হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের অংশ হিসেবে এবার নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে পৌঁছেছেন আরও ৩৭৯ জন রোহিঙ্গা। এটা স্থানান্তর প্রক্রিয়ার সপ্তম ধাপ। এর আগে আরও ছয় ধাপে ১৮ হাজার ৩৪৭ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে অস্থায়ী বসবাসের জন্য নোয়াখালী হাতিয়ার ভাসানচরে আনা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা রোহিঙ্গাদের বহনকারী জাহাজ দুটি বেলা ৩টার দিকে ভাসানচরে পৌঁছায়। সপ্তম ধাপে এবার আসা ৩৭৯ রোহিঙ্গার মধ্যে ১৩২ পুরুষ, ৯৮ নারী এবং ১৪৯ জন শিশু রয়েছে।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, নিয়ম অনুযায়ী আজ (গতকাল) আসা রোহিঙ্গাদের প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওয়্যার হাউসে। সেখানে তাদের ভাসানচরে বসবাসের বিভিন্ন নিয়মকানুন সম্পর্কে ধারণা দেন নৌ-বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে গত বুধবার ভাসনচরের উদ্দেশে কক্সবাজার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামে নৌ-বাহিনীর তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। রাতে তারা চট্টগ্রামের বিএন শাহীন কলেজের ট্রানজিট ক্যাম্পে অবস্থান করে। গতকাল সকালে তাদের নিয়ে চট্টগ্রামের বোট ক্লাব থেকে নৌ-বাহিনীর দুটি জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা বলেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে আসতে ইচ্ছুক এ রকম রোহিঙ্গাদের শুধু ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও কিছু রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করার চিন্তাভাবনা আছে।
স্বেচ্ছায় ভাসানচরে আসতে ইচ্ছুক এমন রোহিঙ্গাদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছরের ৪ ডিসেম্বর। প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন, চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় ৩ হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় ৩ হাজার ১৮ জন এবং পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ ৪ হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল ৪ হাজার ৩৭২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
এ ছাড়া গত বছরের মে মাসে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়। এ নিয়ে মোট ১৮ হাজার ৭২৬ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে অবস্থান করছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ইতিমধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়। যাতে ১ লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।
রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের অংশ হিসেবে এবার নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে পৌঁছেছেন আরও ৩৭৯ জন রোহিঙ্গা। এটা স্থানান্তর প্রক্রিয়ার সপ্তম ধাপ। এর আগে আরও ছয় ধাপে ১৮ হাজার ৩৪৭ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে অস্থায়ী বসবাসের জন্য নোয়াখালী হাতিয়ার ভাসানচরে আনা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা রোহিঙ্গাদের বহনকারী জাহাজ দুটি বেলা ৩টার দিকে ভাসানচরে পৌঁছায়। সপ্তম ধাপে এবার আসা ৩৭৯ রোহিঙ্গার মধ্যে ১৩২ পুরুষ, ৯৮ নারী এবং ১৪৯ জন শিশু রয়েছে।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, নিয়ম অনুযায়ী আজ (গতকাল) আসা রোহিঙ্গাদের প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওয়্যার হাউসে। সেখানে তাদের ভাসানচরে বসবাসের বিভিন্ন নিয়মকানুন সম্পর্কে ধারণা দেন নৌ-বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে গত বুধবার ভাসনচরের উদ্দেশে কক্সবাজার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামে নৌ-বাহিনীর তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। রাতে তারা চট্টগ্রামের বিএন শাহীন কলেজের ট্রানজিট ক্যাম্পে অবস্থান করে। গতকাল সকালে তাদের নিয়ে চট্টগ্রামের বোট ক্লাব থেকে নৌ-বাহিনীর দুটি জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা বলেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে আসতে ইচ্ছুক এ রকম রোহিঙ্গাদের শুধু ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও কিছু রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করার চিন্তাভাবনা আছে।
স্বেচ্ছায় ভাসানচরে আসতে ইচ্ছুক এমন রোহিঙ্গাদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছরের ৪ ডিসেম্বর। প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন, চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় ৩ হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় ৩ হাজার ১৮ জন এবং পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ ৪ হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল ৪ হাজার ৩৭২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
এ ছাড়া গত বছরের মে মাসে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়। এ নিয়ে মোট ১৮ হাজার ৭২৬ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে অবস্থান করছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ইতিমধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়। যাতে ১ লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে