন ধরে চলে আসা এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক গবেষক ও অভিযাত্রীদের একটি দল ২০২৪ সালের এপ্রিলে ৭০০০ কিলোমিটার পাড়ি দেওয়ার দীর্ঘ এক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে আমাজন নদীতে। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযানটি শেষ করতে সময় লাগবে পাঁচ মাস। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাজনের সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য ভ্রমণের লক্ষ্য এটি কেবল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পানি বহনকারী নদী নয়, দীর্ঘতম নদীও তা প্রমাণ করা। এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
অভিযাত্রী দলের নেতা ও চিত্র প্রযোজক ৫৫ বছর বয়স্ক ব্রাজিলিয়ান নাগরিক ইউরি সানাদা বলেন, ‘নীল একটি পোকার মতো, আমাজানের তুলনা চলে সেখানে অ্যানাকোন্ডার সঙ্গে।’
পানির প্রবাহের বিবেচনায় আমাজন সব সময়ই সবার ওপরে। সানাদা মনে করিয়ে দেন, আমাজন অন্য যে কোনো নদী থেকে চার গুণ বেশি পানি বহন করে।
‘কাজেই আমাজন যে সবচেয়ে বড় নদী তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সে দীর্ঘতম কি না, তা আমাদের দেখতে হবে।’ বলেন সানাদা।
আমাজন নদীর উৎপত্তি কোথায়? মূলত এই প্রশ্নটাই দৈর্ঘ্য নিয়ে যে বিরোধ তার মূলে। মূলত গবেষকেরা দক্ষিণ পেরুর আপুরিমাক নদীর উৎসকেই আমাজন নদীর সূচনা বিন্দু হিসেবে বিবেচনা করছেন। কিন্তু অনেক বিজ্ঞানী এই তত্ত্বের বিরোধিতা করেন।
৫১ বছর বয়স্ক জেমস ‘রকি’ কন্তোসের মতো অভিযাত্রীরা পেরুতে আমাজনের একটি আরও দূরবর্তী উৎসের দাবি করেন। সেটা মানতারো নদী।
‘আমি যতটুকু জানতাম, আমাজনের সবচেয়ে দূরবর্তী উৎস হিসেবে আপুরিমাককেই বিবেচনা করা হয়। কিন্তু যখন আমি পেরু ভ্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে সমস্ত তথ্য, মানচিত্র, হাইড্রোগ্রাফ ইত্যাদি জড়ো করছিলাম, তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আরও দূরবর্তী একটি নদী পাওয়া যাচ্ছে (উৎস হিসেবে)।’ বলেন কন্তোস।
পরিকল্পিত অভিযানটি পেরু, কলম্বিয়া ও ব্রাজিলের মধ্য দিয়ে আমাজন নদীর গতিপথ অনুসরণ করবে। এটি শুরু হবে নতুন উৎস হিসেবে, যেটিকে ভাবা হচ্ছে সেই পেরুভিয়ান আন্দিজের মানতারো নদী থেকে।
অভিযানটির কয়েকটি পর্যায় আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে কন্তোসের নেতৃত্বে একটি ভেলায় চেপে মানতারোর স্রোতের সঙ্গে লড়বেন অভিযাত্রীরা। ‘এনে’ নদীর সঙ্গে মানতারো যেখানে মিলিত হয়েছে, সেখানে পৌঁছানোর পর তিনটি বিশেষভাবে নকশা করা সৌর এবং পা-চালিত নৌকায় চড়ে ব্রাজিলের উপকূল ধরে আটলান্টিক মহাসাগর পর্যন্ত আমাজনের পথের সন্ধান করবেন অভিযাত্রীরা।
২০২৫ সালের প্রথম দিকে পেরুর আপুরিমাক নদীতে আমাজনের ঐতিহ্যবাহী উৎস থেকে পরবর্তী একটি অভিযান শুরু হওয়ার কথা। এটি এই পথে নদীটির দৈর্ঘ্য পরিমাপের একটি সুযোগ করে দেবে। এই অভিযানে যাঁরা অংশ নেবেন, তাঁদের একজন ফরাসি অভিযাত্রী সেলিন কুস্তো। বিখ্যাত সমুদ্রবিজ্ঞানী জ্যাক কুস্তোর নাতনি তিনি। সেলিন অবশ্য আমাজন নদীর তীর ধরে ঘোড়ার পিঠে ভ্রমণ করবেন।
তবে বড় একটি লক্ষ্য থাকলেও অভিযানটিতে আছে বিপদের ঝুঁকিও। ‘এটা এমন ধরনের অভিযান, যেখানে অনেক কিছুই হিসাবমতো না-ও হতে পারে।’ বলেন সানাদা। এর মধ্যে নৌকা নষ্ট হয়ে যাওয়া কিংবা বন্যপ্রাণী থেকে আসা বিপদের কথা উল্লেখ করেন তিনি। আমাজনের জঙ্গলে জাগুয়ার, অ্যানাকোন্ডা, বিষাক্ত ব্যাঙসহ নানা জাতের প্রাণীর বাস।
তবে অভিযানে সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয়ে হিসেবে সানাদা বলেছেন পথে মানুষের কোনো দলের সঙ্গে দেখা হওয়াটাকে। যখনই কারও সঙ্গে দেখা হবে, তাদের ভাবতে হবে, ‘তারা কি মাদক ব্যবসায়ী? শত্রু? নাকি স্থানীয় অধিবাসীদের বন্ধুভাবাপন্ন একটি দল, যারা আপনাকে তাদের সঙ্গে ডিনার করার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাইছে?’
তাই অভিযাত্রী দল অবৈধ খনি ও মাদক পাচারের জন্য পরিচিত এলাকাগুলোয় নিজেদের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় অস্ত্রধারী প্রহরী সঙ্গে রাখবে। নৌকার কেবিনগুলো বুলেট ও তির প্রতিরোধের উপযোগী করে বানানো হবে।
সানাদা অবশ্য তাঁর দলের ওপর গভীর আস্থা রাখছেন। জানিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় অভিজ্ঞ গাইড থাকবে।
তিনি এটাও স্বীকার করেছেন, অভিযানের শেষে হয়তো দেখা যাবে নদীর দৈর্ঘ্য সম্পর্কে একটি চূড়ান্ত উত্তরে পৌঁছানো যায়নি কিংবা সফলভাবে প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি আমাজনই দীর্ঘতম, নীল নয়। অভিযানের ফলাফল যা-ই হোক না কেন, সানাদা বলেছেন, তিনি পরবর্তী সময়ে নীল নদেও একটি অভিযান পরিচালনা করতে চান।
পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী হিসেবে আফ্রিকার নীল নদকে চেনেন সবাই। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এবং এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার দেওয়া তথ্যও তাই বলছে। তবে শিগগিরই আমাজন নদীতে হতে চলা একটি অভিযান এত দিন ধরে চলে আসা এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক গবেষক ও অভিযাত্রীদের একটি দল ২০২৪ সালের এপ্রিলে ৭০০০ কিলোমিটার পাড়ি দেওয়ার দীর্ঘ এক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে আমাজন নদীতে। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযানটি শেষ করতে সময় লাগবে পাঁচ মাস। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাজনের সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য ভ্রমণের লক্ষ্য এটি কেবল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পানি বহনকারী নদী নয়, দীর্ঘতম নদীও তা প্রমাণ করা। এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
অভিযাত্রী দলের নেতা ও চিত্র প্রযোজক ৫৫ বছর বয়স্ক ব্রাজিলিয়ান নাগরিক ইউরি সানাদা বলেন, ‘নীল একটি পোকার মতো, আমাজানের তুলনা চলে সেখানে অ্যানাকোন্ডার সঙ্গে।’
পানির প্রবাহের বিবেচনায় আমাজন সব সময়ই সবার ওপরে। সানাদা মনে করিয়ে দেন, আমাজন অন্য যে কোনো নদী থেকে চার গুণ বেশি পানি বহন করে।
‘কাজেই আমাজন যে সবচেয়ে বড় নদী তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সে দীর্ঘতম কি না, তা আমাদের দেখতে হবে।’ বলেন সানাদা।
আমাজন নদীর উৎপত্তি কোথায়? মূলত এই প্রশ্নটাই দৈর্ঘ্য নিয়ে যে বিরোধ তার মূলে। মূলত গবেষকেরা দক্ষিণ পেরুর আপুরিমাক নদীর উৎসকেই আমাজন নদীর সূচনা বিন্দু হিসেবে বিবেচনা করছেন। কিন্তু অনেক বিজ্ঞানী এই তত্ত্বের বিরোধিতা করেন।
৫১ বছর বয়স্ক জেমস ‘রকি’ কন্তোসের মতো অভিযাত্রীরা পেরুতে আমাজনের একটি আরও দূরবর্তী উৎসের দাবি করেন। সেটা মানতারো নদী।
‘আমি যতটুকু জানতাম, আমাজনের সবচেয়ে দূরবর্তী উৎস হিসেবে আপুরিমাককেই বিবেচনা করা হয়। কিন্তু যখন আমি পেরু ভ্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে সমস্ত তথ্য, মানচিত্র, হাইড্রোগ্রাফ ইত্যাদি জড়ো করছিলাম, তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আরও দূরবর্তী একটি নদী পাওয়া যাচ্ছে (উৎস হিসেবে)।’ বলেন কন্তোস।
পরিকল্পিত অভিযানটি পেরু, কলম্বিয়া ও ব্রাজিলের মধ্য দিয়ে আমাজন নদীর গতিপথ অনুসরণ করবে। এটি শুরু হবে নতুন উৎস হিসেবে, যেটিকে ভাবা হচ্ছে সেই পেরুভিয়ান আন্দিজের মানতারো নদী থেকে।
অভিযানটির কয়েকটি পর্যায় আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে কন্তোসের নেতৃত্বে একটি ভেলায় চেপে মানতারোর স্রোতের সঙ্গে লড়বেন অভিযাত্রীরা। ‘এনে’ নদীর সঙ্গে মানতারো যেখানে মিলিত হয়েছে, সেখানে পৌঁছানোর পর তিনটি বিশেষভাবে নকশা করা সৌর এবং পা-চালিত নৌকায় চড়ে ব্রাজিলের উপকূল ধরে আটলান্টিক মহাসাগর পর্যন্ত আমাজনের পথের সন্ধান করবেন অভিযাত্রীরা।
২০২৫ সালের প্রথম দিকে পেরুর আপুরিমাক নদীতে আমাজনের ঐতিহ্যবাহী উৎস থেকে পরবর্তী একটি অভিযান শুরু হওয়ার কথা। এটি এই পথে নদীটির দৈর্ঘ্য পরিমাপের একটি সুযোগ করে দেবে। এই অভিযানে যাঁরা অংশ নেবেন, তাঁদের একজন ফরাসি অভিযাত্রী সেলিন কুস্তো। বিখ্যাত সমুদ্রবিজ্ঞানী জ্যাক কুস্তোর নাতনি তিনি। সেলিন অবশ্য আমাজন নদীর তীর ধরে ঘোড়ার পিঠে ভ্রমণ করবেন।
তবে বড় একটি লক্ষ্য থাকলেও অভিযানটিতে আছে বিপদের ঝুঁকিও। ‘এটা এমন ধরনের অভিযান, যেখানে অনেক কিছুই হিসাবমতো না-ও হতে পারে।’ বলেন সানাদা। এর মধ্যে নৌকা নষ্ট হয়ে যাওয়া কিংবা বন্যপ্রাণী থেকে আসা বিপদের কথা উল্লেখ করেন তিনি। আমাজনের জঙ্গলে জাগুয়ার, অ্যানাকোন্ডা, বিষাক্ত ব্যাঙসহ নানা জাতের প্রাণীর বাস।
তবে অভিযানে সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয়ে হিসেবে সানাদা বলেছেন পথে মানুষের কোনো দলের সঙ্গে দেখা হওয়াটাকে। যখনই কারও সঙ্গে দেখা হবে, তাদের ভাবতে হবে, ‘তারা কি মাদক ব্যবসায়ী? শত্রু? নাকি স্থানীয় অধিবাসীদের বন্ধুভাবাপন্ন একটি দল, যারা আপনাকে তাদের সঙ্গে ডিনার করার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাইছে?’
তাই অভিযাত্রী দল অবৈধ খনি ও মাদক পাচারের জন্য পরিচিত এলাকাগুলোয় নিজেদের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় অস্ত্রধারী প্রহরী সঙ্গে রাখবে। নৌকার কেবিনগুলো বুলেট ও তির প্রতিরোধের উপযোগী করে বানানো হবে।
সানাদা অবশ্য তাঁর দলের ওপর গভীর আস্থা রাখছেন। জানিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় অভিজ্ঞ গাইড থাকবে।
তিনি এটাও স্বীকার করেছেন, অভিযানের শেষে হয়তো দেখা যাবে নদীর দৈর্ঘ্য সম্পর্কে একটি চূড়ান্ত উত্তরে পৌঁছানো যায়নি কিংবা সফলভাবে প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি আমাজনই দীর্ঘতম, নীল নয়। অভিযানের ফলাফল যা-ই হোক না কেন, সানাদা বলেছেন, তিনি পরবর্তী সময়ে নীল নদেও একটি অভিযান পরিচালনা করতে চান।
এবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
৭ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
৮ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কমলেও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৮১, অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দুদিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানের লাহোর বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। এরপরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া ও ই
১ দিন আগে