কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
শারীরিক প্রতিবন্ধিত্ব নিয়ে সমাজের কেউ কেউ ভিক্ষাবৃত্তি কিংবা অনুরূপ পন্থা অবলম্বন করে জীবিকা নির্বাহ করে। তবে অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে শুধু নিজেকে নয়, পরিবারের হাল ধরে সচ্ছলভাবে জীবিকা নির্বাহ করছেন রবিউল ইসলাম। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মহিরুম গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
সাইফুল ইসলাম ও রশিদা বেগম দম্পতির প্রথম সন্তান রবিউল ইসলামের জন্ম ১৯৯৬ সালে। বিকলাঙ্গ শরীর নিয়েই তাঁর জন্ম। কোমর থেকে শরীরের ওপরের অংশ স্বাভাবিক গঠনের হলেও নিচের অংশ খাটো। ফলে বয়স হিসাবে কাঙ্ক্ষিত উচ্চতার চেয়ে অনেকাংশে কম।
তবে এলাকার মানুষ রবিউল ইসলামকে খুব ভালোবাসেন। এ বিষয়টি তাঁর মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তিনি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এ ছাড়া ছোটবেলা থেকেই তাঁর গানবাজনার প্রতি বেশ ঝোঁক ছিল। সেই সূত্র ধরে এলাকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল। একসময় দারিদ্র্যের কারণে আর পড়াশোনা এগোতে পারেননি। পড়াশোনার পাশাপাশি ১০ বছর বয়স থেকে নরসুন্দরের কাজে জড়িয়ে পড়েন। বর্তমানে তাঁর এটিই মূল পেশা।
রবিউল ইসলামের সঙ্গে তাঁর জীবনের গল্প নিয়ে কথা হয় গ্রামের অদূরে মোস্তশার চারমাথার মোড়ে। সেখানে জনৈক আক্কাস মণ্ডলের বাড়ির পেছনের দেয়ালের সঙ্গে টিনের চালার ছোট সেলুন ঘর তাঁর। রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভাবের সংসার। বাবা কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত হলেও সেই আয়ে সংসার চলত না। বাধ্য হয়ে ১০ বছর বয়স থেকে সংসারের হাল ধরেন। এখন এখানে নরসুন্দরের কাজ করেই তাঁর দিন কাটে। উচ্চতা কম হওয়ার কারণে ‘এল’ আকৃতির উঁচু ভিত্তি ভূমির ওপরে দাঁড়িয়ে নিখুঁতভাবে তাঁর পেশাগত কাজ সম্পন্ন করেন।
প্রতিদিন নরসুন্দরের কাজ করে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করেন। কখনোবা ৪০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। এ টাকায় চলে তাঁর সংসার। পরিবারের মা-বাবা ছাড়াও তাঁর এক ছোট ভাই স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন। চার সদস্যের পরিবারের সাহায্য করতে পেরে নিজেকে তিনি ধন্য মনে করেন।
আট-দশজন মানুষের মতো শারীরিকভাবে স্বাভাবিক গঠনের না হলেও সবার স্নেহ-ভালোবাসা পেয়ে নিজেকে কখনো ছোট মনে করেননি তিনি। রবিউলের ইচ্ছাশক্তি ও কর্ম উদ্দীপনার প্রশংসা এলাকাবাসীর মুখে। রবিউল উপযুক্ত সহযোগিতা পেলে আরও সুন্দর ও সচ্ছল জীবন যাপন করতে পারে বলে অনেকেরই প্রত্যাশা।
শারীরিক প্রতিবন্ধিত্ব নিয়ে সমাজের কেউ কেউ ভিক্ষাবৃত্তি কিংবা অনুরূপ পন্থা অবলম্বন করে জীবিকা নির্বাহ করে। তবে অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে শুধু নিজেকে নয়, পরিবারের হাল ধরে সচ্ছলভাবে জীবিকা নির্বাহ করছেন রবিউল ইসলাম। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মহিরুম গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
সাইফুল ইসলাম ও রশিদা বেগম দম্পতির প্রথম সন্তান রবিউল ইসলামের জন্ম ১৯৯৬ সালে। বিকলাঙ্গ শরীর নিয়েই তাঁর জন্ম। কোমর থেকে শরীরের ওপরের অংশ স্বাভাবিক গঠনের হলেও নিচের অংশ খাটো। ফলে বয়স হিসাবে কাঙ্ক্ষিত উচ্চতার চেয়ে অনেকাংশে কম।
তবে এলাকার মানুষ রবিউল ইসলামকে খুব ভালোবাসেন। এ বিষয়টি তাঁর মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তিনি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এ ছাড়া ছোটবেলা থেকেই তাঁর গানবাজনার প্রতি বেশ ঝোঁক ছিল। সেই সূত্র ধরে এলাকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল। একসময় দারিদ্র্যের কারণে আর পড়াশোনা এগোতে পারেননি। পড়াশোনার পাশাপাশি ১০ বছর বয়স থেকে নরসুন্দরের কাজে জড়িয়ে পড়েন। বর্তমানে তাঁর এটিই মূল পেশা।
রবিউল ইসলামের সঙ্গে তাঁর জীবনের গল্প নিয়ে কথা হয় গ্রামের অদূরে মোস্তশার চারমাথার মোড়ে। সেখানে জনৈক আক্কাস মণ্ডলের বাড়ির পেছনের দেয়ালের সঙ্গে টিনের চালার ছোট সেলুন ঘর তাঁর। রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভাবের সংসার। বাবা কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত হলেও সেই আয়ে সংসার চলত না। বাধ্য হয়ে ১০ বছর বয়স থেকে সংসারের হাল ধরেন। এখন এখানে নরসুন্দরের কাজ করেই তাঁর দিন কাটে। উচ্চতা কম হওয়ার কারণে ‘এল’ আকৃতির উঁচু ভিত্তি ভূমির ওপরে দাঁড়িয়ে নিখুঁতভাবে তাঁর পেশাগত কাজ সম্পন্ন করেন।
প্রতিদিন নরসুন্দরের কাজ করে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করেন। কখনোবা ৪০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। এ টাকায় চলে তাঁর সংসার। পরিবারের মা-বাবা ছাড়াও তাঁর এক ছোট ভাই স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন। চার সদস্যের পরিবারের সাহায্য করতে পেরে নিজেকে তিনি ধন্য মনে করেন।
আট-দশজন মানুষের মতো শারীরিকভাবে স্বাভাবিক গঠনের না হলেও সবার স্নেহ-ভালোবাসা পেয়ে নিজেকে কখনো ছোট মনে করেননি তিনি। রবিউলের ইচ্ছাশক্তি ও কর্ম উদ্দীপনার প্রশংসা এলাকাবাসীর মুখে। রবিউল উপযুক্ত সহযোগিতা পেলে আরও সুন্দর ও সচ্ছল জীবন যাপন করতে পারে বলে অনেকেরই প্রত্যাশা।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে