ড. আলি আস-সাল্লাবি
পিঁপড়া আল্লাহর এক অপূর্ব সৃষ্টি। খুব নিরীহ প্রাণী মনে হলেও পিঁপড়া আসলে আল্লাহর এক রহস্যঘেরা সৃষ্টি। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ‘নামল’ বা পিঁপড়া নামে স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করেছেন এবং এদের জীবনের শিক্ষণীয় দিক মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন। আল্লাহর অসীম কুদরত সম্পর্কে জানতে পিঁপড়ার জীবনের এই দিকগুলো জানা অত্যন্ত জরুরি।
আল্লাহ তাআলা সোলায়মান (আ.)-এর যুগের একদল পিঁপড়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘জিন, মানুষ ও পাখিদের নিয়ে গঠিত সেনাবাহিনী সোলায়মানের সামনে সমবেত করা হলো। এরপর তাদের বিভিন্ন ব্যূহে ভাগ করা হলো। যখন তারা পিঁপড়ার উপত্যকায় পৌঁছাল, তখন এক পিঁপড়া বলল—হে পিঁপড়ার দল, তোমরা নিজেদের বাসায় ঢুকে পড়ো। না হলে সোলায়মান ও তাঁর সেনাবাহিনী অজান্তেই তোমাদের পিষে ফেলবে। তার কথা শুনে সোলায়মান (আ.) বিস্মিত হয়ে মুচকি হাসলেন এবং বললেন—হে আমার পালনকর্তা, আমাকে ও আমার মা-বাবাকে দেওয়া আপনার নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় এবং আপনার পছন্দের ভালো কাজ করার সামর্থ্য দিন এবং আপনার অনুগ্রহে আপনার নেক বান্দাদের মধ্যে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করে নিন।’ (সুরা নামাল: ১৭-১৯)
এ আয়াতগুলো থেকে পাঠকের বেশ কিছু বিষয় শেখার আছে। যেমন—
পিঁপড়ার উপত্যকা
পিঁপড়া যে সামাজিক জীব, তা কোরআনের ভাষাশৈলী থেকেই বোঝা যায়। তারা নিজেদের বাসায় পারস্পরিক সহযোগিতায় বসবাস করে। একে অপরের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়। আয়াতে পিঁপড়ার উচ্চারিত সতর্কবাণী থেকেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়। পিঁপড়ারা নিজেদের তৈরি বাসাতেই বসবাস করে। কখনো-সখনো বাসার সংখ্যা বাড়তে বাড়তে পিঁপড়ার শহর বা উপত্যকায় পরিণত হয়—যেমনটি কোরআনের ভাষা থেকে স্পষ্ট। সেই উপত্যকায় পিঁপড়ারা বাসা বানায়; গলি, সড়ক ও মহাসড়ক বানায়।
বিজ্ঞানীদের ভাষ্যমতে, পিঁপড়াদের প্রতিটি বাসা একাধিক স্তরে গঠিত। স্তরগুলো হলো—তাপঘর, অপরিচিতদের প্রবেশ রোধে পাহারার স্থান, গ্রীষ্মে কর্মীদের বিশ্রামস্থল, খাদ্যগুদাম, ডাইনিং কক্ষ, সৈন্যদের ব্যারাক, রানি পিঁপড়াদের ডিম পাড়ার রাজকীয় কক্ষ, পিঁপড়াদের গৃহপালিত ‘গরু’র আস্তাবল, সেই সব পোকা থেকে দুধ দোহনের আস্তাবল, ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর স্থান, শিশু পিঁপড়াদের বেড়ে ওঠার স্থান, পিঁপড়ার শীতযাপন কক্ষ, এর ডানে থাকে মৃতদের কবরস্থান এবং সর্বশেষ রানির শীতযাপন কক্ষ।
আমাজন বনে বসবাস করা কিছু পিঁপড়ার বাসার দৈর্ঘ্য ৫ মিটার এবং প্রস্থ ৭ মিটার পর্যন্ত হয়। তারা শত শত কক্ষ ও সুড়ঙ্গ খোঁড়ে এবং ৪০ টন পর্যন্ত মাটি বের করে দেয়।
পিঁপড়ার ‘গরু’ কী
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ২০ বছর ধরে পিঁপড়ার বাসা নিয়ে গবেষণা করছেন প্রাকৃতিক ইতিহাসবিজ্ঞানী রয়্যাল উইক্সন। তিনি এক অভূতপূর্ব সিস্টেম পিঁপড়াদের জীবনধারায় দেখতে পান। তারা বিভিন্ন পোকামাকড়কে ‘গরু’ হিসেবে পালন করে। পোকাগুলো মাটির ভেতরে দীর্ঘদিন রাখার ফলে দৃষ্টি হারিয়ে ফেলে। মানুষ যেমন নিজেদের স্বার্থে বিভিন্ন প্রাণী পালন করে, তেমনি পিঁপড়ারাও তাদের চেয়ে ছোট হাজার হাজার প্রাণী পালন করে। পিঁপড়ারা এসব পতঙ্গের ডিম সংগ্রহ করতে আনে এবং বাচ্চা ফোটানো পর্যন্ত তা সযতনে রাখে। লার্ভাগুলো বড় হলে একধরনের মিষ্টি তরল ‘দুধ’ নিঃসরিত হয়। পিঁপড়াদের একটি দল শিং দিয়ে এই পোকাগুলোকে ধরে এই ‘দুধ’ দোহনের কাজই করে।
খাদ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি
পিঁপড়াদের খাদ্য সংগ্রহ, সঞ্চয় ও সংরক্ষণের অভিনব পদ্ধতি রয়েছে। সংগৃহীত খাদ্য পিঁপড়ার চেয়ে বড় হওয়ার কারণে বহন করতে না পারলে পেছনের পা দিয়ে তা নাড়াচাড়া করে এবং হাত দিয়ে ওপরে তোলে। পিঁপড়ার একটি অভ্যাস হলো, বীজ সংরক্ষণের আগে তা ভেঙে নেয়, যাতে ফের অঙ্কুরিত হতে না পারে এবং সহজে গুদামজাত করা যায়। কিছু বীজ দুই টুকরো করে ভেঙে ফেললেও ফের অঙ্কুরিত হয়, সেগুলো তারা চার টুকরো করে কেটে ফেলে। বীজ বৃষ্টিতে ভিজে গেলে আলো-বাতাসে শুকাতেও দেয়।
পিঁপড়ার বিশেষ ভাষা
বিজ্ঞানীদের মতে, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য পিঁপড়া একটি বিশেষ ভাষা ব্যবহার করে। রাসায়নিক কোডের মাধ্যমে তারা এই যোগাযোগ স্থাপন করে। কোরআনে যে পিঁপড়াটি সোলায়মান (আ.)-এর আসার সংবাদ দিয়েছিল, সেটি সম্ভবত এই বিশেষ কোডই ব্যবহার করেছিল। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিটি প্রজাতির প্রাণীদের নিজস্ব একটি ঘ্রাণ থাকে; আবার একই প্রজাতির প্রতিটি প্রাণীরও আলাদা ঘ্রাণ থাকে, যা ওই প্রাণীর ব্যক্তি, পরিবার ও বংশের পরিচয় বহন করে। পিঁপড়াদেরও রয়েছে এমন এক বিশেষ ঘ্রাণ, যা তাদের বাসা ও কাজ নির্দেশ করে। সেই ঘ্রাণই গোপন ভাষা, বিজ্ঞানীরা যাকে ‘ফেরোমন’ বলছেন। পিঁপড়ার ফেরোমন মলদ্বারের কাছের একটি গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন হয়। এই ঘ্রাণ দিয়ে তারা শত্রু-মিত্র শনাক্ত করে। কর্মী পিঁপড়ারা খাবার খুঁজে পেলে জায়গাটি চিহ্নিত করে রাখতে ফেরোমন নিঃসরণ করে বাসায় ফিরে আসে। ফেরার পথও তারা একইভাবে চিহ্নিত করে রাখে, যাতে সহকর্মীরা দ্রুত সেখানে পৌঁছাতে পারে।
পিঁপড়ার বুদ্ধিমত্তা
সোলায়মান (আ.)-এর সেনাবাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসার সংবাদ দেওয়া পিঁপড়াটির কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে, পিঁপড়ার বুদ্ধি আছে, বিবেক খাটানো এবং বিপদের পূর্বাভাস টের পাওয়ার ক্ষমতা আছে। বুদ্ধিমত্তা ছাড়া নিখুঁতভাবে সোলায়মান (আ.)-এর সেনাবাহিনীর অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব ছিল না। পিঁপড়াদের জীবন নিয়ে বিজ্ঞানের নতুন গবেষণা থেকেও তা-ই অনুমিত হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, পিঁপড়ার মস্তিষ্ক মানুষের মস্তিষ্কের মতো দুটি প্রধান লোব এবং উন্নত স্নায়ুকেন্দ্র এবং সংবেদনশীল কোষ নিয়ে গঠিত।
লেখক: লিবিয়ান ইতিহাসবিদ, ফকিহ ও ইসলামি চিন্তাবিদ
আল জাজিরা অ্যারাবিক থেকে সংক্ষিপ্ত অনুবাদ: ইজাজুল হক
পিঁপড়া আল্লাহর এক অপূর্ব সৃষ্টি। খুব নিরীহ প্রাণী মনে হলেও পিঁপড়া আসলে আল্লাহর এক রহস্যঘেরা সৃষ্টি। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ‘নামল’ বা পিঁপড়া নামে স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করেছেন এবং এদের জীবনের শিক্ষণীয় দিক মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন। আল্লাহর অসীম কুদরত সম্পর্কে জানতে পিঁপড়ার জীবনের এই দিকগুলো জানা অত্যন্ত জরুরি।
আল্লাহ তাআলা সোলায়মান (আ.)-এর যুগের একদল পিঁপড়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘জিন, মানুষ ও পাখিদের নিয়ে গঠিত সেনাবাহিনী সোলায়মানের সামনে সমবেত করা হলো। এরপর তাদের বিভিন্ন ব্যূহে ভাগ করা হলো। যখন তারা পিঁপড়ার উপত্যকায় পৌঁছাল, তখন এক পিঁপড়া বলল—হে পিঁপড়ার দল, তোমরা নিজেদের বাসায় ঢুকে পড়ো। না হলে সোলায়মান ও তাঁর সেনাবাহিনী অজান্তেই তোমাদের পিষে ফেলবে। তার কথা শুনে সোলায়মান (আ.) বিস্মিত হয়ে মুচকি হাসলেন এবং বললেন—হে আমার পালনকর্তা, আমাকে ও আমার মা-বাবাকে দেওয়া আপনার নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় এবং আপনার পছন্দের ভালো কাজ করার সামর্থ্য দিন এবং আপনার অনুগ্রহে আপনার নেক বান্দাদের মধ্যে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করে নিন।’ (সুরা নামাল: ১৭-১৯)
এ আয়াতগুলো থেকে পাঠকের বেশ কিছু বিষয় শেখার আছে। যেমন—
পিঁপড়ার উপত্যকা
পিঁপড়া যে সামাজিক জীব, তা কোরআনের ভাষাশৈলী থেকেই বোঝা যায়। তারা নিজেদের বাসায় পারস্পরিক সহযোগিতায় বসবাস করে। একে অপরের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়। আয়াতে পিঁপড়ার উচ্চারিত সতর্কবাণী থেকেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়। পিঁপড়ারা নিজেদের তৈরি বাসাতেই বসবাস করে। কখনো-সখনো বাসার সংখ্যা বাড়তে বাড়তে পিঁপড়ার শহর বা উপত্যকায় পরিণত হয়—যেমনটি কোরআনের ভাষা থেকে স্পষ্ট। সেই উপত্যকায় পিঁপড়ারা বাসা বানায়; গলি, সড়ক ও মহাসড়ক বানায়।
বিজ্ঞানীদের ভাষ্যমতে, পিঁপড়াদের প্রতিটি বাসা একাধিক স্তরে গঠিত। স্তরগুলো হলো—তাপঘর, অপরিচিতদের প্রবেশ রোধে পাহারার স্থান, গ্রীষ্মে কর্মীদের বিশ্রামস্থল, খাদ্যগুদাম, ডাইনিং কক্ষ, সৈন্যদের ব্যারাক, রানি পিঁপড়াদের ডিম পাড়ার রাজকীয় কক্ষ, পিঁপড়াদের গৃহপালিত ‘গরু’র আস্তাবল, সেই সব পোকা থেকে দুধ দোহনের আস্তাবল, ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর স্থান, শিশু পিঁপড়াদের বেড়ে ওঠার স্থান, পিঁপড়ার শীতযাপন কক্ষ, এর ডানে থাকে মৃতদের কবরস্থান এবং সর্বশেষ রানির শীতযাপন কক্ষ।
আমাজন বনে বসবাস করা কিছু পিঁপড়ার বাসার দৈর্ঘ্য ৫ মিটার এবং প্রস্থ ৭ মিটার পর্যন্ত হয়। তারা শত শত কক্ষ ও সুড়ঙ্গ খোঁড়ে এবং ৪০ টন পর্যন্ত মাটি বের করে দেয়।
পিঁপড়ার ‘গরু’ কী
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ২০ বছর ধরে পিঁপড়ার বাসা নিয়ে গবেষণা করছেন প্রাকৃতিক ইতিহাসবিজ্ঞানী রয়্যাল উইক্সন। তিনি এক অভূতপূর্ব সিস্টেম পিঁপড়াদের জীবনধারায় দেখতে পান। তারা বিভিন্ন পোকামাকড়কে ‘গরু’ হিসেবে পালন করে। পোকাগুলো মাটির ভেতরে দীর্ঘদিন রাখার ফলে দৃষ্টি হারিয়ে ফেলে। মানুষ যেমন নিজেদের স্বার্থে বিভিন্ন প্রাণী পালন করে, তেমনি পিঁপড়ারাও তাদের চেয়ে ছোট হাজার হাজার প্রাণী পালন করে। পিঁপড়ারা এসব পতঙ্গের ডিম সংগ্রহ করতে আনে এবং বাচ্চা ফোটানো পর্যন্ত তা সযতনে রাখে। লার্ভাগুলো বড় হলে একধরনের মিষ্টি তরল ‘দুধ’ নিঃসরিত হয়। পিঁপড়াদের একটি দল শিং দিয়ে এই পোকাগুলোকে ধরে এই ‘দুধ’ দোহনের কাজই করে।
খাদ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি
পিঁপড়াদের খাদ্য সংগ্রহ, সঞ্চয় ও সংরক্ষণের অভিনব পদ্ধতি রয়েছে। সংগৃহীত খাদ্য পিঁপড়ার চেয়ে বড় হওয়ার কারণে বহন করতে না পারলে পেছনের পা দিয়ে তা নাড়াচাড়া করে এবং হাত দিয়ে ওপরে তোলে। পিঁপড়ার একটি অভ্যাস হলো, বীজ সংরক্ষণের আগে তা ভেঙে নেয়, যাতে ফের অঙ্কুরিত হতে না পারে এবং সহজে গুদামজাত করা যায়। কিছু বীজ দুই টুকরো করে ভেঙে ফেললেও ফের অঙ্কুরিত হয়, সেগুলো তারা চার টুকরো করে কেটে ফেলে। বীজ বৃষ্টিতে ভিজে গেলে আলো-বাতাসে শুকাতেও দেয়।
পিঁপড়ার বিশেষ ভাষা
বিজ্ঞানীদের মতে, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য পিঁপড়া একটি বিশেষ ভাষা ব্যবহার করে। রাসায়নিক কোডের মাধ্যমে তারা এই যোগাযোগ স্থাপন করে। কোরআনে যে পিঁপড়াটি সোলায়মান (আ.)-এর আসার সংবাদ দিয়েছিল, সেটি সম্ভবত এই বিশেষ কোডই ব্যবহার করেছিল। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিটি প্রজাতির প্রাণীদের নিজস্ব একটি ঘ্রাণ থাকে; আবার একই প্রজাতির প্রতিটি প্রাণীরও আলাদা ঘ্রাণ থাকে, যা ওই প্রাণীর ব্যক্তি, পরিবার ও বংশের পরিচয় বহন করে। পিঁপড়াদেরও রয়েছে এমন এক বিশেষ ঘ্রাণ, যা তাদের বাসা ও কাজ নির্দেশ করে। সেই ঘ্রাণই গোপন ভাষা, বিজ্ঞানীরা যাকে ‘ফেরোমন’ বলছেন। পিঁপড়ার ফেরোমন মলদ্বারের কাছের একটি গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন হয়। এই ঘ্রাণ দিয়ে তারা শত্রু-মিত্র শনাক্ত করে। কর্মী পিঁপড়ারা খাবার খুঁজে পেলে জায়গাটি চিহ্নিত করে রাখতে ফেরোমন নিঃসরণ করে বাসায় ফিরে আসে। ফেরার পথও তারা একইভাবে চিহ্নিত করে রাখে, যাতে সহকর্মীরা দ্রুত সেখানে পৌঁছাতে পারে।
পিঁপড়ার বুদ্ধিমত্তা
সোলায়মান (আ.)-এর সেনাবাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসার সংবাদ দেওয়া পিঁপড়াটির কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে, পিঁপড়ার বুদ্ধি আছে, বিবেক খাটানো এবং বিপদের পূর্বাভাস টের পাওয়ার ক্ষমতা আছে। বুদ্ধিমত্তা ছাড়া নিখুঁতভাবে সোলায়মান (আ.)-এর সেনাবাহিনীর অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব ছিল না। পিঁপড়াদের জীবন নিয়ে বিজ্ঞানের নতুন গবেষণা থেকেও তা-ই অনুমিত হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, পিঁপড়ার মস্তিষ্ক মানুষের মস্তিষ্কের মতো দুটি প্রধান লোব এবং উন্নত স্নায়ুকেন্দ্র এবং সংবেদনশীল কোষ নিয়ে গঠিত।
লেখক: লিবিয়ান ইতিহাসবিদ, ফকিহ ও ইসলামি চিন্তাবিদ
আল জাজিরা অ্যারাবিক থেকে সংক্ষিপ্ত অনুবাদ: ইজাজুল হক
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে