অনলাইন ডেস্ক
জলবায়ু পরিবর্তনে জ্বালানির ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার তীরটা প্রথমে আসে পশ্চিমা বহুজাতিক জ্বালানি কোম্পানিগুলোর দিকে। তবে এ ক্ষেত্রে বরাবরই আড়ালে থেকে যায় জ্বালানিশিল্পকে নিয়ন্ত্রণ করা শক্তিশালী রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি কোম্পানিগুলো। এমন এক বাস্তবতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮। এবারের সম্মেলনের সভাপতি আমিরাতের সুলতান আল জাবের, যিনি নিজেও দেশটির জাতীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই সপ্তাহব্যাপী এ সম্মেলনের আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে ভবিষ্যতে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উত্তরণ। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী, বৈশ্বিক উষ্ণতা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণে ধীরে ধীরে তেল, গ্যাস ও কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনার ব্যাপারে দেশগুলো সম্মত হয়েছে। ফলে দেশগুলোয় এটা নিয়ে একধরনের চাপ রয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বরাবরই সাতটি বড় আন্তর্জাতিক জ্বালানি কোম্পানির ভূমিকার দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়। অথচ তাদের নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক তেল-গ্যাস উৎপাদন এবং মজুতের ১৩ শতাংশের কম হিস্যা রয়েছে।
অন্যদিকে প্যারিসভিত্তিক তদারকি প্রতিষ্ঠানের তথ্য বলছে, জাতীয় তেল কোম্পানিগুলো (এনওসি) বৈশ্বিক উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি করে এবং তাদের হিস্যায় বিশ্বের প্রায় ৬০ শতাংশ তেল ও গ্যাসের মজুত রয়েছে। তবে সেগুলো অনেকটা দৃষ্টির বাইরে থেকে যায়।
আইইএ বলেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টায় এওসি এবং বিপি, শেভরন, এক্সনমবিল, শেল ও টোটাল এনার্জির মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর প্রচেষ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি বা এনওসিগুলোর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো, রাশিয়ার রোসেনেফট, চীনের সিএনওওসি এবং ব্রাজিলের পেট্রোব্রাসের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ কোম্পানিগুলো রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক প্রভাবশালী।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএসআইএস) জলবায়ু ও জ্বালানি নিরাপত্তাবিষয়ক জ্যেষ্ঠ ফেলো বেন সাহিল বলেন, এসব কোম্পানির (এনওসি) নিয়ন্ত্রণে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। সাহিল আরও বলেন, সাধারণত কোম্পানিগুলোর উৎপাদন ব্যয় কম। মূলত নিম্ন ব্যয়ের সম্পদ থাকায় তারা দীর্ঘদিন ধরে তেল উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারে। কাজেই সৌদি আরব কিংবা রাশিয়ার মতো দেশের কোম্পানিগুলোর বিশ্বে তেলের দামে বড় ধরনের প্রভাব আছে। এর কারণ তারা ওপেক প্লাস জোটের মাধ্যমে উৎপাদন কমাতে বা বাড়াতে পারে।
গ্রিনহাউস নিঃসরণে এনওসি কার্যক্রম ও জ্বালানি পণ্যগুলো বড় মাত্রায় দায়ী। তবে জাতীয় এই কোম্পানিগুলোর খুব কমসংখ্যকই তাদের জলবায়ু টার্গেট ঘোষণা করেছে।
এদিকে জলবায়ু বিপর্যয় কমাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও নতুন হাইড্রোকার্বন উন্নয়নের কথা বলা হলেও গত দুই বছরে বিশ্বব্যাপী ৪০০-এর বেশি তেল ও গ্যাসভিত্তিক প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে।
অলাভজনক রিক্লেইম ফিন্যান্সের তথ্যানুযায়ী, ৫৮টি দেশে ব্যক্তি খাত ও রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের অন্তত ২০০ কোম্পানি জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক ৪৩৭টি নতুন প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এ তথ্য আসলে বৈশ্বিক উষ্ণতা সীমিত রাখার লক্ষ্যের সঙ্গে বড় ধরনের অসংগতিই তুলে ধরে। রিক্লেইম ফিন্যান্সের লুসিও পিনসন বলেন, ‘আমরা পরিবেশগত জরুরি অবস্থা এবং আইপিসিসির বিজ্ঞানীদের সিদ্ধান্তগুলোর বিষয়ে অস্বীকৃতির মধ্যে রয়েছি।’
জলবায়ু পরিবর্তনে জ্বালানির ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার তীরটা প্রথমে আসে পশ্চিমা বহুজাতিক জ্বালানি কোম্পানিগুলোর দিকে। তবে এ ক্ষেত্রে বরাবরই আড়ালে থেকে যায় জ্বালানিশিল্পকে নিয়ন্ত্রণ করা শক্তিশালী রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি কোম্পানিগুলো। এমন এক বাস্তবতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮। এবারের সম্মেলনের সভাপতি আমিরাতের সুলতান আল জাবের, যিনি নিজেও দেশটির জাতীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই সপ্তাহব্যাপী এ সম্মেলনের আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে ভবিষ্যতে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উত্তরণ। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী, বৈশ্বিক উষ্ণতা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণে ধীরে ধীরে তেল, গ্যাস ও কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনার ব্যাপারে দেশগুলো সম্মত হয়েছে। ফলে দেশগুলোয় এটা নিয়ে একধরনের চাপ রয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বরাবরই সাতটি বড় আন্তর্জাতিক জ্বালানি কোম্পানির ভূমিকার দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়। অথচ তাদের নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক তেল-গ্যাস উৎপাদন এবং মজুতের ১৩ শতাংশের কম হিস্যা রয়েছে।
অন্যদিকে প্যারিসভিত্তিক তদারকি প্রতিষ্ঠানের তথ্য বলছে, জাতীয় তেল কোম্পানিগুলো (এনওসি) বৈশ্বিক উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি করে এবং তাদের হিস্যায় বিশ্বের প্রায় ৬০ শতাংশ তেল ও গ্যাসের মজুত রয়েছে। তবে সেগুলো অনেকটা দৃষ্টির বাইরে থেকে যায়।
আইইএ বলেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টায় এওসি এবং বিপি, শেভরন, এক্সনমবিল, শেল ও টোটাল এনার্জির মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর প্রচেষ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি বা এনওসিগুলোর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো, রাশিয়ার রোসেনেফট, চীনের সিএনওওসি এবং ব্রাজিলের পেট্রোব্রাসের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ কোম্পানিগুলো রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক প্রভাবশালী।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএসআইএস) জলবায়ু ও জ্বালানি নিরাপত্তাবিষয়ক জ্যেষ্ঠ ফেলো বেন সাহিল বলেন, এসব কোম্পানির (এনওসি) নিয়ন্ত্রণে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। সাহিল আরও বলেন, সাধারণত কোম্পানিগুলোর উৎপাদন ব্যয় কম। মূলত নিম্ন ব্যয়ের সম্পদ থাকায় তারা দীর্ঘদিন ধরে তেল উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারে। কাজেই সৌদি আরব কিংবা রাশিয়ার মতো দেশের কোম্পানিগুলোর বিশ্বে তেলের দামে বড় ধরনের প্রভাব আছে। এর কারণ তারা ওপেক প্লাস জোটের মাধ্যমে উৎপাদন কমাতে বা বাড়াতে পারে।
গ্রিনহাউস নিঃসরণে এনওসি কার্যক্রম ও জ্বালানি পণ্যগুলো বড় মাত্রায় দায়ী। তবে জাতীয় এই কোম্পানিগুলোর খুব কমসংখ্যকই তাদের জলবায়ু টার্গেট ঘোষণা করেছে।
এদিকে জলবায়ু বিপর্যয় কমাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও নতুন হাইড্রোকার্বন উন্নয়নের কথা বলা হলেও গত দুই বছরে বিশ্বব্যাপী ৪০০-এর বেশি তেল ও গ্যাসভিত্তিক প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে।
অলাভজনক রিক্লেইম ফিন্যান্সের তথ্যানুযায়ী, ৫৮টি দেশে ব্যক্তি খাত ও রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের অন্তত ২০০ কোম্পানি জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক ৪৩৭টি নতুন প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এ তথ্য আসলে বৈশ্বিক উষ্ণতা সীমিত রাখার লক্ষ্যের সঙ্গে বড় ধরনের অসংগতিই তুলে ধরে। রিক্লেইম ফিন্যান্সের লুসিও পিনসন বলেন, ‘আমরা পরিবেশগত জরুরি অবস্থা এবং আইপিসিসির বিজ্ঞানীদের সিদ্ধান্তগুলোর বিষয়ে অস্বীকৃতির মধ্যে রয়েছি।’
অতি মুনাফা ও বাজার অর্থনীতিই পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে সবার আগে এ বিষয়ে করণীয়...
১৮ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বায়ুদূষণের সূচকে বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান আজ দ্বিতীয়। সকাল ৬টায় ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয় ২৯১। মানসূচকে ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়...
২১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে নতুনভাবে বনায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
১ দিন আগেঅবিলম্বে প্রাণ-প্রকৃতি পুনরুদ্ধার ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৭০-২০৯০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজ এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প
২ দিন আগে