শামিমুজ্জামান, খুলনা
খুলনা বিভাগের অনেক স্থানে সারাবছরই সুপেয় পানির সংকট থাকে। গ্রীষ্ম মৌসুমে এ সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এ সংকট দিনদিন বাড়ছে। এদিকে খুলনা ওয়াসা বলছে, এবার গ্রীষ্ম মৌসুমে নগরবাসীর পানির চাহিদা মেটাতে আগেভাগেই সতর্ক তারা।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানছে। এর ফলে লবণাক্ততা বেড়ে নষ্ট হচ্ছে মিষ্টি পানির আধার। যে কারণে উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানির সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ভূগর্ভস্থ পানির অপরিকল্পিত উত্তোলনে এ সংকট আরও প্রকট হচ্ছে।
জানা গেছে, ৪০ দশমিক ৭৯ কিলোমিটার আয়তনের খুলনা সিটি করপোরেশনে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বসবাস করেন। গ্রীষ্ম মৌসুমে প্রতিদিন পানির চাহিদা থাকে ২১ কোটি লিটার। অপরদিকে ওয়াসা বর্তমানে প্রতিদিন ৭ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে। বাকি পানি গভীর-অগভীর নলকূপ থেকে সংগ্রহ করেন নগরবাসী। আবার পানির স্তর নেমে যাওয়ায় নলকূপ থেকেও পানি পাওয়া যায় না। পানির চাহিদা মেটানোর জন্য ওয়াসার দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের নেতারা।
এ ব্যাপারে খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির সংকট নতুন নয়। প্রতিবছরই সংকট দেখা দেয়। চাহিদার অর্ধেক পানিও ওয়াসা সরবরাহ করতে পারে না। যদিও সংকট নিরসনে ওয়াসা ‘বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ স্থাপন করেছে। তা দিয়ে নগরবাসীর সুপেয় পানির সবটুকু চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়। কেননা ওয়াসা বলছে, তারা গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। কিন্তু নগরীর অনেক বাসিন্দা ওয়াসার পানির ওপর নির্ভরশীল নন। তাঁরা অগভীর-গভীর নলকূপ থেকে পানি সরবরাহ করেন। কিন্তু গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় নলকূপে পানি পাওয়া যায় না। সে সময় নগরবাসীর দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এ জন্য প্রয়োজন স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
অপরদিকে পানির সংকট নিরসনে ২০১৯ সালের জুন মাসে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন শুরু হয়। ওয়াসা খুলনার রূপসায় স্থাপন করেছে ‘বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’। এখানে ৩৩ কিলোমিটার দূরের বাগেরহাটের মোল্লাহাট মধুমতী নদী থেকে পাইপের মাধ্যমে অপরিশোধিত পানি এনে পরিশোধন করে তা সরবরাহ করা হয় নগরীতে। শুরুতে দিনে ৬ কোটি লিটার সরবরাহ করা হলেও এখন তা বেড়ে ৭ কোটি লিটারে দাঁড়িয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিন ১১ কোটি লিটার পানি উৎপাদন সম্ভব। প্রয়োজনে তা সরবরাহ করা হবে বলে ওয়াসা জানিয়েছে।
খুলনা ওয়াসার বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান বলেন, খুলনা মহানগরবাসীর পানি সংকট নিরসনে এই প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে এখান থেকে প্রতিদিন ৭ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও বৃদ্ধি করা হবে।
এদিকে খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ বলেন, নগরবাসীর সবাই ওয়াসার গ্রাহক নন। ওয়াসার পানি ছাড়া অনেকে গভীর-অগভীর নলকূপের ওপর নির্ভরশীল। ওয়াসা তার গ্রাহকদের নিয়ে চিন্তা করবে। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা ওয়াসার দায়িত্ব।
নগরীতে ওয়াসার গ্রাহক রয়েছে প্রায় ৩৯ হাজার হোল্ডিং। সে হিসাবে প্রতিদিন ৭ কোটি লিটার চাহিদার বিপরীতে সম্পূর্ণ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির সরবরাহ চাহিদা অনুযায়ী বাড়ানো হবে। এ বছর পানির কোনো সংকট হবে না।
খুলনা বিভাগের অনেক স্থানে সারাবছরই সুপেয় পানির সংকট থাকে। গ্রীষ্ম মৌসুমে এ সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এ সংকট দিনদিন বাড়ছে। এদিকে খুলনা ওয়াসা বলছে, এবার গ্রীষ্ম মৌসুমে নগরবাসীর পানির চাহিদা মেটাতে আগেভাগেই সতর্ক তারা।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানছে। এর ফলে লবণাক্ততা বেড়ে নষ্ট হচ্ছে মিষ্টি পানির আধার। যে কারণে উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানির সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ভূগর্ভস্থ পানির অপরিকল্পিত উত্তোলনে এ সংকট আরও প্রকট হচ্ছে।
জানা গেছে, ৪০ দশমিক ৭৯ কিলোমিটার আয়তনের খুলনা সিটি করপোরেশনে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বসবাস করেন। গ্রীষ্ম মৌসুমে প্রতিদিন পানির চাহিদা থাকে ২১ কোটি লিটার। অপরদিকে ওয়াসা বর্তমানে প্রতিদিন ৭ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে। বাকি পানি গভীর-অগভীর নলকূপ থেকে সংগ্রহ করেন নগরবাসী। আবার পানির স্তর নেমে যাওয়ায় নলকূপ থেকেও পানি পাওয়া যায় না। পানির চাহিদা মেটানোর জন্য ওয়াসার দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের নেতারা।
এ ব্যাপারে খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির সংকট নতুন নয়। প্রতিবছরই সংকট দেখা দেয়। চাহিদার অর্ধেক পানিও ওয়াসা সরবরাহ করতে পারে না। যদিও সংকট নিরসনে ওয়াসা ‘বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ স্থাপন করেছে। তা দিয়ে নগরবাসীর সুপেয় পানির সবটুকু চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়। কেননা ওয়াসা বলছে, তারা গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। কিন্তু নগরীর অনেক বাসিন্দা ওয়াসার পানির ওপর নির্ভরশীল নন। তাঁরা অগভীর-গভীর নলকূপ থেকে পানি সরবরাহ করেন। কিন্তু গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় নলকূপে পানি পাওয়া যায় না। সে সময় নগরবাসীর দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এ জন্য প্রয়োজন স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
অপরদিকে পানির সংকট নিরসনে ২০১৯ সালের জুন মাসে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন শুরু হয়। ওয়াসা খুলনার রূপসায় স্থাপন করেছে ‘বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’। এখানে ৩৩ কিলোমিটার দূরের বাগেরহাটের মোল্লাহাট মধুমতী নদী থেকে পাইপের মাধ্যমে অপরিশোধিত পানি এনে পরিশোধন করে তা সরবরাহ করা হয় নগরীতে। শুরুতে দিনে ৬ কোটি লিটার সরবরাহ করা হলেও এখন তা বেড়ে ৭ কোটি লিটারে দাঁড়িয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিন ১১ কোটি লিটার পানি উৎপাদন সম্ভব। প্রয়োজনে তা সরবরাহ করা হবে বলে ওয়াসা জানিয়েছে।
খুলনা ওয়াসার বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান বলেন, খুলনা মহানগরবাসীর পানি সংকট নিরসনে এই প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে এখান থেকে প্রতিদিন ৭ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও বৃদ্ধি করা হবে।
এদিকে খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ বলেন, নগরবাসীর সবাই ওয়াসার গ্রাহক নন। ওয়াসার পানি ছাড়া অনেকে গভীর-অগভীর নলকূপের ওপর নির্ভরশীল। ওয়াসা তার গ্রাহকদের নিয়ে চিন্তা করবে। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা ওয়াসার দায়িত্ব।
নগরীতে ওয়াসার গ্রাহক রয়েছে প্রায় ৩৯ হাজার হোল্ডিং। সে হিসাবে প্রতিদিন ৭ কোটি লিটার চাহিদার বিপরীতে সম্পূর্ণ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির সরবরাহ চাহিদা অনুযায়ী বাড়ানো হবে। এ বছর পানির কোনো সংকট হবে না।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে