একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে লাহোর, ঢাকার বাতাসেও অবনতি

অনলাইন ডেস্ক    
Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় রয়েছে ভিয়েতনামও।

আজ বৃহস্পতিবার বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সকাল ৬টার হিসাব অনুযায়ী—একদিনের ব্যবধানে আবারও বিশ্বের বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করা লাহোরের দূষণ স্কোর ৬৯২। বায়ুদূষণের পরিমাপক অনুযায়ী স্কোর ৩০১ এর বেশি হলে তা গুরুতর পরিবেশ বলে বিবেচিত হয়। সেই হিসাবে এই শহরের বাতাস গুরুতর পর্যায়ে রয়েছে।

গতকাল বায়ুদূষণে তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করলেও আজ দ্বিতীয় অবস্থানে নেমেছে ভারতে দিল্লি। তবে দূষণের পরিমাণ মারাত্মক পর্যায়ে রয়েছে। আজ এই শহরের দূষণ স্কোর ৫৫৪, অর্থাৎ সেখানকার বাতাসে দূষণ খানিকটা কমলেও এখনো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

তৃতীয় অবস্থানে ভিয়েতনামের হানোই শহর আজ সকালে এর দূষণ স্কোর ছিল ১৮৩। পরিমাপক অনুযায়ী ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। সেই হিসাবে এই শহরের বায়ু অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। ১৮০ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা শহর। সে হিসেবে এই শহরের বাতাসও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

মূলত বায়ুদূষণ পরিমাপে স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা গুরুতর বলে বিবেচিত হয়।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বর ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

এ বছরের শুরুর দিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্ব গত বছর রেকর্ড পরিমাণ তেল, কয়লা এবং গ্যাস ব্যবহার করেছে। এগুলো বিশ্বকে উত্তপ্ত করা কার্বনদূষণকে নতুন উচ্চতায় ঠেলে দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

দেওয়ানি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে একগুচ্ছ সুপারিশ কমিশনের

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত