অনলাইন ডেস্ক
এ বছরের শুরুতে চিলির আতাকামা মরুভূমিতে ফেলে রাখা কাপড়ের পাহাড়ের একটি স্যাটেলাইট ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান এ কাপড়ের স্তূপ ফ্যাশন শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও একবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুলা ও পশমের মতো প্রাকৃতিক তন্তুগুলোতে পচন ধরলেও, পলিস্টার এবং নাইলনের মতো কৃত্রিম তন্তু প্রাকৃতিকভাবে পচনশীল নয়। এগুলো শত শত বছর অক্ষত থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বৈজ্ঞানিক সংগঠন পলিস্টার এবং নাইলন বর্জ্যের জলদি পচনের প্রাকৃতিক উপায় বের করতে কাজ করে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানাভিত্তিক বায়োমিমিক্রি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক বেথ র্যাটনার বলেন, ‘আমরা এই জটিল যৌগগুলোকে কীভাবে ভাঙা যায় তা খোঁজার চেষ্টা করছি, বিশেষ করে এমন উপায়ে যেন এতে ব্যবহৃত রং ও প্রলেপের বিষাক্ত প্রভাব থেকে আসলেই মুক্তি পাওয়া যায়। আমরা নতুন কাঁচামাল তৈরির জন্য এনজাইম বা ব্যাকটেরিয়ার মতো জৈবিক উপাদান ব্যবহার করছি।’
চলতি বছরেই বায়োমিমিক্রি ইনস্টিটিউটের ‘ডিজাইন ফর ডিকম্পোজিশন’ প্রকল্পটির জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগী বাছাই করা হবে এবং ২০২৪ সাল থেকে এর ওপর কাজ শুরু হবে।
র্যাটনার বলেন, নতুন এ পদ্ধতিতে যে শুধু এ তন্তুগুলোকে প্রাকৃতিক উপায়ে ভেঙে ফেলা যাবে তা-ই নয়, বরং ভবিষ্যতে নতুন উপকরণের ভিত্তিও তৈরি করা যাবে। পানি রোধক এবং মসৃণ করতে বর্তমানে পলিমারে রং বা প্রলেপ ব্যবহার করা হয়। একই কাজ তন্তুর গঠন পরিবর্তন করেই করা সম্ভব। তন্তুর এমন কাঠামো পানি নিরোধক এবং কুঁচকানো রোধ করার জন্য প্রলেপের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
দ্রুত পরিবর্তনশীল ফ্যাশনের (ফাস্ট ফ্যাশন) যুগে সস্তা কাপড়ের ব্যবহার লাগামহীনভাবে বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশন কাপড় পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রচার চালিয়ে থাকে। তাঁরা বলছেন, সারা বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে এক ট্রাক ময়লার সমান কাপড় ফেলে দেওয়া হয়। এর এক শতাংশও নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় না।
ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশনের ফ্যাশন প্রোগ্রামের নেতা জুলস লেনন বলেন, ‘এর মানে হলো, আজকালকার ফ্যাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আগের যেকোনো সময়ে বেশি পোশাক তৈরি হচ্ছে, কিন্তু আমরা সেগুলো ব্যবহার করছি কম। বার্ষিক গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও নৌপরিবহনের চেয়ে ফ্যাশন শিল্প বেশি দায়ী।’
লেনন বিবিসিকে বলেন, ‘ফ্যাশন শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদন প্রক্রিয়া, ধোয়া ও রং করার প্রক্রিয়ার কারণে মাটি ও পানি দূষিত হওয়ায় এটি জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির কারণ হচ্ছে।’
বিশেষ ইলাস্টিসিটি (স্থিতিস্থাপক) সম্পন্ন তন্তু লাইক্রার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের স্থায়িত্ববিষয়ক প্রধান জিন হেগেডাসও এ সমস্যা সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই অবগত। বিবিসিকে জিন বলেন, ‘ধারণা করা হয়, মোট কার্বন নিঃসরণের ৮ থেকে ১০ শতাংশই টেক্সটাইল এবং কাপড়ের কারখানাগুলো থেকে আসে। তাই আমরা জানি, আমাদের বদলাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লাইক্রার জন্য পরিবর্তন মানে হলো কৃত্রিম তন্তু যেমন—পেট্রোলিয়াম থেকে পলিস্টার ও নাইলন কাপড় তৈরির জন্য কোনো প্রাকৃতিক বিকল্প খোঁজা।
জিন বলেন, লাইক্রার ৭০ শতাংশই পেট্রোলিয়ামভিত্তিক তন্তু। এটিকে নবায়নযোগ্য তন্তু দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা গেলে প্রতিষ্ঠানটির কার্বন ফুটপ্রিন্ট ৪৪ শতাংশ কমবে।
এ নতুন কাঁচামালের খোঁজে লাইক্রা পৌঁছায় যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়াতে। সেখানে কোর নামের একটি প্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে মিলে মিষ্টি ভুট্টা থেকে কিরা নামের নতুন তন্তু তৈরি করার চেষ্টা করছে।
জিন বলেন, ‘এ তন্তুর মূল কাঁচামালটি মজার। এটি “শিল্পজাত মৃত ভুট্টা” থেকে তৈরি। অর্থাৎ এটা মানুষের খাওয়ার ভুট্টা থেকে তৈরি নয়। এ ভুট্টা বিশেষ করে, কাপড়, কাগজ বা পশুর খাবার তৈরির জন্য উৎপাদন করা হয়।’
অনেক পোশাক প্রতিষ্ঠানই এখন প্রাকৃতিক কাঁচামালের দিকে ঝুঁকছে।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাইকোওয়ার্কস প্রতিষ্ঠান একটি। এ প্রতিষ্ঠানটি মাশরুমের মাইসিলিয়াম (ছত্রাকের শেকড়) থেকে তৈরি চামড়া সদৃশ কাপড় তৈরি করে। চলতি বছরের শেষের দিকেই সাউথ ক্যারোলাইনাতে এ প্রতিষ্ঠানটি বড় আকারে উৎপাদন শুরু করবে। প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক কয়েক লাখ বর্গফুট রেইশি নামের এ কাপড় তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফেবার ফিউচার মাটিতে থাকা স্ট্রেপটোমাইসিস সেলিকালার নামের এক প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। তাদের দাবি, এটি পোশাক শিল্পের রং করার পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এই ব্যাকটেরিয়ার স্বাভাবিক জীবনচক্রের অংশ হিসেবেই রঞ্জক পদার্থ তৈরি করে। এ রঙের মধ্যে উজ্জ্বল নীল থেকে হালকা হলুদের মতো রংধনুর সাতটি রং রয়েছে।
ফিনল্যান্ডের স্পিন্নোভা নামের একটি প্রতিষ্ঠান কাঠের মণ্ড থেকে কাপড় তৈরি করে।
এইচঅ্যান্ডএম এবং অ্যাডিডাসের মতো খুচরা বিক্রেতাদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এ বছর পশ্চিম ফিনল্যান্ডের জিভাসকাইলাতে একটি কারখানা নির্মাণ করেছে। স্পিন্নোভার উদ্দেশ্য হলো, ২০৩৩ সাল নাগাদ বার্ষিক ১০ লাখ টন তন্তু উৎপাদন করা। এ কারখানাটি কার্বন নিউট্রাল। অর্থাৎ কোনো কার্বন নিঃসরণ করে না। এ কারখানাতে কেবল তাপ উৎপন্ন হয়, যা এর তাপ নিয়ন্ত্রকেই আবার ফেরত পাঠানো হয়। স্পিন্নোভার তন্তু নবায়নযোগ্য।
অনেক ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানই এখন ‘ফেরতযোগ্য’ স্কিমে লেনদেন করে। এ ব্যবস্থায় ক্রেতা পুরোনো কাপড় ফেরত দিতে পারে, সেটি পরে নবায়ন করা হয়। তবে চলতি বছরের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১০টি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ফেরত দেওয়া ২১টি আইটেমের এক-তৃতীয়াংশই হয় ধ্বংস করা হয়েছে, না হয় কারখানাতে ফেলে রাখা হয়েছে। এর বেশির ভাগই কয়েক হাজার মাইল দূরে আফ্রিকায় নতুন এক বর্জ্যের পাহাড় তৈরির জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ বছরের শুরুতে চিলির আতাকামা মরুভূমিতে ফেলে রাখা কাপড়ের পাহাড়ের একটি স্যাটেলাইট ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান এ কাপড়ের স্তূপ ফ্যাশন শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও একবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুলা ও পশমের মতো প্রাকৃতিক তন্তুগুলোতে পচন ধরলেও, পলিস্টার এবং নাইলনের মতো কৃত্রিম তন্তু প্রাকৃতিকভাবে পচনশীল নয়। এগুলো শত শত বছর অক্ষত থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বৈজ্ঞানিক সংগঠন পলিস্টার এবং নাইলন বর্জ্যের জলদি পচনের প্রাকৃতিক উপায় বের করতে কাজ করে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানাভিত্তিক বায়োমিমিক্রি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক বেথ র্যাটনার বলেন, ‘আমরা এই জটিল যৌগগুলোকে কীভাবে ভাঙা যায় তা খোঁজার চেষ্টা করছি, বিশেষ করে এমন উপায়ে যেন এতে ব্যবহৃত রং ও প্রলেপের বিষাক্ত প্রভাব থেকে আসলেই মুক্তি পাওয়া যায়। আমরা নতুন কাঁচামাল তৈরির জন্য এনজাইম বা ব্যাকটেরিয়ার মতো জৈবিক উপাদান ব্যবহার করছি।’
চলতি বছরেই বায়োমিমিক্রি ইনস্টিটিউটের ‘ডিজাইন ফর ডিকম্পোজিশন’ প্রকল্পটির জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগী বাছাই করা হবে এবং ২০২৪ সাল থেকে এর ওপর কাজ শুরু হবে।
র্যাটনার বলেন, নতুন এ পদ্ধতিতে যে শুধু এ তন্তুগুলোকে প্রাকৃতিক উপায়ে ভেঙে ফেলা যাবে তা-ই নয়, বরং ভবিষ্যতে নতুন উপকরণের ভিত্তিও তৈরি করা যাবে। পানি রোধক এবং মসৃণ করতে বর্তমানে পলিমারে রং বা প্রলেপ ব্যবহার করা হয়। একই কাজ তন্তুর গঠন পরিবর্তন করেই করা সম্ভব। তন্তুর এমন কাঠামো পানি নিরোধক এবং কুঁচকানো রোধ করার জন্য প্রলেপের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
দ্রুত পরিবর্তনশীল ফ্যাশনের (ফাস্ট ফ্যাশন) যুগে সস্তা কাপড়ের ব্যবহার লাগামহীনভাবে বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশন কাপড় পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রচার চালিয়ে থাকে। তাঁরা বলছেন, সারা বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে এক ট্রাক ময়লার সমান কাপড় ফেলে দেওয়া হয়। এর এক শতাংশও নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় না।
ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশনের ফ্যাশন প্রোগ্রামের নেতা জুলস লেনন বলেন, ‘এর মানে হলো, আজকালকার ফ্যাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আগের যেকোনো সময়ে বেশি পোশাক তৈরি হচ্ছে, কিন্তু আমরা সেগুলো ব্যবহার করছি কম। বার্ষিক গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও নৌপরিবহনের চেয়ে ফ্যাশন শিল্প বেশি দায়ী।’
লেনন বিবিসিকে বলেন, ‘ফ্যাশন শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদন প্রক্রিয়া, ধোয়া ও রং করার প্রক্রিয়ার কারণে মাটি ও পানি দূষিত হওয়ায় এটি জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির কারণ হচ্ছে।’
বিশেষ ইলাস্টিসিটি (স্থিতিস্থাপক) সম্পন্ন তন্তু লাইক্রার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের স্থায়িত্ববিষয়ক প্রধান জিন হেগেডাসও এ সমস্যা সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই অবগত। বিবিসিকে জিন বলেন, ‘ধারণা করা হয়, মোট কার্বন নিঃসরণের ৮ থেকে ১০ শতাংশই টেক্সটাইল এবং কাপড়ের কারখানাগুলো থেকে আসে। তাই আমরা জানি, আমাদের বদলাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লাইক্রার জন্য পরিবর্তন মানে হলো কৃত্রিম তন্তু যেমন—পেট্রোলিয়াম থেকে পলিস্টার ও নাইলন কাপড় তৈরির জন্য কোনো প্রাকৃতিক বিকল্প খোঁজা।
জিন বলেন, লাইক্রার ৭০ শতাংশই পেট্রোলিয়ামভিত্তিক তন্তু। এটিকে নবায়নযোগ্য তন্তু দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা গেলে প্রতিষ্ঠানটির কার্বন ফুটপ্রিন্ট ৪৪ শতাংশ কমবে।
এ নতুন কাঁচামালের খোঁজে লাইক্রা পৌঁছায় যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়াতে। সেখানে কোর নামের একটি প্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে মিলে মিষ্টি ভুট্টা থেকে কিরা নামের নতুন তন্তু তৈরি করার চেষ্টা করছে।
জিন বলেন, ‘এ তন্তুর মূল কাঁচামালটি মজার। এটি “শিল্পজাত মৃত ভুট্টা” থেকে তৈরি। অর্থাৎ এটা মানুষের খাওয়ার ভুট্টা থেকে তৈরি নয়। এ ভুট্টা বিশেষ করে, কাপড়, কাগজ বা পশুর খাবার তৈরির জন্য উৎপাদন করা হয়।’
অনেক পোশাক প্রতিষ্ঠানই এখন প্রাকৃতিক কাঁচামালের দিকে ঝুঁকছে।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাইকোওয়ার্কস প্রতিষ্ঠান একটি। এ প্রতিষ্ঠানটি মাশরুমের মাইসিলিয়াম (ছত্রাকের শেকড়) থেকে তৈরি চামড়া সদৃশ কাপড় তৈরি করে। চলতি বছরের শেষের দিকেই সাউথ ক্যারোলাইনাতে এ প্রতিষ্ঠানটি বড় আকারে উৎপাদন শুরু করবে। প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক কয়েক লাখ বর্গফুট রেইশি নামের এ কাপড় তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফেবার ফিউচার মাটিতে থাকা স্ট্রেপটোমাইসিস সেলিকালার নামের এক প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। তাদের দাবি, এটি পোশাক শিল্পের রং করার পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এই ব্যাকটেরিয়ার স্বাভাবিক জীবনচক্রের অংশ হিসেবেই রঞ্জক পদার্থ তৈরি করে। এ রঙের মধ্যে উজ্জ্বল নীল থেকে হালকা হলুদের মতো রংধনুর সাতটি রং রয়েছে।
ফিনল্যান্ডের স্পিন্নোভা নামের একটি প্রতিষ্ঠান কাঠের মণ্ড থেকে কাপড় তৈরি করে।
এইচঅ্যান্ডএম এবং অ্যাডিডাসের মতো খুচরা বিক্রেতাদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এ বছর পশ্চিম ফিনল্যান্ডের জিভাসকাইলাতে একটি কারখানা নির্মাণ করেছে। স্পিন্নোভার উদ্দেশ্য হলো, ২০৩৩ সাল নাগাদ বার্ষিক ১০ লাখ টন তন্তু উৎপাদন করা। এ কারখানাটি কার্বন নিউট্রাল। অর্থাৎ কোনো কার্বন নিঃসরণ করে না। এ কারখানাতে কেবল তাপ উৎপন্ন হয়, যা এর তাপ নিয়ন্ত্রকেই আবার ফেরত পাঠানো হয়। স্পিন্নোভার তন্তু নবায়নযোগ্য।
অনেক ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানই এখন ‘ফেরতযোগ্য’ স্কিমে লেনদেন করে। এ ব্যবস্থায় ক্রেতা পুরোনো কাপড় ফেরত দিতে পারে, সেটি পরে নবায়ন করা হয়। তবে চলতি বছরের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১০টি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ফেরত দেওয়া ২১টি আইটেমের এক-তৃতীয়াংশই হয় ধ্বংস করা হয়েছে, না হয় কারখানাতে ফেলে রাখা হয়েছে। এর বেশির ভাগই কয়েক হাজার মাইল দূরে আফ্রিকায় নতুন এক বর্জ্যের পাহাড় তৈরির জন্য পাঠানো হয়েছে।
পাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১১ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কমলেও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৮১, অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দুদিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানের লাহোর বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। এরপরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া ও ই
১৯ ঘণ্টা আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ আজও ভয়াবহ মাত্রায় রয়েছে। আজ বুধবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি শহর, দৃশ্যময়তা কমে যাওয়ার ফলে পরিবহন ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়েছে। এর পরে আছে পাকিস্তানের শহর লাহোর...
২ দিন আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। এটি চলতি মরসুমে সর্বোচ্চ এবং ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে রয়েছে।
৩ দিন আগে