এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া রুলের নিষ্পত্তি হয়নি ২৯ মাসেও। আইনজীবীরা বলছেন, কখনো কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করে বাহিনীর সদস্যরা দোষ না পেলেও পরে বিচার বিভাগীয় তদন্তে সত্যতা মিলেছে। এমন ঘটনা অনেক আছে। তাই স্বাধীন তদন্ত কমিশন হলে একদিকে সময় বাঁচবে, অন্যদিকে প্রতিকারপ্রার্থী ন্যায়বিচার পাবেন।
‘পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন’ নামে স্বাধীন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে ২০২১ সালের নভেম্বরে ওই রিট করেছিলেন ১০২ আইনজীবী। রিট আবেদনে সংবাদপত্রে প্রকাশিত পুলিশের ১৮ ধরনের ৫৮৯টি অপরাধের অভিযোগ যুক্ত করা হয়। কমিশনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, অবসরপ্রাপ্ত সচিব, পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক (আইজি), আইন বিভাগের শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাচীনকাল থেকেই আইনের সাধারণ নীতি—নিজের বিচারের জন্য নিজে বিচারকের আসনে আসীন হওয়া যায় না। অনেক বছর ধরে আমরা একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশনের কথা বলছি। এই কমিশনকে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে রাখা উচিত। ন্যায়বিচারের স্বার্থে স্বাধীন কমিশন করা প্রয়োজন।
আইনজীবীরা বলেন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ফৌজদারিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ উঠলে বেশির ভাগের তদন্ত করেন পুলিশ সদস্যরাই। তদন্ত শেষে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। কিন্তু পরে বিচার বিভাগীয় তদন্তে ওই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। যেমন ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগের সময় পুলিশের গুলিতে তিন সাঁওতাল নিহত এবং অনেকের আহতের ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ৯০ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিলেও কোনো পুলিশ সদস্যকে দায়ী করা হয়নি। অথচ পরে দুই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্তে পুলিশ সদস্যদের সম্পৃক্ততা উঠে আসে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর নির্যাতন ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগে থানার তৎকালীন ওসি মোরশেদ আলম এবং উপপরিদর্শক সাধন চন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম স্বপন। আদালতের নির্দেশে তদন্ত শেষে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। পরে স্বপনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। স্বপন রিট করলে হাইকোর্ট পুলিশ ছাড়া অন্য সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন। অভিযুক্তরা আপিল বিভাগে গেলেও ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল থাকে।
রাজধানীর পল্লবী থানায় পুলিশের নির্যাতনে ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিহত হন ইশতিয়াক হোসেন জনি। থানা মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করেন জনির মা। আদালত ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তবে ডিবি কয়েক মাসেও প্রতিবেদন না দেওয়ায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে ওই বছরের ৭ আগস্ট আদালতে মামলা করেন জনির ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি। আদালতের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে পল্লবী থানার সাবেক তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও দুই সোর্সকে অভিযুক্ত করা হয়। জনি হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক ওই তিন কর্মকর্তার যাবজ্জীবন এবং দুই সোর্সের সাত বছরের কারাদণ্ড হয়।
ইমতিয়াজ হোসেন রকি আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশের তদন্তে সঠিক চিত্র আসবে না, বিচার পাওয়া যাবে না—এমন আশঙ্কা থেকেই বিচার বিভাগীয় তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছিল।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে পুলিশ তদন্ত করলে সঠিক হয় না। এ জন্য পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ যেন নিজেরা তদন্ত না করে, সেটাই হবে যুক্তিযুক্ত। সে জন্য একটি পৃথক কমিশন প্রয়োজন। তিনি বলেন, অনেক দেশেই পৃথক কমিশন আছে। দেশে এ রকম কমিশন করতে আইন করা উচিত। হাইকোর্টের রুল দ্রুত নিষ্পত্তি করা দরকার।
আইনজীবী সূত্র জানায়, ১০২ আইনজীবীর করা রিট আবেদনে আটটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন ও নীতিমালা যুক্ত করা হয়। যেখানে পুলিশের অপরাধ তদন্তে পৃথক কর্তৃপক্ষ বা কমিশন গঠনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারতসহ অনেক দেশে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র তদন্ত কমিশন কার্যকর আছে। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিষয়ে অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন ‘পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন’ (পুলিশ কমপ্লেইন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিশন—পিসিআইসি) গঠনে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
রুল নিষ্পত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চূড়ান্ত শুনানির জন্য আমরা চেষ্টা করছি। স্বচ্ছতা-জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্যই কমিশন গঠন করা দরকার। ২০০৭ সালে ‘পুলিশ অধ্যাদেশ’ নামের একটি আইনের খসড়া তৈরি করা হয়। সেখানে পুলিশ কমপ্লেইন্ট কমিশন গঠনের প্রস্তাব ছিল। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৭টি রাজ্যে এমন কমিশন গঠন করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ বিষয়ে রিট আবেদনকারীদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, রুল শুনানির সময় তাঁরা জবাব দেবেন।
পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া রুলের নিষ্পত্তি হয়নি ২৯ মাসেও। আইনজীবীরা বলছেন, কখনো কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করে বাহিনীর সদস্যরা দোষ না পেলেও পরে বিচার বিভাগীয় তদন্তে সত্যতা মিলেছে। এমন ঘটনা অনেক আছে। তাই স্বাধীন তদন্ত কমিশন হলে একদিকে সময় বাঁচবে, অন্যদিকে প্রতিকারপ্রার্থী ন্যায়বিচার পাবেন।
‘পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন’ নামে স্বাধীন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে ২০২১ সালের নভেম্বরে ওই রিট করেছিলেন ১০২ আইনজীবী। রিট আবেদনে সংবাদপত্রে প্রকাশিত পুলিশের ১৮ ধরনের ৫৮৯টি অপরাধের অভিযোগ যুক্ত করা হয়। কমিশনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, অবসরপ্রাপ্ত সচিব, পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক (আইজি), আইন বিভাগের শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাচীনকাল থেকেই আইনের সাধারণ নীতি—নিজের বিচারের জন্য নিজে বিচারকের আসনে আসীন হওয়া যায় না। অনেক বছর ধরে আমরা একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশনের কথা বলছি। এই কমিশনকে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে রাখা উচিত। ন্যায়বিচারের স্বার্থে স্বাধীন কমিশন করা প্রয়োজন।
আইনজীবীরা বলেন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ফৌজদারিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ উঠলে বেশির ভাগের তদন্ত করেন পুলিশ সদস্যরাই। তদন্ত শেষে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। কিন্তু পরে বিচার বিভাগীয় তদন্তে ওই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। যেমন ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগের সময় পুলিশের গুলিতে তিন সাঁওতাল নিহত এবং অনেকের আহতের ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ৯০ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিলেও কোনো পুলিশ সদস্যকে দায়ী করা হয়নি। অথচ পরে দুই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্তে পুলিশ সদস্যদের সম্পৃক্ততা উঠে আসে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর নির্যাতন ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগে থানার তৎকালীন ওসি মোরশেদ আলম এবং উপপরিদর্শক সাধন চন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম স্বপন। আদালতের নির্দেশে তদন্ত শেষে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। পরে স্বপনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। স্বপন রিট করলে হাইকোর্ট পুলিশ ছাড়া অন্য সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন। অভিযুক্তরা আপিল বিভাগে গেলেও ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল থাকে।
রাজধানীর পল্লবী থানায় পুলিশের নির্যাতনে ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিহত হন ইশতিয়াক হোসেন জনি। থানা মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করেন জনির মা। আদালত ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তবে ডিবি কয়েক মাসেও প্রতিবেদন না দেওয়ায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে ওই বছরের ৭ আগস্ট আদালতে মামলা করেন জনির ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি। আদালতের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে পল্লবী থানার সাবেক তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও দুই সোর্সকে অভিযুক্ত করা হয়। জনি হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক ওই তিন কর্মকর্তার যাবজ্জীবন এবং দুই সোর্সের সাত বছরের কারাদণ্ড হয়।
ইমতিয়াজ হোসেন রকি আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশের তদন্তে সঠিক চিত্র আসবে না, বিচার পাওয়া যাবে না—এমন আশঙ্কা থেকেই বিচার বিভাগীয় তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছিল।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে পুলিশ তদন্ত করলে সঠিক হয় না। এ জন্য পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ যেন নিজেরা তদন্ত না করে, সেটাই হবে যুক্তিযুক্ত। সে জন্য একটি পৃথক কমিশন প্রয়োজন। তিনি বলেন, অনেক দেশেই পৃথক কমিশন আছে। দেশে এ রকম কমিশন করতে আইন করা উচিত। হাইকোর্টের রুল দ্রুত নিষ্পত্তি করা দরকার।
আইনজীবী সূত্র জানায়, ১০২ আইনজীবীর করা রিট আবেদনে আটটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন ও নীতিমালা যুক্ত করা হয়। যেখানে পুলিশের অপরাধ তদন্তে পৃথক কর্তৃপক্ষ বা কমিশন গঠনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারতসহ অনেক দেশে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র তদন্ত কমিশন কার্যকর আছে। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিষয়ে অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন ‘পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন’ (পুলিশ কমপ্লেইন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিশন—পিসিআইসি) গঠনে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
রুল নিষ্পত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চূড়ান্ত শুনানির জন্য আমরা চেষ্টা করছি। স্বচ্ছতা-জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্যই কমিশন গঠন করা দরকার। ২০০৭ সালে ‘পুলিশ অধ্যাদেশ’ নামের একটি আইনের খসড়া তৈরি করা হয়। সেখানে পুলিশ কমপ্লেইন্ট কমিশন গঠনের প্রস্তাব ছিল। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৭টি রাজ্যে এমন কমিশন গঠন করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ বিষয়ে রিট আবেদনকারীদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, রুল শুনানির সময় তাঁরা জবাব দেবেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে