সাইফুল ইসলাম, চরফ্যাশন (ভোলা)
শীত বাড়ছে দক্ষিণাঞ্চলে। ঠান্ডা বাতাস আর শীতে ভোগান্তি বাড়ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের। দীর্ঘ ২৩ বছরেও সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাক হাউসটি। পলেস্তারা খসে পড়া সিমেন্টের খুঁটির ওপর নড়বড়ে অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে এখানকার ঘরগুলো। ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসের ১৬ তারিখে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ব্যারাক হাউসটি নির্মিত হয়। প্রকল্পটির অবস্থান ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নায়ইবের পোল এলাকায়।
প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ১৬ জুলাই নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দুই একর জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাক হাউস নির্মিত হয়। ভিটাবাড়ি হারানো ৪০টি পরিবারের জন্য এই প্রকল্পের ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পে ৪০টি পরিবারের জন্য দুটি শৌচাগার ও দুটি গোসলখানা নির্মাণ করে দেওয়া হয়। পরিবারগুলোর জন্য দুটি নলকূপ দেওয়া হয়। কিন্তু ১৬ বছর আগে নলকূপ, শৌচাগার ও ঘরসহ অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, ব্যারাকের প্রতিটি ঘর জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঘরের ছাউনির টিনগুলো মরিচা পড়ে ছিদ্র হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই অঝোরে পানি পড়ে। সেগুলো বন্ধ করতে পলিথিন বিছিয়ে তার ওপর ইট চাপা দেওয়া হয়েছে। দরজা-জানালা ভেঙে গেছে বহু আগে। এসব দরজা-জানালা বন্ধ করার কাজ চালিয়ে নিচ্ছে চটের বস্তা টানিয়ে। শৌচাগারটির ভেঙে যাওয়া দরজা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছে বাসিন্দারা। একটি নলকূপ অকেজো হয়ে রয়েছে। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ব্যবহার অযোগ্য এসব ঘরে ৩৪টি পরিবারের অন্তত ২২০ ব্যক্তি বসবাস করেছেন। রোদ-বৃষ্টি ও শীত উপেক্ষা করে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন পরিবারগুলো। এমন দুর্ভোগের জীবন সহ্য করতে না পেরে কয়েক বছর আগে ৬টি পরিবার চলে গেছে।
এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে আশ্রিত বৃদ্ধ আবুল কালাম। ১৭ বছর আগে লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নে বাবার ভিটায় বসবাস করতেন। বাবা দেনার দায়ে বসতভিটা বিক্রি করে দিলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে তাঁর পরিবার। স্ত্রী-সন্তানসহ তাঁর আশ্রয় মেলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে। ছেলেরা অন্যত্র চলে গেলেও বৃদ্ধ স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন এই প্রকল্পের একটি ঘরে। কয়েক দশক মেরামত না হওয়ায় জরাজীর্ণ ঘরেই বসবাস করছেন তাঁরা।
তিন সন্তানের জননী বিউটি বেগম বলেন, ‘বৃষ্টি আইলে রানদনের (রান্নার) পাতিল নিয়া বইশ্যা (বসে) থাকি। বৃষ্টির কোপে টিন ফুঁটা হইয়্যা বিছানায় পানি পড়ে সব ভিইজ্যা যায়। আমাগো ঘরগুলা দশ বছর আগে ভাইংগা গেলেও ঠিক করে নাই। আমাগো খোঁজ কেউ নেয় না। সরকারের কোনো সহায়তা পাই নাই।’
আশ্রয়ণ প্রকল্পের জীর্ণ ঘরেই থাকেন ময়ফুল বেগম। শাশুড়ি, স্বামী ও দুই সন্তান মিলে পাঁচজনের সংসার। আঠারো বছর ধরে দুই কক্ষের একটা ঘরে বসবাস করলেও প্রায় পাঁচ বছর আগে একটি কক্ষের ছাউনির টিন মরিচা ধরে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। ওই ছাউনি টিন না থাকায় পরিত্যক্ত হয়ে আছে কক্ষটি। তাই একটি কক্ষে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে পাঁচজনের এই পরিবারটিকে।
ব্যারাক হাউসের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের জরাজীর্ণ ঘরগুলোতে পলিথিনের ছাউনি দিয়ে বসবাস করছেন বাসিন্দারা। এসব জরাজীর্ণ ঘর ও টয়লেট, টিউবওয়েল মেরামত করা প্রয়োজন। আমরা সরকারিভাবে কোনো সুযোগ-সুবিধা পাইনি। নেই শিশুদের কোনো শিক্ষার ব্যবস্থা। ওপর মহলকে একাধিকবার জানিয়েও কোনো সুফল পাইনি।’
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, আপাতত পুরোনো আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। সরকার উদ্যোগ নিলে সংস্কার হতে পারে।
চরফ্যাশন ইউএনও আল নোমান বলেন, ‘ইতিপূর্বে পুরোনো আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো সংস্কার চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বসবাসের অনুপযোগী ঘরগুলো মেরামত করা হবে।’
শীত বাড়ছে দক্ষিণাঞ্চলে। ঠান্ডা বাতাস আর শীতে ভোগান্তি বাড়ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের। দীর্ঘ ২৩ বছরেও সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাক হাউসটি। পলেস্তারা খসে পড়া সিমেন্টের খুঁটির ওপর নড়বড়ে অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে এখানকার ঘরগুলো। ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসের ১৬ তারিখে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ব্যারাক হাউসটি নির্মিত হয়। প্রকল্পটির অবস্থান ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নায়ইবের পোল এলাকায়।
প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ১৬ জুলাই নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দুই একর জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাক হাউস নির্মিত হয়। ভিটাবাড়ি হারানো ৪০টি পরিবারের জন্য এই প্রকল্পের ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পে ৪০টি পরিবারের জন্য দুটি শৌচাগার ও দুটি গোসলখানা নির্মাণ করে দেওয়া হয়। পরিবারগুলোর জন্য দুটি নলকূপ দেওয়া হয়। কিন্তু ১৬ বছর আগে নলকূপ, শৌচাগার ও ঘরসহ অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, ব্যারাকের প্রতিটি ঘর জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঘরের ছাউনির টিনগুলো মরিচা পড়ে ছিদ্র হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই অঝোরে পানি পড়ে। সেগুলো বন্ধ করতে পলিথিন বিছিয়ে তার ওপর ইট চাপা দেওয়া হয়েছে। দরজা-জানালা ভেঙে গেছে বহু আগে। এসব দরজা-জানালা বন্ধ করার কাজ চালিয়ে নিচ্ছে চটের বস্তা টানিয়ে। শৌচাগারটির ভেঙে যাওয়া দরজা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছে বাসিন্দারা। একটি নলকূপ অকেজো হয়ে রয়েছে। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ব্যবহার অযোগ্য এসব ঘরে ৩৪টি পরিবারের অন্তত ২২০ ব্যক্তি বসবাস করেছেন। রোদ-বৃষ্টি ও শীত উপেক্ষা করে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন পরিবারগুলো। এমন দুর্ভোগের জীবন সহ্য করতে না পেরে কয়েক বছর আগে ৬টি পরিবার চলে গেছে।
এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে আশ্রিত বৃদ্ধ আবুল কালাম। ১৭ বছর আগে লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নে বাবার ভিটায় বসবাস করতেন। বাবা দেনার দায়ে বসতভিটা বিক্রি করে দিলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে তাঁর পরিবার। স্ত্রী-সন্তানসহ তাঁর আশ্রয় মেলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে। ছেলেরা অন্যত্র চলে গেলেও বৃদ্ধ স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন এই প্রকল্পের একটি ঘরে। কয়েক দশক মেরামত না হওয়ায় জরাজীর্ণ ঘরেই বসবাস করছেন তাঁরা।
তিন সন্তানের জননী বিউটি বেগম বলেন, ‘বৃষ্টি আইলে রানদনের (রান্নার) পাতিল নিয়া বইশ্যা (বসে) থাকি। বৃষ্টির কোপে টিন ফুঁটা হইয়্যা বিছানায় পানি পড়ে সব ভিইজ্যা যায়। আমাগো ঘরগুলা দশ বছর আগে ভাইংগা গেলেও ঠিক করে নাই। আমাগো খোঁজ কেউ নেয় না। সরকারের কোনো সহায়তা পাই নাই।’
আশ্রয়ণ প্রকল্পের জীর্ণ ঘরেই থাকেন ময়ফুল বেগম। শাশুড়ি, স্বামী ও দুই সন্তান মিলে পাঁচজনের সংসার। আঠারো বছর ধরে দুই কক্ষের একটা ঘরে বসবাস করলেও প্রায় পাঁচ বছর আগে একটি কক্ষের ছাউনির টিন মরিচা ধরে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। ওই ছাউনি টিন না থাকায় পরিত্যক্ত হয়ে আছে কক্ষটি। তাই একটি কক্ষে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে পাঁচজনের এই পরিবারটিকে।
ব্যারাক হাউসের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের জরাজীর্ণ ঘরগুলোতে পলিথিনের ছাউনি দিয়ে বসবাস করছেন বাসিন্দারা। এসব জরাজীর্ণ ঘর ও টয়লেট, টিউবওয়েল মেরামত করা প্রয়োজন। আমরা সরকারিভাবে কোনো সুযোগ-সুবিধা পাইনি। নেই শিশুদের কোনো শিক্ষার ব্যবস্থা। ওপর মহলকে একাধিকবার জানিয়েও কোনো সুফল পাইনি।’
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, আপাতত পুরোনো আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। সরকার উদ্যোগ নিলে সংস্কার হতে পারে।
চরফ্যাশন ইউএনও আল নোমান বলেন, ‘ইতিপূর্বে পুরোনো আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো সংস্কার চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বসবাসের অনুপযোগী ঘরগুলো মেরামত করা হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪