কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা ও উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করেছিল দেশটির রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষের বাংলাদেশ থেকে তাদের জন্মভূমি রাখাইনে পাঠাতে। পরের বছরের মাঝামাঝি নাগাদ চীন কাজ শুরু করে ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থায় রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য। এরপর গেল আরও প্রায় পাঁচ বছর। এত দিনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদী দিয়ে অনেক পানি নেমেছে সাগরে। কিন্তু একজন রোহিঙ্গাকেও রাখাইনে ফেরত পাঠানো যায়নি।
চীন অবশ্য বসে নেই। কয়েক মাস ধরে চলছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ওপর দিককার কর্তাব্যক্তিদের ঝটিকা কূটনৈতিক তৎপরতা। অন্তত পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত সংখ্যায় হলেও রোহিঙ্গাদের ফেরানো শুরু করা যায় কি না, দেখতে। এমন তৎপরতার অংশ হিসেবেই ঢাকা সফরে রয়েছেন চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও সমপর্যায়ের পররাষ্ট্রসচিব পর্যন্ত সব বৈঠকে দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার বার্তা সান ওয়েইডং পৌঁছে দিয়েছেন বলে চীনা এক কূটনীতিক ও বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা জানান।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো শুরু করতে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহ থাকলেও মিয়ানমারের অবস্থান ঠিক উল্টো। এ অবস্থায় চীনা কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ দেশটির নিজের স্বার্থেই।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিজ) সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সী ফয়েজ আহমেদ গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরানো একটি কঠিন বিষয়। এ ক্ষেত্রে সরাসরি ভূমিকা রাখতে চীন ছাড়া কেউ এগিয়ে আসেনি। বিষয়টির সঙ্গে দেশটির ভাবমূর্তির ব্যাপার আছে।’
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থার উল্লেখ করে মুন্সী ফয়েজ বলেন, এ ক্ষেত্রে চীনের প্রচেষ্টা আগেও ছিল। ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক ঝালাইয়ে প্রাথমিক সাফল্যের পর রোহিঙ্গা বিষয়ে চীনের যে চেষ্টা, তা জোরালো হয়েছে। এই উদ্যোগও সফল হলে লোকে দেখবে বৈশ্বিক কূটনীতিতে চীনের উত্থান। এ কারণেই দেশটি চায়, রোহিঙ্গা ফেরা শুরু হোক।
এর মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমানোর ক্ষেত্রেও চীন ভূমিকা রাখতে চায় বলে বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা মনে করেন।
এ ক্ষেত্রে ফেরত যেতে ইচ্ছুক লোকদের ‘স্বেচ্ছায়’ যাওয়ার যে দিকটির ওপর জাতিসংঘসহ পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো জোর দিয়ে থাকে, তা বাস্তবায়নের জন্য রোহিঙ্গাদের অনুরোধ করে হলেও রাজি করানো দরকার বলে মনে করেন চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা মুন্সী ফয়েজ। এর বাইরে মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে এমন দেশগুলোর কয়েকটি, যেমন ভারত, জাপান ও সিঙ্গাপুর নিয়ে একটি টাস্কফোর্স করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর মতে, এ কাজটিও চীনের নেতৃত্বে হলে ভালো হয়।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিউইন গ্যাং ২ মে মিয়ানমার সফরের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে দেশটিকে সহায়তার প্রস্তাব দেন। রোহিঙ্গা ফেরানোর মাধ্যমে বাস্তবায়ন শুরুর জন্য একই প্রস্তাব বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের সায় রয়েছে বলে পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে সান ওয়েইডংকে জানানো হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়মিয়ানমারের সেনা পরিচালিত সরকারের গণহত্যা ও নিবর্তনমূলক কর্মকাণ্ডের শিকার প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে কক্সবাজারে বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।
আদালতে সাক্ষ্য দিতে আর্জেন্টিনায় ৭ রোহিঙ্গা
মিয়ানমারের সেনাদের হাতে স্বজনদের খুন হতে দেখেছেন। তাঁদের দেওয়া আগুনে নিজের ঘর পুড়তে দেখেছেন। গ্রাম ধ্বংস হতে দেখেছেন। ভয়াবহ এমন ঘটনার কথা আর্জেন্টিনার একটি আদালতে বলতে বাংলাদেশে আশ্রিত সাত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ আর্জেন্টিনা রওনা হয়েছেন। গতকাল বিকেলে তাঁরা দেশটিতে যেতে ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ছেড়েছেন।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর ‘ইউনিভার্সেল জুরিসডিকশন’ (সর্বজনীন এখতিয়ার) নীতির অধীনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলার তদন্ত শুরু করেন আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগ। এই মামলা ছাড়াও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিজে) এবং জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিসি) বিচার চলছে।
গণহত্যা মামলা চালাতে তহবিলের আবেদন
ঢাকা সফররত অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম ত্বহা রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা চালানোর জন্য সদস্যদেশগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার এবং তহবিল দিয়ে গাম্বিয়াকে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর ওআইসি মহাসচিব সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওআইসি মহাসচিব এবং গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি ওআইসির তহবিলের জন্য সমর্থন চেয়ে সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে একটি যৌথ চিঠি পাঠিয়েছেন।
আরও খবর পড়ুন:
২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করেছিল দেশটির রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষের বাংলাদেশ থেকে তাদের জন্মভূমি রাখাইনে পাঠাতে। পরের বছরের মাঝামাঝি নাগাদ চীন কাজ শুরু করে ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থায় রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য। এরপর গেল আরও প্রায় পাঁচ বছর। এত দিনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদী দিয়ে অনেক পানি নেমেছে সাগরে। কিন্তু একজন রোহিঙ্গাকেও রাখাইনে ফেরত পাঠানো যায়নি।
চীন অবশ্য বসে নেই। কয়েক মাস ধরে চলছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ওপর দিককার কর্তাব্যক্তিদের ঝটিকা কূটনৈতিক তৎপরতা। অন্তত পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত সংখ্যায় হলেও রোহিঙ্গাদের ফেরানো শুরু করা যায় কি না, দেখতে। এমন তৎপরতার অংশ হিসেবেই ঢাকা সফরে রয়েছেন চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও সমপর্যায়ের পররাষ্ট্রসচিব পর্যন্ত সব বৈঠকে দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার বার্তা সান ওয়েইডং পৌঁছে দিয়েছেন বলে চীনা এক কূটনীতিক ও বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা জানান।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো শুরু করতে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহ থাকলেও মিয়ানমারের অবস্থান ঠিক উল্টো। এ অবস্থায় চীনা কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ দেশটির নিজের স্বার্থেই।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিজ) সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সী ফয়েজ আহমেদ গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরানো একটি কঠিন বিষয়। এ ক্ষেত্রে সরাসরি ভূমিকা রাখতে চীন ছাড়া কেউ এগিয়ে আসেনি। বিষয়টির সঙ্গে দেশটির ভাবমূর্তির ব্যাপার আছে।’
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থার উল্লেখ করে মুন্সী ফয়েজ বলেন, এ ক্ষেত্রে চীনের প্রচেষ্টা আগেও ছিল। ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক ঝালাইয়ে প্রাথমিক সাফল্যের পর রোহিঙ্গা বিষয়ে চীনের যে চেষ্টা, তা জোরালো হয়েছে। এই উদ্যোগও সফল হলে লোকে দেখবে বৈশ্বিক কূটনীতিতে চীনের উত্থান। এ কারণেই দেশটি চায়, রোহিঙ্গা ফেরা শুরু হোক।
এর মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমানোর ক্ষেত্রেও চীন ভূমিকা রাখতে চায় বলে বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা মনে করেন।
এ ক্ষেত্রে ফেরত যেতে ইচ্ছুক লোকদের ‘স্বেচ্ছায়’ যাওয়ার যে দিকটির ওপর জাতিসংঘসহ পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো জোর দিয়ে থাকে, তা বাস্তবায়নের জন্য রোহিঙ্গাদের অনুরোধ করে হলেও রাজি করানো দরকার বলে মনে করেন চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা মুন্সী ফয়েজ। এর বাইরে মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে এমন দেশগুলোর কয়েকটি, যেমন ভারত, জাপান ও সিঙ্গাপুর নিয়ে একটি টাস্কফোর্স করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর মতে, এ কাজটিও চীনের নেতৃত্বে হলে ভালো হয়।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিউইন গ্যাং ২ মে মিয়ানমার সফরের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে দেশটিকে সহায়তার প্রস্তাব দেন। রোহিঙ্গা ফেরানোর মাধ্যমে বাস্তবায়ন শুরুর জন্য একই প্রস্তাব বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের সায় রয়েছে বলে পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে সান ওয়েইডংকে জানানো হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়মিয়ানমারের সেনা পরিচালিত সরকারের গণহত্যা ও নিবর্তনমূলক কর্মকাণ্ডের শিকার প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে কক্সবাজারে বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।
আদালতে সাক্ষ্য দিতে আর্জেন্টিনায় ৭ রোহিঙ্গা
মিয়ানমারের সেনাদের হাতে স্বজনদের খুন হতে দেখেছেন। তাঁদের দেওয়া আগুনে নিজের ঘর পুড়তে দেখেছেন। গ্রাম ধ্বংস হতে দেখেছেন। ভয়াবহ এমন ঘটনার কথা আর্জেন্টিনার একটি আদালতে বলতে বাংলাদেশে আশ্রিত সাত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ আর্জেন্টিনা রওনা হয়েছেন। গতকাল বিকেলে তাঁরা দেশটিতে যেতে ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ছেড়েছেন।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর ‘ইউনিভার্সেল জুরিসডিকশন’ (সর্বজনীন এখতিয়ার) নীতির অধীনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলার তদন্ত শুরু করেন আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগ। এই মামলা ছাড়াও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিজে) এবং জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিসি) বিচার চলছে।
গণহত্যা মামলা চালাতে তহবিলের আবেদন
ঢাকা সফররত অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম ত্বহা রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা চালানোর জন্য সদস্যদেশগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার এবং তহবিল দিয়ে গাম্বিয়াকে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর ওআইসি মহাসচিব সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওআইসি মহাসচিব এবং গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি ওআইসির তহবিলের জন্য সমর্থন চেয়ে সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে একটি যৌথ চিঠি পাঠিয়েছেন।
আরও খবর পড়ুন:
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে