মানুষ-বানর সংঘাত এড়াতে পদক্ষেপ নিচ্ছে থাইল্যান্ডের এক শহর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬: ৩১
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৪, ২১: ৫১

থাইল্যান্ডের লোপবুরি শহরের আলাদা নাম আছে এখানকার বানরদের জন্য। এরা পর্যটক টানতেও ভূমিকা রাখে। তবে একই সঙ্গে অন্তত এক দশক ধরে শহরটির অধিবাসী ও বানররা মুখোমুখি অবস্থানে আছে। সংঘাতের ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। বানরের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। তাই থাইল্যান্ডের বন্য প্রাণী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা আশা করছেন এটা কাজ করবে। 

বানররা প্রায়ই মানুষের কাছ থেকে খাবার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কখনো কখনো মানুষকে আঁচড়ে দেয়। কিন্তু মার্চ মাসে মানুষের ক্ষোভ বেড়ে যায় যখন একটি বানর খাবার দখলের প্রচেষ্টায় এক নারীর পা টেনে ধরলে তাঁর হাঁটুর হাড় স্থানচ্যুত হয়। এ ছাড়া কাছাকাছি সময়ে একজন একটি ক্ষুধার্ত বানর আক্রমণ করলে এক মোটরসাইকেল আরোহী রাস্তায় ছিটকে পড়ে আঘাত পান। 

প্রায় আড়াই হাজার শহুরে বানরকে ধরে বিশাল এক খাঁচায় পুরার পরিকল্পনা করা হয়েছে, জানান ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্ক, ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড প্ল্যান কনজারভেশনের মহাপরিচালক আথাপল চারোয়েনশুনসা। বন্য প্রাণী গবেষকদের সঙ্গে কথা বলে শহরে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানো বানরের সংখ্যা সীমিত করার বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। 

লোপবুরি শহরের বার্ষিক উৎসবে ভোজের আয়োজন হয় বানরদের জন্য। ছবি: এএফপিএসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে।

‘আমি চাই না, মানুষ বানরকে আঘাত করুক। তেমনি বানরের দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হোক এটাও চাই না।’ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনের রিপোর্টারদের বলেন তিনি। 

আক্রমণাত্মক আলফা পুরুষ বানর ধরায় অগ্রাধিকার দিয়ে গত সপ্তাহে একটি আনুষ্ঠানিক বানর ধরার অভিযান শুরু করা হয়। কিছু বানর ধরাও পড়েছে। যাদের বেশির ভাগকে পার্শ্ববর্তী প্রদেশ সারাবুরিতে বন্য প্রাণী কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। কয়েকটিকে লোপবুরি চিড়িয়াখানায়ও পাঠানো হয়েছে। 

থাইল্যান্ডের লোপবুরি শহরের আলাদা নাম আছে এখানকার বানরদের জন্য। ছবি: এএফপিকর্মকর্তারা বলেছেন, ঘের বা এনক্লোজারের কাজ শেষ হলে বাকি বানরগুলোকে ধরার পরিকল্পনা করছেন। বিশেষ করে আবাসিক এলাকার বানরগুলোকে এর আওতায় আনা হবে। বানরের বিভিন্ন দলের মধ্যে লড়াই এড়ানোর জন্য আলাদা খাঁচা তৈরি করা হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। 

আথাপল বলেন, তিনি আশা করেন যে অপারেশনের প্রথম ধাপটি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে। তিনি বিশ্বাস করেন যে বিশাল খাঁচাগুলোতে কয়েক হাজার বানরের জায়গা হয়ে যাবে এবং খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। 

 লোপবুরি পর্যটক টানার বড় কারণ এর বানরেরা। ছবি: এএফপিএখানে বলে রাখা ভালো, ব্যাংককের প্রায় ১৪০ কিলোমিটার উত্তরের শহরটির প্রাচীন তিনটি বৌদ্ধমন্দির একটি বার্ষিক ‘মানকি বুফে’ উৎসবের আয়োজন করে। এতে বানরের জন্য বিশাল ভোজের আয়োজন করা হয়। সাধারণত শহরজুড়ে দেখা যায় বানরদের। থাইল্যান্ডের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনের অধীনে এই মাকাউ বানরেরা একটি সংরক্ষিত প্রজাতি। 

কেউ কেউ শহরটির বানরের সমস্যার জন্য পর্যটকদের এবং এর বাসিন্দাদের পশুদের খাওয়ানোর জন্য দায়ী করেছেন। এই খাবার বানরদের শহরে নিয়ে আসতে এবং তাদের সংখ্যা বাড়ানোয় ভূমিকা রেখেছে। মানুষের কাছ থেকে খাবার পেতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে তারা। 

আথাপোল বলেছেন, তাঁরা বানর নিয়ে সমস্যায় রয়েছে থাইল্যান্ডের এমন অন্যান্য এলাকায়ও কাজ করছেন। যেমন প্রজুয়াব কিরি খান এবং ফেতচাবুরি। তিনি বলেন, দেশের ৭৭টি প্রদেশের মধ্যে ৫২টি বানরের কারণে নিয়মিত সমস্যায় পড়ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত