আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, মধুপুর
ট্রাফিক আইন অমান্য করে মধুপুরে চলাচল করছে হাজার হাজার মোটরসাইকেল। যাদের অধিকাংশেরই নেই নিবন্ধন। চালকদেরও নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটছে।
জানা গেছে, মধুপুর অত্যন্ত ব্যস্ততম শহর। এই শহর দিয়ে অন্তত ২৫টি গন্তব্যের যানবাহন চলাচল করে। প্রায় বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের কারণে চলাচল করা দায় হয়ে পড়ে। মধুপুর উপজেলায় কি পরিমাণ মোটরসাইকেল রয়েছে তার কোনো পরিসংখ্যান সংশ্লিষ্টদের কাছে নেই। তবে মধুপুরে অন্তত ১৫ হাজার মোটরসাইকেল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ মোটরসাইকেলের লাইসেন্স নেই। আর ৭০ ভাগ চালকই যুবক ও কিশোর। যাঁরা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে থাকেন। উপজেলা শহরে রাত ৯টার পর এমনকি দিনের বেলায়ও বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে দেখা যায়। ফলে মাঝে মধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। প্রাণহানির মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটে অহরহ।
মধুপুরের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, বর্তমানে কিশোর ও যুবকেরা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। চলাচলের জন্য তাঁরা মোটরসাইকেল কিনেছেন। এ কারণে মধুপুরে মোটরসাইকেলের বিক্রিও বেড়েছে। একটি উপজেলা শহরে ১০টিরও অধিক মোটরসাইকেল শোরুম রয়েছে।
মধুপুর ট্রাক ড্রাইভার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. হিরা মিয়া বলেন, ‘মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য গাড়ি চালানো দায় হয়ে পড়েছে। কিশোর ও যুবকেরা যেভাবে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালান এতে তাঁদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। আমাদের জীবনও ঝুঁকিতে ফেলছে। প্রতিদিনই ২-৩টির অধিক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটছে মধুপুরে। যা থানায় রেকর্ড না থাকার কারণে হিসাব বের করা মুশকিল। শুধু মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেই কেবল থানায় মামলা হয়। সম্প্রতি কাকরাইদ, সাগরদিঘীসহ বিভিন্ন জায়গায় অন্তত সাতজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। এই কিশোর-যুবকদের নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি আমাদের সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে সামাজিক আন্দোলনের সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।’
শহর উপপরিদর্শক (টিএসআই) মো. শাহজাহান আলী বলেন, ‘মোটরসাইকেলসহ যেকোনো যানবাহন সরকারি নিয়মানুসারে লাইসেন্স করে চালানোর বিধান রয়েছে। এই বিধান অমান্যকারীদের শাস্তি বা জরিমানা করা হয়। মোটরসাইকেলের লাইসেন্স না থাকলে ১০ হাজার, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে ৫ হাজার এবং হেলমেট না থাকলে ৩ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া বেপরোয়া গতিতে চালানো, বিমার কাগজ না থাকাসহ বিভিন্ন নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রেও জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে করোনার কারণে এই আইনের প্রয়োগ কিছুটা শিথিল রয়েছে।’
মধুপুরের সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, কিশোরদের হাতে কোনো ক্রমেই মোটরসাইকেল না দেওয়া অভিভাবকদের কর্তব্য। যদি বিশেষ প্রয়োজনে দিতেই হয়, তবে ট্রাফিক আইন মেনে চালানোর জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় সন্তানের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুতগতিসম্পন্ন মোটরসাইকেলচালকদের এবং মোটরসাইকেল চালনার বিধি অমান্যকারীদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ট্রাফিক আইন অমান্য করে মধুপুরে চলাচল করছে হাজার হাজার মোটরসাইকেল। যাদের অধিকাংশেরই নেই নিবন্ধন। চালকদেরও নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটছে।
জানা গেছে, মধুপুর অত্যন্ত ব্যস্ততম শহর। এই শহর দিয়ে অন্তত ২৫টি গন্তব্যের যানবাহন চলাচল করে। প্রায় বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের কারণে চলাচল করা দায় হয়ে পড়ে। মধুপুর উপজেলায় কি পরিমাণ মোটরসাইকেল রয়েছে তার কোনো পরিসংখ্যান সংশ্লিষ্টদের কাছে নেই। তবে মধুপুরে অন্তত ১৫ হাজার মোটরসাইকেল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ মোটরসাইকেলের লাইসেন্স নেই। আর ৭০ ভাগ চালকই যুবক ও কিশোর। যাঁরা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে থাকেন। উপজেলা শহরে রাত ৯টার পর এমনকি দিনের বেলায়ও বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে দেখা যায়। ফলে মাঝে মধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। প্রাণহানির মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটে অহরহ।
মধুপুরের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, বর্তমানে কিশোর ও যুবকেরা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। চলাচলের জন্য তাঁরা মোটরসাইকেল কিনেছেন। এ কারণে মধুপুরে মোটরসাইকেলের বিক্রিও বেড়েছে। একটি উপজেলা শহরে ১০টিরও অধিক মোটরসাইকেল শোরুম রয়েছে।
মধুপুর ট্রাক ড্রাইভার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. হিরা মিয়া বলেন, ‘মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য গাড়ি চালানো দায় হয়ে পড়েছে। কিশোর ও যুবকেরা যেভাবে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালান এতে তাঁদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। আমাদের জীবনও ঝুঁকিতে ফেলছে। প্রতিদিনই ২-৩টির অধিক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটছে মধুপুরে। যা থানায় রেকর্ড না থাকার কারণে হিসাব বের করা মুশকিল। শুধু মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেই কেবল থানায় মামলা হয়। সম্প্রতি কাকরাইদ, সাগরদিঘীসহ বিভিন্ন জায়গায় অন্তত সাতজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। এই কিশোর-যুবকদের নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি আমাদের সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে সামাজিক আন্দোলনের সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।’
শহর উপপরিদর্শক (টিএসআই) মো. শাহজাহান আলী বলেন, ‘মোটরসাইকেলসহ যেকোনো যানবাহন সরকারি নিয়মানুসারে লাইসেন্স করে চালানোর বিধান রয়েছে। এই বিধান অমান্যকারীদের শাস্তি বা জরিমানা করা হয়। মোটরসাইকেলের লাইসেন্স না থাকলে ১০ হাজার, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে ৫ হাজার এবং হেলমেট না থাকলে ৩ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া বেপরোয়া গতিতে চালানো, বিমার কাগজ না থাকাসহ বিভিন্ন নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রেও জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে করোনার কারণে এই আইনের প্রয়োগ কিছুটা শিথিল রয়েছে।’
মধুপুরের সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, কিশোরদের হাতে কোনো ক্রমেই মোটরসাইকেল না দেওয়া অভিভাবকদের কর্তব্য। যদি বিশেষ প্রয়োজনে দিতেই হয়, তবে ট্রাফিক আইন মেনে চালানোর জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় সন্তানের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুতগতিসম্পন্ন মোটরসাইকেলচালকদের এবং মোটরসাইকেল চালনার বিধি অমান্যকারীদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪