আরেকটি নতুন ব্যাঙ আবিষ্কার করলেন গবেষক দম্পতি

প্রতিনিধি, জবি
Thumbnail image

আরও একটি নতুন প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কার করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রাণীবিদ্যা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী। 

চট্টগ্রাম এলাকায় পাওয়া এই ব্যাঙ প্রজাতিটি ফ্রাইনোগ্লোসাস বর্গের। এটি শারীরিক গঠন পি. মার্টেনসির প্রজাতির কাছাকাছি। তবে দৃষ্টিগ্রাহ্য কিছু পার্থক্যও রয়েছে। এই নতুন প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে-ফ্রাইনোগ্লোসাস সোয়ানবরনোরাম (Phrynoglossus swanbornorum)। 

নতুন আবিষ্কৃত এই প্রজাতিও অস্তিত্ব হুমকির মুখে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও কৃষি সম্প্রসারণ এবং ব্যাপক ভিত্তিক কীটনাশক ব্যবহারের কারণে এই প্রজাতি এখন হুমকির মুখে। 

নতুন প্রজাতির এই ব্যাঙ আবিষ্কার করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসান আল রাজী চয়ন ও ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মারজান মারিয়া। হাসান এখন পূর্ণকালীন গবেষক। আর মারিয়া অনার্স চতুর্থ বর্ষে। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। 

আজ সোমবার হাসান আল রাজী চয়ন ও মারজান মারিয়া আজকের পত্রিকা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নতুন প্রজাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এ ব্যাঙের শারীরিক পরিমাপ, মলিকুলার বিশ্লেষণের পাশাপাশি ডাকের বিশ্লেষণও করেছেন, যা অন্য ব্যাঙদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। চট্টগ্রামের নাম অনুসারে ও গর্তবাসী হওয়ায় এই ব্যাঙের নামকরণ করা হয়েছে ‘গাতা ব্যাঙ’। 

তাঁরা জানান, ২০১৯ সালের জুন মাসে চট্টগ্রাম বিভাগের চুনাতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য থেকে তাঁরা এই ব্যাঙের নমুনা সংগ্রহ করেন। গবেষণায় ব্যাঙকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারেন যে, এটা আমাদের পরিচিত ব্যাঙয়ের চেয়ে কিছুটা আলাদা। তারপর তাঁরা এটি নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেন এবং নিশ্চিত এটি পুরো বিশ্বে নতুন প্রজাতির ব্যাঙ। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের পিআর জে জার্নালে তাঁদের গবেষণা প্রতিবেদন জমা দেন। ছয় মাস রিভিউ করার পর তাঁরা এটির অনুমোদন দেয়। এটি ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালাইনের সহায়তায় ১৯ আগস্ট প্রকাশ পায়। 

গবেষক দম্পতি হাসান আল রাজী চয়ন ও মারজান মারিয়াএ বিষয়ে হাসান আল রাজী বলেন, ‘নতুন প্রজাতির এই ব্যাঙটি আমাদের তৃতীয় আবিষ্কার। নতুন কিছু আবিষ্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করাটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দদায়ক। আমরা বিশ্বকে নতুন কিছু উপহার দিতে কাজ করে যাব সব সময়।’ 

তিনি বলেন, গবেষণার জন্য বন্য পরিবেশের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। বর্তমান সময়ে বন্যপ্রাণীরা অনেক সময় মানুষের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে। সুতরাং পরিবেশ রক্ষায় আমাদের আরও সোচ্চার হতে হবে। 

এ বিষয়ে মারজান মারিয়া বলেন, নতুন প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কার করতে পেরে আমরা অনেক খুশি। নতুন এই ব্যাঙটা আবিষ্কার আমাদের জন্য একটা অনুপ্রেরণা। নতুন কিছু আবিষ্কার করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পেরে আমরা গর্বিত। ভবিষ্যতে এমন আরও কাজ করতে চাই। 

এর আগে ২০২১ সালের মে মাসে ও ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরও দুটি নতুন প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কার করেন এই দম্পতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

দেওয়ানি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে একগুচ্ছ সুপারিশ কমিশনের

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত