যাত্রীছাউনির অভাবে ভোগান্তি মানুষের

এম মনসুর আলী, সরাইল
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩: ০৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর সড়কের পাশে ভূইয়ার ঘাট এলাকায় নেই কোনো যাত্রীছাউনি। এর ফলে প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কিংবা তীব্র শীতে বাতাসের মধ্যে খোলা জায়গায় বসে খেয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এ ঘাটে একটি যাত্রীছাউনি নির্মাণের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পারাপারের জন্য নদীপারের মানুষ তাঁদের ভূইয়ার ঘাট এলাকায় নৌকার জন্য অপেক্ষা করছে। কেউ জেলা শহর থেকে চিকিৎসা করে, কেউ আদালতে হাজিরা দিয়ে, আবার কেউ দীর্ঘদিন পর শহর থেকে বাড়ি ফিরছে। ঘাটটি হাওরাঞ্চলে হওয়ায় আশপাশে কোনো বাড়িঘর নেই। শুধু একটি চায়ের দোকান, একটি ইটভাটা ও নামাজের জন্য একটি টিনশেড ঘর আছে। বসার কোনো জায়গা নেই। যাত্রীরা রাস্তার পাশে এখানে-সেখানে রোদে বসে সময় কাটাচ্ছে।

বৃষ্টি হলে যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক সময় যাত্রীরা বৃষ্টির পানিতে ভিজে একাকার হয়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরাইল উপজেলার জয়ধরকান্দি, তেলিকান্দি, করিমপুর, কাসেমপুর ও নাসিরনগর উপজেলার মহিষবেড়, মুহাম্মদপুর, শিমুলকান্দি, বাগি, কদরকান্দি গ্রামের মানুষ এখান দিয়ে যাতায়াত করে। যাত্রীছাউনি না থাকায় দুর্ভোগ হচ্ছে এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষের।

নৌকার যাত্রী মো. মাসুক মিয়া (৪৫) বলেন, ‘খেয়ার জন্য বসে আছি। যাত্রীছাউনি না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। শুধু আমি না, এখানে যাত্রীছাউনি না থাকায় প্রতিদিন শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বৃষ্টি হলে ভোগান্তির শেষ থাকে না।’

জয়ধরকান্দি গ্রামের রহিমা বেগম (৪০) বলেন, কোনো নির্দিষ্ট যাত্রীছাউনি না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে রোদ-বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে নৌকার জন্য অপেক্ষা করি। কবে নাগাদ যাত্রীছাউনির দাবি পূরণ হবে, তা-ও জানা নেই। তবে যত দ্রুত সম্ভব আমাদের জন্য যাত্রীছাউনি করে দিতে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান সদস্য হেলাল উদ্দিন ভুইয়া বলেন, ভূইয়ার ঘাট এলাকায় একটি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা জরুরি। ছাউনিটি নির্মিত হলে এলাকার মানুষের ভোগান্তি কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

স্থানীয় যুবক নাহিদ (৩৫) বলেন, যাত্রীরা বৃষ্টির মৌসুমে অনেক কষ্টের শিকার হয়। প্রতিনিয়ত যাত্রীরা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা বলেন, ‘সরাইল-নাসিরনগর সড়কটি এক্সটেনশন করা হবে। তাই ওই রাস্তায় যাত্রীছাউনি করা নিষেধ। আমি একবার পরিকল্পনা করেছিলাম যাত্রীছাউনি করার, কিন্তু সড়ক বাড়ানোয় তা করতে পারিনি।’

নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমদ বলেন, একটি যাত্রীছাউনি হলে দুই উপজেলার বহু মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। যাত্রীদের কষ্ট দূর করতে আমি কাজ করব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত