আব্বাছ হোসেন, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরে রহমতখালী, ডাকাতিয়া নদীসহ অর্ধশতাধিক খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব খালের দুই পাশ ভরাট করে প্রতিদিনই গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। ফলে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই পুরো খাল দখল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, রামগতি, কমলনগর ও রামগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া রহমতখালী, ডাকাতিয়া নদীসহ অর্ধশতাধিক খাল এখন মৃতপ্রায়। প্রায় ১৫০ কিলোমিটারজুড়ে এসব খাল ও নদীর অস্তিত্ব ছিল। বর্তমানে এসব খালের দুই পাশেই রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। ইট-বালু আর মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে খালের দুই পাশ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে দখল চলে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
খালের জমি দখল করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালানো হচ্ছে। অনেকে খাল দখল করে আবাসিক ভবন করছে। এতে খালগুলো দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে অল্প বৃষ্টিতে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে দখলদারদের হাত থেকে খালের ওপরের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও পরে আবার দখল হয়ে যায়। তাই স্থায়ী উচ্ছেদ করার দাবি স্থানীয়দের।
লক্ষ্মীপুর শহরের শিক্ষক হারুনুর রশিদ মোল্লা বলেন, রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় অবৈধভাবে এসব খাল দখল করে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশে চলে খাল দখল। প্রতিনিয়ত দখল আর দূষণে অস্তিত্ব হারিয়েছে ঐতিহ্যবাহী ডাকাতিয়া ও রহমতখালী নদী।
জেলা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও চন্দ্রগঞ্জ বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রহমতখালী ও ডাকাতিয়া নদী দিয়ে একসময় বড় বড় পালতোলা নৌকা, মালবাহী ট্রলার চলাচল করত। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা ভোলা-বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধান-চাল গমসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পরিবহন করতেন। দিন দিন খালগুলো ছোট হয়ে যাওয়ায় এখন আর তা হচ্ছে না। এসব খালের পানি দিয়ে বিভিন্ন মৌসুমে চাষাবাদ করেন স্থানীয় চাষিরা। তা-ও আর পারছেন না। প্রায়ই সব খাল মরে যাচ্ছে। এর বাইরেও অর্ধশতাধিক খাল অবৈধভাবে দখল করে বহুতল ভবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলছে প্রভাবশালী চক্র। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারাও।
লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের অ্যাডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ অভিযোগ করে বলেন, প্রতিনিয়ত দখলের কারণে এখন আর কোনো নদী বা খাল ব্যবহারের অবস্থায় নেই বললেই চলে। রহমতখালী নদী প্রায় ২০০ ফুট চওড়া ছিল, দখলের কারণে এখন মাত্র ৩০-৪০ ফুট রয়েছে। এখন বোরো আবাদের সময়। অথচ নদীতে পানি নেই। এ ছাড়া পৌরসভার বেশির ভাগ বর্জ্য এখন নদীতে যাচ্ছে। ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
দ্রুত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তিনি।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দর মাসুম ভূইয়া বলেন, ইতিমধ্যে পৌরসভা এলাকায় যেসব স্থানে নদী বা খাল দখল হয়েছে, সেগুলো উদ্ধারে কাজ করা হবে। এ ছাড়া কেউ নদীতে বর্জ্য ফেললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ বলেন, দখলদারদের সঙ্গে কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারা অবৈধভাবে নদী-খাল দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছে, তাদের তালিকা করা
হচ্ছে। এরপর উদ্ধার অভিযান চালানো হবে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে কাজ করছে প্রশাসন। এ বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে না। ২৬টি খাল দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করা হবে। ওই সব খাল খননের কাজ প্রক্রিয়াধীন। খাল খনন হলে সেচ থেকে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি হারিয়ে যাওয়া খাল বা নদী ফিরে পাবে এই অঞ্চলের মানুষ।
লক্ষ্মীপুরে রহমতখালী, ডাকাতিয়া নদীসহ অর্ধশতাধিক খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব খালের দুই পাশ ভরাট করে প্রতিদিনই গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। ফলে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই পুরো খাল দখল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, রামগতি, কমলনগর ও রামগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া রহমতখালী, ডাকাতিয়া নদীসহ অর্ধশতাধিক খাল এখন মৃতপ্রায়। প্রায় ১৫০ কিলোমিটারজুড়ে এসব খাল ও নদীর অস্তিত্ব ছিল। বর্তমানে এসব খালের দুই পাশেই রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। ইট-বালু আর মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে খালের দুই পাশ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে দখল চলে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
খালের জমি দখল করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালানো হচ্ছে। অনেকে খাল দখল করে আবাসিক ভবন করছে। এতে খালগুলো দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে অল্প বৃষ্টিতে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে দখলদারদের হাত থেকে খালের ওপরের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও পরে আবার দখল হয়ে যায়। তাই স্থায়ী উচ্ছেদ করার দাবি স্থানীয়দের।
লক্ষ্মীপুর শহরের শিক্ষক হারুনুর রশিদ মোল্লা বলেন, রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় অবৈধভাবে এসব খাল দখল করে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশে চলে খাল দখল। প্রতিনিয়ত দখল আর দূষণে অস্তিত্ব হারিয়েছে ঐতিহ্যবাহী ডাকাতিয়া ও রহমতখালী নদী।
জেলা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও চন্দ্রগঞ্জ বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রহমতখালী ও ডাকাতিয়া নদী দিয়ে একসময় বড় বড় পালতোলা নৌকা, মালবাহী ট্রলার চলাচল করত। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা ভোলা-বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধান-চাল গমসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পরিবহন করতেন। দিন দিন খালগুলো ছোট হয়ে যাওয়ায় এখন আর তা হচ্ছে না। এসব খালের পানি দিয়ে বিভিন্ন মৌসুমে চাষাবাদ করেন স্থানীয় চাষিরা। তা-ও আর পারছেন না। প্রায়ই সব খাল মরে যাচ্ছে। এর বাইরেও অর্ধশতাধিক খাল অবৈধভাবে দখল করে বহুতল ভবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলছে প্রভাবশালী চক্র। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারাও।
লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের অ্যাডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ অভিযোগ করে বলেন, প্রতিনিয়ত দখলের কারণে এখন আর কোনো নদী বা খাল ব্যবহারের অবস্থায় নেই বললেই চলে। রহমতখালী নদী প্রায় ২০০ ফুট চওড়া ছিল, দখলের কারণে এখন মাত্র ৩০-৪০ ফুট রয়েছে। এখন বোরো আবাদের সময়। অথচ নদীতে পানি নেই। এ ছাড়া পৌরসভার বেশির ভাগ বর্জ্য এখন নদীতে যাচ্ছে। ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
দ্রুত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তিনি।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দর মাসুম ভূইয়া বলেন, ইতিমধ্যে পৌরসভা এলাকায় যেসব স্থানে নদী বা খাল দখল হয়েছে, সেগুলো উদ্ধারে কাজ করা হবে। এ ছাড়া কেউ নদীতে বর্জ্য ফেললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ বলেন, দখলদারদের সঙ্গে কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারা অবৈধভাবে নদী-খাল দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছে, তাদের তালিকা করা
হচ্ছে। এরপর উদ্ধার অভিযান চালানো হবে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে কাজ করছে প্রশাসন। এ বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে না। ২৬টি খাল দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করা হবে। ওই সব খাল খননের কাজ প্রক্রিয়াধীন। খাল খনন হলে সেচ থেকে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি হারিয়ে যাওয়া খাল বা নদী ফিরে পাবে এই অঞ্চলের মানুষ।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে