শ্রীপুর প্রতিনিধি
শ্রীপুরে সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বে মায়ের লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে। তাঁর মায়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। ছোট ভাই নির্যাতন করে তাঁকে মারতে পারেন। এ জন্য লাশ দাফনের আগে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতির পর মৃত নারীর জানাজায় বিলম্ব হয়। পরে উপস্থিত মুসল্লিরা এ ঘটনার নিন্দা জানান। তাঁদের হস্তক্ষেপে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন সম্পন্ন হয়।
মৃত মালেকা বেগম শ্রীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল মান্নানের স্ত্রী। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার রাতে মালেকা বেগম মারা যান। নানা জটিলতার সঙ্গে তিনি এক সপ্তাহ আগে করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বড় ছেলে স্থানীয় বেসরকারি ওশিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন শ্রীপুর থানায় অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ১৯৯৪ সালে আব্দুল মান্নান চার ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে মারা যান। পরে জমির বণ্টন নিয়ে ভাইদের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ সময় ইকবাল হোসেন তাঁর মায়ের কাছ থেকে সম্পত্তির মালিকানা পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। তাঁকে একা জমি লিখে না দেওয়ায় মায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এ সময় তাঁর মা ছোট ছেলের বাসায় ওঠেন। মৃত্যু পর্যন্ত ছোট ছেলেই মায়ের দেখাশোনা করেন।
নিহতের ছোট ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন তিনিই তাঁর মায়ের দেখাশোনা করে আসছিলেন। পরে হঠাৎ করে তাঁর মা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি গতকাল (গত বুধবার) মৃত্যুবরণ করেন। বাড়িতে লাশ নিয়ে আসার পর তাঁর বড় ভাই পুলিশ নিয়ে এসে দাফনে বাধা দেন।
এ বিষয়ে নিহতের বড় ছেলে মো. ইকবাল হোসেন বলেন, তাঁর মায়ের নামে প্রায় ২ বিঘা জমি ও ব্যাংকে ৫০ লাখ টাকা ছিল। এগুলো আত্মসাৎ করতেই তাঁর মাকে ছোট ভাই মেরে ফেলেছে, এমন ধারণায় তিনি থানায় অভিযোগ করেছিলেন। তবে পুলিশ লাশের ময়নাতদন্ত না করেই চলে গেছে। তিনি এ বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
মুসল্লি নুরুজ্জামান বলেন, ‘পারিবারিক সমস্যার কারণে মায়ের লাশ নিয়ে এ রকম কাণ্ড সত্যি লজ্জাজনক। এ রকম কাজ একজন সন্তান করতে পারে কী করে? রীতিমতো আশ্চর্য হওয়ার মতো।’
সাব্বির হোসেন নামের আরেক মুসল্লি বলেন, ‘যে মা তাকে জন্ম দিয়ে এত কষ্ট করে লালনপালন করে বড় করেছেন। লেখাপড়া করিয়ে শিক্ষক বানিয়েছেন, সেই মায়ের শেষ বিদায় বেলা এ রকম কাণ্ড কোনো সন্তান করতে পারে না। সে শিক্ষক নামের কলঙ্ক।’
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে চিকিৎসার কাগজপত্র দেখে স্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া মৃত নারীর কোভিড পজিটিভ ছিল। তবে তিনি যেহেতু ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন, সেহেতু অভিযোগ থাকলে সেখানে মামলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
শ্রীপুরে সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বে মায়ের লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে। তাঁর মায়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। ছোট ভাই নির্যাতন করে তাঁকে মারতে পারেন। এ জন্য লাশ দাফনের আগে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতির পর মৃত নারীর জানাজায় বিলম্ব হয়। পরে উপস্থিত মুসল্লিরা এ ঘটনার নিন্দা জানান। তাঁদের হস্তক্ষেপে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন সম্পন্ন হয়।
মৃত মালেকা বেগম শ্রীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল মান্নানের স্ত্রী। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার রাতে মালেকা বেগম মারা যান। নানা জটিলতার সঙ্গে তিনি এক সপ্তাহ আগে করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বড় ছেলে স্থানীয় বেসরকারি ওশিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন শ্রীপুর থানায় অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ১৯৯৪ সালে আব্দুল মান্নান চার ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে মারা যান। পরে জমির বণ্টন নিয়ে ভাইদের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ সময় ইকবাল হোসেন তাঁর মায়ের কাছ থেকে সম্পত্তির মালিকানা পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। তাঁকে একা জমি লিখে না দেওয়ায় মায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এ সময় তাঁর মা ছোট ছেলের বাসায় ওঠেন। মৃত্যু পর্যন্ত ছোট ছেলেই মায়ের দেখাশোনা করেন।
নিহতের ছোট ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন তিনিই তাঁর মায়ের দেখাশোনা করে আসছিলেন। পরে হঠাৎ করে তাঁর মা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি গতকাল (গত বুধবার) মৃত্যুবরণ করেন। বাড়িতে লাশ নিয়ে আসার পর তাঁর বড় ভাই পুলিশ নিয়ে এসে দাফনে বাধা দেন।
এ বিষয়ে নিহতের বড় ছেলে মো. ইকবাল হোসেন বলেন, তাঁর মায়ের নামে প্রায় ২ বিঘা জমি ও ব্যাংকে ৫০ লাখ টাকা ছিল। এগুলো আত্মসাৎ করতেই তাঁর মাকে ছোট ভাই মেরে ফেলেছে, এমন ধারণায় তিনি থানায় অভিযোগ করেছিলেন। তবে পুলিশ লাশের ময়নাতদন্ত না করেই চলে গেছে। তিনি এ বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
মুসল্লি নুরুজ্জামান বলেন, ‘পারিবারিক সমস্যার কারণে মায়ের লাশ নিয়ে এ রকম কাণ্ড সত্যি লজ্জাজনক। এ রকম কাজ একজন সন্তান করতে পারে কী করে? রীতিমতো আশ্চর্য হওয়ার মতো।’
সাব্বির হোসেন নামের আরেক মুসল্লি বলেন, ‘যে মা তাকে জন্ম দিয়ে এত কষ্ট করে লালনপালন করে বড় করেছেন। লেখাপড়া করিয়ে শিক্ষক বানিয়েছেন, সেই মায়ের শেষ বিদায় বেলা এ রকম কাণ্ড কোনো সন্তান করতে পারে না। সে শিক্ষক নামের কলঙ্ক।’
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে চিকিৎসার কাগজপত্র দেখে স্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া মৃত নারীর কোভিড পজিটিভ ছিল। তবে তিনি যেহেতু ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন, সেহেতু অভিযোগ থাকলে সেখানে মামলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪