রাশেদ নিজাম, ঢাকা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পরে মারা যাওয়া মানুষের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এ বছরের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছেন দুজন, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে থাকার সময় মারা গেছেন ৯ জন। এর মধ্যে গত বুধ ও শনিবার গোয়েন্দা পুলিশ এবং হাতিরঝিল থানা হেফাজতে সিদ্দিক ও সুমন নামের যে দুজন মারা গেছেন, তাঁরা আছেন এই তালিকার বাইরে।
কক্সবাজারের টেকনাফের শামলাপুরে সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ নিহত হওয়ার ঘটনা এবং আইজিপিসহ সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বন্দুকযুদ্ধ এবং পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা কমে যায়। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাবে, গত বছর প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) বন্দুকযুদ্ধে ৩৫ জন নিহত হয়, আর হেফাজতে মারা যায় ৩ জন। এ বছর সেই চিত্র উল্টে গেছে। বছরের প্রথম সাত মাসে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন ২ জন, আর হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, হেফাজতে যেকোনো ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা পুলিশের আইনি দায়িত্ব। পুলিশ হেফাজতে গ্রেপ্তার থাকা ব্যক্তির মৃত্যু অবশ্যই গুরুতর ঘটনা, তাই এর পূর্ণ সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। হেফাজতে মৃত্যু যেভাবেই হোক না কেন, গুরুত্ব দিয়ে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করতে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করাটা জরুরি।
চুরির মামলায় গত শুক্রবার হাতিরঝিল থানা-পুলিশ সুমন শেখ নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর জানাজানি হয়।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, পরনে থাকা ট্রাউজার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুমন। এ ঘটনায় ডিউটি অফিসার হেমায়েত হোসেন ও হাজতের প্রহরী মো. জাকারিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু সুমনের স্ত্রী জান্নাত আরা দাবি করেছেন, পুলিশ তাঁকে আটকের পর থানায় নিয়ে মারধর করেছে। এতে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে বিক্ষুব্ধ স্বজনেরা থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
আরেক ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা সিদ্দিক আহাম্মেদ (৬২) নামের এক ব্যক্তি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান। গত মঙ্গলবার ডিবি পুলিশ রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে এক হাজার ইয়াবাসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার রাতে তাঁকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া সিদ্দিকের পেটে ইয়াবা বড়ি ছিল, সেগুলো গলে তিনি মারা গেছেন। আর সুমনের আত্মহত্যার ঘটনা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। তবে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা আরও সচেতন হলে দুটো মৃত্যুই এড়ানো যেত বলে তিনি স্বীকার করেন।
হাফিজ আক্তার বলেন, এ ঘটনার পর হেফাজতে যেন কোনো নির্যাতনের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে নতুন করে আবারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির সবগুলো থানায় রাতে দায়িত্ব পালন করা সেন্ট্রি এবং অফিসারদের আরও সতর্ক থাকার বিষয়ে কমিশনারের পক্ষ থেকে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং জবাবদিহির অভাবে প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে। মেজর সিনহার ঘটনার পর বন্দুকযুদ্ধ কমলেও তারপর যত সময় গেছে, এ সংখ্যা বেড়েছে। তিনি বলেন, উচ্চ আদালত থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আটক এবং জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে দেওয়া হলেও কেউ তা মানছে না।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে ২০২০ সালের (জানুয়ারি-জুলাই) মারা গেছেন ১৪ জন। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন বছরে পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। তাদের হিসাবে এ বছরই মারা গেছেন ১১ জন।
হেফাজতে নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের কী অবস্থা
২০১৩ সালে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন প্রণয়নের পর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় শাস্তির দেখা মেলে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে।
২০১৪ সালে পুলিশের হেফাজতে ইশতিয়াক হোসেন জনি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় ছয় বছর পর পাঁচজন আসামির মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। অপর দুজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন পল্লবী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, এসআই রশিদুল ইসলাম এবং এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু। যাবজ্জীবন ছাড়াও এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। জরিমানা ও ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে আরও ৬ মাস করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
২০২০ সালের একটি হিসাব বলছে, এ পর্যন্ত নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলা হয়েছে ১৯টি। এর মধ্যে ১৪টি মামলাতেই তথ্যগত ভুল দেখিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বাকি ৫টির মধ্যে জনির মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। বিচার কার্যক্রম চলছে দুটি মামলার, একটি উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে, বাকি মামলাটি তদন্তাধীন।
মামলার সংখ্যা এবং বিচারে ধীরগতির বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেরি হওয়ার তো কোনো কারণ দেখি না। মামলা হওয়ার পর তদন্ত হবে, এরপর অভিযোগপত্র দেবে। এখন যদি তদন্ত করতে দেরি হয়, অভিযোগপত্র দিতে দেরি হয়, তাইলে তো সেটা পুলিশের দায়িত্ব।’ যেসব মামলা অনেক দিন হয়ে গেছে, সেগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এতে আমাদের সবারই করণীয় আছে এগুলো দ্রুত শেষ করার জন্য।’
পুলিশ হেফাজতে জনির মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়েরের আইনে প্রথম রায় পাওয়া বাদী ইমতিয়াজ হোসেন রকি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমরা এর শেষ পরিণতি দেখতে চাই।’ তিনি বলেন, পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু বন্ধ হয়নি। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে থাকা পুলিশদের তদন্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে পারলেই এ ধরনের অপরাধ কমে যাবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পরে মারা যাওয়া মানুষের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এ বছরের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছেন দুজন, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে থাকার সময় মারা গেছেন ৯ জন। এর মধ্যে গত বুধ ও শনিবার গোয়েন্দা পুলিশ এবং হাতিরঝিল থানা হেফাজতে সিদ্দিক ও সুমন নামের যে দুজন মারা গেছেন, তাঁরা আছেন এই তালিকার বাইরে।
কক্সবাজারের টেকনাফের শামলাপুরে সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ নিহত হওয়ার ঘটনা এবং আইজিপিসহ সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বন্দুকযুদ্ধ এবং পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা কমে যায়। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাবে, গত বছর প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) বন্দুকযুদ্ধে ৩৫ জন নিহত হয়, আর হেফাজতে মারা যায় ৩ জন। এ বছর সেই চিত্র উল্টে গেছে। বছরের প্রথম সাত মাসে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন ২ জন, আর হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, হেফাজতে যেকোনো ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা পুলিশের আইনি দায়িত্ব। পুলিশ হেফাজতে গ্রেপ্তার থাকা ব্যক্তির মৃত্যু অবশ্যই গুরুতর ঘটনা, তাই এর পূর্ণ সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। হেফাজতে মৃত্যু যেভাবেই হোক না কেন, গুরুত্ব দিয়ে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করতে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করাটা জরুরি।
চুরির মামলায় গত শুক্রবার হাতিরঝিল থানা-পুলিশ সুমন শেখ নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর জানাজানি হয়।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, পরনে থাকা ট্রাউজার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুমন। এ ঘটনায় ডিউটি অফিসার হেমায়েত হোসেন ও হাজতের প্রহরী মো. জাকারিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু সুমনের স্ত্রী জান্নাত আরা দাবি করেছেন, পুলিশ তাঁকে আটকের পর থানায় নিয়ে মারধর করেছে। এতে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে বিক্ষুব্ধ স্বজনেরা থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
আরেক ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা সিদ্দিক আহাম্মেদ (৬২) নামের এক ব্যক্তি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান। গত মঙ্গলবার ডিবি পুলিশ রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে এক হাজার ইয়াবাসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার রাতে তাঁকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া সিদ্দিকের পেটে ইয়াবা বড়ি ছিল, সেগুলো গলে তিনি মারা গেছেন। আর সুমনের আত্মহত্যার ঘটনা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। তবে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা আরও সচেতন হলে দুটো মৃত্যুই এড়ানো যেত বলে তিনি স্বীকার করেন।
হাফিজ আক্তার বলেন, এ ঘটনার পর হেফাজতে যেন কোনো নির্যাতনের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে নতুন করে আবারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির সবগুলো থানায় রাতে দায়িত্ব পালন করা সেন্ট্রি এবং অফিসারদের আরও সতর্ক থাকার বিষয়ে কমিশনারের পক্ষ থেকে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং জবাবদিহির অভাবে প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে। মেজর সিনহার ঘটনার পর বন্দুকযুদ্ধ কমলেও তারপর যত সময় গেছে, এ সংখ্যা বেড়েছে। তিনি বলেন, উচ্চ আদালত থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আটক এবং জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে দেওয়া হলেও কেউ তা মানছে না।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে ২০২০ সালের (জানুয়ারি-জুলাই) মারা গেছেন ১৪ জন। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন বছরে পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। তাদের হিসাবে এ বছরই মারা গেছেন ১১ জন।
হেফাজতে নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের কী অবস্থা
২০১৩ সালে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন প্রণয়নের পর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় শাস্তির দেখা মেলে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে।
২০১৪ সালে পুলিশের হেফাজতে ইশতিয়াক হোসেন জনি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় ছয় বছর পর পাঁচজন আসামির মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। অপর দুজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন পল্লবী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, এসআই রশিদুল ইসলাম এবং এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু। যাবজ্জীবন ছাড়াও এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। জরিমানা ও ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে আরও ৬ মাস করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
২০২০ সালের একটি হিসাব বলছে, এ পর্যন্ত নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলা হয়েছে ১৯টি। এর মধ্যে ১৪টি মামলাতেই তথ্যগত ভুল দেখিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বাকি ৫টির মধ্যে জনির মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। বিচার কার্যক্রম চলছে দুটি মামলার, একটি উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে, বাকি মামলাটি তদন্তাধীন।
মামলার সংখ্যা এবং বিচারে ধীরগতির বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেরি হওয়ার তো কোনো কারণ দেখি না। মামলা হওয়ার পর তদন্ত হবে, এরপর অভিযোগপত্র দেবে। এখন যদি তদন্ত করতে দেরি হয়, অভিযোগপত্র দিতে দেরি হয়, তাইলে তো সেটা পুলিশের দায়িত্ব।’ যেসব মামলা অনেক দিন হয়ে গেছে, সেগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এতে আমাদের সবারই করণীয় আছে এগুলো দ্রুত শেষ করার জন্য।’
পুলিশ হেফাজতে জনির মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়েরের আইনে প্রথম রায় পাওয়া বাদী ইমতিয়াজ হোসেন রকি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমরা এর শেষ পরিণতি দেখতে চাই।’ তিনি বলেন, পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু বন্ধ হয়নি। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে থাকা পুলিশদের তদন্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে পারলেই এ ধরনের অপরাধ কমে যাবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে