সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
নাম জেসমিন আক্তার। বয়স ২৪ বছর। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার এই বাসিন্দা আদালতে একটি মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, তিনজন তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। এর পর থেকেই আসামিরা পলাতক ছিলেন। তবে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, জেসমিন আক্তার নামে কারও সেখানে অস্তিত্ব নেই।
শুধু জেসমিন আক্তারের মামলা নয়, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রামে এমন বেশ কিছু ভুয়া স্পর্শকাতর মামলা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। এমন চারটি মামলার নথি আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম আদালতের কর্মচারী ও আইনজীবীদের অসাধু চক্র প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো স্পর্শকাতর আইনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে তারা।
ভুয়া মামলা নিয়ে আদালতও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ২০২১ সালের জুনে একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের অস্তিত্বহীন মামলা ঠেকাতে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, মামলা গ্রহণের সময় এজাহারকারী বা বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জমা দিতে হবে। তবে অসাধু চক্র সেখানেও জালিয়াতি করছে। ভুয়া এনআইডি দেখিয়ে মামলা করছে তারা।
জেসমিন আক্তারের ওই মামলায় বলা হয়েছিল, তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট ইউনিয়নের বাবুনগর গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে। আসামি করা হয় একই গ্রামের জাবেদুল ইসলাম জাবেদ, আবদুল ওয়াদেদ ও হাছান মুরাদ নিশাতকে। আদালতের নির্দেশে ফটিকছড়ির থানা-পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে। গত নভেম্বরে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন ফটিকছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমরা খান। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদীর জমা দেওয়া এনআইডির ঠিকানা অনুযায়ী তিনি ঘটনাস্থলে একাধিকবার যান।
কিন্তু ওই ঠিকানায় বাদীকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়। পৌর কাউন্সিলরসহ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে এসআই ওমরা খান জানতে পারেন, জেসমিন আক্তার ও আব্দুর রহিম নামে কেউ বাবুনগর গ্রামে বসবাস করেন না। পরে জেসমিন আক্তারের এনআইডি যাচাই করে দেখা যায়, এটি আসলে ভুয়া কার্ড।
ওমরা খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবেদনে আসামিদের অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করা হয়েছে। এটা মূলত ভুক্তভোগীদের ফাঁসাতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের করা সাজানো মামলা ছিল।
এদিকে ওই মামলার আসামিদের একজন জাবেদুল ইসলাম জাবেদ বলেন, ‘ওই মামলা রেকর্ড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছিল। গ্রেপ্তার-আতঙ্কে ছিলাম। আমি সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করি, এই ধরনের কোনো অপরাধ আমি করিনি। পরে অবশ্য সবাই মূল ঘটনাটি জানতে পারে।’
চট্টগ্রাম আদালতে গত ১৭ আগস্ট ইসমত আরা বেগম (২১) নামে এক নারী মুহিব উল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে স্বামী দাবি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এই মামলায় ইউসুফ ও আমিন উল্লাহ নামে আরও দুজনকে আসামি করা হয়। আসামিদের সবার বাড়ি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায়। মামলায় বলা হয়, ইসমত আরার বাড়ি হাটহাজারী থানাধীন ফতেয়াবাদ এলাকায় ও বর্তমানে তিনি বান্দরবান জেলা সদরে থাকেন বলা হয়েছে। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক মো. সিদ্দিক বলেন, জাল এনআইডি ও কাবিননামা তৈরির মাধ্যমে আদালতে এই মামলা করেন ইসমত আরা।
এই মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসান নামে আমার এক পরিচিত ছেলে এই মামলাটি এনেছিল। সঙ্গে একজন মহিলাকেও নিয়ে এসেছিল। আসলে আমার ভুল হয়েছিল ওই ছেলেটিকে বিশ্বাস করে। আমার মামলা করার আগে আরও যাচাই-বাছাই ও সতর্ক থাকার প্রয়োজন ছিল।’
একইভাবে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এক তরুণী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিলেন। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে হাটহাজারী থানা মামলা গ্রহণ করে। পরে তদন্তে উঠে আসে মামলাটি ভুয়া। তবে যে তরুণী মিথ্যা পরিচয়ে মামলা করেছিলেন, তাঁকে শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ। হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল।
সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক উপপরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লার সঙ্গে। এই কর্মকর্তা ও তাঁর শ্যালক মোহাম্মদ কায়সার আনোয়ারের বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন রনি আক্তার তানিয়া। এই নারীর দাবি, তিনি অভিযুক্তদের বাড়ির গৃহকর্মী। তবে এই মামলা করার পর আদালত যে সমন জারি করেছিল, তা আটকে রেখেছিল বেঞ্চ সহকারীসহ একটি চক্র। ফলে আদালতে হাজির না থাকায় ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। গত ৩ অক্টোবর সেই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে চান্দগাঁও থানা-পুলিশ হেফাজতে থাকাবস্থায় ওই দুদক কর্মকর্তা অসুস্থ হয়ে মারা যান। পরে রনি আক্তার মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।
এই ঘটনার জেরে গত ৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম-৬ আদালতের বিচারক অভিযুক্ত বেঞ্চ সহকারীকে বদলি করেন। একই সঙ্গে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। গত রোববার চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তদন্তে বেঞ্চ সহকারীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা তদন্ত রিপোর্ট মহানগর দায়রা আদালতে পাঠিয়েছি। আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা দায়রা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত মামলা করার ক্ষেত্রে বাদীর পরিচয় নিশ্চিতের জন্য এনআইডি থাকতে হয়, সেটাও যদি ভুয়া হয় কেউ না কেউ এ মামলার পেছনে জড়িত থাকে। এ ধরনের ভুয়া ও অস্তিত্বহীন বাদীর মামলাগুলো করার ক্ষেত্রে যাঁরাই জড়িত থাকুন তাঁদের খুঁজে বের করে সবাইকে আইনের আওতায় আনা উচিত বলে আমি মনে করি।’
নাম জেসমিন আক্তার। বয়স ২৪ বছর। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার এই বাসিন্দা আদালতে একটি মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, তিনজন তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। এর পর থেকেই আসামিরা পলাতক ছিলেন। তবে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, জেসমিন আক্তার নামে কারও সেখানে অস্তিত্ব নেই।
শুধু জেসমিন আক্তারের মামলা নয়, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রামে এমন বেশ কিছু ভুয়া স্পর্শকাতর মামলা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। এমন চারটি মামলার নথি আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম আদালতের কর্মচারী ও আইনজীবীদের অসাধু চক্র প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো স্পর্শকাতর আইনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে তারা।
ভুয়া মামলা নিয়ে আদালতও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ২০২১ সালের জুনে একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের অস্তিত্বহীন মামলা ঠেকাতে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, মামলা গ্রহণের সময় এজাহারকারী বা বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জমা দিতে হবে। তবে অসাধু চক্র সেখানেও জালিয়াতি করছে। ভুয়া এনআইডি দেখিয়ে মামলা করছে তারা।
জেসমিন আক্তারের ওই মামলায় বলা হয়েছিল, তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট ইউনিয়নের বাবুনগর গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে। আসামি করা হয় একই গ্রামের জাবেদুল ইসলাম জাবেদ, আবদুল ওয়াদেদ ও হাছান মুরাদ নিশাতকে। আদালতের নির্দেশে ফটিকছড়ির থানা-পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে। গত নভেম্বরে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন ফটিকছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমরা খান। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদীর জমা দেওয়া এনআইডির ঠিকানা অনুযায়ী তিনি ঘটনাস্থলে একাধিকবার যান।
কিন্তু ওই ঠিকানায় বাদীকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়। পৌর কাউন্সিলরসহ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে এসআই ওমরা খান জানতে পারেন, জেসমিন আক্তার ও আব্দুর রহিম নামে কেউ বাবুনগর গ্রামে বসবাস করেন না। পরে জেসমিন আক্তারের এনআইডি যাচাই করে দেখা যায়, এটি আসলে ভুয়া কার্ড।
ওমরা খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবেদনে আসামিদের অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করা হয়েছে। এটা মূলত ভুক্তভোগীদের ফাঁসাতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের করা সাজানো মামলা ছিল।
এদিকে ওই মামলার আসামিদের একজন জাবেদুল ইসলাম জাবেদ বলেন, ‘ওই মামলা রেকর্ড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছিল। গ্রেপ্তার-আতঙ্কে ছিলাম। আমি সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করি, এই ধরনের কোনো অপরাধ আমি করিনি। পরে অবশ্য সবাই মূল ঘটনাটি জানতে পারে।’
চট্টগ্রাম আদালতে গত ১৭ আগস্ট ইসমত আরা বেগম (২১) নামে এক নারী মুহিব উল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে স্বামী দাবি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এই মামলায় ইউসুফ ও আমিন উল্লাহ নামে আরও দুজনকে আসামি করা হয়। আসামিদের সবার বাড়ি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায়। মামলায় বলা হয়, ইসমত আরার বাড়ি হাটহাজারী থানাধীন ফতেয়াবাদ এলাকায় ও বর্তমানে তিনি বান্দরবান জেলা সদরে থাকেন বলা হয়েছে। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক মো. সিদ্দিক বলেন, জাল এনআইডি ও কাবিননামা তৈরির মাধ্যমে আদালতে এই মামলা করেন ইসমত আরা।
এই মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসান নামে আমার এক পরিচিত ছেলে এই মামলাটি এনেছিল। সঙ্গে একজন মহিলাকেও নিয়ে এসেছিল। আসলে আমার ভুল হয়েছিল ওই ছেলেটিকে বিশ্বাস করে। আমার মামলা করার আগে আরও যাচাই-বাছাই ও সতর্ক থাকার প্রয়োজন ছিল।’
একইভাবে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এক তরুণী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিলেন। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে হাটহাজারী থানা মামলা গ্রহণ করে। পরে তদন্তে উঠে আসে মামলাটি ভুয়া। তবে যে তরুণী মিথ্যা পরিচয়ে মামলা করেছিলেন, তাঁকে শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ। হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল।
সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক উপপরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লার সঙ্গে। এই কর্মকর্তা ও তাঁর শ্যালক মোহাম্মদ কায়সার আনোয়ারের বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন রনি আক্তার তানিয়া। এই নারীর দাবি, তিনি অভিযুক্তদের বাড়ির গৃহকর্মী। তবে এই মামলা করার পর আদালত যে সমন জারি করেছিল, তা আটকে রেখেছিল বেঞ্চ সহকারীসহ একটি চক্র। ফলে আদালতে হাজির না থাকায় ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। গত ৩ অক্টোবর সেই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে চান্দগাঁও থানা-পুলিশ হেফাজতে থাকাবস্থায় ওই দুদক কর্মকর্তা অসুস্থ হয়ে মারা যান। পরে রনি আক্তার মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।
এই ঘটনার জেরে গত ৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম-৬ আদালতের বিচারক অভিযুক্ত বেঞ্চ সহকারীকে বদলি করেন। একই সঙ্গে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। গত রোববার চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তদন্তে বেঞ্চ সহকারীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা তদন্ত রিপোর্ট মহানগর দায়রা আদালতে পাঠিয়েছি। আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা দায়রা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত মামলা করার ক্ষেত্রে বাদীর পরিচয় নিশ্চিতের জন্য এনআইডি থাকতে হয়, সেটাও যদি ভুয়া হয় কেউ না কেউ এ মামলার পেছনে জড়িত থাকে। এ ধরনের ভুয়া ও অস্তিত্বহীন বাদীর মামলাগুলো করার ক্ষেত্রে যাঁরাই জড়িত থাকুন তাঁদের খুঁজে বের করে সবাইকে আইনের আওতায় আনা উচিত বলে আমি মনে করি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪