সম্পাদকীয়
জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর শনিবার ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের আরও ২২৯টি নির্বাচন ও উপনির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিরও। কেমন হয়েছে এই নির্বাচনগুলো?
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি যথারীতি অংশ নেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে কোথাও কোথাও জয়ও পেয়েছেন দলটির স্থানীয় পর্যায়ের দু-চারজন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছে।এই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে নানা নাটকীয়তা হয়েছে। হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি যা দেখেছিলাম, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে যা দেখেছি এবং শনিবার কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে যা দেখেছি, তার সবকিছুই নির্বাচনের নামে প্রহসন। আমরা শুধু এ প্রত্যাশা করব, সরকার তাদের এই জবরদখল করা নির্বাচনের ধ্যানধারণা থেকে বের হয়ে আসবে এবং বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেবে।’
অন্যদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল মনে করেন, সব ঠিকঠাকই আছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমাদের দৃষ্টিতে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোনো অভিযোগ আমরা এখনো পাইনি যে প্রভাব খাটানো হয়েছে, হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে গোলাগুলি হয়েছে, তবে কেন্দ্রের ভেতরে ভোট প্রভাবিত হয়নি।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, শনিবার সারা দেশে স্থানীয় সরকারের আরও যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু অনিয়ম-দুর্নীতি ও ভুলের খবর পাওয়া গেছে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে ব্যালট পেপারে আপেলের জায়গায় কদম ফুল মুদ্রিত হয়েছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে এ ঘটনা ঘটেছে।
এই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনসুর আহমেদের মৃত্যুতে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আপেল মার্কার জায়গায় কদম ফুল প্রিন্ট হওয়ায় নির্বাচন কমিশন ভোট স্থগিত করেছে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সাধারণত ভোটার উপস্থিতি বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু শনিবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কমই ছিল। তাহলে কি এটা ধরে নিতে হবে যে ভোটের ওপর আর সাধারণ ভোটারদের আগ্রহ নেই? বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা দরকার। সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্র বিমুখ হয়ে পড়লে সেটা গণতন্ত্রের জন্য খুব সুখকর কিছু হবে না।
ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয় পেলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে বিজয়ী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান অনেক। বলা যায়, এই নির্বাচনও অনেকটা একতরফাই হয়েছে।
কেন এমন হচ্ছে? সহজ উত্তর—একদিকে বিরোধী দল নেই, আরেকদিকে নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাই প্রহসনে পরিণত হয়েছে। এটা কাম্য নয়। আমরা যদি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখি, তাহলে নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের এই নেতিবাচক মনোভাব দূর করতে হবে।
জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর শনিবার ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের আরও ২২৯টি নির্বাচন ও উপনির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিরও। কেমন হয়েছে এই নির্বাচনগুলো?
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি যথারীতি অংশ নেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে কোথাও কোথাও জয়ও পেয়েছেন দলটির স্থানীয় পর্যায়ের দু-চারজন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছে।এই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে নানা নাটকীয়তা হয়েছে। হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি যা দেখেছিলাম, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে যা দেখেছি এবং শনিবার কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে যা দেখেছি, তার সবকিছুই নির্বাচনের নামে প্রহসন। আমরা শুধু এ প্রত্যাশা করব, সরকার তাদের এই জবরদখল করা নির্বাচনের ধ্যানধারণা থেকে বের হয়ে আসবে এবং বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেবে।’
অন্যদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল মনে করেন, সব ঠিকঠাকই আছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমাদের দৃষ্টিতে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোনো অভিযোগ আমরা এখনো পাইনি যে প্রভাব খাটানো হয়েছে, হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে গোলাগুলি হয়েছে, তবে কেন্দ্রের ভেতরে ভোট প্রভাবিত হয়নি।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, শনিবার সারা দেশে স্থানীয় সরকারের আরও যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু অনিয়ম-দুর্নীতি ও ভুলের খবর পাওয়া গেছে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে ব্যালট পেপারে আপেলের জায়গায় কদম ফুল মুদ্রিত হয়েছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে এ ঘটনা ঘটেছে।
এই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনসুর আহমেদের মৃত্যুতে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আপেল মার্কার জায়গায় কদম ফুল প্রিন্ট হওয়ায় নির্বাচন কমিশন ভোট স্থগিত করেছে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সাধারণত ভোটার উপস্থিতি বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু শনিবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কমই ছিল। তাহলে কি এটা ধরে নিতে হবে যে ভোটের ওপর আর সাধারণ ভোটারদের আগ্রহ নেই? বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা দরকার। সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্র বিমুখ হয়ে পড়লে সেটা গণতন্ত্রের জন্য খুব সুখকর কিছু হবে না।
ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয় পেলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে বিজয়ী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান অনেক। বলা যায়, এই নির্বাচনও অনেকটা একতরফাই হয়েছে।
কেন এমন হচ্ছে? সহজ উত্তর—একদিকে বিরোধী দল নেই, আরেকদিকে নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাই প্রহসনে পরিণত হয়েছে। এটা কাম্য নয়। আমরা যদি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখি, তাহলে নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের এই নেতিবাচক মনোভাব দূর করতে হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪