সম্পাদকীয়
রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশে বিএনপি কখনো খুব অপরিপক্বতা দেখিয়েছে, এটা বলা যাবে না। ক্ষমতায় থেকে জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক দল বিএনপি একাধিকবার রাষ্ট্রক্ষমতায়থাকলেও বিরোধী দলে থেকে এককভাবে কোনো আন্দোলনে জয়ী হওয়ার কোনো রেকর্ড দলটির নেই।
সে জন্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বিএনপিকে আন্দোলনের দল বলে মনে করেন না। কিন্তু ক্ষমতার বাইরে থাকলে দলটির নেতারা আন্দোলনের কথা ছাড়া আর কিছু বলেন না। কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো রাজনৈতিক নেতা চাইলেই যে দেশে আন্দোলন গড়ে ওঠে না, আন্দোলনের জন্য পরিবেশ-পরিস্থিতি লাগে, জাতীয়ভাবে যেমন আন্দোলনের শক্তি সমাবেশ প্রয়োজন, তেমনি আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে শক্তির বিন্যাসও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু বিএনপি সম্ভবত এই সব বিষয় বিবেচনায় না নিয়ে সরকার পতনের ভাবনায় মশগুল থাকে। বিএনপির এই রাজনৈতিক কৌশল দলটিকে বছরের পর বছর ক্ষমতার বাইরে রাখছে, জনবিচ্ছিন্ন করছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকার করতে পারবে না বলে বিএনপি ধরে নিয়ে চরমভাবে ‘ধরা’ খেয়েছে। কোনো কোনো কলাম লেখক বলছেন, ইউটিউবার অ্যাকটিভিস্ট এবং দেশি-বিদেশি সাংবাদিক বিএনপির মন জোগানো কথা বলে গেছেন, ‘সরকার এই পড়ল বলে’, ‘আমেরিকার সাঁড়াশি আক্রমণে সরকার দিশেহারা’ জাতীয় আশা ছড়িয়ে নাকি বিএনপিকে বোকা বানানো হয়েছে। তার মানে নিজেদের বুদ্ধি-বিবেচনা নয়, বিএনপি নির্ভর করে বাইরের বাতাসদাতাদের ওপর? বিএনপির মতো একটি বড় দলের জন্য এটা দুঃখজনক।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জেল থেকে বেরিয়েই আবার সরকার পতনের আন্দোলনের কথাই বলছেন। বিএনপি যে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করার দল নয়, সেটা তাদের কথাবার্তা, কাজকর্ম থেকেই বোঝা যায়।
রোববার আজকের পত্রিকায় ‘লাভক্ষতির হিসাব না মেলায় সিদ্ধান্তহীনতায় বিএনপি’ শীর্ষক এক খবরে বলা হয়েছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে গিয়ে লাভ হবে না, এ হিসাব কষে জাতীয়সহ সব নির্বাচন বয়কট করে চলেছে বিএনপি। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে এখনো প্রকাশ্যে দলটির অবস্থান সেটিই। কিন্তু ভেতরে-ভেতরে একধরনের দোনামোনা রয়েছে। যেহেতু দলীয় প্রতীকবিহীন হবে এই ভোট, তাই এতে অংশ নিলে জয়ী হয়ে কিছু উপজেলা তো নিজেদের কবজায় নেওয়ার সুযোগ আছে। দলটির নেতৃত্বের একাংশ এ ভাবনা
ভাবলেও অপরাংশ সেই পুরোনো পথে—তাতে লাভ কী!
লাভক্ষতির এ হিসাব মেলাতে না পারায় ভোটে যাবে কি যাবে না, এ বিষয়ে কোনো স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে এক দফা কর্মসূচিতে যায় তারা। কিন্তু সরকার দাবি মানেনি, বিএনপি ভোটও ঠেকাতে পারেনি। এখনো ওই নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে তারা। যদিও পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে উপজেলা নির্বাচনে যাওয়া না-যাওয়া নিয়ে মতভিন্নতা দেখা দিয়েছে দলটিতে।
রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশে বিএনপি কখনো খুব অপরিপক্বতা দেখিয়েছে, এটা বলা যাবে না। ক্ষমতায় থেকে জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক দল বিএনপি একাধিকবার রাষ্ট্রক্ষমতায়থাকলেও বিরোধী দলে থেকে এককভাবে কোনো আন্দোলনে জয়ী হওয়ার কোনো রেকর্ড দলটির নেই।
সে জন্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বিএনপিকে আন্দোলনের দল বলে মনে করেন না। কিন্তু ক্ষমতার বাইরে থাকলে দলটির নেতারা আন্দোলনের কথা ছাড়া আর কিছু বলেন না। কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো রাজনৈতিক নেতা চাইলেই যে দেশে আন্দোলন গড়ে ওঠে না, আন্দোলনের জন্য পরিবেশ-পরিস্থিতি লাগে, জাতীয়ভাবে যেমন আন্দোলনের শক্তি সমাবেশ প্রয়োজন, তেমনি আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে শক্তির বিন্যাসও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু বিএনপি সম্ভবত এই সব বিষয় বিবেচনায় না নিয়ে সরকার পতনের ভাবনায় মশগুল থাকে। বিএনপির এই রাজনৈতিক কৌশল দলটিকে বছরের পর বছর ক্ষমতার বাইরে রাখছে, জনবিচ্ছিন্ন করছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকার করতে পারবে না বলে বিএনপি ধরে নিয়ে চরমভাবে ‘ধরা’ খেয়েছে। কোনো কোনো কলাম লেখক বলছেন, ইউটিউবার অ্যাকটিভিস্ট এবং দেশি-বিদেশি সাংবাদিক বিএনপির মন জোগানো কথা বলে গেছেন, ‘সরকার এই পড়ল বলে’, ‘আমেরিকার সাঁড়াশি আক্রমণে সরকার দিশেহারা’ জাতীয় আশা ছড়িয়ে নাকি বিএনপিকে বোকা বানানো হয়েছে। তার মানে নিজেদের বুদ্ধি-বিবেচনা নয়, বিএনপি নির্ভর করে বাইরের বাতাসদাতাদের ওপর? বিএনপির মতো একটি বড় দলের জন্য এটা দুঃখজনক।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জেল থেকে বেরিয়েই আবার সরকার পতনের আন্দোলনের কথাই বলছেন। বিএনপি যে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করার দল নয়, সেটা তাদের কথাবার্তা, কাজকর্ম থেকেই বোঝা যায়।
রোববার আজকের পত্রিকায় ‘লাভক্ষতির হিসাব না মেলায় সিদ্ধান্তহীনতায় বিএনপি’ শীর্ষক এক খবরে বলা হয়েছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে গিয়ে লাভ হবে না, এ হিসাব কষে জাতীয়সহ সব নির্বাচন বয়কট করে চলেছে বিএনপি। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে এখনো প্রকাশ্যে দলটির অবস্থান সেটিই। কিন্তু ভেতরে-ভেতরে একধরনের দোনামোনা রয়েছে। যেহেতু দলীয় প্রতীকবিহীন হবে এই ভোট, তাই এতে অংশ নিলে জয়ী হয়ে কিছু উপজেলা তো নিজেদের কবজায় নেওয়ার সুযোগ আছে। দলটির নেতৃত্বের একাংশ এ ভাবনা
ভাবলেও অপরাংশ সেই পুরোনো পথে—তাতে লাভ কী!
লাভক্ষতির এ হিসাব মেলাতে না পারায় ভোটে যাবে কি যাবে না, এ বিষয়ে কোনো স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে এক দফা কর্মসূচিতে যায় তারা। কিন্তু সরকার দাবি মানেনি, বিএনপি ভোটও ঠেকাতে পারেনি। এখনো ওই নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে তারা। যদিও পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে উপজেলা নির্বাচনে যাওয়া না-যাওয়া নিয়ে মতভিন্নতা দেখা দিয়েছে দলটিতে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে