চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয় ১২ কর্মীকে। বহিষ্কারাদেশ চলাকালে তাঁদের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার কথা। তবে এঁদের তিনজন বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বিভাগীয় সভাপতির কাছে জানতে চাওয়ায় প্রক্টর পরিচয়ে মোবাইল ফোনে চবির এক সাংবাদিককে হুমকি দিয়েছেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। এ সময় তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ইফতেখায়রুল ইসলাম সৈকত নামের ওই সাংবাদিককে হুমকি দেওয়া হয়। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল মহানগর নিউজ ও সময়নিউজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক। এ ছাড়া তিনি চবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য। তাঁর মোবাইল ফোনে ২ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের কথোপকথনের রেকর্ডটি আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে।
জানা গেছে, গত ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ, রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভার এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষ ‘সিক্সটি-নাইন’ ও ‘সিএফসি’র ১২ কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়। এঁদের মধ্যে দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার অভিযোগে এক বছর ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়ে।
বহিষ্কারের নিয়মানুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে ক্লাস ও পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞাসহ বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারবেন না। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলা ও আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের (আইএমএল) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলছে। শেষ হয়েছে একই শিক্ষাবর্ষের আরবি বিভাগের পরীক্ষা। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ওই তিন বিভাগের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তাঁরা হলেন আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. নাঈম, একই শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের সাইফুল ইসলাম এবং আরবি বিভাগের তৌহিদুল ইসলাম।
তবে তিন বিভাগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বহিষ্কার সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাননি বলে নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে হুমকির শিকার ইফতেখায়রুল ইসলাম সৈকত বলেন, ‘বহিষ্কার হওয়ার পরও ওই শিক্ষার্থীরা কীভাবে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন, তা জানতে আরবি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাযাআত উল্লাহ ফারুকীর সঙ্গে ৬ ডিসেম্বর যোগাযোগ করি। এ ঘটনার জেরে মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল দিয়ে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।’
সৈকত আরও বলেন, ‘আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে আগামীকাল লিখিত অভিযোগ দেব। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। এটি দুঃখজনক। লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বহিষ্কার হয়েও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, ‘চিঠিগুলো গেছে কিনা বিষয়টা খতিয়ে দেখব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছা বলেন, ‘বহিষ্কার সংক্রান্ত কোনো কাগজ আমরা এখনো পর্যন্ত পাইনি। কাগজ না পেলে তো আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয় ১২ কর্মীকে। বহিষ্কারাদেশ চলাকালে তাঁদের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার কথা। তবে এঁদের তিনজন বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বিভাগীয় সভাপতির কাছে জানতে চাওয়ায় প্রক্টর পরিচয়ে মোবাইল ফোনে চবির এক সাংবাদিককে হুমকি দিয়েছেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। এ সময় তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ইফতেখায়রুল ইসলাম সৈকত নামের ওই সাংবাদিককে হুমকি দেওয়া হয়। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল মহানগর নিউজ ও সময়নিউজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক। এ ছাড়া তিনি চবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য। তাঁর মোবাইল ফোনে ২ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের কথোপকথনের রেকর্ডটি আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে।
জানা গেছে, গত ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ, রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভার এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষ ‘সিক্সটি-নাইন’ ও ‘সিএফসি’র ১২ কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়। এঁদের মধ্যে দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার অভিযোগে এক বছর ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়ে।
বহিষ্কারের নিয়মানুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে ক্লাস ও পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞাসহ বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারবেন না। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলা ও আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের (আইএমএল) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলছে। শেষ হয়েছে একই শিক্ষাবর্ষের আরবি বিভাগের পরীক্ষা। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ওই তিন বিভাগের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তাঁরা হলেন আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. নাঈম, একই শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের সাইফুল ইসলাম এবং আরবি বিভাগের তৌহিদুল ইসলাম।
তবে তিন বিভাগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বহিষ্কার সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাননি বলে নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে হুমকির শিকার ইফতেখায়রুল ইসলাম সৈকত বলেন, ‘বহিষ্কার হওয়ার পরও ওই শিক্ষার্থীরা কীভাবে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন, তা জানতে আরবি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাযাআত উল্লাহ ফারুকীর সঙ্গে ৬ ডিসেম্বর যোগাযোগ করি। এ ঘটনার জেরে মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল দিয়ে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।’
সৈকত আরও বলেন, ‘আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে আগামীকাল লিখিত অভিযোগ দেব। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। এটি দুঃখজনক। লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বহিষ্কার হয়েও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, ‘চিঠিগুলো গেছে কিনা বিষয়টা খতিয়ে দেখব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছা বলেন, ‘বহিষ্কার সংক্রান্ত কোনো কাগজ আমরা এখনো পর্যন্ত পাইনি। কাগজ না পেলে তো আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে