তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
মেরামত এবং সংরক্ষণ খাতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ মিলে বিগত অর্থবছরে প্রায় ১২ হাজার ৩৪ কোটি টাকা খরচ করেছে। একই খাতে একই অর্থবছরে সরকারের আরেক প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত অধিদপ্তরও খরচ করেছে ৮৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এই খাতে এক অর্থবছরে সব মিলিয়ে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের পরিচালন ও উন্নয়নসংক্রান্ত মঞ্জুরি ও বরাদ্দের দাবি পর্যালোচনা করে এই হিসাব পাওয়া গেছে।
রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, কোনো সরকারি স্থাপনা যে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে, সেই প্রতিষ্ঠানই তা মেরামত বা সংরক্ষণ করবে। সে অনুযায়ী সারা দেশে সরকারি স্থাপনা মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গণপূর্ত অধিদপ্তরের। কিন্তু একই কাজ ৬১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগও করে যাচ্ছে। প্রতিবছর এভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে শৃঙ্খলা ছাড়াই। এই ব্যয়ের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না ক্রয়সংক্রান্ত নীতিমালাও।
অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ ধরনের ব্যয়ে আইনের প্রক্রিয়া ও নিয়মকানুন যথাযথভাবে মানা হয় না। তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে অনেক কর্মকর্তা দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি অর্থ ব্যয় করছেন। এর একটি অংশ কাগজে-কলমে শুধু বিল-ভাউচার হচ্ছে। এ ছাড়া সরকারিভাবে ই-জিপি করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ম্যানুয়াল দরপত্রের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। আবার এমন কর্মকর্তাও টাকা ব্যয় করছেন, যার পিপিআর (সরকারি ক্রয়বিধিমালা) অনুযায়ী সেই এখতিয়ার নেই।
জানা যায়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ গত অর্থবছরে সংরক্ষণ ও মেরামত খাতে ৭৭৭ কোটি ৬৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা খরচ করেছে। আবার গণপূর্ত অধিদপ্তরের মেডিকেল বিভাগও শুধু ঢাকার তিনটি সরকারি হাসপাতালে মেরামতকাজে খরচ করেছে ১২ কোটি টাকা।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মোজাম্মেল হোসেন খান অবশ্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, গণপূর্তের বাইরেও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আলাদা কাজ থাকে। তা-ও করা হয়। এখানে এক কাজ দুবার হওয়ার সুযোগ নেই।
জাতীয় সংসদ ভবন মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত অধিদপ্তরের তিনটি বিভাগ। সেখানে গত অর্থবছরে ৫১৮টি পূর্তকাজে মোট ৪৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। এসব স্থাপনায় ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল বিভাগ ১৮৯টি কাজে ১৬ কোটি টাকা খরচ করেছে। একই খাতে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ও সরকারের কাছ থেকে ৩৫ কোটি ৩৮ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ নিয়ে খরচ করেছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগ-২ গত অর্থবছরে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের ২২৪টি কাজে ৩১ কোটি টাকা খরচ করছে। একই খাতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে আরও ১৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে।
দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘গণপূর্তের কাজের বাইরেও আমাদের কিছু রক্ষণাবেক্ষণের কাজ থাকে। আর থানা পর্যায়েও এ খাতে টাকা বরাদ্দ দিতে হয়। তাই জরুরি প্রয়োজনে সরকার জেলা পর্যায়ে এ ধরনের ফান্ড দিয়ে থাকে।’
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি স্থাপনা মূলত গণপূর্ত অধিদপ্তর রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। এখানে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা অপ্রতুল। সারা দেশের সব স্থাপনার জন্য গণপূর্তকাজের চাহিদা তৈরি করে থাকে। কিন্তু তহবিল যাচ্ছে ভাগ হয়ে। ফলে যাদের কাজ, তাদের আর করা হচ্ছে না।
২০২২-২৩ অর্থবছরে মেরামত এবং সংরক্ষণ খাতে যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বেশি পরিমাণ অর্থ খরচ করেছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্থানীয় সরকার বিভাগ ৩ হাজার ৪৮৫ কোটি ২৮ লাখ ৭ হাজার, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ১ হাজার ১৪০ কোটি ৮৩ লাখ ৯ হাজার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ৫২৮ কোটি ৭৪ লাখ ৫৭ হাজার, জননিরাপত্তা বিভাগ ৫১১ কোটি ৫৪ লাখ ৪৯ হাজার, রেলপথ মন্ত্রণালয় ৪০৪ কোটি ৮ লাখ ৩৪ হাজার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৭৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৩ হাজার, সুরক্ষা সেবা বিভাগ ২৫৬ কোটি ২৯ লাখ ৭ হাজার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ ১৮০ কোটি ৮৯ লাখ ৮৫ হাজার, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ ১৩৮ কোটি ৩৯ লাখ ১৫ হাজার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ১০৮ কোটি ৮৯ লাখ ৯০০ হাজার, খাদ্য মন্ত্রণালয় ১০৪ কোটি ৫৯ লাখ ৯৬ হাজার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৯৮ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার, ভূমি মন্ত্রণালয় ৮৮ কোটি ৪৯ লাখ ১ হাজার, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ৮৪ কোটি ৮৭ লাখ ৮৭ হাজার, অর্থ বিভাগ ৭১ কোটি ৩৫ লাখ ৯২ হাজার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ৬৯ কোটি ২৮ লাখ, কৃষি মন্ত্রণালয় ৫২ কোটি ৮৬ লাখ ২৬ হাজার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৪২ কোটি ৫০ লাখ ২৪ হাজার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৪১ কোটি ৪১ লাখ ৫৪ হাজার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ৩৭ কোটি ৫৪ লাখ ৭৩ হাজার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩৫ কোটি ৮৬ লাখ ৯ হাজার, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ১৮ কোটি ৮৫ লাখ ৪৯ হাজার, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১২ কোটি ৬২ লাখ ৪১ হাজার, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১২ কোটি ৯০ লাখ ৪৮ হাজার, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ১২ কোটি ৮৫ লাখ ৩৭ হাজার, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০ কোটি ৮৯ লাখ ৪৪ হাজার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ১০ কোটি ৩৮ লাখ ১৯ হাজার টাকা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফরিদ আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সরকার থেকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে পরিমাণ অর্থ পাচ্ছি, তা আইনকানুন মেনে খরচ করা হয়। আমাদের এই অর্থ ব্যয় দেখার জন্য মনিটরিং বিভাগ রয়েছে। তারা এগুলো নজর রাখছে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ধরনের পারস্পরিক সমন্বয়হীনতায় রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হয়। স্বার্থান্বেষী মহলের হাতে জনগণের সম্পদ চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এভাবে একই ধরনের কাজ একাধিক সংস্থা দিয়ে বাস্তবায়নে মূলত অনিয়মকে জিইয়ে রাখা হচ্ছে। গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে তা বন্ধ করা উচিত।
মেরামত এবং সংরক্ষণ খাতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ মিলে বিগত অর্থবছরে প্রায় ১২ হাজার ৩৪ কোটি টাকা খরচ করেছে। একই খাতে একই অর্থবছরে সরকারের আরেক প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত অধিদপ্তরও খরচ করেছে ৮৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এই খাতে এক অর্থবছরে সব মিলিয়ে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের পরিচালন ও উন্নয়নসংক্রান্ত মঞ্জুরি ও বরাদ্দের দাবি পর্যালোচনা করে এই হিসাব পাওয়া গেছে।
রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, কোনো সরকারি স্থাপনা যে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে, সেই প্রতিষ্ঠানই তা মেরামত বা সংরক্ষণ করবে। সে অনুযায়ী সারা দেশে সরকারি স্থাপনা মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গণপূর্ত অধিদপ্তরের। কিন্তু একই কাজ ৬১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগও করে যাচ্ছে। প্রতিবছর এভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে শৃঙ্খলা ছাড়াই। এই ব্যয়ের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না ক্রয়সংক্রান্ত নীতিমালাও।
অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ ধরনের ব্যয়ে আইনের প্রক্রিয়া ও নিয়মকানুন যথাযথভাবে মানা হয় না। তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে অনেক কর্মকর্তা দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি অর্থ ব্যয় করছেন। এর একটি অংশ কাগজে-কলমে শুধু বিল-ভাউচার হচ্ছে। এ ছাড়া সরকারিভাবে ই-জিপি করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ম্যানুয়াল দরপত্রের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। আবার এমন কর্মকর্তাও টাকা ব্যয় করছেন, যার পিপিআর (সরকারি ক্রয়বিধিমালা) অনুযায়ী সেই এখতিয়ার নেই।
জানা যায়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ গত অর্থবছরে সংরক্ষণ ও মেরামত খাতে ৭৭৭ কোটি ৬৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা খরচ করেছে। আবার গণপূর্ত অধিদপ্তরের মেডিকেল বিভাগও শুধু ঢাকার তিনটি সরকারি হাসপাতালে মেরামতকাজে খরচ করেছে ১২ কোটি টাকা।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মোজাম্মেল হোসেন খান অবশ্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, গণপূর্তের বাইরেও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আলাদা কাজ থাকে। তা-ও করা হয়। এখানে এক কাজ দুবার হওয়ার সুযোগ নেই।
জাতীয় সংসদ ভবন মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত অধিদপ্তরের তিনটি বিভাগ। সেখানে গত অর্থবছরে ৫১৮টি পূর্তকাজে মোট ৪৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। এসব স্থাপনায় ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল বিভাগ ১৮৯টি কাজে ১৬ কোটি টাকা খরচ করেছে। একই খাতে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ও সরকারের কাছ থেকে ৩৫ কোটি ৩৮ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ নিয়ে খরচ করেছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগ-২ গত অর্থবছরে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের ২২৪টি কাজে ৩১ কোটি টাকা খরচ করছে। একই খাতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে আরও ১৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে।
দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘গণপূর্তের কাজের বাইরেও আমাদের কিছু রক্ষণাবেক্ষণের কাজ থাকে। আর থানা পর্যায়েও এ খাতে টাকা বরাদ্দ দিতে হয়। তাই জরুরি প্রয়োজনে সরকার জেলা পর্যায়ে এ ধরনের ফান্ড দিয়ে থাকে।’
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি স্থাপনা মূলত গণপূর্ত অধিদপ্তর রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। এখানে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা অপ্রতুল। সারা দেশের সব স্থাপনার জন্য গণপূর্তকাজের চাহিদা তৈরি করে থাকে। কিন্তু তহবিল যাচ্ছে ভাগ হয়ে। ফলে যাদের কাজ, তাদের আর করা হচ্ছে না।
২০২২-২৩ অর্থবছরে মেরামত এবং সংরক্ষণ খাতে যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বেশি পরিমাণ অর্থ খরচ করেছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্থানীয় সরকার বিভাগ ৩ হাজার ৪৮৫ কোটি ২৮ লাখ ৭ হাজার, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ১ হাজার ১৪০ কোটি ৮৩ লাখ ৯ হাজার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ৫২৮ কোটি ৭৪ লাখ ৫৭ হাজার, জননিরাপত্তা বিভাগ ৫১১ কোটি ৫৪ লাখ ৪৯ হাজার, রেলপথ মন্ত্রণালয় ৪০৪ কোটি ৮ লাখ ৩৪ হাজার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৭৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৩ হাজার, সুরক্ষা সেবা বিভাগ ২৫৬ কোটি ২৯ লাখ ৭ হাজার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ ১৮০ কোটি ৮৯ লাখ ৮৫ হাজার, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ ১৩৮ কোটি ৩৯ লাখ ১৫ হাজার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ১০৮ কোটি ৮৯ লাখ ৯০০ হাজার, খাদ্য মন্ত্রণালয় ১০৪ কোটি ৫৯ লাখ ৯৬ হাজার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৯৮ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার, ভূমি মন্ত্রণালয় ৮৮ কোটি ৪৯ লাখ ১ হাজার, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ৮৪ কোটি ৮৭ লাখ ৮৭ হাজার, অর্থ বিভাগ ৭১ কোটি ৩৫ লাখ ৯২ হাজার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ৬৯ কোটি ২৮ লাখ, কৃষি মন্ত্রণালয় ৫২ কোটি ৮৬ লাখ ২৬ হাজার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৪২ কোটি ৫০ লাখ ২৪ হাজার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৪১ কোটি ৪১ লাখ ৫৪ হাজার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ৩৭ কোটি ৫৪ লাখ ৭৩ হাজার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩৫ কোটি ৮৬ লাখ ৯ হাজার, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ১৮ কোটি ৮৫ লাখ ৪৯ হাজার, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১২ কোটি ৬২ লাখ ৪১ হাজার, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১২ কোটি ৯০ লাখ ৪৮ হাজার, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ১২ কোটি ৮৫ লাখ ৩৭ হাজার, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০ কোটি ৮৯ লাখ ৪৪ হাজার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ১০ কোটি ৩৮ লাখ ১৯ হাজার টাকা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফরিদ আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সরকার থেকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে পরিমাণ অর্থ পাচ্ছি, তা আইনকানুন মেনে খরচ করা হয়। আমাদের এই অর্থ ব্যয় দেখার জন্য মনিটরিং বিভাগ রয়েছে। তারা এগুলো নজর রাখছে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ধরনের পারস্পরিক সমন্বয়হীনতায় রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হয়। স্বার্থান্বেষী মহলের হাতে জনগণের সম্পদ চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এভাবে একই ধরনের কাজ একাধিক সংস্থা দিয়ে বাস্তবায়নে মূলত অনিয়মকে জিইয়ে রাখা হচ্ছে। গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে তা বন্ধ করা উচিত।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে