মাহবুব আলম রাসেল, দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ)
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় বাদাম চাষ করে দিনবদলের স্বপ্ন দেখেছিলেন যমুনা নদীর চরাঞ্চলের কৃষকেরা। তবে এ বছর একদিকে নদীভাঙন, অন্যদিকে পরিপক্ব হওয়ার আগেই খেত তলিয়ে যাওয়ায় বাদামের ফলন ভালো হয়নি। প্লাবিত চরে আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় মাথায় হাত বাদামচাষিদের।
বাদামচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে চরের বেলে মাটিতে তেমন একটা ফসল হতো না। ফলে এখানকার মানুষের অভাব-অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী। কয়েক বছর ধরে পলি জমে ভরাট হওয়া চরের জমিতে ব্যাপকভাবে বাদাম চাষ হচ্ছে। উপজেলার বাচামারা, বাঘুটিয়া, চরকাটারী, জিয়নপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে বাদামের ব্যাপক চাষ হয়। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় চরের দরিদ্র পরিবারগুলো কয়েক বছর ধরে বাদাম চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাসে বোরো ধানের বদলে বাদাম চাষ করেন এসব এলাকার চাষিরা। তবে এবার ভাঙন জোরদার এবং পানির নিচে খেত ডুবে থাকায় বাদামের ফলন ভালো হয়নি।
প্রতি একর জমিতে ২৪-২৫ মণ ফলন হলেও এবার ফলন অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। বাঘুটিয়া ইউনিয়নের অসংখ্য বাদামচাষির সম্পূর্ণ বাদাম তলিয়ে গেছে।
জিয়নপুর ইউনিয়নের চর বৈন্যা এলাকার বাদামচাষি হজরত আলী ও আব্দুর রহমান জানান, তাঁরা ১৫-১৬ বছর ধরে বাদাম চাষ করছেন। এ বছর বাদামের বাজার ভালো থাকলেও সময়ের চেয়ে আগে পানি চলে আসায় অধিকাংশ বাদাম তলিয়ে গেছে। যতটুকু বাদাম তুলতে পেরেছেন, তার ফলনও ভালো হয়নি।
বাসাইল এলাকার শাহিদা বেগম বলেন, ‘আমি সাড়ে তিন বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি, যার অর্ধেক তলিয়ে গেছে।’
একই এলাকার হবিবুর রহমান বলেন, ৮ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে ৩ বিঘা ঘরে আনতে পেরেছি, বাকি পাঁচ বিঘাই তলিয়ে গেছে।’
নদীপারের জমিতে অন্য ফসলের চেয়ে বাদাম চাষ বেশ সহজলভ্য। কম পরিশ্রমে অধিক ফলন হওয়ায় লাভও বেশি হয়। তাই প্রতিবছর বাদাম চাষ করে থাকেন এসব এলাকার কৃষকেরা। প্রতি বিঘা জমিতে বাদাম চাষে সব মিলিয়ে খরচ ৫-৬ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘা জমি থেকে প্রায় ৬ মণ বাদাম পাওয়া যায়। প্রতি মণ বাদামের বর্তমান বাজারদর সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। সেই হিসাবে প্রতি বিঘা জমি থেকে ২৪-২৫ হাজার টাকার বাদাম বিক্রি করা যায়।
জ্বালানি হিসেবেও বাদামগাছের বেশ চাহিদা রয়েছে। চরাঞ্চলের জমিগুলোতে অন্যান্য ফসলের চেয়ে তাই বাদাম চাষই বেশ লাভজনক।
দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ রেজাউল হক বলেন, ‘এ বছর দৌলতপুর উপজেলায় ২ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। গত বছর উপজেলায় বাদামের চাষ হয়েছিল ২ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে। আগাম পানিতে ও ভাঙনে এ বছর বাদামচাষিরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ভবিষ্যতে কৃষকদের বাদাম চাষে আগ্রহী করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘ভাঙন ও আকস্মিক বন্যা হওয়ায় বাদাম উৎপাদন গত বছর জেলায় ৩ হাজার ৪৮৫ হেক্টর হলেও এ বছর ২ হাজার ৮৫০ হেক্টর হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যা ৬৩৫ হেক্টর কম। আমরা ভবিষ্যতে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আধুনিক ও নতুন বাদামের বীজ আমদানি করেছি। যারা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের তালিকা রাখা হচ্ছে, তহবিল এলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহায়তা করা হবে।’
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় বাদাম চাষ করে দিনবদলের স্বপ্ন দেখেছিলেন যমুনা নদীর চরাঞ্চলের কৃষকেরা। তবে এ বছর একদিকে নদীভাঙন, অন্যদিকে পরিপক্ব হওয়ার আগেই খেত তলিয়ে যাওয়ায় বাদামের ফলন ভালো হয়নি। প্লাবিত চরে আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় মাথায় হাত বাদামচাষিদের।
বাদামচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে চরের বেলে মাটিতে তেমন একটা ফসল হতো না। ফলে এখানকার মানুষের অভাব-অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী। কয়েক বছর ধরে পলি জমে ভরাট হওয়া চরের জমিতে ব্যাপকভাবে বাদাম চাষ হচ্ছে। উপজেলার বাচামারা, বাঘুটিয়া, চরকাটারী, জিয়নপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে বাদামের ব্যাপক চাষ হয়। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় চরের দরিদ্র পরিবারগুলো কয়েক বছর ধরে বাদাম চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাসে বোরো ধানের বদলে বাদাম চাষ করেন এসব এলাকার চাষিরা। তবে এবার ভাঙন জোরদার এবং পানির নিচে খেত ডুবে থাকায় বাদামের ফলন ভালো হয়নি।
প্রতি একর জমিতে ২৪-২৫ মণ ফলন হলেও এবার ফলন অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। বাঘুটিয়া ইউনিয়নের অসংখ্য বাদামচাষির সম্পূর্ণ বাদাম তলিয়ে গেছে।
জিয়নপুর ইউনিয়নের চর বৈন্যা এলাকার বাদামচাষি হজরত আলী ও আব্দুর রহমান জানান, তাঁরা ১৫-১৬ বছর ধরে বাদাম চাষ করছেন। এ বছর বাদামের বাজার ভালো থাকলেও সময়ের চেয়ে আগে পানি চলে আসায় অধিকাংশ বাদাম তলিয়ে গেছে। যতটুকু বাদাম তুলতে পেরেছেন, তার ফলনও ভালো হয়নি।
বাসাইল এলাকার শাহিদা বেগম বলেন, ‘আমি সাড়ে তিন বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি, যার অর্ধেক তলিয়ে গেছে।’
একই এলাকার হবিবুর রহমান বলেন, ৮ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে ৩ বিঘা ঘরে আনতে পেরেছি, বাকি পাঁচ বিঘাই তলিয়ে গেছে।’
নদীপারের জমিতে অন্য ফসলের চেয়ে বাদাম চাষ বেশ সহজলভ্য। কম পরিশ্রমে অধিক ফলন হওয়ায় লাভও বেশি হয়। তাই প্রতিবছর বাদাম চাষ করে থাকেন এসব এলাকার কৃষকেরা। প্রতি বিঘা জমিতে বাদাম চাষে সব মিলিয়ে খরচ ৫-৬ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘা জমি থেকে প্রায় ৬ মণ বাদাম পাওয়া যায়। প্রতি মণ বাদামের বর্তমান বাজারদর সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। সেই হিসাবে প্রতি বিঘা জমি থেকে ২৪-২৫ হাজার টাকার বাদাম বিক্রি করা যায়।
জ্বালানি হিসেবেও বাদামগাছের বেশ চাহিদা রয়েছে। চরাঞ্চলের জমিগুলোতে অন্যান্য ফসলের চেয়ে তাই বাদাম চাষই বেশ লাভজনক।
দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ রেজাউল হক বলেন, ‘এ বছর দৌলতপুর উপজেলায় ২ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। গত বছর উপজেলায় বাদামের চাষ হয়েছিল ২ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে। আগাম পানিতে ও ভাঙনে এ বছর বাদামচাষিরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ভবিষ্যতে কৃষকদের বাদাম চাষে আগ্রহী করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘ভাঙন ও আকস্মিক বন্যা হওয়ায় বাদাম উৎপাদন গত বছর জেলায় ৩ হাজার ৪৮৫ হেক্টর হলেও এ বছর ২ হাজার ৮৫০ হেক্টর হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যা ৬৩৫ হেক্টর কম। আমরা ভবিষ্যতে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আধুনিক ও নতুন বাদামের বীজ আমদানি করেছি। যারা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের তালিকা রাখা হচ্ছে, তহবিল এলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহায়তা করা হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪