দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি
দাকোপের পানখালী-হোগলাবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে সেবাদান কার্যক্রম। ১০ বছর ধরে ক্লিনিক ভবনটির কোনো সংস্কার না হওয়ায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্বাস্থ্যকর্মী ও এলাকাবাসী ক্লিনিক ভবনটির সংস্কার কিংবা নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে উপজেলার পানখালী, হোগরাবুনিয়া, কাটাবুনিয়া ও মৌখালী এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য পানখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়।
কিছুদিন কার্যক্রম চলার পর এটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে আবারও ক্লিনিকটি চালু করা হয়। আশপাশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ছয় হাজার মানুষ এখান থেকে স্বাস্থ্যসেবা নেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পার হলেও ক্লিনিকের জরাজীর্ণ ভবনটির সংস্কারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্লিনিক ভবনের অবস্থা খুবই নাজুক। এটিকে পরিত্যক্ত ভবন বললেও ভুল হবে না। দেয়াল থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। জানালা ভেঙে গেছে, শুধু গ্রিল আছে। দরজা ভেঙে গেছে অনেক আগেই। ক্লিনিকের ভেতরের শৌচাগারটি নষ্ট। নলকূপটিও অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। ভবনের ছাদ খসে পড়েছে; বর্ষা এলেই ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। ছাদের নিচে কোনো রকমে টিনের চাল দিয়ে আসবাব ও প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ভবনের ছাদ ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এর ভেতরে বসেই ক্লিনিকে আগত রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন এখানে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)।
কথা হয় পানখালী এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আবু হাসান শেখের (৬৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বয়স বেড়েছে, শরীর অনেক দুর্বল। শরীরটা খারাপ লাগাই এখানে এসেছিলাম ওষুধ নিতে। ডাক্তার ওষুধ দিয়েছেন। কিন্তু ক্লিনিক ভবনটির অবস্থা খুবই খারাপ। ভেতরে যেতে ভয় করে। যে কোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে। সেবা নিতে আমরা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকি। ক্লিনিকটির জন্য নতুন ভবন একান্ত প্রয়োজন।’
হোগলাবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ক্লিনিকের ছাদ ধসে পড়ছে। বর্ষাকালে পানি পড়ে সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। জানালা-দরজা নেই। শৌচাগার ও নলকূপটি নষ্ট। মোট কথা সমস্যার শেষ নেই। আমরা নিজেদের উদ্যোগে ছাদের নিচে টিন দিয়ে চাল দিয়েছি। যে কোনো সময় ছাদ ভেঙো পড়তে পারে জেনেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
কমিউনিটি গ্রুপের সভাপতি ও ইউপি সদস্য ছাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘ক্লিনিকটির জানালা-দরজা নেই। ছাদও ভেঙে পড়েছে। যে কোনো সময় ভবনটি ভেঙে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হতে পারে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এখানে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ কোনো নেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ক্লিনিকটির অবস্থা আসলেই খুব খারাপ। ক্লিনিকটির জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক নিজামী বলেন, ‘দাকোপে ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে হোগলাবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনের অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। শিগগিরই ভবনটি পুনর্নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর তালিকা সিবিএইচসিতে পাঠানো হয়েছে।’
দাকোপের পানখালী-হোগলাবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে সেবাদান কার্যক্রম। ১০ বছর ধরে ক্লিনিক ভবনটির কোনো সংস্কার না হওয়ায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্বাস্থ্যকর্মী ও এলাকাবাসী ক্লিনিক ভবনটির সংস্কার কিংবা নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে উপজেলার পানখালী, হোগরাবুনিয়া, কাটাবুনিয়া ও মৌখালী এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য পানখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়।
কিছুদিন কার্যক্রম চলার পর এটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে আবারও ক্লিনিকটি চালু করা হয়। আশপাশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ছয় হাজার মানুষ এখান থেকে স্বাস্থ্যসেবা নেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পার হলেও ক্লিনিকের জরাজীর্ণ ভবনটির সংস্কারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্লিনিক ভবনের অবস্থা খুবই নাজুক। এটিকে পরিত্যক্ত ভবন বললেও ভুল হবে না। দেয়াল থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। জানালা ভেঙে গেছে, শুধু গ্রিল আছে। দরজা ভেঙে গেছে অনেক আগেই। ক্লিনিকের ভেতরের শৌচাগারটি নষ্ট। নলকূপটিও অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। ভবনের ছাদ খসে পড়েছে; বর্ষা এলেই ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। ছাদের নিচে কোনো রকমে টিনের চাল দিয়ে আসবাব ও প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ভবনের ছাদ ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এর ভেতরে বসেই ক্লিনিকে আগত রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন এখানে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)।
কথা হয় পানখালী এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আবু হাসান শেখের (৬৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বয়স বেড়েছে, শরীর অনেক দুর্বল। শরীরটা খারাপ লাগাই এখানে এসেছিলাম ওষুধ নিতে। ডাক্তার ওষুধ দিয়েছেন। কিন্তু ক্লিনিক ভবনটির অবস্থা খুবই খারাপ। ভেতরে যেতে ভয় করে। যে কোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে। সেবা নিতে আমরা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকি। ক্লিনিকটির জন্য নতুন ভবন একান্ত প্রয়োজন।’
হোগলাবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ক্লিনিকের ছাদ ধসে পড়ছে। বর্ষাকালে পানি পড়ে সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। জানালা-দরজা নেই। শৌচাগার ও নলকূপটি নষ্ট। মোট কথা সমস্যার শেষ নেই। আমরা নিজেদের উদ্যোগে ছাদের নিচে টিন দিয়ে চাল দিয়েছি। যে কোনো সময় ছাদ ভেঙো পড়তে পারে জেনেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
কমিউনিটি গ্রুপের সভাপতি ও ইউপি সদস্য ছাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘ক্লিনিকটির জানালা-দরজা নেই। ছাদও ভেঙে পড়েছে। যে কোনো সময় ভবনটি ভেঙে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হতে পারে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এখানে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ কোনো নেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ক্লিনিকটির অবস্থা আসলেই খুব খারাপ। ক্লিনিকটির জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক নিজামী বলেন, ‘দাকোপে ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে হোগলাবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনের অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। শিগগিরই ভবনটি পুনর্নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর তালিকা সিবিএইচসিতে পাঠানো হয়েছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে