Ajker Patrika

ফাস্ট ফ্যাশনের যুগে জমছে পোশাক বর্জ্যের পাহাড়, নতুন সুতার খোঁজ

আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ২২: ৪৮
ফাস্ট ফ্যাশনের যুগে জমছে পোশাক বর্জ্যের পাহাড়, নতুন সুতার খোঁজ

এ বছরের শুরুতে চিলির আতাকামা মরুভূমিতে ফেলে রাখা কাপড়ের পাহাড়ের একটি স্যাটেলাইট ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান এ কাপড়ের স্তূপ ফ্যাশন শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও একবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুলা ও পশমের মতো প্রাকৃতিক তন্তুগুলোতে পচন ধরলেও, পলিস্টার এবং নাইলনের মতো কৃত্রিম তন্তু প্রাকৃতিকভাবে পচনশীল নয়। এগুলো শত শত বছর অক্ষত থাকতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বৈজ্ঞানিক সংগঠন পলিস্টার এবং নাইলন বর্জ্যের জলদি পচনের প্রাকৃতিক উপায় বের করতে কাজ করে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানাভিত্তিক বায়োমিমিক্রি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক বেথ র‍্যাটনার বলেন, ‘আমরা এই জটিল যৌগগুলোকে কীভাবে ভাঙা যায় তা খোঁজার চেষ্টা করছি, বিশেষ করে এমন উপায়ে যেন এতে ব্যবহৃত রং ও প্রলেপের বিষাক্ত প্রভাব থেকে আসলেই মুক্তি পাওয়া যায়। আমরা নতুন কাঁচামাল তৈরির জন্য এনজাইম বা ব্যাকটেরিয়ার মতো জৈবিক উপাদান ব্যবহার করছি।’

চলতি বছরেই বায়োমিমিক্রি ইনস্টিটিউটের ‘ডিজাইন ফর ডিকম্পোজিশন’ প্রকল্পটির জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগী বাছাই করা হবে এবং ২০২৪ সাল থেকে এর ওপর কাজ শুরু হবে।

র‍্যাটনার বলেন, নতুন এ পদ্ধতিতে যে শুধু এ তন্তুগুলোকে প্রাকৃতিক উপায়ে ভেঙে ফেলা যাবে তা-ই নয়, বরং ভবিষ্যতে নতুন উপকরণের ভিত্তিও তৈরি করা যাবে। পানি রোধক এবং মসৃণ করতে বর্তমানে পলিমারে রং বা প্রলেপ ব্যবহার করা হয়। একই কাজ তন্তুর গঠন পরিবর্তন করেই করা সম্ভব। তন্তুর এমন কাঠামো পানি নিরোধক এবং কুঁচকানো রোধ করার জন্য প্রলেপের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।

দ্রুত পরিবর্তনশীল ফ্যাশনের (ফাস্ট ফ্যাশন) যুগে সস্তা কাপড়ের ব্যবহার লাগামহীনভাবে বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশন কাপড় পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রচার চালিয়ে থাকে। তাঁরা বলছেন, সারা বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে এক ট্রাক ময়লার সমান কাপড় ফেলে দেওয়া হয়। এর এক শতাংশও নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় না।

ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশনের ফ্যাশন প্রোগ্রামের নেতা জুলস লেনন বলেন, ‘এর মানে হলো, আজকালকার ফ্যাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন আগের যেকোনো সময়ে বেশি পোশাক তৈরি হচ্ছে, কিন্তু আমরা সেগুলো ব্যবহার করছি কম। বার্ষিক গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও নৌপরিবহনের চেয়ে ফ্যাশন শিল্প বেশি দায়ী।’

লেনন বিবিসিকে বলেন, ‘ফ্যাশন শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদন প্রক্রিয়া, ধোয়া ও রং করার প্রক্রিয়ার কারণে মাটি ও পানি দূষিত হওয়ায় এটি জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির কারণ হচ্ছে।’

বিশেষ ইলাস্টিসিটি (স্থিতিস্থাপক) সম্পন্ন তন্তু লাইক্রার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের স্থায়িত্ববিষয়ক প্রধান জিন হেগেডাসও এ সমস্যা সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই অবগত। বিবিসিকে জিন বলেন, ‘ধারণা করা হয়, মোট কার্বন নিঃসরণের ৮ থেকে ১০ শতাংশই টেক্সটাইল এবং কাপড়ের কারখানাগুলো থেকে আসে। তাই আমরা জানি, আমাদের বদলাতে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লাইক্রার জন্য পরিবর্তন মানে হলো কৃত্রিম তন্তু যেমন—পেট্রোলিয়াম থেকে পলিস্টার ও নাইলন কাপড় তৈরির জন্য কোনো প্রাকৃতিক বিকল্প খোঁজা।

জিন বলেন, লাইক্রার ৭০ শতাংশই পেট্রোলিয়ামভিত্তিক তন্তু। এটিকে নবায়নযোগ্য তন্তু দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা গেলে প্রতিষ্ঠানটির কার্বন ফুটপ্রিন্ট ৪৪ শতাংশ কমবে।

এ নতুন কাঁচামালের খোঁজে লাইক্রা পৌঁছায় যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়াতে। সেখানে কোর নামের একটি প্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে মিলে মিষ্টি ভুট্টা থেকে কিরা নামের নতুন তন্তু তৈরি করার চেষ্টা করছে।

জিন বলেন, ‘এ তন্তুর মূল কাঁচামালটি মজার। এটি “শিল্পজাত মৃত ভুট্টা” থেকে তৈরি। অর্থাৎ এটা মানুষের খাওয়ার ভুট্টা থেকে তৈরি নয়। এ ভুট্টা বিশেষ করে, কাপড়, কাগজ বা পশুর খাবার তৈরির জন্য উৎপাদন করা হয়।’

অনেক পোশাক প্রতিষ্ঠানই এখন প্রাকৃতিক কাঁচামালের দিকে ঝুঁকছে।

এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাইকোওয়ার্কস প্রতিষ্ঠান একটি। এ প্রতিষ্ঠানটি মাশরুমের মাইসিলিয়াম (ছত্রাকের শেকড়) থেকে তৈরি চামড়া সদৃশ কাপড় তৈরি করে। চলতি বছরের শেষের দিকেই সাউথ ক্যারোলাইনাতে এ প্রতিষ্ঠানটি বড় আকারে উৎপাদন শুরু করবে। প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক কয়েক লাখ বর্গফুট রেইশি নামের এ কাপড় তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফেবার ফিউচার মাটিতে থাকা স্ট্রেপটোমাইসিস সেলিকালার নামের এক প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। তাদের দাবি, এটি পোশাক শিল্পের রং করার পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এই ব্যাকটেরিয়ার স্বাভাবিক জীবনচক্রের অংশ হিসেবেই রঞ্জক পদার্থ তৈরি করে। এ রঙের মধ্যে উজ্জ্বল নীল থেকে হালকা হলুদের মতো রংধনুর সাতটি রং রয়েছে।

ফিনল্যান্ডের স্পিন্নোভা নামের একটি প্রতিষ্ঠান কাঠের মণ্ড থেকে কাপড় তৈরি করে।

এইচঅ্যান্ডএম এবং অ্যাডিডাসের মতো খুচরা বিক্রেতাদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এ বছর পশ্চিম ফিনল্যান্ডের জিভাসকাইলাতে একটি কারখানা নির্মাণ করেছে। স্পিন্নোভার উদ্দেশ্য হলো, ২০৩৩ সাল নাগাদ বার্ষিক ১০ লাখ টন তন্তু উৎপাদন করা। এ কারখানাটি কার্বন নিউট্রাল। অর্থাৎ কোনো কার্বন নিঃসরণ করে না। এ কারখানাতে কেবল তাপ উৎপন্ন হয়, যা এর তাপ নিয়ন্ত্রকেই আবার ফেরত পাঠানো হয়। স্পিন্নোভার তন্তু নবায়নযোগ্য।

অনেক ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানই এখন ‘ফেরতযোগ্য’ স্কিমে লেনদেন করে। এ ব্যবস্থায় ক্রেতা পুরোনো কাপড় ফেরত দিতে পারে, সেটি পরে নবায়ন করা হয়। তবে চলতি বছরের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১০টি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ফেরত দেওয়া ২১টি আইটেমের এক-তৃতীয়াংশই হয় ধ্বংস করা হয়েছে, না হয় কারখানাতে ফেলে রাখা হয়েছে। এর বেশির ভাগই কয়েক হাজার মাইল দূরে আফ্রিকায় নতুন এক বর্জ্যের পাহাড় তৈরির জন্য পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, আজও দূষণে শীর্ষে দিল্লি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেড়েছে ঢাকার তাপমাত্রা, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় আজ সকালে তাপমাত্রা ১৬.৬

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ২৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।

আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় পড়েছে হালকা শীত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত