দিল্লিতে বায়ুদূষণ আজও ভয়াবহ, ঢাকার অবস্থান চতুর্থ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ১১
Thumbnail image
ফাইল ছবি

ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ আজও ভয়াবহ মাত্রায় রয়েছে। আজ বুধবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি শহর, দৃশ্যময়তা কমে যাওয়ার ফলে পরিবহন ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়েছে। এর পরে আছে পাকিস্তানের শহর লাহোর। এই শহরের বাতাসের মান সূচক আজ ২৮৮।

এদিকে সকাল ৬টায় পরিমাপ অনুযায়ী আজ ঢাকার বাতাসের মান সূচক ২০৩ বা অস্বাস্থ্যকর। সে হিসাবে বাতাসের মান সূচকে ঢাকার অবস্থান চতুর্থ। বায়ুদূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপটের কায়রো।

যেভাবে মাপা হয় বায়ুদূষণের মাত্রা

বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে বায়ুর দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

—০—৫০: ভালো

—৫১—১০০: সন্তোষজনক

—১০১—২০০: মাঝারি

—২০১—৩০০: খারাপ

—৩০১—৪০০: খুব খারাপ

—৪০১—৪৫০: ভয়ানক

—৪৫০ +: অতি ভয়ানক

সূচকের হিসাব অনুযায়ী তৃতীয় অবস্থানে থাকা কায়রো শহরে দূষণের মাত্রা ২৮১, যা অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। পঞ্চম স্থানে থাকা পাকিস্তানের করাচিতে বায়ুদূষণের মাত্রা ১৮৭, যা মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়।

এমন পরিস্থিতির কারণ

বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লির বায়ুদূষণ প্রধানত ফসলের খড় (নাড়া) পোড়ানো, যানবাহনের দূষণ এবং শিল্পাঞ্চলের ধোঁয়ার কারণে। শীতকালে তাপমাত্রা কমে গেলে ধোঁয়া ওপরের স্তরে উঠতে পারে না, ফলে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয় এবং দূষণ আরও তীব্র আকার ধারণ করে।

জরিপ

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বর ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

এ বছরের শুরুর দিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে বিশ্ব গত বছর রেকর্ড পরিমাণ তেল, কয়লা এবং গ্যাস ব্যবহার করেছে। এগুলো বিশ্বকে উত্তপ্ত করা কার্বনদূষণকে নতুন উচ্চতায় ঠেলে দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত