দুই মেয়ের অভিভাবকত্ব নিয়ে আইনি লড়াই করছেন জাপানি মা নাকানো এরিকো আর বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ। বিষয়টির এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। এসব নিয়ে দুজনের সঙ্গেই কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অর্চি হক।
একজন অ্যাবিউজারের সঙ্গে থাকা সম্ভব নয়
প্রশ্ন: ভিনদেশে, অপরিচিত পরিবেশে এসে আইনি লড়াইয়ের স্পৃহা কীভাবে পেলেন?
নাকানো এরিকো: আমি টোকিওর সেন্ট লিউকস ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালের একটি বিভাগের সহযোগী পরিচালক ছিলাম। কিন্তু সন্তানদের জীবন আমার ক্যারিয়ারের চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ক্যারিয়ার নয়, আমার জীবনের সবকিছুর চেয়ে তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই কী ঘটতে পারে, তা না জেনেই আমি এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
প্রশ্ন: ইমরান শরীফের সঙ্গে আপনার পরিচয় কীভাবে?
এরিকো: জাপানে গ্র্যাজুয়েশনের পরে আমি আমেরিকা চলে যাই। সেখানে ইন্টার্নশিপ এবং কাজ শুরু করি। ২০০৩ সালে আমি জাপানে ফিরে আসি। ২০০৫ সালের দিকে ইমরানের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়। নিজেকে তিনি আমেরিকান হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। জাপানে তাঁর ব্যবসা আছে বলেও দাবি করেছিলেন। তাঁর কোম্পানি মেডিকেল সফটওয়্যার বানাত। আর আমি চিকিৎসক। সেখান থেকেই আমাদের পরিচয়।
প্রশ্ন: বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন?
এরিকো: ইমরান প্রতিদিনই উচ্চ স্বরে ঝগড়া করতেন। আমার সন্তানদের ক্ষতি হচ্ছিল। তারা ভয় পেত। আমি সারা দিন অফিসে থাকতাম। ইমরান বাসায় থাকতেন। আমার ব্যাপারে নানারকম মিথ্যা কথা বলে সন্তানদের ভুল বোঝাতেন। একজন ‘অ্যাবিউজারের’ সঙ্গে থাকা সম্ভব নয়।
প্রশ্ন: মামলার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হলে কত দিন তা চালিয়ে যাবেন?
এরিকো: আমার মা খুব অসুস্থ। ছোট মেয়েটা কাঁদছে। ভিডিও কলে যখন আমাদের কথা হয়, আমি ওকে বলি, তার দুই বোনকে ছাড়া আমি এখন আসতে পারছি না। আমি ছোট মেয়ে সোনিয়ার কাছে ওর দুই বোনকে নিয়ে যেতে চাই। তিন বোন একসঙ্গে বড় হোক, এটুকুই চাই। যদি আইনি প্রক্রিয়াটা অনেক দীর্ঘ হয়, আমার পক্ষে এখানে থাকা কঠিন হবে।
প্রশ্ন: ২০২১ সালের আগে বাংলাদেশে কখনো এসেছিলেন?
এরিকো: ২০১৯ সালে ঢাকায় এসেছিলাম। আমাদের ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশে জাপানি মানের হাসপাতাল করা। আমরা এখানে হাসপাতাল করতে পারব কি না সেটা দেখতে এসেছিলাম। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে সেই পরিকল্পনা আর এগোয়নি।
প্রশ্ন: এখন এ দেশে আপনার কীভাবে দিন কাটছে?
এরিকো: এখানকার সংস্কৃতি ও খাবার আমাদের চেয়ে আলাদা। আমার মেয়েরা মসলাদার খাবার খেতে পারে না। আমি কোরিয়ান মার্কেটে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী কিনে আনি, রান্না করি। বেশির ভাগ সময় বাসাতেই থাকতে হয়। কারণ, ইমরান আমার বাসার সামনে পাঁচ-ছয়জন ‘গোয়েন্দা’ মোতায়েন করে রেখেছেন। বাচ্চাদের মাতৃভাষা জাপানি হওয়ায় দুই মেয়েকে ঢাকার একটি জাপানি স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন করি। কিন্তু ইমরান আপত্তি জানানোয় আমি ওদের ভর্তি করতে পারিনি।
প্রশ্ন: এখানে যাবতীয় খরচ কীভাবে মেটাচ্ছেন?
এরিকো: আমি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালটিতে কাজ করেছি। তাই জাপানে না থাকলেও প্রায় দেড় বছর তারা আমার চাকরি রেখেছিল। কিন্তু এই মাসে আমি চাকরিটা হারিয়েছি। এখানে সমস্ত খরচ আমিই দিচ্ছি। আমাকে কঠিন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমার বাবার কাছ থেকে টাকা নিতে হচ্ছে।
প্রশ্ন: ইমরান শরীফের একটি ইতিবাচক দিক বলতে পারবেন?
এরিকো: ওঁর মাথায় অনেক আইডিয়া। যখন ভালো মুডে থাকেন, তখন তিনি উৎফুল্ল থাকেন। মজা করতেও পছন্দ করেন। প্রতিটি মানুষের মতো ইমরানের অনেক ভালো দিক আছে। আমি আশা করব তিনি পরিশ্রমী হবেন।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ কেমন লেগেছে? জাপানে ফিরে যাওয়ার পর ছুটি কাটাতে কখনো বাংলাদেশে আসতে চান?
এরিকো: অবশ্যই। বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো, দয়ালু, সহযোগিতাপরায়ণ। সন্তানদের নিয়ে ছুটি কাটাতে আমি বাংলাদেশে আসতে চাই। কিন্তু মামলাটা যদি এভাবে চলতে থাকে, সবকিছুই আসলে বদলে যাবে।
এখানে একজন প্রতারক একজন প্রতারিত
প্রশ্ন: জাপানে আপনি বহু বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন। হঠাৎ সেখান থেকে সন্তানদের নিয়ে চলে এলেন কেন?
ইমরান শরীফ: না, জাপানে কিছুই নেই আমার। সব বন্ধ করে চলে এসেছি। আমি আমেরিকা থেকে ট্রান্সফার (বদলি) হয়ে জাপানে গিয়েছিলাম। আমার ব্যবসা আছে, সেটা মিথ্যা।
প্রশ্ন: আপনাদের পরিচয় কীভাবে?
ইমরান: ব্যক্তিগত আলাপে আমি যেতে চাই না।
প্রশ্ন: নাকানো এরিকো বলেছেন, জাপানে থাকাকালীন সমস্ত খরচ তিনিই বহন করতেন। এটা কি ঠিক?
ইমরান: ৯০ ভাগ খরচ আমি দিয়েছি। উনি শুধু বাজারই করতেন। ওনার বাবার ঋণ মাসে চার লাখ টাকা আমি দিয়ে এসেছি। তিন সন্তানের স্কুল ফি সাড়ে সাত লাখ টাকা। মাসে আমি ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকা করে দিয়ে এসেছি। যখন আমি বলেছি, এসব খরচ আর দেব না, তখন আমাকে বাসা থেকে বের করে দেন।
প্রশ্ন: সন্তানেরা তো আট মাস ধরে স্কুলে যেতে পারছে না।
ইমরান: বিচারক রায় দিয়েছিলেন, মা-বাবার ঐকমত্যে সন্তানেরা আগে যে মাধ্যমে লেখাপড়া করত, সেই মাধ্যমের ফিজিক্যাল স্কুলে ভর্তি হবে। উনি সেটা লঙ্ঘন করে এককভাবে জাপানি মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করতে নিয়ে গেছেন। এর মাধ্যমে আদালতের আদেশ ভঙ্গ করেছেন।
প্রশ্ন: আপনি আদালতে বলেছেন, আপনার সারা জীবনের সব সঞ্চয় নাকানো এরিকো এবং তাঁর পরিবার নিয়ে গেছে। তাহলে সন্তানদের খরচ কীভাবে বহন করবেন?
ইমরান: আমি আজীবন কাজ না করলেও সন্তানদের বড় করতে পারব।
প্রশ্ন: একজন মা দেড় বছর ধরে সব কাজ ফেলে ভিনদেশে বসে আছেন। আপনি বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন?
ইমরান: এটা তাঁর জেদ। তিনি মেয়েদের নিয়ে আমাকে শাস্তি দিতে চান।
প্রশ্ন: বড় মেয়ে বলছে, সে মায়ের কাছে থাকবে। আপনি কী বলেন?
ইমরান: ১২ বছরের মেয়ে বাবাকে বলছে ক্রিমিনাল। ক্রিমিনাল কী, সে কীভাবে বুঝবে? ওকে এসব শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন: আপনার মূল চাওয়া কী?
ইমরান: আদালতে যেটা বলেছি, সেটাই। সন্তানদের আমার হেফাজতে চাই। আমি বাবা, আমি যে রকম ইচ্ছা সেভাবে বড় করব। এ বিষয়ে আমি কাউকে কোনো কৈফিয়ত দেব না। আমি শুধু এতটুকুই বলব, জাপান যে রকম দেশ বলে আমরা ভাবি, আসলে সে রকম নয়। ওখানে ৪০ বছর বয়স পার হলেও মেয়েদের বিয়ে হয় না। বুড়া মানুষ একা থাকে ওখানে। মারা যাওয়ার কয়েক মাস পর দুর্গন্ধ শুরু হলে লাশ বের করা হয়।
প্রশ্ন: নাকানো এরিকোর কোনো ভালো দিক আছে?
ইমরান: এখানে একজন প্রতারক, একজন প্রতারিত আছে। প্রতারিতকে যদি প্রতারকের ভালো দিক নিয়ে বলতে বলেন, সেটা কেমন করে হয়।
দুই মেয়ের অভিভাবকত্ব নিয়ে আইনি লড়াই করছেন জাপানি মা নাকানো এরিকো আর বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ। বিষয়টির এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। এসব নিয়ে দুজনের সঙ্গেই কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অর্চি হক।
একজন অ্যাবিউজারের সঙ্গে থাকা সম্ভব নয়
প্রশ্ন: ভিনদেশে, অপরিচিত পরিবেশে এসে আইনি লড়াইয়ের স্পৃহা কীভাবে পেলেন?
নাকানো এরিকো: আমি টোকিওর সেন্ট লিউকস ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালের একটি বিভাগের সহযোগী পরিচালক ছিলাম। কিন্তু সন্তানদের জীবন আমার ক্যারিয়ারের চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ক্যারিয়ার নয়, আমার জীবনের সবকিছুর চেয়ে তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই কী ঘটতে পারে, তা না জেনেই আমি এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
প্রশ্ন: ইমরান শরীফের সঙ্গে আপনার পরিচয় কীভাবে?
এরিকো: জাপানে গ্র্যাজুয়েশনের পরে আমি আমেরিকা চলে যাই। সেখানে ইন্টার্নশিপ এবং কাজ শুরু করি। ২০০৩ সালে আমি জাপানে ফিরে আসি। ২০০৫ সালের দিকে ইমরানের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়। নিজেকে তিনি আমেরিকান হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। জাপানে তাঁর ব্যবসা আছে বলেও দাবি করেছিলেন। তাঁর কোম্পানি মেডিকেল সফটওয়্যার বানাত। আর আমি চিকিৎসক। সেখান থেকেই আমাদের পরিচয়।
প্রশ্ন: বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন?
এরিকো: ইমরান প্রতিদিনই উচ্চ স্বরে ঝগড়া করতেন। আমার সন্তানদের ক্ষতি হচ্ছিল। তারা ভয় পেত। আমি সারা দিন অফিসে থাকতাম। ইমরান বাসায় থাকতেন। আমার ব্যাপারে নানারকম মিথ্যা কথা বলে সন্তানদের ভুল বোঝাতেন। একজন ‘অ্যাবিউজারের’ সঙ্গে থাকা সম্ভব নয়।
প্রশ্ন: মামলার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হলে কত দিন তা চালিয়ে যাবেন?
এরিকো: আমার মা খুব অসুস্থ। ছোট মেয়েটা কাঁদছে। ভিডিও কলে যখন আমাদের কথা হয়, আমি ওকে বলি, তার দুই বোনকে ছাড়া আমি এখন আসতে পারছি না। আমি ছোট মেয়ে সোনিয়ার কাছে ওর দুই বোনকে নিয়ে যেতে চাই। তিন বোন একসঙ্গে বড় হোক, এটুকুই চাই। যদি আইনি প্রক্রিয়াটা অনেক দীর্ঘ হয়, আমার পক্ষে এখানে থাকা কঠিন হবে।
প্রশ্ন: ২০২১ সালের আগে বাংলাদেশে কখনো এসেছিলেন?
এরিকো: ২০১৯ সালে ঢাকায় এসেছিলাম। আমাদের ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশে জাপানি মানের হাসপাতাল করা। আমরা এখানে হাসপাতাল করতে পারব কি না সেটা দেখতে এসেছিলাম। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে সেই পরিকল্পনা আর এগোয়নি।
প্রশ্ন: এখন এ দেশে আপনার কীভাবে দিন কাটছে?
এরিকো: এখানকার সংস্কৃতি ও খাবার আমাদের চেয়ে আলাদা। আমার মেয়েরা মসলাদার খাবার খেতে পারে না। আমি কোরিয়ান মার্কেটে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী কিনে আনি, রান্না করি। বেশির ভাগ সময় বাসাতেই থাকতে হয়। কারণ, ইমরান আমার বাসার সামনে পাঁচ-ছয়জন ‘গোয়েন্দা’ মোতায়েন করে রেখেছেন। বাচ্চাদের মাতৃভাষা জাপানি হওয়ায় দুই মেয়েকে ঢাকার একটি জাপানি স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন করি। কিন্তু ইমরান আপত্তি জানানোয় আমি ওদের ভর্তি করতে পারিনি।
প্রশ্ন: এখানে যাবতীয় খরচ কীভাবে মেটাচ্ছেন?
এরিকো: আমি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালটিতে কাজ করেছি। তাই জাপানে না থাকলেও প্রায় দেড় বছর তারা আমার চাকরি রেখেছিল। কিন্তু এই মাসে আমি চাকরিটা হারিয়েছি। এখানে সমস্ত খরচ আমিই দিচ্ছি। আমাকে কঠিন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমার বাবার কাছ থেকে টাকা নিতে হচ্ছে।
প্রশ্ন: ইমরান শরীফের একটি ইতিবাচক দিক বলতে পারবেন?
এরিকো: ওঁর মাথায় অনেক আইডিয়া। যখন ভালো মুডে থাকেন, তখন তিনি উৎফুল্ল থাকেন। মজা করতেও পছন্দ করেন। প্রতিটি মানুষের মতো ইমরানের অনেক ভালো দিক আছে। আমি আশা করব তিনি পরিশ্রমী হবেন।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ কেমন লেগেছে? জাপানে ফিরে যাওয়ার পর ছুটি কাটাতে কখনো বাংলাদেশে আসতে চান?
এরিকো: অবশ্যই। বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো, দয়ালু, সহযোগিতাপরায়ণ। সন্তানদের নিয়ে ছুটি কাটাতে আমি বাংলাদেশে আসতে চাই। কিন্তু মামলাটা যদি এভাবে চলতে থাকে, সবকিছুই আসলে বদলে যাবে।
এখানে একজন প্রতারক একজন প্রতারিত
প্রশ্ন: জাপানে আপনি বহু বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন। হঠাৎ সেখান থেকে সন্তানদের নিয়ে চলে এলেন কেন?
ইমরান শরীফ: না, জাপানে কিছুই নেই আমার। সব বন্ধ করে চলে এসেছি। আমি আমেরিকা থেকে ট্রান্সফার (বদলি) হয়ে জাপানে গিয়েছিলাম। আমার ব্যবসা আছে, সেটা মিথ্যা।
প্রশ্ন: আপনাদের পরিচয় কীভাবে?
ইমরান: ব্যক্তিগত আলাপে আমি যেতে চাই না।
প্রশ্ন: নাকানো এরিকো বলেছেন, জাপানে থাকাকালীন সমস্ত খরচ তিনিই বহন করতেন। এটা কি ঠিক?
ইমরান: ৯০ ভাগ খরচ আমি দিয়েছি। উনি শুধু বাজারই করতেন। ওনার বাবার ঋণ মাসে চার লাখ টাকা আমি দিয়ে এসেছি। তিন সন্তানের স্কুল ফি সাড়ে সাত লাখ টাকা। মাসে আমি ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকা করে দিয়ে এসেছি। যখন আমি বলেছি, এসব খরচ আর দেব না, তখন আমাকে বাসা থেকে বের করে দেন।
প্রশ্ন: সন্তানেরা তো আট মাস ধরে স্কুলে যেতে পারছে না।
ইমরান: বিচারক রায় দিয়েছিলেন, মা-বাবার ঐকমত্যে সন্তানেরা আগে যে মাধ্যমে লেখাপড়া করত, সেই মাধ্যমের ফিজিক্যাল স্কুলে ভর্তি হবে। উনি সেটা লঙ্ঘন করে এককভাবে জাপানি মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করতে নিয়ে গেছেন। এর মাধ্যমে আদালতের আদেশ ভঙ্গ করেছেন।
প্রশ্ন: আপনি আদালতে বলেছেন, আপনার সারা জীবনের সব সঞ্চয় নাকানো এরিকো এবং তাঁর পরিবার নিয়ে গেছে। তাহলে সন্তানদের খরচ কীভাবে বহন করবেন?
ইমরান: আমি আজীবন কাজ না করলেও সন্তানদের বড় করতে পারব।
প্রশ্ন: একজন মা দেড় বছর ধরে সব কাজ ফেলে ভিনদেশে বসে আছেন। আপনি বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন?
ইমরান: এটা তাঁর জেদ। তিনি মেয়েদের নিয়ে আমাকে শাস্তি দিতে চান।
প্রশ্ন: বড় মেয়ে বলছে, সে মায়ের কাছে থাকবে। আপনি কী বলেন?
ইমরান: ১২ বছরের মেয়ে বাবাকে বলছে ক্রিমিনাল। ক্রিমিনাল কী, সে কীভাবে বুঝবে? ওকে এসব শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন: আপনার মূল চাওয়া কী?
ইমরান: আদালতে যেটা বলেছি, সেটাই। সন্তানদের আমার হেফাজতে চাই। আমি বাবা, আমি যে রকম ইচ্ছা সেভাবে বড় করব। এ বিষয়ে আমি কাউকে কোনো কৈফিয়ত দেব না। আমি শুধু এতটুকুই বলব, জাপান যে রকম দেশ বলে আমরা ভাবি, আসলে সে রকম নয়। ওখানে ৪০ বছর বয়স পার হলেও মেয়েদের বিয়ে হয় না। বুড়া মানুষ একা থাকে ওখানে। মারা যাওয়ার কয়েক মাস পর দুর্গন্ধ শুরু হলে লাশ বের করা হয়।
প্রশ্ন: নাকানো এরিকোর কোনো ভালো দিক আছে?
ইমরান: এখানে একজন প্রতারক, একজন প্রতারিত আছে। প্রতারিতকে যদি প্রতারকের ভালো দিক নিয়ে বলতে বলেন, সেটা কেমন করে হয়।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে