নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল আবার চালু হয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোর-জি। তবে ফোনে ইন্টারনেট ফিরে এলেও চালানো যাচ্ছে না ফেসবুক, টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রেও ব্যবহারকারীরা ভোগান্তিতে পড়ছে।
মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপে ধীরগতি পাওয়া যাচ্ছে। জানা গেছে, ফেসবুক, টিকটকসহ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে কিছু বিষয়ে জানতে চেয়ে গত শনিবার চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। তারা যৌক্তিক ও সন্তোষজনক জবাব দিলে খুলে দেওয়া হবে মাধ্যমগুলো।
এদিকে ফেসবুক বন্ধ থাকায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এফ-কমার্স উদ্যোক্তারা। ফেসবুক পেজই ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় বন্ধ হওয়ার পথে তাঁদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী যাঁরা রয়েছেন, বিশেষ করে এফ-কমার্স এবং পোস্টিং ও বিজ্ঞাপন প্রচারকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম না থাকার কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারণ, তাঁরা এগুলোর জন্য টাকা পরিশোধ করেছেন।
তবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দাবি করেছেন, সরকার কোনো অ্যাপ বন্ধ করেনি। গতকাল রোববার রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘অনেকেই অনেকভাবে অনেক অ্যাপ ব্যবহার করছেন।
সরকার সম্পূর্ণভাবে কখনোই কোনো অ্যাপ বন্ধ করেনি। এটা নির্ভর করছে তাদের আচরণের ওপর। তারা যদি দেশের আইন, বিধিবিধান, সংবিধান ও নিরাপত্তা বিবেচনায় রেখে দায়িত্বশীল আচরণ করে, তাহলে বাংলাদেশে সবার সহযোগিতা পাবে।’
তবে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসি থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, সরকার ফেসবুককে নিজেদের আজ্ঞাবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চাইছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ধারণা, ফেসবুকের কারণেই কোটা সংস্কার আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং সর্বস্তরের মানুষ এ সম্পর্কে জানতে পেরেছিল। সরকার-সমর্থিত পেজ ও অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ফেসবুক খড়্গহস্ত হলেও সরকারবিরোধীদের বিষয়ে তারা নমনীয়।
এ বিষয়ে পলক বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থনে কাজ করত এমন ৫০টি পেজ ও অ্যাকাউন্ট ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু একই ধরনের কাজ বিএনপির পেজ থেকে বা সাজাপ্রাপ্ত আসামি, উগ্রপন্থীরা যেসব কনটেন্ট প্রচার করছে, সেগুলো কেন বন্ধ করছে না? আবার শিশুদের অ্যাবিউজ, নারীদের প্রতি আক্রমণ, সহিংসতা, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, গুজব প্রসঙ্গে তারা কোনো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখেনি। আমরা যে কনটেন্টগুলো মুছতে বলেছি, তার খুব কমই তারা মুছেছে।’
পলক দাবি করেন, মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো গুজব ছড়াচ্ছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুসংবাদের পোস্ট ফেসবুকে ছড়ানো হয়। এই পোস্টগুলোর কারণে সহিংসতা তৈরি হয়; যার ফলে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়। তিনি ইঙ্গিত করেন, মূলত গুজব প্রতিরোধে ফেসবুক ডাউন রাখা হয়েছে।
ফেসবুক-টিকটককে চিঠি
ফেসবুক, টিকটকসহ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে গত শনিবার বিটিআরসি থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। চিঠিতে গত এক মাসে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সহিংসতা ও গুজব ছড়িয়ে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো সরাতে অনুরোধ করা হয়েছে। যতটুকু সরানো হয়েছে, তা নগণ্য ও অগ্রহণযোগ্য। আইন মেনে তারা বাংলাদেশে সাইবার জগৎ ব্যবহার করতে চায় কি না, সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছে। ৩১ জুলাই ঢাকায় এসে লিখিত এবং মৌখিকভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। তারা যৌক্তিক ও সন্তোষজনক জবাব দিলে মাধ্যমগুলো খুলে দেওয়া হবে।
টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল আবার চালু হয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোর-জি। তবে ফোনে ইন্টারনেট ফিরে এলেও চালানো যাচ্ছে না ফেসবুক, টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রেও ব্যবহারকারীরা ভোগান্তিতে পড়ছে।
মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপে ধীরগতি পাওয়া যাচ্ছে। জানা গেছে, ফেসবুক, টিকটকসহ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে কিছু বিষয়ে জানতে চেয়ে গত শনিবার চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। তারা যৌক্তিক ও সন্তোষজনক জবাব দিলে খুলে দেওয়া হবে মাধ্যমগুলো।
এদিকে ফেসবুক বন্ধ থাকায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এফ-কমার্স উদ্যোক্তারা। ফেসবুক পেজই ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় বন্ধ হওয়ার পথে তাঁদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী যাঁরা রয়েছেন, বিশেষ করে এফ-কমার্স এবং পোস্টিং ও বিজ্ঞাপন প্রচারকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম না থাকার কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারণ, তাঁরা এগুলোর জন্য টাকা পরিশোধ করেছেন।
তবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দাবি করেছেন, সরকার কোনো অ্যাপ বন্ধ করেনি। গতকাল রোববার রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘অনেকেই অনেকভাবে অনেক অ্যাপ ব্যবহার করছেন।
সরকার সম্পূর্ণভাবে কখনোই কোনো অ্যাপ বন্ধ করেনি। এটা নির্ভর করছে তাদের আচরণের ওপর। তারা যদি দেশের আইন, বিধিবিধান, সংবিধান ও নিরাপত্তা বিবেচনায় রেখে দায়িত্বশীল আচরণ করে, তাহলে বাংলাদেশে সবার সহযোগিতা পাবে।’
তবে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসি থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, সরকার ফেসবুককে নিজেদের আজ্ঞাবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চাইছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ধারণা, ফেসবুকের কারণেই কোটা সংস্কার আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং সর্বস্তরের মানুষ এ সম্পর্কে জানতে পেরেছিল। সরকার-সমর্থিত পেজ ও অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ফেসবুক খড়্গহস্ত হলেও সরকারবিরোধীদের বিষয়ে তারা নমনীয়।
এ বিষয়ে পলক বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থনে কাজ করত এমন ৫০টি পেজ ও অ্যাকাউন্ট ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু একই ধরনের কাজ বিএনপির পেজ থেকে বা সাজাপ্রাপ্ত আসামি, উগ্রপন্থীরা যেসব কনটেন্ট প্রচার করছে, সেগুলো কেন বন্ধ করছে না? আবার শিশুদের অ্যাবিউজ, নারীদের প্রতি আক্রমণ, সহিংসতা, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, গুজব প্রসঙ্গে তারা কোনো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখেনি। আমরা যে কনটেন্টগুলো মুছতে বলেছি, তার খুব কমই তারা মুছেছে।’
পলক দাবি করেন, মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো গুজব ছড়াচ্ছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুসংবাদের পোস্ট ফেসবুকে ছড়ানো হয়। এই পোস্টগুলোর কারণে সহিংসতা তৈরি হয়; যার ফলে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়। তিনি ইঙ্গিত করেন, মূলত গুজব প্রতিরোধে ফেসবুক ডাউন রাখা হয়েছে।
ফেসবুক-টিকটককে চিঠি
ফেসবুক, টিকটকসহ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে গত শনিবার বিটিআরসি থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। চিঠিতে গত এক মাসে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সহিংসতা ও গুজব ছড়িয়ে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো সরাতে অনুরোধ করা হয়েছে। যতটুকু সরানো হয়েছে, তা নগণ্য ও অগ্রহণযোগ্য। আইন মেনে তারা বাংলাদেশে সাইবার জগৎ ব্যবহার করতে চায় কি না, সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছে। ৩১ জুলাই ঢাকায় এসে লিখিত এবং মৌখিকভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। তারা যৌক্তিক ও সন্তোষজনক জবাব দিলে মাধ্যমগুলো খুলে দেওয়া হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪