নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক প্রোগ্রাম চালু নিয়ে বিপরীত অবস্থানের মধ্যেই এবার উচ্চশিক্ষা দেখভালের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ইউজিসির সঙ্গে সভার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
৫ অক্টোবর ইউজিসিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো এক চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।
প্রতিষ্ঠার তিন দশক পর মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২০ জুলাই মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে চারটি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিষয়গুলো হলো—এলএলবি, বিবিএ, টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স। বর্তমানে এ চার প্রোগ্রামের ভর্তির কার্যক্রম চলছে।
তবে মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তির এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইউজিসি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ইউজিসি ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু তা মানেনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। পরে রাষ্ট্রপতি বরাবর আপিল করার পরামর্শও আমলে নেয়নি। এরপর ৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে বিষয়টি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভর্তি এবং এ-সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় ইউজিসি।
এ নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইউজিসিতে পাঠানো সর্বশেষ চিঠিতে বলা হয়, ইউজিসি আদেশ-১৯৭৩-এর ৩ অনুচ্ছেদ বলে ইউজিসি গঠিত। ওই আদেশের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে কমিশনের এখতিয়ার সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এখতিয়ারসমূহের কোথাও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন-ক্যাম্পাস স্নাতক প্রোগ্রাম পাঠদান ও ভর্তি বিষয়ে হস্তক্ষেপ বা বিধিনিষেধ আরোপ করার কোনো এখতিয়ার কমিশনকে প্রদান করা হয়নি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘কমিশনের উপরিউক্ত বা কোনো পদক্ষেপের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিকূলে যেহেতু আইনসংগত কোনো সিদ্ধান্ত আপাতত দৃশ্যমান নয়, সুতরাং ইউজিসি আদেশ ১৯৭৩-এর ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদ বর্তমানে প্রযোজ্য নয়। যেহেতু কমিশন কর্তৃক চলমান ইস্যুতে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করার এখতিয়ার আইনত নেই, সেহেতু এখতিয়ারবহির্ভূত নির্দেশনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর প্রযোজ্য নয়। আলোচ্য ক্ষেত্রে কমিশনের এখতিয়ার মূলত মূল্যায়ন, পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ প্রদানের, যা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আদেশ ১৯৭৩ দ্বারা সীমাবদ্ধ।’
সর্বশেষ চিঠির বিষয়ে বক্তব্য জানতে ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন এবং এসএমএস করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ইউজিসির এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের বহিঃপ্রকাশ, যা কখনোই কাম্য নয়।
আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন বলেন, ‘আমাদের অবস্থান সর্বশেষ চিঠিতে পরিষ্কার করা হয়েছে। এর বাইরে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’
১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মূলত কলেজগুলোর উচ্চশিক্ষা দেখভাল করে। এর কার্যক্রম অনেকটা শিক্ষা বোর্ডের মতো। মূল কাজ অধিভুক্ত কলেজগুলোর পরীক্ষা নেওয়া। এর অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী রয়েছেন ২৯ লাখের বেশি। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ডিগ্রি দেওয়া হয়। আছে পেশাগত কোর্সও।
মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক প্রোগ্রাম চালু নিয়ে বিপরীত অবস্থানের মধ্যেই এবার উচ্চশিক্ষা দেখভালের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ইউজিসির সঙ্গে সভার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
৫ অক্টোবর ইউজিসিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো এক চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।
প্রতিষ্ঠার তিন দশক পর মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২০ জুলাই মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে চারটি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিষয়গুলো হলো—এলএলবি, বিবিএ, টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স। বর্তমানে এ চার প্রোগ্রামের ভর্তির কার্যক্রম চলছে।
তবে মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তির এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইউজিসি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ইউজিসি ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু তা মানেনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। পরে রাষ্ট্রপতি বরাবর আপিল করার পরামর্শও আমলে নেয়নি। এরপর ৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে বিষয়টি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভর্তি এবং এ-সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় ইউজিসি।
এ নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইউজিসিতে পাঠানো সর্বশেষ চিঠিতে বলা হয়, ইউজিসি আদেশ-১৯৭৩-এর ৩ অনুচ্ছেদ বলে ইউজিসি গঠিত। ওই আদেশের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে কমিশনের এখতিয়ার সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এখতিয়ারসমূহের কোথাও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন-ক্যাম্পাস স্নাতক প্রোগ্রাম পাঠদান ও ভর্তি বিষয়ে হস্তক্ষেপ বা বিধিনিষেধ আরোপ করার কোনো এখতিয়ার কমিশনকে প্রদান করা হয়নি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘কমিশনের উপরিউক্ত বা কোনো পদক্ষেপের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিকূলে যেহেতু আইনসংগত কোনো সিদ্ধান্ত আপাতত দৃশ্যমান নয়, সুতরাং ইউজিসি আদেশ ১৯৭৩-এর ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদ বর্তমানে প্রযোজ্য নয়। যেহেতু কমিশন কর্তৃক চলমান ইস্যুতে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করার এখতিয়ার আইনত নেই, সেহেতু এখতিয়ারবহির্ভূত নির্দেশনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর প্রযোজ্য নয়। আলোচ্য ক্ষেত্রে কমিশনের এখতিয়ার মূলত মূল্যায়ন, পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ প্রদানের, যা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আদেশ ১৯৭৩ দ্বারা সীমাবদ্ধ।’
সর্বশেষ চিঠির বিষয়ে বক্তব্য জানতে ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন এবং এসএমএস করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ইউজিসির এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের বহিঃপ্রকাশ, যা কখনোই কাম্য নয়।
আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন বলেন, ‘আমাদের অবস্থান সর্বশেষ চিঠিতে পরিষ্কার করা হয়েছে। এর বাইরে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’
১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মূলত কলেজগুলোর উচ্চশিক্ষা দেখভাল করে। এর কার্যক্রম অনেকটা শিক্ষা বোর্ডের মতো। মূল কাজ অধিভুক্ত কলেজগুলোর পরীক্ষা নেওয়া। এর অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী রয়েছেন ২৯ লাখের বেশি। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ডিগ্রি দেওয়া হয়। আছে পেশাগত কোর্সও।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে