জন্মভিটায় মহাকবিকে স্মরণ কবিতা ও গানে

যশোর প্রতিনিধি
Thumbnail image

মেঘনাদবধ মহাকাব্য নিয়ে সবাই আলোচনায় মগ্ন। নিগূঢ় আলাপচারিতার মাঝে থেমে থেমে চলছে তবলার লহরিও। কাব্য নিয়ে আলাপচারিতার ফাঁকে ফাঁকে হারমোনিয়াম ও গিটারের টুংটাং শব্দ। সঙ্গে চলছিল গান ও কবিতাপাঠ। তাঁদের অধিকাংশই কলেজশিক্ষক।

গতকাল রোববার যশোরের কেশবপুরে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভিটার সামনে এমন আয়োজন করেন একদল সাহিত্যপ্রেমী। কপোতাক্ষ নদের তীরে বেড়ে ওঠা মহাকবির জন্মদিন উপলক্ষে এই স্মরণোৎসব করে ‘সপ্তাহে একটি বই পড়ি’ সংগঠন। ২৫ জানুয়ারি মহাকবির জন্মদিন।

এদিন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ গ্রন্থটির ওপর পাঠ প্রতিক্রিয়া ও কাব্যালোচনায় অংশ নিতে সংগঠনটির সদস্যরা যশোর শহর থেকে বাসযোগে সাগরদাঁড়ির মধুপল্লিতে যান। সেখানে মহাকবির স্মৃতিবিজড়িত জন্মগৃহের আঙিনায় সদস্যরা বৃত্তাকারে বসে বই আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি রবীন্দ্রনাথের ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ শিরোনামের গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয়।

বই পড়া আন্দোলনের উদ্যোক্তা, সপ্তাহে একটি বই পড়ির প্রতিষ্ঠাতা ও সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ইতিহাস 
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ্জাহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমন্বয়ক কামরুজ্জামান সাদের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমেই মূলপর্ব শুরু হয়।

আলোচক হিসেবে ছিলেন লেখক ও গবেষক কে এম বদিয়ার রহমান ও সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক স্বরূপ কুমার দাস। আলোচনায় অংশ নেন রূপালী ব্যাংকের পালবাড়ি শাখার সহকারী এজিএম শহীদুল ইসলাম, মাইকেল মধুসূদন স্মৃতি জাদুঘরের ভারপ্রাপ্ত সংরক্ষক মো. হাসানুজ্জামান ও সংবাদকর্মী সালমান হাসান। অনুষ্ঠানে তবলা বাজিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করেন প্রভাষক স্বরূপ কুমার দাস এবং গান পরিবেশন করেন দুই তরুণ শিল্পী মুস্তাহিদ হাসান ও রাতুল হাসান খান।

‘মেঘনাদবধ কাব্য’ নিয়ে আলোচনা করেন পাঠচক্র বন্ধু বায়োজিদ, হরিদাস, জ্যোৎস্না, কাকলী, সুমাইয়া, রুবাইয়া, ফয়সাল প্রমুখ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে নিয়মিত বিরতিতে সদস্যরা গান ও কবিতা পরিবেশন করেন। আলোচনা সভায় বক্তারা বর্তমান সময়েও মেঘনাদবধ কাব্য ও সাহিত্যকর্ম কেন প্রাসঙ্গিক, তা তুলে ধরেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত