Ajker Patrika

হৃদয়ে থেকে যাবে হাকিমিদের মরক্কো

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১১: ২৫
Thumbnail image

শেষ বাঁশি বাজতেই টিভির ক্যামেরায় ধরা পড়ল অসংখ্য সমর্থকের কান্নার দৃশ্য। স্বপ্ন ভঙ্গের কান্না। সেমিফাইনালেই শেষ হয়ে গেছে তাঁদের প্রিয় দল মরক্কোর বিশ্বকাপের স্বপ্নযাত্রা। বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হলেও ফুটবল সমর্থকদের ভালোবাসা ও মন দুটোই জিতে নিয়েছে উত্তর আফ্রিকার দলটি। মরক্কোর উত্থান স্বপ্ন দেখিয়ে গেছে বিশ্ব ফুটবলের মঞ্চে পিছিয়ে থাকা আরও অনেক দেশকে।

এই বিশ্বকাপ অ্যাটলাস লায়নদের সঙ্গে মিশে গেছে ইতিহাস-ঐতিহ্যে। আফ্রিকার প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে গড়েছিল ইতিহাস। আফ্রিকা ও আরব বিশ্বও যেন খুঁজে পেয়েছিল বিশ্বকাপে তাদের দল।

বর্তমান রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়াকে গোলশূন্য রুখে দিয়ে মরক্কো বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল। হাকিম জিয়েশ ও ইউসেফ আন-নেসরিদের আক্রমণের পসরায় ক্রোয়াটর সেদিন শুধু নিজেদের দুর্গ রক্ষায় ব্যস্ত ছিলেন। তবে রক্ষা মেলেনি বেলজিয়াম, কানাডা, স্পেন ও পর্তুগালের। একে একে এই পরাশক্তিদের বিদায় করে ‘থাগ স্টোরি’ লিখে গেলেন আশরাফ হাকিমি-ইয়াসিন বুনুরা।

গত পরশু সেমিফাইনালে ফ্রান্স ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিল। এ ম্যাচকে ঘিরে তৈরি হয় বাড়তি উত্তাপ। লম্বা সময় মরক্কোকে শাসন করা ফ্রান্সের বিপক্ষেই খেলার আগে মরোক্কানদের ভেতর খেলে গিয়েছিল আবেগের ঢেউ।

বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে একমাত্র দল হিসেবে কোনো ম্যাচে হার কিংবা ড্র নেই মরক্কোর। টানা জয় নিয়ে মূলপর্বে এসেছিল তারা। বিশ্বকাপে একটি মাত্র হার ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে। মরক্কো জানান দিয়ে গেল, ফুটবল শুধু ইউরোপ আর লাতিন আমেরিকার নয়, আসছে আফ্রিকানরাও। বিদায় ছাপিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম ও সাবেক খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভাসছেন মরোক্কানরা।

মরক্কোর ইতিহাস গড়া কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুইয়ের কোনো আফসোস নেই। কাতারে তাঁদের পারফরম্যান্স যে ভুলে যাওয়ার মতো নয়। বিশ্বকাপ শুরুর আগে কয়জনই-বা ভেবেছেন মরক্কো সেমিফাইনালে খেলবে। শেষ চারের লড়াই শেষে রেগরাগুই বলেছেন, ‘এই হার আমাদের পেছনের সাফল্যকে বিলীন করে দিচ্ছে না। আমরা সর্বোচ্চটা দিয়েছি। আমাদের কিছু চোট সমস্যা ছিল। তবে কোনো অজুহাত দিচ্ছি না। সামান্য ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে আমাদের। আমরা তৃতীয় হওয়ার চেষ্টা করব।’

ফ্রান্সের বিপক্ষে আল-বায়েত স্টেডিয়ামে মরক্কো সমর্থকদের উল্লাস দেখেছে বিশ্ব। দুই বন্ধু হাকিমি-এমবাপ্পের কথার লড়াইও শেষ হয় ভালোবাসায়। বিজয়ী বন্ধু এমবাপ্পে হাকিমিকে উল্লেখ করে টুইটে লিখেছেন, ‘দুঃখ করো না ভাই, তুমি যা করেছ এর জন্য সবাই গর্বিত। তুমি ইতিহাস তৈরি করেছ।’

আর লন্ডনের মেয়র সাদিক খান লিখেছেন, ‘বিশ্বকাপ জেতোনি তোমরা। কিন্তু আমাদের হৃদয় জিতেছ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী সহকর্মীর সঙ্গে রাতযাপন: হাইটেক পার্কের ডিডি আতিক বরখাস্ত

বাংলাদেশসহ ৩ দেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত সুইজারল্যান্ডের

পদ্মা সেতু ও ড. ইউনূসকে নিয়ে ভারত থেকে শেখ হাসিনার ভাষণ! ভাইরাল ভিডিওর পেছনের ঘটনা জানুন

বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগ

২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন কর্মসূচি শুরু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত