আশরাফুল আলম, কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ)
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে ৪৪টি করাতকলের মধ্য ৩৯টির বৈধতার কাগজপত্র নেই। তবু পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নিয়ম না মেনে একের পর এক অবৈধ করাতকল স্থাপিত হচ্ছে। এতে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য যেমন হুমকিতে পড়ছে, তেমনি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ অবস্থায় যত্রতত্র স্থাপন করা করাতকল উচ্ছেদে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কোনো সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান এবং জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন স্থানের ন্যূনতম ২০০ মিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। তবে কাজীপুরে এমন আইন শুধু কাগজে-কলমেই।
উপজেলা বন অফিস সূত্রে জানা গেছে, পুরো উপজেলায় ৪৪টি করাতকল রয়েছে, যার মাত্র ৫টিতে বিধি মোতাবেক কাগজপত্র রয়েছে। তা-ও লাইসেন্সের কোনো নবায়ন নেই ৮-১০ বছর হলো। ৩৯টি করাতকলেরই কোনো প্রকার কাগজপত্র নেই।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, করাতকল স্থাপনের নিয়ম না মেনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশেই অবৈধ করাতকল স্থাপিত হয়েছে। উপজেলায় ৬০টির বেশি অবৈধ করাতকল রয়েছে। এগুলোতে রাস্তা দখল করে রাখা হয়েছে গাছের গুঁড়ি। এতে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনাও ঘটছে।
শিমুলদাইড় বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় ও শিমুলদাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই চার-পাঁচটি অবৈধ করাতকল রয়েছে। এগুলোর পাশেই রয়েছে একটি মসজিদ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অভিযোগ দেওয়া হলেও বন বিভাগ নাক গলাননি। এগুলোর একটিরও কাগজপত্র নেই।
করাতকলগুলোর এক মালিক আরিফ বলেন, ‘আমাদের কোনো কাগজই নাই। বন অফিস বা অফিসাররা তো কিছুই বলে না। আর আমরা তো টাকা দিই।’
শিমুলদাইড় বাজারের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দুটি করাতকল আছে। ২০০৮ সালে একবার একটির ছাড়পত্র নিয়েছিলাম। তারপর আর নবায়ন করা হয়নি। বিদ্যুৎ অফিস থেকে বিদ্যুৎ-সংযোগও নিয়েছি। এখানে পাঁচটারই কাগজপত্র নাই। বছর শেষে শুধু টাকা নেয় বন অফিস।’
করাতকল মালিক সমিতির সভাপতি সোলায়মান বলেন, ‘আমাদের সব করাতকলই নিয়ম না মেনেই বসানো হয়েছে। কয়েক বছর আগে একবার ইউএনও স্যার এসে জরিমানা করছিল দুইটা মিলে। তা ছাড়া কিছুই না।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাজীপুর উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের মোবাইল ফোনে কল করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার বলেন, ‘আমরা দ্রুতই অভিযান শুরু করব। কাজীপুরে অবৈধ কোনো করাতকল থাকবে না।
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে ৪৪টি করাতকলের মধ্য ৩৯টির বৈধতার কাগজপত্র নেই। তবু পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নিয়ম না মেনে একের পর এক অবৈধ করাতকল স্থাপিত হচ্ছে। এতে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য যেমন হুমকিতে পড়ছে, তেমনি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ অবস্থায় যত্রতত্র স্থাপন করা করাতকল উচ্ছেদে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কোনো সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান এবং জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন স্থানের ন্যূনতম ২০০ মিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। তবে কাজীপুরে এমন আইন শুধু কাগজে-কলমেই।
উপজেলা বন অফিস সূত্রে জানা গেছে, পুরো উপজেলায় ৪৪টি করাতকল রয়েছে, যার মাত্র ৫টিতে বিধি মোতাবেক কাগজপত্র রয়েছে। তা-ও লাইসেন্সের কোনো নবায়ন নেই ৮-১০ বছর হলো। ৩৯টি করাতকলেরই কোনো প্রকার কাগজপত্র নেই।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, করাতকল স্থাপনের নিয়ম না মেনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশেই অবৈধ করাতকল স্থাপিত হয়েছে। উপজেলায় ৬০টির বেশি অবৈধ করাতকল রয়েছে। এগুলোতে রাস্তা দখল করে রাখা হয়েছে গাছের গুঁড়ি। এতে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনাও ঘটছে।
শিমুলদাইড় বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় ও শিমুলদাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই চার-পাঁচটি অবৈধ করাতকল রয়েছে। এগুলোর পাশেই রয়েছে একটি মসজিদ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অভিযোগ দেওয়া হলেও বন বিভাগ নাক গলাননি। এগুলোর একটিরও কাগজপত্র নেই।
করাতকলগুলোর এক মালিক আরিফ বলেন, ‘আমাদের কোনো কাগজই নাই। বন অফিস বা অফিসাররা তো কিছুই বলে না। আর আমরা তো টাকা দিই।’
শিমুলদাইড় বাজারের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দুটি করাতকল আছে। ২০০৮ সালে একবার একটির ছাড়পত্র নিয়েছিলাম। তারপর আর নবায়ন করা হয়নি। বিদ্যুৎ অফিস থেকে বিদ্যুৎ-সংযোগও নিয়েছি। এখানে পাঁচটারই কাগজপত্র নাই। বছর শেষে শুধু টাকা নেয় বন অফিস।’
করাতকল মালিক সমিতির সভাপতি সোলায়মান বলেন, ‘আমাদের সব করাতকলই নিয়ম না মেনেই বসানো হয়েছে। কয়েক বছর আগে একবার ইউএনও স্যার এসে জরিমানা করছিল দুইটা মিলে। তা ছাড়া কিছুই না।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাজীপুর উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের মোবাইল ফোনে কল করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার বলেন, ‘আমরা দ্রুতই অভিযান শুরু করব। কাজীপুরে অবৈধ কোনো করাতকল থাকবে না।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে